Ajker Patrika

পর্যটনে অমিত সম্ভাবনা থাকলেও যে কারণে মালদ্বীপের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

সাইফুল মাসুম, মালদ্বীপ থেকে ফিরে
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৩১
পর্যটনে অমিত সম্ভাবনা থাকলেও যে কারণে মালদ্বীপের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই যার একমাত্র পুঁজি। পর্যটন খাত থেকেই দেশটির মোট দেশীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ৫০ শতাংশের বেশি আসে। বিপরীতে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ৩ শতাংশের কম। অথচ মালদ্বীপের চেয়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাত সংখ্যা ও বৈচিত্র্য—দুই বিচারেই এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে দুই দেশের পর্যটন ব্যবস্থাপনাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। 

মোট ১২০০ ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপের স্থলভাগের আয়তন মাত্র ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে সবগুলোতে কিন্তু মানুষের বসতি নেই। দেশটির ৮০০ দ্বীপে কেউ থাকে না। এগুলো ভার্জিন আইল্যান্ড হিসেবে পরিচিত। মাত্র ২০০ দ্বীপে মানুষের বসতি আছে। আর পর্যটনের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা দ্বীপের সংখ্যা শতাধিক। এই দ্বীপগুলোকে বলা হয় রিসোর্ট আইল্যান্ড। একটি দ্বীপ আসলে একটি রিসোর্ট। পর্যটনের জন্য এই দ্বীপগুলোর মধ্যে ৭০-৮০টি বিভিন্ন দেশকে ইজারা দিয়েছে দেশটি। 

এবার একটু বাংলাদেশের দিকে তাকানো যাক। টুরিস্ট পুলিশের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে পর্যটকদের আকর্ষণের মতো ১৬৭৫টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। শুধু সংখ্যায় নয়, এই পর্যটন স্থানগুলো বৈচিত্র্যের দিক থেকেও মালদ্বীপ থেকে এগিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের এই শক্তিকে কাজে লাগাতে পারছে না। 

দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের পর্যটন আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে সাগর ও সৈকত। বৈচিত্র্য বলতে এর গঠনশৈলী ও সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট-প্রদত্ত নানা সেবা ও সুবিধা। অন্যদিকে বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলো একটি থেকে অন্যটি আলাদা। এখানে যেমন আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, তেমনি আছে সেন্ট মার্টিনের মতো কোরাল দ্বীপ, আছে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটির মতো পার্বত্য এলাকা, আছে হাওরাঞ্চল, সিলেটের বিস্তৃত চা-বাগান ও এর সঙ্গে আরও নানা বিচিত্র সব পর্যটন স্থান। আছে ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা। কিন্তু এত বৈচিত্র্য দিয়েও পর্যটক সেভাবে টানতে পারছে না বাংলাদেশ। তাহলে মালদ্বীপ কীভাবে পারছে? 

মালদ্বীপ পারছে তার পর্যটন ব্যবস্থাপনা দিয়ে। শুধু ব্যবস্থাপনার জোরেই দেশটি নিজেদের পর্যটন স্থানগুলোকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারছে। ২০২০ সালে দেশটিকে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন গন্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখানেই থেমে থাকেনি তারা। নিজেদের সম্ভাবনাকে প্রতিনিয়ত তারা উন্মোচিত করছে। বিপরীতে বাংলাদেশ এত এত বৈচিত্র্য নিয়ে শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে পিছিয়ে পড়ছে। 

পর্যটন খাত থেকেই মালদ্বীপের মোট দেশীয় উৎপাদনের ৫০ শতাংশের বেশি আসে

অনেকে বলে থাকেন বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় পর্যটনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন—এমন অনেক কিছুই করতে পারছে না। কিন্তু মালদ্বীপের দিকে তাকালে এই যুক্তি আর ধোপে টেকে না। তারা ধর্মীয় বিষয়াদিকে যথাযথ সম্মানের জায়গায় রেখেই পর্যটনকে এগিয়ে নিচ্ছে। খোদ মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, ‘মালদ্বীপ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দ্বীপ। তারা ধর্মীয় শ্রদ্ধার জায়গাটিকে অটুট রেখেই পর্যটন খাতকে উন্নত করেছে। রিসোর্ট আইল্যান্ডগুলোতে আপনি বিনোদনের জন্য সব করতে পারেন। কিন্তু স্থানীয় দ্বীপগুলোতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। এ জন্য এখানে লাখ লাখ বিদেশি পর্যটক আসছেন।’ 

মোট জনসংখ্যায় মুসলিমদের অনুপাত বিচারে মালদ্বীপ বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশের বেশি মুসলিম। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ৯০ শতাংশের কিছু বেশি। ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধকে পর্যটন বিস্তারে বাধা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই, যদি মালদ্বীপকে উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা যায়। 

নাজমুল হাসান আরও বলেন, ‘বিশ্বসেরা যত হোটেল রিসোর্ট ব্র্যান্ড আছে, তাদের সবারই রিসোর্ট এখানে আছে। প্রতিটি রিসোর্টেই নিজেদের মতো করে পর্যটন ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে তারা। সেখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। মাঝেমধ্যে এগুলোতে কর্মকর্তারা সারপ্রাইজ ভিজিটে যান। অনিয়ম পেলে প্রথমে সতর্ক করা হয়, পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটাই মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প বিকাশের মূল কারণ।’ 

আরেকটি বিষয় হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা ও যত্ন। বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গেলে পরিচ্ছন্নতার অভাবটিই সবার আগে নজরে পড়ে। আছে নিরাপত্তার অভাবও। এ দুটি দিকেই এগিয়ে মালদ্বীপ। 

পর্যটকদের আকর্ষণের মতো বাংলাদেশে যে ১৬৭৫টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে, কক্সবাজার তার অন্যতম

কিছুদিন আগে মালদ্বীপে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। প্রতিষ্ঠানটির মালদ্বীপ শাখার ব্যবস্থাপক নাজমুল শাকির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু খেয়াল করলে দেখবেন কত পরিচ্ছন্ন পরিবেশবান্ধব জনপদ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমরা নষ্ট করে ফেলছি। মালদ্বীপের হোটেল মোটেল, রাস্তা, পার্কিং, হাঁটার পথের ব্যবস্থা সব গোছানো। কোথাও ময়লা হচ্ছে না। হোটেল থেকে খাবার নিয়ে লোকে খাচ্ছে; কিন্তু নিচে ময়লা ফেলছে না।’ 

এটি একদিনে হয়নি। ১৯৭২ সালে মালদ্বীপে রিসোর্ট ছিল মাত্র তিনটি। এখন এ সংখ্যা শতাধিক। এটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। দুই দশক আগেও দেশটির জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ছিল ৪০ শতাংশের নিচে, এখন যা ৫০ শতাংশের বেশি। জার্মানভিত্তিক এগলিইটিস-মিডিয়ার প্রকল্প ওয়ার্ল্ডডেটা ইনফোর তথ্যমতে, ২০০১ সালে মালদ্বীপের জিডিপির ৬২ দশমিক ৪২ শতাংশ আসত মৎস্য খাত থেকে। আর পর্যটন থেকে আসত ৩৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। সে সময় বাংলাদেশের আয় ছিল জিডিপির ১ শতাংশেরও কম। 

মালদ্বীপ ২০০৪ সালে পর্যটনের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়। দেড় দশকের ব্যবধানে তার সুফলও পায় তারা। এই সুফল এনে দেওয়া মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি কিন্তু বাংলাদেশি; নাম নুরুল ইসলাম নাজেম। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এ অধ্যাপক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাদের আয়ের বড় অংশ আসে পর্যটন থেকে। সেই অনুপাতে বাংলাদেশে পর্যটন থেকে জিডিপিতে যোগ হয় খুব সামান্য। মালদ্বীপে ১ হাজারের বেশি দ্বীপ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২০০ দ্বীপে মানুষ বসবাস করে। আর ৮০০ দ্বীপে কেউ থাকে না; সেগুলোকে বলা হয় ভার্জিন আইল্যান্ড। পর্যটনের জন্য ৭০-৮০টি আইল্যান্ড তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে ইজারা দিয়েছে। নিজেরা টুরিজমের জন্য কয়েকটা দ্বীপকে ডেভেলপ করেছে। এসব দ্বীপে পর্যটন কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে অত্যন্ত উন্নত ব্যবস্থাপনায়। দেশটিতে ২০১১ সালের পর থেকে পর্যটন শিল্প সবচেয়ে বেশি বিকাশ লাভ করে।’ 

মোট ১২০০ ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপের শতাধিক দ্বীপকে কেন্দ্র করে চলে পর্যটন ব্যবসা

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিলের তথ্য যাচাই করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর্যটন চিত্র একেবারেই উল্টো। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মোট পর্যটকের ৯৬ শতাংশ ছিল দেশীয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০২০ সালেও অনেকটা একই চিত্র, মোট পর্যটকের ৯৩ শতাংশ ছিল দেশীয়। আর ৭ শতাংশ ছিল বিদেশি। অন্যদিকে ২০১৯ সালে মালদ্বীপে মোট পর্যটকের ৯৬ শতাংশ ছিল বিদেশি পর্যটক। আর দেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০২০ সালে মোট পর্যটকের ৯৩ শতাংশ ছিল বিদেশি পর্যটক। আর দেশি পর্যটক ছিল মাত্র ৭ শতাংশ। 

জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদানকে আমলে নিলে এই বিপরীত চিত্র আরও প্রকট হয়ে ধরা দেয়। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টুরিজম কাউন্সিলের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সে বছর দেশের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যটন খাত থেকে এসেছিল। অন্যদিকে ২০১৯ সালে মালদ্বীপের জিডিপির ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ এসেছে পর্যটন খাত থেকে। 

বাংলাদেশে বিদেশি টুরিস্ট না আসার কারণ হিসেবে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজেম বলেন, ‘বিদেশি টুরিস্টের জন্য যেসব সুবিধা থাকা উচিত, তা আমাদের দেশে নেই। পর্যটন অবকাঠামো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। কিছু হোটেল আছে এত ব্যয়বহুল যে, অনেক পর্যটক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এখানে ফুড সিস্টেম ভালো। তবে তা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে না। পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এ ছাড়া বিগত সময়ের বিভিন্ন সহিংসতার খবর বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে পর্যটকদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশে টুরিজমকে উন্নত করতে হলে সরকারের সহায়তা লাগবে। অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। মানুষের মানসিকতা পাল্টাতে হবে।’ 

মালদ্বীপের রিসোর্ট আইল্যান্ডগুলোতে আপনি বিনোদনের জন্য সব করতে পারেননিরাপত্তার বিষয়টি বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে। টুরিস্ট পুলিশের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো ১৬৭৫টি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছে ৪০৭ টি, চট্টগ্রামে ৩৩০, খুলনায় ২৬৩, বরিশালে ১১৮, রাজশাহীতে ২৪৩, রংপুরে ১৪৩, সিলেটে ৯৬ ও ময়মনসিংহে ৭৫টি দর্শনীয় স্থান। এই দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে মাত্র ১০৪ টিতে টুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। আর কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটের জাফলং, সুন্দরবন, কুয়াকাটা, নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের মতো গুটিকয় স্থান ছাড়া কোথাও নেই পর্যটন অবকাঠামো। 

বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলোকে বিশ্ব দরবারে ঠিকঠাক তুলে ধরতে না পারার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে উন্নতি হলে এবং সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে পর্যটনবান্ধব করা গেলে মালদ্বীপের চেয়ে বাংলাদেশের পর্যটন খাত কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকার কথা নয়। এতে সারা দেশই উপকৃত হবে। জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান আগের চেয়ে বাড়বে, যার সরাসরি সুফল পাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী। 

বিষয়টি নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডও। মালদ্বীপ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে জানিয়ে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাবেদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মালদ্বীপ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের টুরিজম লিডার। পর্যটনের জন্য সারা বিশ্বে তারা পরিচিত। নিজেদের প্রচেষ্টায় ও বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে গেছে। মালদ্বীপ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের সুন্দরবন, কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওরসহ অনেক দর্শনীয় স্থান আছে, যা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা যেতে পারে। আমরা নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাদের পর্যটনের অভিজ্ঞতা আমাদের দেশে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হত্যা বন্ধের কোনো ম্যাজিক নেই, মন্তব্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র‍্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’

নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৭
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ৩১ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ৩১ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।

ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।

ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’

শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’

এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।

মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচনে এমপি প্রার্থীদের খেলাপি তথ্য হালনাগাদের তাগিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ শিখতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন সমন্বয়কসহ ১২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।

রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত