নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সূর্যের হাসির আলোকচ্ছটা যখন বটের পাতার ফাঁক দিয়ে ঝিলিক দিতে শুরু করেছে, তখন যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪২৯ এর অনুষ্ঠান। এরপরই বছর দুয়েকের ক্লান্তি আর অশনি কাটিয়ে পঁচাশি জনের শিল্পী দল গেয়ে উঠলেন ‘মন জাগো মঙ্গলালোকে’।
পরনে বাহারী পাঞ্জাবি, ভাঁজ না ভাঙা লাল-হলুদ নতুন গামছা গলায় ঝুলিয়ে, মাথায় বেঁধে, লাল পেড়ে সাদা শাড়ি গায়ে জড়িয়ে, খোঁপায় বেলির মালা ঝুলিয়ে ভোর থেকেই রমনায় আসতে শুরু করেছে নানা বয়সী নারী-পুরুষ। জামতলায় বর্ষবরণের এমন সুরের মূর্ছনায় অজান্তেই ঠোঁট মিলিয়ে উঠতে দেখা গেছে বাবা-মায়ের হাত ধরে প্রথমবার ভোরের পাখি হয়ে আসা কচি কাচাদের।
বাবা-মায়ের সঙ্গে রমনার বটমূলে এসেছে অ্যারন বিশ্বাস অর্ঘ। মাঝেই মাঝেই ছায়ানটের শিল্পীদের সঙ্গে গেয়ে উঠছে সাত বছর বয়সী এই দর্শক। এবারই প্রথম এসেছে প্রভাতি অনুষ্ঠানে। এ জন্য তার আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই। এত ভোরে কীভাবে এসেছে রমনায়—এমন প্রশ্নে সকালের রোদের মতোই চনমনে উত্তর দিয়ে অর্ঘ বলে, ‘আমরা না আসলে কীভাবে প্রভাত হবে? কীভাবে প্রভাতি অনুষ্ঠান শুরু হবে?’
করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর আজ আবার বাংলা নতুন বছরের উদ্যাপনের রং লাগল রমনার পরতে পরতে। সুরের মূর্ছনায় দুলে উঠল বটের পাতা, শীতল বাতাসে নুয়ে পড়ে যেন স্বাগত জানাল বাংলা বছরের প্রথম দিনকে।
দুই বছরের করোনার বন্দী জীবন কাটিয়ে এবার ভোর হতেই রমনায় এসেছেন চন্দন-মিতালি দম্পতি। সকালে আলোর মতো সজীবতাময় হাসি মুখে তারা উপভোগ করছিলেন ছায়ানটের বিরতিহীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দুই বছর পর বর্ষবরণের সেই পুরোনো আমেজ কেমন লাগছে—এমন প্রশ্নের জবাবে মিতালি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই বছর খুব মিস করেছি এই আবহটা। এটা কিসের টান, কিসের যোগাযোগ সেটা আসলেই বুঝতে পারি না। সেই ভোরে উঠে সেজেগুজে রমনায় আসাটা আমাদের রক্তের সঙ্গে কীভাবে যেন মিশে গেছে। এটাকে হৃদয়ের টান মনে করি।’
চন্দন বলেন, ‘দুই বছর আমরা নববর্ষের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারিনি। এই দুইটা বছরকে আলাদা মনে হয়েছে। কারণ আমরা এই অনুষ্ঠানে নিয়মিত আসার চেষ্টা করি। নববর্ষের দিনে এখানে আসাটা আমাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ মনে করি এখন। যেহেতু এটা অনেক বছর ধরে চলে এসেছে। তবে এবার অন্যান্য বারের থেকে লোক-সমাগম কম মনে হচ্ছে।’
এর কারণ হিসেবে রমজান মাসকে উল্লেখ করে চন্দন বলেন, ‘মূলত রমজানের কারণে এবার লোক সমাগম কম। তবুও সংস্কৃতিটা আসলে প্যারালালই চলে। তাই এটার সঙ্গেই আমাদের মানিয়ে চলতে হবে।’
এদিকে জঙ্গি হামলা বা যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ ঘিরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি প্রবেশ গেট দিয়ে ব্যাপক তল্লাশি করে তারপরই ভেতরে ঢুকতে পারছেন দর্শনার্থীরা।
এবার জাতীয় সংগীতসহ ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে ৩৭টি আয়োজন নিয়ে। এর মধ্যে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান রয়েছে। সঙ্গে থাকছে আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী লাইসা আহমেদের দেওয়া তথ্য মতে, এবার ছায়ানটের আড়াইশ শিল্পীর সংখ্যা কমিয়ে পঁচাশি জনে করা হয়েছে।
সূর্যের হাসির আলোকচ্ছটা যখন বটের পাতার ফাঁক দিয়ে ঝিলিক দিতে শুরু করেছে, তখন যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪২৯ এর অনুষ্ঠান। এরপরই বছর দুয়েকের ক্লান্তি আর অশনি কাটিয়ে পঁচাশি জনের শিল্পী দল গেয়ে উঠলেন ‘মন জাগো মঙ্গলালোকে’।
