নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ যাতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, সে জন্য চার মিলিয়ন ইউরো বা ৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি সহায়তা প্যাকেজ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তাঁর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে আজ। ইসির সঙ্গে এটি ইইউ রাষ্ট্রদূতের চতুর্থ বৈঠক।
বৈঠক শেষে মাইকেল মিলার সাংবাদিকদের জানান, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছে। ২০২৬ সালের শুরুর দিকে ভোটের দিকে এগোচ্ছে দেশটি। আজ আমি বিশেষভাবে এসেছি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে জানাতে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৪ মিলিয়ন ইউরোর বেশি সহায়তা দেবে, যাতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।’
‘এটি একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক। ভবিষ্যতে আমরা এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে কেবল ইইউ প্রতিনিধি নয়, ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে মিলার বলেন, ‘তাঁরা আমাদের বাস্তবায়নকারী অংশীদার—নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা এখানে থাকবেন, যাতে আসন্ন নির্বাচনে নাগরিক পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভোটার এডুকেশনকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশ এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর, যাতে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনকে নানা ধরনের সহায়তার কথা তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, তাঁরা সরাসরি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেওয়া, যেমন কার্যকরী পরিকল্পনা ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতা, দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে আমাদের কাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে একটি অগ্রাধিকারমূলক দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে, বিশেষত সম্ভাব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘নির্বাচন প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সবার মনোযোগ রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাজ। আমরা এখন আলোচনা করছি বাস্তবিক কিছু পদক্ষেপ নিয়ে, যা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। আর এ জন্যই আমরা এখানে এসেছি আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে। কারণ আমরা চাই আপনাদের নির্বাচন যেন সত্যিই গ্রহণযোগ্য হয়, আন্তর্জাতিক মানের হয়, অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।’
আগামী মাসে দেশে ইইউর প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আসবে জানিয়ে মিলার বলেন, ‘আগামী মাসে প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। এটি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ মিশন নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের কাজ হবে যাচাই করা যে, এখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না। আমরা সক্ষমতা ও বাস্তবতা যাচাই করছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিচ্ছি–ভোটার এডুকেশন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোকে মাঠ পর্যায়ে কাজের সক্ষমতা দেওয়া, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা এবং ছোট ছোট নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশ যাতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, সে জন্য চার মিলিয়ন ইউরো বা ৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি সহায়তা প্যাকেজ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তাঁর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে আজ। ইসির সঙ্গে এটি ইইউ রাষ্ট্রদূতের চতুর্থ বৈঠক।
বৈঠক শেষে মাইকেল মিলার সাংবাদিকদের জানান, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছে। ২০২৬ সালের শুরুর দিকে ভোটের দিকে এগোচ্ছে দেশটি। আজ আমি বিশেষভাবে এসেছি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে জানাতে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৪ মিলিয়ন ইউরোর বেশি সহায়তা দেবে, যাতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নির্বাচনের আয়োজন করতে পারে।’
‘এটি একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক। ভবিষ্যতে আমরা এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে কেবল ইইউ প্রতিনিধি নয়, ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে মিলার বলেন, ‘তাঁরা আমাদের বাস্তবায়নকারী অংশীদার—নির্বাচন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা এখানে থাকবেন, যাতে আসন্ন নির্বাচনে নাগরিক পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভোটার এডুকেশনকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশ এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে বদ্ধপরিকর, যাতে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।’
নির্বাচন কমিশনকে নানা ধরনের সহায়তার কথা তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, তাঁরা সরাসরি বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে দক্ষতা বৃদ্ধি, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেওয়া, যেমন কার্যকরী পরিকল্পনা ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতা, দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে আমাদের কাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে একটি অগ্রাধিকারমূলক দেশ হিসেবে বিবেচনা করছে, বিশেষত সম্ভাব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘নির্বাচন প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সবার মনোযোগ রয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাজ। আমরা এখন আলোচনা করছি বাস্তবিক কিছু পদক্ষেপ নিয়ে, যা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবে। আর এ জন্যই আমরা এখানে এসেছি আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে। কারণ আমরা চাই আপনাদের নির্বাচন যেন সত্যিই গ্রহণযোগ্য হয়, আন্তর্জাতিক মানের হয়, অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।’
আগামী মাসে দেশে ইইউর প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আসবে জানিয়ে মিলার বলেন, ‘আগামী মাসে প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে। এটি পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণ মিশন নয়। বরং বিশেষজ্ঞদের কাজ হবে যাচাই করা যে, এখানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে কি না। আমরা সক্ষমতা ও বাস্তবতা যাচাই করছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিচ্ছি–ভোটার এডুকেশন, দেশীয় পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোকে মাঠ পর্যায়ে কাজের সক্ষমতা দেওয়া, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা এবং ছোট ছোট নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সহকারী কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ৪১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে গত বছরের ২৮ জুলাই সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন।
৩ মিনিট আগেপুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) পদে ৪ হাজার সদস্য নিয়োগ করবে সরকার। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুলিশ-৩ শাখার উপসচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট অচিরেই খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে কোনো উদ্বেগ নেই। ভালো ভোট করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য, দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র
৩ ঘণ্টা আগে