নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: 'আমি মানসিকভাবে ভালো নেই, শারীরিকভাবেও ভালো নেই। আমি বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছি। আমি শুধুমাত্র ওনার সন্ধান চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলেই পারবেন। আমার স্বামী যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় আইনে তাঁর বিচার হোক কিন্তু আমি শুধুমাত্র তাঁর সন্ধানটুকু চাই। অন্তত সে কোথায় আছে, কেমন আছে, কীভাবে আছে সেটা আমাকে জানান। যদি আপনারা তাঁকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারেন তাহলে আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে যান। সে কোন দলের সঙ্গে যুক্ত না, কোন মতেরও না। সে একটা নিরীহ মানুষ, সাধারণ মানুষ। আপনাদের কাছে আমার মানবিক আবেদন, আপনারা আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।' কথাগুলো বলছিলেন আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
নিখোঁজের সাত দিন পর আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তাঁর সন্ধানের দাবি জানিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, র্যাব, ডিবির কাছে গেলেও যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত ৮ জুন রাতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে দুজন সহকর্মী আব্দুল মুহিত আনসারী, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনসহ নিখোঁজ হন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজন। তারা পুলিশ, র্যাব বা ডিবি হেফাজতে নেই বলে জানিয়েছেন ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার বলেন, 'গত ৮ জুন বিকাল ৩টায় তিনি রংপুর থেকে বগুড়ার একটি অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু বগুড়ার অনুষ্ঠান সেদিন হয়নি তাই ঢাকায় রওনা দেন। রাস্তায় একবার ফোনে জানান, দুইটা বাইক তাদের ফলো করছে। তারপর ত্ব-হা এর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপে অবস্থান শেয়ার করেন।'
সাবিকুন নাহার বলেন, 'সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই।'
সকাল ৬টায় বাসা থেকে বের হয়ে দারুসসালাম থানায় যান সাবিকুন নাহার। তিনি বলেন, 'দারুসসালাম থানায় বিস্তারিত দেওয়ার পর তারা আমাকে বলে আমরা লোকেশন জেনে আপনাকে কিছু একটা জানাবো। তারা আমাকে সেখান থেকে র্যাব ও ডিবির কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলে। পরদিন লোকেশন এইখানের না জানিয়ে দারুসসালাম থানা জিডি নেয়নি। তারা পল্লবী থানায় জিডি করতে বলে। সেখানে গেলে তারাও জিডি নেয়নি। গত সোমবার তারা একটি অভিযোগ নেয়। গত শুক্রবার রংপুরের কোতোয়ালি থানায় ওনার (ত্ব-হা) মা একটি জিডি করেছেন।'
সংবাদ সম্মেলনে ত্ব-হা র আইনি সহায়ক আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, 'শুধুমাত্র একজন নয়, চারজন ব্যক্তিকে একটি গাড়িসহ গুম করে ফেলা প্রাইভেট কোনো শত্রুর পক্ষে সম্ভব নয়। রাষ্ট্র বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দ্রুত ব্যবস্থা নিতো তাহলে অবশ্যই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব। ৬ দিনে মাত্র একটা জিডি হয়েছে।'
অভিযোগের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাইদ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'রংপুরে যে জিডি হয়েছে সেটির প্রেক্ষিতেই আমরা একটি অভিযোগ নিয়েছি। পরশু ত্বহার একটি ব্যক্তিগত নাম্বার আমাদের দেওয়া হয়েছে। সেই ফোন নাম্বারটিকে কেন্দ্র করেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তাঁর সর্বশেষ অবস্থান কোথায় ছিল তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের তদন্ত চলছে, আশা করি খুব দ্রুত কিছু একটা পাওয়া যাবে।'
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। আবু ত্ব-হাসহ চারজনের নিখোঁজ এবং তাদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তাঁর নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। তিনি কোথায় কি অবস্থায় আছেন, তা এখনও আমরা জানি না। তবে রহস্য উদ্ঘাটন হবে।'
গাজীপুরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে বুধবার সকালে আনসারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঢাকা: 'আমি মানসিকভাবে ভালো নেই, শারীরিকভাবেও ভালো নেই। আমি বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছি। আমি শুধুমাত্র ওনার সন্ধান চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলেই পারবেন। আমার স্বামী যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় আইনে তাঁর বিচার হোক কিন্তু আমি শুধুমাত্র তাঁর সন্ধানটুকু চাই। অন্তত সে কোথায় আছে, কেমন আছে, কীভাবে আছে সেটা আমাকে জানান। যদি আপনারা তাঁকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারেন তাহলে আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে যান। সে কোন দলের সঙ্গে যুক্ত না, কোন মতেরও না। সে একটা নিরীহ মানুষ, সাধারণ মানুষ। আপনাদের কাছে আমার মানবিক আবেদন, আপনারা আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।' কথাগুলো বলছিলেন আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
নিখোঁজের সাত দিন পর আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তাঁর সন্ধানের দাবি জানিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, র্যাব, ডিবির কাছে গেলেও যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত ৮ জুন রাতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে দুজন সহকর্মী আব্দুল মুহিত আনসারী, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনসহ নিখোঁজ হন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজন। তারা পুলিশ, র্যাব বা ডিবি হেফাজতে নেই বলে জানিয়েছেন ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার বলেন, 'গত ৮ জুন বিকাল ৩টায় তিনি রংপুর থেকে বগুড়ার একটি অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু বগুড়ার অনুষ্ঠান সেদিন হয়নি তাই ঢাকায় রওনা দেন। রাস্তায় একবার ফোনে জানান, দুইটা বাইক তাদের ফলো করছে। তারপর ত্ব-হা এর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপে অবস্থান শেয়ার করেন।'
সাবিকুন নাহার বলেন, 'সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই।'
সকাল ৬টায় বাসা থেকে বের হয়ে দারুসসালাম থানায় যান সাবিকুন নাহার। তিনি বলেন, 'দারুসসালাম থানায় বিস্তারিত দেওয়ার পর তারা আমাকে বলে আমরা লোকেশন জেনে আপনাকে কিছু একটা জানাবো। তারা আমাকে সেখান থেকে র্যাব ও ডিবির কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলে। পরদিন লোকেশন এইখানের না জানিয়ে দারুসসালাম থানা জিডি নেয়নি। তারা পল্লবী থানায় জিডি করতে বলে। সেখানে গেলে তারাও জিডি নেয়নি। গত সোমবার তারা একটি অভিযোগ নেয়। গত শুক্রবার রংপুরের কোতোয়ালি থানায় ওনার (ত্ব-হা) মা একটি জিডি করেছেন।'
সংবাদ সম্মেলনে ত্ব-হা র আইনি সহায়ক আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, 'শুধুমাত্র একজন নয়, চারজন ব্যক্তিকে একটি গাড়িসহ গুম করে ফেলা প্রাইভেট কোনো শত্রুর পক্ষে সম্ভব নয়। রাষ্ট্র বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দ্রুত ব্যবস্থা নিতো তাহলে অবশ্যই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব। ৬ দিনে মাত্র একটা জিডি হয়েছে।'