পরনে বাহারী পাঞ্জাবি, ভাঁজ না ভাঙা লাল-হলুদ নতুন গামছা গলায় ঝুলিয়ে, মাথায় বেঁধে, লাল পেড়ে সাদা শাড়ি গায়ে জড়িয়ে, খোঁপায় বেলির মালা ঝুলিয়ে ভোর থেকেই রমনায় আসতে শুরু করেছে নানা বয়সী নারী-পুরুষ। জামতলায় বর্ষবরণের এমন সুরের মূর্ছনায় অজান্তেই ঠোঁট মিলিয়ে উঠতে দেখা গেছে বাবা-মায়ের হাত ধরে প্রথমবার ভোরের পাখি হয়ে আসা কচি কাচাদের।
বাবা-মায়ের সঙ্গে রমনার বটমূলে এসেছে অ্যারন বিশ্বাস অর্ঘ। মাঝেই মাঝেই ছায়ানটের শিল্পীদের সঙ্গে গেয়ে উঠছে সাত বছর বয়সী এই দর্শক। এবারই প্রথম এসেছে প্রভাতি অনুষ্ঠানে। এ জন্য তার আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই। এত ভোরে কীভাবে এসেছে রমনায়—এমন প্রশ্নে সকালের রোদের মতোই চনমনে উত্তর দিয়ে অর্ঘ বলে, ‘আমরা না আসলে কীভাবে প্রভাত হবে? কীভাবে প্রভাতি অনুষ্ঠান শুরু হবে?’
করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর আজ আবার বাংলা নতুন বছরের উদ্যাপনের রং লাগল রমনার পরতে পরতে। সুরের মূর্ছনায় দুলে উঠল বটের পাতা, শীতল বাতাসে নুয়ে পড়ে যেন স্বাগত জানাল বাংলা বছরের প্রথম দিনকে।
দুই বছরের করোনার বন্দী জীবন কাটিয়ে এবার ভোর হতেই রমনায় এসেছেন চন্দন-মিতালি দম্পতি। সকালে আলোর মতো সজীবতাময় হাসি মুখে তারা উপভোগ করছিলেন ছায়ানটের বিরতিহীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দুই বছর পর বর্ষবরণের সেই পুরোনো আমেজ কেমন লাগছে—এমন প্রশ্নের জবাবে মিতালি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই বছর খুব মিস করেছি এই আবহটা। এটা কিসের টান, কিসের যোগাযোগ সেটা আসলেই বুঝতে পারি না। সেই ভোরে উঠে সেজেগুজে রমনায় আসাটা আমাদের রক্তের সঙ্গে কীভাবে যেন মিশে গেছে। এটাকে হৃদয়ের টান মনে করি।’
চন্দন বলেন, ‘দুই বছর আমরা নববর্ষের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারিনি। এই দুইটা বছরকে আলাদা মনে হয়েছে। কারণ আমরা এই অনুষ্ঠানে নিয়মিত আসার চেষ্টা করি। নববর্ষের দিনে এখানে আসাটা আমাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ মনে করি এখন। যেহেতু এটা অনেক বছর ধরে চলে এসেছে। তবে এবার অন্যান্য বারের থেকে লোক-সমাগম কম মনে হচ্ছে।’
এর কারণ হিসেবে রমজান মাসকে উল্লেখ করে চন্দন বলেন, ‘মূলত রমজানের কারণে এবার লোক সমাগম কম। তবুও সংস্কৃতিটা আসলে প্যারালালই চলে। তাই এটার সঙ্গেই আমাদের মানিয়ে চলতে হবে।’
এদিকে জঙ্গি হামলা বা যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ ঘিরে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি প্রবেশ গেট দিয়ে ব্যাপক তল্লাশি করে তারপরই ভেতরে ঢুকতে পারছেন দর্শনার্থীরা।
এবার জাতীয় সংগীতসহ ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে ৩৭টি আয়োজন নিয়ে। এর মধ্যে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান রয়েছে। সঙ্গে থাকছে আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী লাইসা আহমেদের দেওয়া তথ্য মতে, এবার ছায়ানটের আড়াইশ শিল্পীর সংখ্যা কমিয়ে পঁচাশি জনে করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক কর্তৃক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠি নিয়ে দেশ-বিদেশে জোর আলোচনা চললেও সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর জবাবে ড. ইউনূসও নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি ব্যক্তিগত চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। চিঠিতে তিনি ড. ইউনূসের আসন্ন লন্ডন সফর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেনোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। ড. ইউনূসের লন্ডন সফরকালে এই সাক্ষাৎ চান টিউলিপ, যেখানে তিনি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসনের আশায় ব্যক্তিগত
৬ ঘণ্টা আগে