তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএ'র সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ের সমন্বয় সভায় যাত্রীবাহী মোটরযানের ভাড়া নির্ধারণ কমিটিকে এসি বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই সভায় ভাড়া নির্ধারণ কমিটিকে ২০ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান। ১৩ আগস্ট বিআরটিএতে বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসি বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘এসি বাসের ভাড়া যৌক্তিক করার পরিকল্পনা করছি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ মালিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এটিও বিবেচনায় রয়েছে।’
বর্তমানে দূরপাল্লার বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে বাস কোম্পানিগুলো। যে বাস যত বিলাসবহুল, তার ভাড়া তত বেশি। বাসমালিকদের দাবি, এসি বিলাসবহুল বাসকে গণপরিবহন ধরা হয় না এবং এ জন্য আলাদা নীতিমালাও নেই। এসি গাড়ির জন্য সরকারকে উচ্চ হারে ভ্যাট দেওয়া হয়। ফলে এসব বাসের ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে না।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, দেশে নিবন্ধিত বাস রয়েছে ৫৬ হাজার ৯৮০টি। এর মধ্যে নিবন্ধিত এসি বাস প্রায় ৩ হাজার; এগুলোর বেশির ভাগ দূরপাল্লায় চলাচল করে। দেশে নিবন্ধিত পণ্যবাহী যানবাহনের মধ্যে ট্রাক ৬৪ হাজার ১৪৪টি, ট্যাংকার ৭ হাজার ২২৫, পিকআপ ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬০৫, কাভার্ড ভ্যান ৫২ হাজার ৮৩০টি এবং কার্গো ভ্যান রয়েছে ৯ হাজার ৫৪৬টি।
সড়ক পরিবহন আইনের ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিআরটিএ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে গণপরিবহনের ভাড়া ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণ করতে পারে। তবে এসি বিলাসবহুল ও বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। আবার এই ধারায় বলা হয়েছে, এসব যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে বিআরটিএ যুক্তিসংগত ভাড়া নির্ধারণের ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে বিআরটিএর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টির ভালো-মন্দ বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এসি বাস একটি বিশেষ শ্রেণির যানবাহন, যার বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। সরকার যদি এসব বিবেচনায় নিয়ে যুক্তিযুক্ত ভাড়া নির্ধারণ করে, তাহলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো ভাড়ার তালিকা নেই। সাধারণত ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যানসহ পণ্যবাহী গাড়ির ভাড়া চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। মালিক ও শ্রমিকদের ইচ্ছায় ঠিক হয় বলে একই দূরত্বের ভাড়ায়ও বেশ পার্থক্য থাকে। অভিযোগ রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের।
ট্রাকের মালিকেরা বলছেন, পণ্য পরিবহনের চাহিদা বাড়লে ভাড়াও বাড়ে। জ্বালানির দাম বাড়লে ভাড়ায় সরাসরি প্রভাব পড়ে। রাস্তা খারাপ হলেও ভাড়া বেশি হয়। টোল, পার্কিং ও অন্যান্য খরচ ভাড়ার মধ্যে যুক্ত থাকে। এসব মিলিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে সরকার নির্ধারিত কোনো ভাড়া নেই। তবে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করলে আমরা তা বিবেচনা করব। তবে ভাড়া নির্ধারণ যেন শুধু মালিকদের জন্য আইওয়াশ না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।’
যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নন-এসি বাসেও সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় হচ্ছে। তাই এসব সমস্যা সমাধান না করে শুধু এসি বাস বা পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করলে লাভ হবে না। যৌক্তিকভাবে ভাড়া নির্ধারণের পাশাপাশি সরকার কীভাবে তা বাস্তবায়ন ও মনিটর করবে, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। সরকার যাত্রীদের অভিযোগ না শুনে শুধু বাসের মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করে।
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএ'র সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ের সমন্বয় সভায় যাত্রীবাহী মোটরযানের ভাড়া নির্ধারণ কমিটিকে এসি বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই সভায় ভাড়া নির্ধারণ কমিটিকে ২০ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান। ১৩ আগস্ট বিআরটিএতে বাস ও ট্রাক মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসি বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘এসি বাসের ভাড়া যৌক্তিক করার পরিকল্পনা করছি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ মালিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এটিও বিবেচনায় রয়েছে।’
বর্তমানে দূরপাল্লার বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে বাস কোম্পানিগুলো। যে বাস যত বিলাসবহুল, তার ভাড়া তত বেশি। বাসমালিকদের দাবি, এসি বিলাসবহুল বাসকে গণপরিবহন ধরা হয় না এবং এ জন্য আলাদা নীতিমালাও নেই। এসি গাড়ির জন্য সরকারকে উচ্চ হারে ভ্যাট দেওয়া হয়। ফলে এসব বাসের ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে না।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, দেশে নিবন্ধিত বাস রয়েছে ৫৬ হাজার ৯৮০টি। এর মধ্যে নিবন্ধিত এসি বাস প্রায় ৩ হাজার; এগুলোর বেশির ভাগ দূরপাল্লায় চলাচল করে। দেশে নিবন্ধিত পণ্যবাহী যানবাহনের মধ্যে ট্রাক ৬৪ হাজার ১৪৪টি, ট্যাংকার ৭ হাজার ২২৫, পিকআপ ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬০৫, কাভার্ড ভ্যান ৫২ হাজার ৮৩০টি এবং কার্গো ভ্যান রয়েছে ৯ হাজার ৫৪৬টি।
সড়ক পরিবহন আইনের ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিআরটিএ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে গণপরিবহনের ভাড়া ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ বা পুনর্নির্ধারণ করতে পারে। তবে এসি বিলাসবহুল ও বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। আবার এই ধারায় বলা হয়েছে, এসব যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে বিআরটিএ যুক্তিসংগত ভাড়া নির্ধারণের ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে বিআরটিএর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টির ভালো-মন্দ বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এসি বাস একটি বিশেষ শ্রেণির যানবাহন, যার বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। সরকার যদি এসব বিবেচনায় নিয়ে যুক্তিযুক্ত ভাড়া নির্ধারণ করে, তাহলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো ভাড়ার তালিকা নেই। সাধারণত ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যানসহ পণ্যবাহী গাড়ির ভাড়া চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। মালিক ও শ্রমিকদের ইচ্ছায় ঠিক হয় বলে একই দূরত্বের ভাড়ায়ও বেশ পার্থক্য থাকে। অভিযোগ রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের।
ট্রাকের মালিকেরা বলছেন, পণ্য পরিবহনের চাহিদা বাড়লে ভাড়াও বাড়ে। জ্বালানির দাম বাড়লে ভাড়ায় সরাসরি প্রভাব পড়ে। রাস্তা খারাপ হলেও ভাড়া বেশি হয়। টোল, পার্কিং ও অন্যান্য খরচ ভাড়ার মধ্যে যুক্ত থাকে। এসব মিলিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বর্তমানে সরকার নির্ধারিত কোনো ভাড়া নেই। তবে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করলে আমরা তা বিবেচনা করব। তবে ভাড়া নির্ধারণ যেন শুধু মালিকদের জন্য আইওয়াশ না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।’
যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নন-এসি বাসেও সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় হচ্ছে। তাই এসব সমস্যা সমাধান না করে শুধু এসি বাস বা পণ্যবাহী যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করলে লাভ হবে না। যৌক্তিকভাবে ভাড়া নির্ধারণের পাশাপাশি সরকার কীভাবে তা বাস্তবায়ন ও মনিটর করবে, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। সরকার যাত্রীদের অভিযোগ না শুনে শুধু বাসের মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
৩ ঘণ্টা আগেভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এখনো বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীতীরে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে আছে খেতের ফসল। কোমরপানি বসতঘরেও। মাচা পেতে চলছে রান্নার কাজ...
৪ ঘণ্টা আগেমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত খসড়া চুক্তি প্রকাশ না করার বিষয়ে ‘ভুলভাবে কথা বলেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৫ ঘণ্টা আগে