অভিযোগের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাইদ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'রংপুরে যে জিডি হয়েছে সেটির প্রেক্ষিতেই আমরা একটি অভিযোগ নিয়েছি। পরশু ত্বহার একটি ব্যক্তিগত নাম্বার আমাদের দেওয়া হয়েছে। সেই ফোন নাম্বারটিকে কেন্দ্র করেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তাঁর সর্বশেষ অবস্থান কোথায় ছিল তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের তদন্ত চলছে, আশা করি খুব দ্রুত কিছু একটা পাওয়া যাবে।'
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। আবু ত্ব-হাসহ চারজনের নিখোঁজ এবং তাদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তাঁর নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। তিনি কোথায় কি অবস্থায় আছেন, তা এখনও আমরা জানি না। তবে রহস্য উদ্ঘাটন হবে।'
গাজীপুরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে বুধবার সকালে আনসারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: 'আমি মানসিকভাবে ভালো নেই, শারীরিকভাবেও ভালো নেই। আমি বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছি। আমি শুধুমাত্র ওনার সন্ধান চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলেই পারবেন। আমার স্বামী যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় আইনে তাঁর বিচার হোক কিন্তু আমি শুধুমাত্র তাঁর সন্ধানটুকু চাই। অন্তত সে কোথায় আছে, কেমন আছে, কীভাবে আছে সেটা আমাকে জানান। যদি আপনারা তাঁকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারেন তাহলে আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে যান। সে কোন দলের সঙ্গে যুক্ত না, কোন মতেরও না। সে একটা নিরীহ মানুষ, সাধারণ মানুষ। আপনাদের কাছে আমার মানবিক আবেদন, আপনারা আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।' কথাগুলো বলছিলেন আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
নিখোঁজের সাত দিন পর আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তাঁর সন্ধানের দাবি জানিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, র্যাব, ডিবির কাছে গেলেও যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত ৮ জুন রাতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে দুজন সহকর্মী আব্দুল মুহিত আনসারী, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনসহ নিখোঁজ হন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজন। তারা পুলিশ, র্যাব বা ডিবি হেফাজতে নেই বলে জানিয়েছেন ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার বলেন, 'গত ৮ জুন বিকাল ৩টায় তিনি রংপুর থেকে বগুড়ার একটি অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু বগুড়ার অনুষ্ঠান সেদিন হয়নি তাই ঢাকায় রওনা দেন। রাস্তায় একবার ফোনে জানান, দুইটা বাইক তাদের ফলো করছে। তারপর ত্ব-হা এর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপে অবস্থান শেয়ার করেন।'
সাবিকুন নাহার বলেন, 'সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই।'
সকাল ৬টায় বাসা থেকে বের হয়ে দারুসসালাম থানায় যান সাবিকুন নাহার। তিনি বলেন, 'দারুসসালাম থানায় বিস্তারিত দেওয়ার পর তারা আমাকে বলে আমরা লোকেশন জেনে আপনাকে কিছু একটা জানাবো। তারা আমাকে সেখান থেকে র্যাব ও ডিবির কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলে। পরদিন লোকেশন এইখানের না জানিয়ে দারুসসালাম থানা জিডি নেয়নি। তারা পল্লবী থানায় জিডি করতে বলে। সেখানে গেলে তারাও জিডি নেয়নি। গত সোমবার তারা একটি অভিযোগ নেয়। গত শুক্রবার রংপুরের কোতোয়ালি থানায় ওনার (ত্ব-হা) মা একটি জিডি করেছেন।'
সংবাদ সম্মেলনে ত্ব-হা র আইনি সহায়ক আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, 'শুধুমাত্র একজন নয়, চারজন ব্যক্তিকে একটি গাড়িসহ গুম করে ফেলা প্রাইভেট কোনো শত্রুর পক্ষে সম্ভব নয়। রাষ্ট্র বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দ্রুত ব্যবস্থা নিতো তাহলে অবশ্যই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব। ৬ দিনে মাত্র একটা জিডি হয়েছে।'
অভিযোগের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাইদ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'রংপুরে যে জিডি হয়েছে সেটির প্রেক্ষিতেই আমরা একটি অভিযোগ নিয়েছি। পরশু ত্বহার একটি ব্যক্তিগত নাম্বার আমাদের দেওয়া হয়েছে। সেই ফোন নাম্বারটিকে কেন্দ্র করেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তাঁর সর্বশেষ অবস্থান কোথায় ছিল তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের তদন্ত চলছে, আশা করি খুব দ্রুত কিছু একটা পাওয়া যাবে।'
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। আবু ত্ব-হাসহ চারজনের নিখোঁজ এবং তাদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তাঁর নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। তিনি কোথায় কি অবস্থায় আছেন, তা এখনও আমরা জানি না। তবে রহস্য উদ্ঘাটন হবে।'
গাজীপুরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে বুধবার সকালে আনসারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ঢাকা: 'আমি মানসিকভাবে ভালো নেই, শারীরিকভাবেও ভালো নেই। আমি বলার শক্তি হারিয়ে ফেলছি। আমি শুধুমাত্র ওনার সন্ধান চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলেই পারবেন। আমার স্বামী যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে রাষ্ট্রীয় আইনে তাঁর বিচার হোক কিন্তু আমি শুধুমাত্র তাঁর সন্ধানটুকু চাই। অন্তত সে কোথায় আছে, কেমন আছে, কীভাবে আছে সেটা আমাকে জানান। যদি আপনারা তাঁকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে না পারেন তাহলে আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে যান। সে কোন দলের সঙ্গে যুক্ত না, কোন মতেরও না। সে একটা নিরীহ মানুষ, সাধারণ মানুষ। আপনাদের কাছে আমার মানবিক আবেদন, আপনারা আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।' কথাগুলো বলছিলেন আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
নিখোঁজের সাত দিন পর আজ দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তাঁর সন্ধানের দাবি জানিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ, র্যাব, ডিবির কাছে গেলেও যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত ৮ জুন রাতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে দুজন সহকর্মী আব্দুল মুহিত আনসারী, ফিরোজ আলম ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনসহ নিখোঁজ হন আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজন। তারা পুলিশ, র্যাব বা ডিবি হেফাজতে নেই বলে জানিয়েছেন ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার।
ত্বহার স্ত্রী সাবিকুন নাহার বলেন, 'গত ৮ জুন বিকাল ৩টায় তিনি রংপুর থেকে বগুড়ার একটি অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু বগুড়ার অনুষ্ঠান সেদিন হয়নি তাই ঢাকায় রওনা দেন। রাস্তায় একবার ফোনে জানান, দুইটা বাইক তাদের ফলো করছে। তারপর ত্ব-হা এর সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা হয় এবং হোয়াটসঅ্যাপে অবস্থান শেয়ার করেন।'
সাবিকুন নাহার বলেন, 'সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই।'
সকাল ৬টায় বাসা থেকে বের হয়ে দারুসসালাম থানায় যান সাবিকুন নাহার। তিনি বলেন, 'দারুসসালাম থানায় বিস্তারিত দেওয়ার পর তারা আমাকে বলে আমরা লোকেশন জেনে আপনাকে কিছু একটা জানাবো। তারা আমাকে সেখান থেকে র্যাব ও ডিবির কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলে। পরদিন লোকেশন এইখানের না জানিয়ে দারুসসালাম থানা জিডি নেয়নি। তারা পল্লবী থানায় জিডি করতে বলে। সেখানে গেলে তারাও জিডি নেয়নি। গত সোমবার তারা একটি অভিযোগ নেয়। গত শুক্রবার রংপুরের কোতোয়ালি থানায় ওনার (ত্ব-হা) মা একটি জিডি করেছেন।'
সংবাদ সম্মেলনে ত্ব-হা র আইনি সহায়ক আইনজীবী সরোয়ার হোসেন বলেন, 'শুধুমাত্র একজন নয়, চারজন ব্যক্তিকে একটি গাড়িসহ গুম করে ফেলা প্রাইভেট কোনো শত্রুর পক্ষে সম্ভব নয়। রাষ্ট্র বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি দ্রুত ব্যবস্থা নিতো তাহলে অবশ্যই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব। ৬ দিনে মাত্র একটা জিডি হয়েছে।'
অভিযোগের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাইদ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'রংপুরে যে জিডি হয়েছে সেটির প্রেক্ষিতেই আমরা একটি অভিযোগ নিয়েছি। পরশু ত্বহার একটি ব্যক্তিগত নাম্বার আমাদের দেওয়া হয়েছে। সেই ফোন নাম্বারটিকে কেন্দ্র করেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তাঁর সর্বশেষ অবস্থান কোথায় ছিল তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের তদন্ত চলছে, আশা করি খুব দ্রুত কিছু একটা পাওয়া যাবে।'
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। আবু ত্ব-হাসহ চারজনের নিখোঁজ এবং তাদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তাঁর নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিখোঁজের রহস্য উদ্ঘাটন হবে। তিনি কোথায় কি অবস্থায় আছেন, তা এখনও আমরা জানি না। তবে রহস্য উদ্ঘাটন হবে।'
গাজীপুরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে বুধবার সকালে আনসারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলাগুলোতে অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে ও হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ পর্যন্ত ১৬৫টি মামলা থেকে এমন প্রায় দেড় হাজার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
পুলিশ কমিশন গঠন করতে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এটি শিগগির অনুমোদন করা হচ্ছে। এরপর স্বাধীন এই কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, অভিযোগ তদন্ত ছাড়াও পুলিশি কর্মকাণ্ডের তদারকির দায়িত্ব থাকবে পুলিশ কমিশনের ওপর।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমিকে পদোন্নতির পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত রশীদ চৌধুরী পদোন্নতিকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরীকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমিকে পদোন্নতির পর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শওকত রশীদ চৌধুরী পদোন্নতিকে সচিব পদোন্নতি দিয়ে পেয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এস এম শাকিল আখতারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদে যোগ দিতে পারেননি তিনি। এরপর তাঁকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।

সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই
১৬ জুন ২০২১
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলাগুলোতে অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে ও হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ পর্যন্ত ১৬৫টি মামলা থেকে এমন প্রায় দেড় হাজার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
পুলিশ কমিশন গঠন করতে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এটি শিগগির অনুমোদন করা হচ্ছে। এরপর স্বাধীন এই কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, অভিযোগ তদন্ত ছাড়াও পুলিশি কর্মকাণ্ডের তদারকির দায়িত্ব থাকবে পুলিশ কমিশনের ওপর।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলাগুলোতে অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে ও হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ পর্যন্ত ১৬৫টি মামলা থেকে এমন প্রায় দেড় হাজার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় করা ১৬৫টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রাথমিক তদন্তে ১ হাজার ৪৫৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি। তাই তাঁরা হয়রানির শিকার এসব ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আদালতে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেন। পরে আদালত এসব ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই আবেদন করেছেন ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধিত ধারার ক্ষমতাবলে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম বলেছেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া। সারা দেশে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ডিএমপির সূত্র জানায়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ডিএমপির আট বিভাগের ৫০টি থানায় অনেক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি অসংখ্য। এসব মামলায় অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে এবং হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। হয়রানি ঠেকাতে এবং এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধিত ধারার ক্ষমতাবলে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, ডিএমপির ৫০ থানায় বিভিন্ন অভিযোগে করা ১৬৫টি মামলায় ১ হাজার ৪৫৬ জনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে মামলাগুলোর অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসব মামলার প্রতিটিতে আরেকটি করে প্রতিবেদন দেবেন। ওই প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের প্রস্তাব গত ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের স্বাক্ষরের পর এটি ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে জারি করা হয়। নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে ১৭৩-ক নামে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে, যার শিরোনাম ‘অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন ইত্যাদি’। এতে বলা হয়েছে, তদন্ত চলাকালে মামলার যেকোনো পর্যায়ে পুলিশ কমিশনার, জেলার পুলিশ সুপার বা সমমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিতে পারবেন। ওই প্রতিবেদনে যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সেটি আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্রাইব্যুনাল) দাখিল করা যাবে এবং আদালত সন্তুষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মামলার কার্যক্রম থেকে অস্থায়ী অব্যাহতি দিতে পারবেন। তবে এ অব্যাহতি চূড়ান্ত নয়; তদন্ত শেষে যদি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে মূল ধারার (১৭৩) অধীনে তার নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো আইনি বাধা থাকবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২৪ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ (১৭) এই নতুন ধারার সুবাদে অব্যাহতি পেয়েছে। সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(এ) ধারায় দাখিল করা অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গ্রহণ করে চলতি বছরের ১৫ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
ওই অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোল্লা মো. খালিদ হোসেন জানান, মামলায় উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে ফাইয়াজের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত সম্পূর্ণ করতে সময় প্রয়োজন হওয়ায় সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(এ) ধারায় ফাইয়াজের অব্যাহতি চেয়ে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, সারা দেশেই নিরপরাধ মানুষকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে কাজ করছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এ জন্য প্রতিটি বিষয় তদন্ত করছেন। তবে কোনো অপরাধী যাতে এ সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়টিও দেখতে হয়। তাই এ বিষয়ে ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় আসামির নাম দেন বাদী। তিনি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁরাই আসামি। এরপর পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করে যাদের সম্পৃক্ততা পায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পায় না, তাদের অব্যাহতি দেয়। বাদী যদি হয়রানি করতে বা পূর্বশত্রুতার জেরে কারও নাম আসামির তালিকায় দেন, তখন পুলিশ তাতে বাধা দিতে পারে না। তবে তদন্তে তাঁদের অব্যাহতি দিতে পারে। ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের ফলে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দিয়ে সেটি করা যাচ্ছে। এই ধারায় সারা দেশে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে কাজ করছে পুলিশ। এটি চলমান প্রক্রিয়া।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলাগুলোতে অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে ও হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ পর্যন্ত ১৬৫টি মামলা থেকে এমন প্রায় দেড় হাজার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানায় করা ১৬৫টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রাথমিক তদন্তে ১ হাজার ৪৫৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি। তাই তাঁরা হয়রানির শিকার এসব ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আদালতে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেন। পরে আদালত এসব ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এই আবেদন করেছেন ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধিত ধারার ক্ষমতাবলে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম বলেছেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া। সারা দেশে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ডিএমপির সূত্র জানায়, গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ডিএমপির আট বিভাগের ৫০টি থানায় অনেক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি অসংখ্য। এসব মামলায় অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে এবং হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। হয়রানি ঠেকাতে এবং এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধিত ধারার ক্ষমতাবলে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, ডিএমপির ৫০ থানায় বিভিন্ন অভিযোগে করা ১৬৫টি মামলায় ১ হাজার ৪৫৬ জনের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে মামলাগুলোর অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসব মামলার প্রতিটিতে আরেকটি করে প্রতিবেদন দেবেন। ওই প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের প্রস্তাব গত ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের স্বাক্ষরের পর এটি ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে জারি করা হয়। নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে ১৭৩-ক নামে একটি ধারা যুক্ত হয়েছে, যার শিরোনাম ‘অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন ইত্যাদি’। এতে বলা হয়েছে, তদন্ত চলাকালে মামলার যেকোনো পর্যায়ে পুলিশ কমিশনার, জেলার পুলিশ সুপার বা সমমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিতে পারবেন। ওই প্রতিবেদনে যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সেটি আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্রাইব্যুনাল) দাখিল করা যাবে এবং আদালত সন্তুষ্ট হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মামলার কার্যক্রম থেকে অস্থায়ী অব্যাহতি দিতে পারবেন। তবে এ অব্যাহতি চূড়ান্ত নয়; তদন্ত শেষে যদি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে মূল ধারার (১৭৩) অধীনে তার নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো আইনি বাধা থাকবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২৪ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ (১৭) এই নতুন ধারার সুবাদে অব্যাহতি পেয়েছে। সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(এ) ধারায় দাখিল করা অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন গ্রহণ করে চলতি বছরের ১৫ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
ওই অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোল্লা মো. খালিদ হোসেন জানান, মামলায় উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে ফাইয়াজের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত সম্পূর্ণ করতে সময় প্রয়োজন হওয়ায় সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(এ) ধারায় ফাইয়াজের অব্যাহতি চেয়ে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, সারা দেশেই নিরপরাধ মানুষকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে কাজ করছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এ জন্য প্রতিটি বিষয় তদন্ত করছেন। তবে কোনো অপরাধী যাতে এ সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়টিও দেখতে হয়। তাই এ বিষয়ে ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইজিপি বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় আসামির নাম দেন বাদী। তিনি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাঁরাই আসামি। এরপর পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করে যাদের সম্পৃক্ততা পায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পায় না, তাদের অব্যাহতি দেয়। বাদী যদি হয়রানি করতে বা পূর্বশত্রুতার জেরে কারও নাম আসামির তালিকায় দেন, তখন পুলিশ তাতে বাধা দিতে পারে না। তবে তদন্তে তাঁদের অব্যাহতি দিতে পারে। ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের ফলে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দিয়ে সেটি করা যাচ্ছে। এই ধারায় সারা দেশে নিরপরাধ ব্যক্তিদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে কাজ করছে পুলিশ। এটি চলমান প্রক্রিয়া।

সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই
১৬ জুন ২০২১
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৮ মিনিট আগে
পুলিশ কমিশন গঠন করতে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এটি শিগগির অনুমোদন করা হচ্ছে। এরপর স্বাধীন এই কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, অভিযোগ তদন্ত ছাড়াও পুলিশি কর্মকাণ্ডের তদারকির দায়িত্ব থাকবে পুলিশ কমিশনের ওপর।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

পুলিশ কমিশন গঠন করতে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এটি শিগগির অনুমোদন করা হচ্ছে। এরপর স্বাধীন এই কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে।
পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, অভিযোগ তদন্ত ছাড়াও পুলিশি কর্মকাণ্ডের তদারকির দায়িত্ব থাকবে পুলিশ কমিশনের ওপর। কমিশনের পরামর্শ ছাড়াই যেকোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যে কেউ চাইলে মামলা করতে পারবেন। খসড়ায় আগের মতোই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার এই সুযোগ থাকায় চিন্তায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁদের। নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টাদের একটি কমিটি পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যপ্রণালির খসড়া করেছে। গত ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় খসড়াটি অনুমোদন করা হয়।
পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নতুন এই কমিশন তাঁদের জবাবদিহির মুখে ফেলবে, কিন্তু সুরক্ষা নিশ্চিত করবে না। এদিকে সরকারি সিদ্ধান্তে সম্প্রতি ৪ হাজার নতুন এএসআই সরাসরি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন মাঠের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। কারণ, পদোন্নতির সুযোগ কমিয়ে সরাসরি নিয়োগ দিলে বাহিনীর সদস্যরা মনোবল হারাবেন।
পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, দণ্ডবিধির ৭৬ থেকে ১০৬ ধারায় দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত আইনি সুরক্ষা নেই। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। সরকার ও রাষ্ট্রের হয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সদস্য অবসরের পরেও আসামি হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, যদি স্বাধীন কমিশন হয়, তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা নয়। আগে কমিশনের তদন্ত ও অনুমতির পরেই আইনি পদক্ষেপ হওয়া উচিত। কিন্তু কমিশনের খসড়ায় এমন কিছু নেই।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু বলেন, ‘আমরা স্বাধীন কমিশন চাই। কিন্তু সেই স্বাধীনতার মধ্যে যেন আমাদের সুরক্ষাও নিশ্চিত হয়। ৯ সদস্যের কমিশনে মাত্র দুজন পুলিশ প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। আমরা নন-ক্যাডার থেকে একজন সদস্য রাখার দাবি জানিয়েছি। না হলে মাঠপর্যায়ের বার্তা কোথাও পৌঁছাবে না। এতে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে।’
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের ইস্যুতে পুলিশের কিছু দাবি রয়েছে। তবে এখনই সেগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ জারি হোক, তারপর কার্যবিধির মধ্যে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ উইং সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর পুলিশ কমিশন গঠন করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য যেসব কমিশন গঠন করেছিল, সেগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশনও ছিল। ওই কমিশন স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই সুপারিশ অনুযায়ী, পুলিশ পরিচালিত হবে এই কমিশনের মাধ্যমে।
স্বাধীন পুলিশ কমিশনের অধ্যাদেশের খসড়া
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, পুলিশ কমিশন হবে একটি সংবিধিবদ্ধ, স্বাধীন ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। কমিশনের নিজস্ব দপ্তর, বাজেট ও জনবল থাকবে এবং এটি সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কমিশনের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। নতুন এই কমিশনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি, অভিযোগ তদন্ত এবং প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। নাগরিকদের অভিযোগ এবং পুলিশ সদস্যদের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়োগ-পদোন্নতি ও বদলিসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও পরামর্শ প্রদান, পুলিশের আইনানুগ কার্যক্রমে কোনো ব্যক্তি বা সত্তার বিধিবহির্ভূত প্রভাব প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ বা সুপারিশ প্রদান—এসব দায়িত্ব পালন করবে কমিশন।
এ ছাড়া আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বলপ্রয়োগ-সংক্রান্ত পুলিশি কার্যক্রমের নিয়মিত নিরীক্ষা, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশ গঠনে সুপারিশ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশি কর্মকাণ্ড তদারকি, জন-আস্থা বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি ও পরামর্শ সভা আয়োজন এবং পুলিশের কার্যক্রম ও জননিরাপত্তা-সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের দায়িত্বও কমিশনের ওপর বর্তাবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশনে মোট ৯ সদস্য থাকবেন। তাঁদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, একজন সদস্যসচিব এবং সাতজন স্থায়ী সদস্য। চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সদস্যসচিব হবেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। সদস্যদের মধ্যে থাকবেন জাতীয় সংসদের সংসদ নেতার প্রতিনিধি (অস্থায়ী সদস্য), বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধি (অস্থায়ী সদস্য), সচিব পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, জেলা জজ বা অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খ্যাতনামা আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ের একজন অধ্যাপক এবং অন্তত ১৫ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন মানবাধিকারকর্মী। কমিশনে অন্তত একজন নারী সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। স্থায়ী সদস্যরা বেতনভুক্ত হবেন, তবে অস্থায়ী সদস্যরা অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
রাষ্ট্রপতির গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশে কমিশনের সদস্যরা পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটির সভাপতি হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা। দেউলিয়া, ঋণখেলাপি, দ্বৈত নাগরিক, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি কিংবা দুর্নীতি বা অসদাচরণের কারণে বরখাস্ত কেউ কমিশনের সদস্য হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা, স্বার্থ গোপন কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে সদস্যকে অপসারণ করতে পারবেন।
খসড়া অনুযায়ী, কমিশন পুলিশের বিরুদ্ধে নাগরিক অভিযোগের ন্যায়সংগত তদন্ত ও সমাধান নিশ্চিত করবে। নাগরিকদের অভিযোগের তদন্ত, বিভাগীয় কমিটি গঠন, অভিযোগকারীর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অভিযোগ পর্যালোচনা করে কমিশন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ, বৈষম্য, পদোন্নতি বা পদায়নসংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও কমিশন সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে। প্রয়োজনে বিভাগীয় বা রেঞ্জ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন এবং মানদণ্ড নির্ধারণে সরকারের কাছে দিকনির্দেশনা দেবে কমিশন। কমিশন সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে আইজিপি এবং বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটিতে অতিরিক্ত আইজিপিকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেবে। পাশাপাশি দক্ষ, পেশাদার ও প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনে কৌশলগত দিকনির্দেশনাও দেবে।
আইজিপি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও কমিশনের ভূমিকা থাকবে। সততা, মেধা, দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা ও সন্তোষজনক চাকরির ভিত্তিতে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার নিচে নন এমন তিনজন কর্মকর্তার নাম সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। নিয়োগপ্রাপ্ত আইজিপির মেয়াদ হবে কমপক্ষে দুই বছর এবং সর্বোচ্চ তিন বছর।
এ ছাড়া আধুনিক পুলিশিং, সাইবার নিরাপত্তা, ফরেনসিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও মানবিক আচরণভিত্তিক প্রশিক্ষণ বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করবে। পাশাপাশি নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমে দিকনির্দেশনা দেবে। পুলিশ আইন, ফৌজদারি আইন, প্রবিধান ও রেগুলেশন পর্যালোচনা এবং সংস্কারের প্রস্তাবও কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে থাকবে।
জনগণ-পুলিশ আস্থা বৃদ্ধিতে গণশুনানি, পরামর্শ সভা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্গঠনের ব্যবস্থাও খসড়ায় রাখা হয়েছে। প্রতিবছর কমিশন একটি বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করবে, যেখানে তাদের কর্মকাণ্ড, সুপারিশ ও সাফল্যের বিবরণ থাকবে।
পুলিশ সদস্যরা যা বলছেন
কমিশনের বিষয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই কমিশন স্বাধীন হলেও এটি পুলিশের বাস্তব সমস্যাগুলো সমাধান করবে না। তাঁরা মনে করেন, দায়িত্ব পালনের সময় মামলা ও হয়রানির আশঙ্কা দূর না হলে স্বাধীন কমিশনের তদারকি শুধু চাপই বাড়াবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁরা রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করেন। কিন্তু যখন মামলা হয়, তখন রাষ্ট্রই পাশে থাকে না। এখন যদি কমিশন এসে নতুন তদন্ত শুরু করে, তাঁদের পেশাগত ঝুঁকি আরও বাড়বে। এই অবস্থায় পুলিশের সুরক্ষার প্রশ্নটাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তার মতে, কমিশন যদি সত্যিকারের জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে আগে পুলিশের দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।
জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশের সংস্কার মানে শুধু নতুন কাঠামো নয়, কার্যকর স্বায়ত্তশাসনও জরুরি। স্বাধীন কমিশন গঠন করা হলে সেটিই হবে মূল সংস্কারের সূচনা। তবে স্বাধীনতা ও সুরক্ষা—দুটিই থাকতে হবে।

পুলিশ কমিশন গঠন করতে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এটি শিগগির অনুমোদন করা হচ্ছে। এরপর স্বাধীন এই কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে।
পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, অভিযোগ তদন্ত ছাড়াও পুলিশি কর্মকাণ্ডের তদারকির দায়িত্ব থাকবে পুলিশ কমিশনের ওপর। কমিশনের পরামর্শ ছাড়াই যেকোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যে কেউ চাইলে মামলা করতে পারবেন। খসড়ায় আগের মতোই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার এই সুযোগ থাকায় চিন্তায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে তাঁদের। নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টাদের একটি কমিটি পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যপ্রণালির খসড়া করেছে। গত ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় খসড়াটি অনুমোদন করা হয়।
পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নতুন এই কমিশন তাঁদের জবাবদিহির মুখে ফেলবে, কিন্তু সুরক্ষা নিশ্চিত করবে না। এদিকে সরকারি সিদ্ধান্তে সম্প্রতি ৪ হাজার নতুন এএসআই সরাসরি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন মাঠের সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। কারণ, পদোন্নতির সুযোগ কমিয়ে সরাসরি নিয়োগ দিলে বাহিনীর সদস্যরা মনোবল হারাবেন।
পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, দণ্ডবিধির ৭৬ থেকে ১০৬ ধারায় দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত আইনি সুরক্ষা নেই। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। সরকার ও রাষ্ট্রের হয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সদস্য অবসরের পরেও আসামি হচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, যদি স্বাধীন কমিশন হয়, তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা নয়। আগে কমিশনের তদন্ত ও অনুমতির পরেই আইনি পদক্ষেপ হওয়া উচিত। কিন্তু কমিশনের খসড়ায় এমন কিছু নেই।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক ডাবলু বলেন, ‘আমরা স্বাধীন কমিশন চাই। কিন্তু সেই স্বাধীনতার মধ্যে যেন আমাদের সুরক্ষাও নিশ্চিত হয়। ৯ সদস্যের কমিশনে মাত্র দুজন পুলিশ প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। আমরা নন-ক্যাডার থেকে একজন সদস্য রাখার দাবি জানিয়েছি। না হলে মাঠপর্যায়ের বার্তা কোথাও পৌঁছাবে না। এতে বেশ কিছু অসংগতি রয়েছে।’
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের ইস্যুতে পুলিশের কিছু দাবি রয়েছে। তবে এখনই সেগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ জারি হোক, তারপর কার্যবিধির মধ্যে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ উইং সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর পুলিশ কমিশন গঠন করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য যেসব কমিশন গঠন করেছিল, সেগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশনও ছিল। ওই কমিশন স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই সুপারিশ অনুযায়ী, পুলিশ পরিচালিত হবে এই কমিশনের মাধ্যমে।
স্বাধীন পুলিশ কমিশনের অধ্যাদেশের খসড়া
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, পুলিশ কমিশন হবে একটি সংবিধিবদ্ধ, স্বাধীন ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। কমিশনের নিজস্ব দপ্তর, বাজেট ও জনবল থাকবে এবং এটি সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কমিশনের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়। নতুন এই কমিশনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজরদারি, অভিযোগ তদন্ত এবং প্রশাসনিক সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় পুলিশের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। নাগরিকদের অভিযোগ এবং পুলিশ সদস্যদের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়োগ-পদোন্নতি ও বদলিসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও পরামর্শ প্রদান, পুলিশের আইনানুগ কার্যক্রমে কোনো ব্যক্তি বা সত্তার বিধিবহির্ভূত প্রভাব প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ বা সুপারিশ প্রদান—এসব দায়িত্ব পালন করবে কমিশন।
এ ছাড়া আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বলপ্রয়োগ-সংক্রান্ত পুলিশি কার্যক্রমের নিয়মিত নিরীক্ষা, আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশ গঠনে সুপারিশ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পুলিশি কর্মকাণ্ড তদারকি, জন-আস্থা বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি ও পরামর্শ সভা আয়োজন এবং পুলিশের কার্যক্রম ও জননিরাপত্তা-সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের দায়িত্বও কমিশনের ওপর বর্তাবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কমিশনে মোট ৯ সদস্য থাকবেন। তাঁদের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, একজন সদস্যসচিব এবং সাতজন স্থায়ী সদস্য। চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সদস্যসচিব হবেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। সদস্যদের মধ্যে থাকবেন জাতীয় সংসদের সংসদ নেতার প্রতিনিধি (অস্থায়ী সদস্য), বিরোধীদলীয় নেতার প্রতিনিধি (অস্থায়ী সদস্য), সচিব পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, জেলা জজ বা অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খ্যাতনামা আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ও ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ের একজন অধ্যাপক এবং অন্তত ১৫ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন মানবাধিকারকর্মী। কমিশনে অন্তত একজন নারী সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। স্থায়ী সদস্যরা বেতনভুক্ত হবেন, তবে অস্থায়ী সদস্যরা অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
রাষ্ট্রপতির গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশে কমিশনের সদস্যরা পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ পাবেন। পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটির সভাপতি হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা উপদেষ্টা। দেউলিয়া, ঋণখেলাপি, দ্বৈত নাগরিক, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি কিংবা দুর্নীতি বা অসদাচরণের কারণে বরখাস্ত কেউ কমিশনের সদস্য হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা, স্বার্থ গোপন কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে সদস্যকে অপসারণ করতে পারবেন।
খসড়া অনুযায়ী, কমিশন পুলিশের বিরুদ্ধে নাগরিক অভিযোগের ন্যায়সংগত তদন্ত ও সমাধান নিশ্চিত করবে। নাগরিকদের অভিযোগের তদন্ত, বিভাগীয় কমিটি গঠন, অভিযোগকারীর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অভিযোগ পর্যালোচনা করে কমিশন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে।
পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ, বৈষম্য, পদোন্নতি বা পদায়নসংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও কমিশন সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে। প্রয়োজনে বিভাগীয় বা রেঞ্জ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন এবং মানদণ্ড নির্ধারণে সরকারের কাছে দিকনির্দেশনা দেবে কমিশন। কমিশন সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডে আইজিপি এবং বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটিতে অতিরিক্ত আইজিপিকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেবে। পাশাপাশি দক্ষ, পেশাদার ও প্রভাবমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনে কৌশলগত দিকনির্দেশনাও দেবে।
আইজিপি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও কমিশনের ভূমিকা থাকবে। সততা, মেধা, দক্ষতা, জ্যেষ্ঠতা ও সন্তোষজনক চাকরির ভিত্তিতে অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার নিচে নন এমন তিনজন কর্মকর্তার নাম সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। নিয়োগপ্রাপ্ত আইজিপির মেয়াদ হবে কমপক্ষে দুই বছর এবং সর্বোচ্চ তিন বছর।
এ ছাড়া আধুনিক পুলিশিং, সাইবার নিরাপত্তা, ফরেনসিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও মানবিক আচরণভিত্তিক প্রশিক্ষণ বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করবে। পাশাপাশি নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমে দিকনির্দেশনা দেবে। পুলিশ আইন, ফৌজদারি আইন, প্রবিধান ও রেগুলেশন পর্যালোচনা এবং সংস্কারের প্রস্তাবও কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে থাকবে।
জনগণ-পুলিশ আস্থা বৃদ্ধিতে গণশুনানি, পরামর্শ সভা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্গঠনের ব্যবস্থাও খসড়ায় রাখা হয়েছে। প্রতিবছর কমিশন একটি বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করবে, যেখানে তাদের কর্মকাণ্ড, সুপারিশ ও সাফল্যের বিবরণ থাকবে।
পুলিশ সদস্যরা যা বলছেন
কমিশনের বিষয়ে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই কমিশন স্বাধীন হলেও এটি পুলিশের বাস্তব সমস্যাগুলো সমাধান করবে না। তাঁরা মনে করেন, দায়িত্ব পালনের সময় মামলা ও হয়রানির আশঙ্কা দূর না হলে স্বাধীন কমিশনের তদারকি শুধু চাপই বাড়াবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁরা রাষ্ট্রের হয়ে কাজ করেন। কিন্তু যখন মামলা হয়, তখন রাষ্ট্রই পাশে থাকে না। এখন যদি কমিশন এসে নতুন তদন্ত শুরু করে, তাঁদের পেশাগত ঝুঁকি আরও বাড়বে। এই অবস্থায় পুলিশের সুরক্ষার প্রশ্নটাই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অনেক পুলিশ কর্মকর্তার মতে, কমিশন যদি সত্যিকারের জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে আগে পুলিশের দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।
জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশের সংস্কার মানে শুধু নতুন কাঠামো নয়, কার্যকর স্বায়ত্তশাসনও জরুরি। স্বাধীন কমিশন গঠন করা হলে সেটিই হবে মূল সংস্কারের সূচনা। তবে স্বাধীনতা ও সুরক্ষা—দুটিই থাকতে হবে।

সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই
১৬ জুন ২০২১
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলাগুলোতে অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে ও হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ পর্যন্ত ১৬৫টি মামলা থেকে এমন প্রায় দেড় হাজার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে।
৭ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে। সরকার মতের দূরত্ব ঘুচিয়ে দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব। আর এতেই আটকে আছে সমাধান।
পিআর পদ্ধতিতে আগামী সংসদে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়টিতে নোট অব ডিসেন্ট আছে বিএনপির। তারা সংরক্ষিত নারী আসনের মতোই সংসদের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিআর পদ্ধতির দাবিতে অনড়। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে র্যাংকর্ড চয়েজ পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বিএনপি র্যাংকর্ড চয়েজে আপত্তি জানিয়ে বলছে, বিষয়টি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে করার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলে জামায়াত ভোটের দিন গণভোটে রাজি হতে পারে বলে দুই দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার এক কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হতে হবে। পিআর হবে কি হবে না, সেটা আগামী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও বিএনপি রাজি হয়েছে। তবে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাস্তবায়নের আদেশের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখছে। এসব বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলগুলো রাজনীতির মাঠে অনড় থাকলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে বিএনপি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন আদেশে উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে বিএনপির আপত্তি যুক্ত করা হতে পারে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সুপারিশে আগামী জাতীয় সংসদকে ২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। চূড়ান্ত আদেশে এই সময়সীমা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে ‘যত দিন লাগে তত দিনের মধ্যে’ সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আপত্তির কথা উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্তে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে তো বাস্তবায়ন শেষ করার পরে পরিষদের কার্যক্রম শেষের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সেই আদেশ সমর্থন করব কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে জারির দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত ও এনসিপি। সরকারের একটি সূত্র বলছে, আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টার করার সম্ভাবনাই বেশি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এ আদেশ জারি হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হবে, তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ নিয়ে এখনো একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি চাইছে সুপারিশে আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ থাকুক। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী কমিশনের দেওয়া সুপারিশে সমর্থন জানালেও চলতি মাসেই গণভোটের দাবি তুলেছে। সরকার মতের দূরত্ব ঘুচিয়ে দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব। আর এতেই আটকে আছে সমাধান।
পিআর পদ্ধতিতে আগামী সংসদে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিষয়টিতে নোট অব ডিসেন্ট আছে বিএনপির। তারা সংরক্ষিত নারী আসনের মতোই সংসদের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠনের পক্ষে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিআর পদ্ধতির দাবিতে অনড়। আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে বাছাই কমিটি ব্যর্থ হলে র্যাংকর্ড চয়েজ পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। তবে বিএনপি র্যাংকর্ড চয়েজে আপত্তি জানিয়ে বলছে, বিষয়টি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে করার পক্ষে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করলে জামায়াত ভোটের দিন গণভোটে রাজি হতে পারে বলে দুই দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার এক কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হতে হবে। পিআর হবে কি হবে না, সেটা আগামী সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও বিএনপি রাজি হয়েছে। তবে নির্বাচনের দিনই গণভোট করতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এ ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাস্তবায়নের আদেশের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখছে। এসব বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলগুলো রাজনীতির মাঠে অনড় থাকলেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এনসিপি শাপলা কলি প্রতীক নিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে বিএনপি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন আদেশে উচ্চকক্ষে পিআর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া বাকি বিষয়গুলোতে বিএনপির আপত্তি যুক্ত করা হতে পারে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের সুপারিশে আগামী জাতীয় সংসদকে ২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে। চূড়ান্ত আদেশে এই সময়সীমা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রস্তাবের আলোকে সরকার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের স্থলে ‘যত দিন লাগে তত দিনের মধ্যে’ সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা বলা থাকতে পারে। একই সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আপত্তির কথা উল্লেখ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিল পাস করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় সিদ্ধান্তে অগ্রসর হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দুই-চার দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। আর দ্বিতীয় প্রস্তাবে তো বাস্তবায়ন শেষ করার পরে পরিষদের কার্যক্রম শেষের কথা বলা আছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বাধ্যবাধকতা থাকে না।
তবে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাস্তবায়ন আদেশের প্রথম খসড়ায় যেভাবে ২৭০ দিন পর সংস্কার প্রস্তাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হওয়ার বিধান ছিল, আমরা সেটিকে সমর্থন করি। এর ব্যত্যয় হলে আমরা সেই আদেশ সমর্থন করব কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে জারির দাবি জানিয়ে আসছে জামায়াত ও এনসিপি। সরকারের একটি সূত্র বলছে, আদেশ জারি প্রধান উপদেষ্টার করার সম্ভাবনাই বেশি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এ আদেশ জারি হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের আদেশ কবে জারি হবে, তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’

সর্বশেষ রাত দুইটায় আমি ওনাকে ফোন করলেও তাকে পাইনি। আমি ভেবেছি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ২টা ৩৭ মিনিটে তিনি একটি ম্যাপ শেয়ার করেন। তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল ১৮ মিনিটে তিনি মিরপুর পৌঁছাবেন। তিনটার সময় আমি ওনাকে ফোন করে তাঁর ফোন বন্ধ পাই। কিছুক্ষণ পর আমি গাড়িচালক আমিরের নাম্বারে ফোন করলে তাঁর ফোনও বন্ধ পাই
১৬ জুন ২০২১
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগে নতুন সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত এক সচিবকে পদায়ন করে রোববার রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাসহ নানা অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলাগুলোতে অনেককে পূর্বশত্রুতার জেরে ও হয়রানি করতে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ পর্যন্ত ১৬৫টি মামলা থেকে এমন প্রায় দেড় হাজার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
পুলিশ কমিশন গঠন করতে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এটি শিগগির অনুমোদন করা হচ্ছে। এরপর স্বাধীন এই কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে। পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, অভিযোগ তদন্ত ছাড়াও পুলিশি কর্মকাণ্ডের তদারকির দায়িত্ব থাকবে পুলিশ কমিশনের ওপর।
৭ ঘণ্টা আগে