আদালত প্রতিবেদক
ঢাকা: ফোনে আড়িপাতা ও এক বা একাধিক ব্যক্তির কথোপকথন ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পদক্ষেপ কী, তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে আজ মঙ্গলবার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যদের ফোনে আড়িপাতা ও কথা ফাঁসের ঘটনা উল্লেখ করে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে হবে। অন্যথায় এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।
নোটিশে অন্য বিবাদীরা হলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বিটিআরসি। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে আইনজীবী শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
যে ১০ আইনজীবীর পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বনিক, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মোস্তাফিজুর, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।
নোটিশে ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এসব আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের সকল আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০ (চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একাত্মতা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এ ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হলো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।
ঢাকা: ফোনে আড়িপাতা ও এক বা একাধিক ব্যক্তির কথোপকথন ফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পদক্ষেপ কী, তা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে আজ মঙ্গলবার এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যদের ফোনে আড়িপাতা ও কথা ফাঁসের ঘটনা উল্লেখ করে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে হবে। অন্যথায় এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।
নোটিশে অন্য বিবাদীরা হলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বিটিআরসি। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে আইনজীবী শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
যে ১০ আইনজীবীর পক্ষে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বনিক, শাহ নাবিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মোস্তাফিজুর, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।
নোটিশে ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংঘটিত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সংলাপ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ফোনালাপ, প্রয়াত সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার নাজমুল হাসানের ফোনালাপ উল্লেখযোগ্য। এসব আড়িপাতার ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, সর্বজনীন মানবাধিকার সনদপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের সকল আধুনিক ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার স্বীকৃত ও সংরক্ষিত। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই অধিকার সংবিধান কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অ্যাক্ট, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারা ৩০ (চ) অনুযায়ী টেলিযোগাযোগের একাত্মতা রক্ষা নিশ্চিত করা এই কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, এ ধরনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অহরহ ঘটছে। অথচ, বাংলাদেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কমিশনের দায়িত্ব হলো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে। ফলে এসব ট্রেনও চলার পথে থমকে যাওয়ায় একই রকম ভোগান্তিতে পড়ত
৩ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
৩ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
৩ ঘণ্টা আগে