Ajker Patrika

নির্বাচনী অনিয়মে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনী অনিয়মে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: ইসি

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গাজীপুরের চেয়ে ভালো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান।

আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, নির্বাচনী অনিয়মের সঙ্গে কেউ জড়িত হলে আগের চেয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা যায়, এই দুই সিটিতে আগামীকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচনী এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি। এলাকায় সীমিত আকারে যান চলাচল করবে। ইসি ঢাকা থেকে এই নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে। 

সূত্রমতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি করপোরেশন (গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী) নির্বাচনকে ইসি রিহার্সাল (মহড়া) হিসেবে দেখছে। ইসি দাবি করেছে, গাজীপুরের মতো বরিশাল ও খুলনায় সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

ইসি জানায়, বরিশাল সিটিতে ১ হাজার ৫০০ ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২ হাজার ৩০৮টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। আর খুলনা সিটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩ হাজার ইভিএম ও ১ হাজার ১৪৬টি সিসি ক্যামেরা। 

দুই সিটির ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিবের তত্ত্বাবধানে ৪১ কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকেরা সময়ে সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি ইসিকে জানাবেন। 

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘কমিশনের বার্তা স্পষ্ট ছিল। তা হলো, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা।’ 

ফল পেতে দেরি হওয়ার ব্যাখ্যা

ইভিএমের ভোটে ফল পেতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ইভিএমে কেন্দ্রভিত্তিক ফল আলাদা প্রিন্ট হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো সংযোগ নেই। ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পরপরই প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল দিয়ে দেওয়া হয়।

ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রভিত্তিক ফল রিটার্নিং অফিসার সমন্বয় করে বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন। এতে কিছুটা সময় লেগে যায়। 
 
পরিবেশ শান্ত রাখতে ব্যবস্থা

ইসি জানায়, বরিশাল সিটি ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ৩০টি মোবাইল টিম, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ৩টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। র‍্যাবের ১৬টি টিম এবং ১০ প্লাটুন বিজিবি, ৩ সেকশন কোস্টগার্ডও মোতায়েন আছে। এ ছাড়া ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ২০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৪ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। 

খুলনা সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ৩১টি মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স,৭টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। র‍্যাবের ১৬টি টিম এবং ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে। 

এ ছাড়া ৪৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা ১৩ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১৪ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাস্তি পাচ্ছেন বিটিআরসির মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তা

ভূমি অফিসের কাণ্ড: এসি ল্যান্ড দপ্তরের নামে দেড় কোটি টাকা আদায়

‘তেলের ক্রেতা’ হিসেবে ভারতকে আর পাবে না রাশিয়া, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

বরখাস্ত সৈনিককে অস্ত্র দিয়েছেন বিএনপি নেতা, অডিও নিয়ে তোলপাড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত