Ajker Patrika

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানে না: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জুন ২০২৫, ১৭: ০৯
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সম্মত হলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। সাংবাদিকদের এমনটিই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

সিইসি বলেছেন, আর সবার মতো তিনিও লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি ও বিএনপির প্রতিনিধিদের যৌথ বিবৃতি থেকেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়টি জেনেছেন। বিবৃতিতে কারও স্বাক্ষর ছিল না বলেও জানান সিইসি।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সিইসি বলেন, ‍‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানি না। আমিও আপনাদের মতো লন্ডনের যৌথ বিবৃতি থেকে জেনেছি। কিন্তু সেখানে কারও স্বাক্ষর নেই।’

গত শুক্রবার লন্ডনে ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক হয়। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা আসে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে।

লন্ডনে বৈঠকের আগে পর্যন্ত এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে আসছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। যদিও বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এ বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপ দিতে থাকে।

৬ জুন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা সময়সীমা এগিয়ে এনে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন। নির্বাচনের এই নতুন সময় নিয়েও আপত্তি ওঠে বিএনপির তরফ থেকে। তারা জানায়, এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত নয়। সে সময় পাবলিক পরীক্ষা থাকে। এ ছাড়া নির্বাচন এপ্রিলে হলে ভোটের প্রচার চালাতে হবে ফেব্রুয়ারিতে রোজার সময়, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠক থেকেই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা আসে।

তবে এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি বলে আজ সাংবাদিকদের জানালেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন।

সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনের তারিখের ধারণা পেলে সে অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছেন কি না বা প্রস্তুতি কতটুকু আছে, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি এবং প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

সিইসি বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁদের জন্য আমরা ভোটের মাঠ সমান রাখব। আমরা রেফারির ভূমিকা পালন করব।’

এ সময় ‘ভোট-সন্ত্রাসীদের’ সতর্ক করে সিইসি বলেন, ‘যাঁরা সন্ত্রাস করে ভোটকেন্দ্র দখল করার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ আছে। আমরা কিছুতেই ছাড় দেব না। ভোট-সন্ত্রাসের প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আস্থা রয়েছে বলে মনে করেন সিইসি। ঈদ-পরবর্তী মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত