নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে, কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
আজ শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলা ভিন্ন খাতে নিতে চেয়েছিল। দেশকে নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টাকে আমরা নানাভাবে প্রতিহত করেছি, ন্যায়ের সঙ্গে আইনের মাধ্যমে। দুদকের সবা্কই আমি সাধুবাদ জানাই। সত্য কথা বলতে গেলে সবাই একমত না। দুই-একজন এর মধ্যে বিট্রে করার চেষ্টা করেছে, যেটা আমি ধরেছি। এটা একটি সুদূরপ্রসারী কাজ। আমাদের তখনকার চেয়ারম্যান ধরতে পারেন নাই। কিন্তু আমি ধরেছি। যে এজাহারটি করা হয়েছে, সেটি ফ্যাক্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। তখন আমি এজাহার বদল করতে বলি।’
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে ঘটা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলায় বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সমস্ত মেগা প্রজেক্টগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয় নাই। এটা সরকারের সাফল্য, সরকারের কর্মকর্তাদের সাফল্য। দুর্নীতি দমন সরকারের জিরো টলারেন্স ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
দুর্নীতিকে প্রান্তিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি যথাযথভাবে কার্যকর করা গেলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আরও গতি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আসুন উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করি। বর্তমান বাস্তবতায় দুদকের সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এ কারণে দুদককে দুর্নীতি দমন ও নিয়ন্ত্রণে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় মামলায় মোকদ্দমা নয় সার্ভিল্যান্স, ইনভেস্টিগেশন, মামলা পরিচালনায় আধুনিকীকরণ, রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
দুদককে নিজস্ব আলাদা প্রসিকিউশন ইউনিট করার তাগিদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা হলে আদালতে দুদকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, অভাবে নয় লোভের কারণে মানুষ দুর্নীতি করে। একসময় দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হতো। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না, এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের অন্যান্য সংস্থার মতোই দুদক কাজ করে যাচ্ছে।
দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের জাতীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। লোভ-লালসা দুর্নীতির প্রধান কারণ। আজ দুর্নীতি শুধু সরকারি অফিসে সীমাবদ্ধ নেই, সবখানেই বাসা বেঁধেছে। দুর্নীতি নির্মূলে দুদক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, অর্থনীতির এই কঠিন সময়ে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশ থেকে নানা উপায়ে টাকা পাচার হচ্ছে, এটা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষিত মানুষ ও অসাধু ব্যবসায়ীরা ডলার পাচার করছে। ডলার পাচারকারীরা দেশের শত্রু।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থ পাচার রোধ করা গেলে আমরা এগিয়ে যেতাম। দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, সহনীয় মাত্রায় আনতে দুদক কাজ করছে। রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে যত অনিয়ম। এই দুই খাতে আপনি আচার্য। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনিয়ম রোধে আপনি ব্যবস্থা নেবেন।’
এর আগে সকালে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এবার ২১তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য—‘উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’।
দিবসটি উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে উদ্যাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। একই সঙ্গে দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সারা দেশে দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী, মানববন্ধন, সেমিনার ও আলোচনা সভা। সেখানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক সংগঠন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দৃশ্যমান ও উন্মুক্ত স্থানে দুর্নীতিবিরোধী বাণীসংবলিত ব্যানার স্থাপন, জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন-বেলুন ওড়ানো, আলোচনা সভা এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়/জেলা কার্যালয়/বিভাগীয় জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ব্যাপক জনসমাগম হয় এমন স্থানে দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। যদিও সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। দুদকের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে, কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
আজ শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলা ভিন্ন খাতে নিতে চেয়েছিল। দেশকে নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টাকে আমরা নানাভাবে প্রতিহত করেছি, ন্যায়ের সঙ্গে আইনের মাধ্যমে। দুদকের সবা্কই আমি সাধুবাদ জানাই। সত্য কথা বলতে গেলে সবাই একমত না। দুই-একজন এর মধ্যে বিট্রে করার চেষ্টা করেছে, যেটা আমি ধরেছি। এটা একটি সুদূরপ্রসারী কাজ। আমাদের তখনকার চেয়ারম্যান ধরতে পারেন নাই। কিন্তু আমি ধরেছি। যে এজাহারটি করা হয়েছে, সেটি ফ্যাক্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। তখন আমি এজাহার বদল করতে বলি।’
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে ঘটা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলায় বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সমস্ত মেগা প্রজেক্টগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয় নাই। এটা সরকারের সাফল্য, সরকারের কর্মকর্তাদের সাফল্য। দুর্নীতি দমন সরকারের জিরো টলারেন্স ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
দুর্নীতিকে প্রান্তিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি যথাযথভাবে কার্যকর করা গেলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আরও গতি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আসুন উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করি। বর্তমান বাস্তবতায় দুদকের সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এ কারণে দুদককে দুর্নীতি দমন ও নিয়ন্ত্রণে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় মামলায় মোকদ্দমা নয় সার্ভিল্যান্স, ইনভেস্টিগেশন, মামলা পরিচালনায় আধুনিকীকরণ, রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
দুদককে নিজস্ব আলাদা প্রসিকিউশন ইউনিট করার তাগিদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা হলে আদালতে দুদকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, অভাবে নয় লোভের কারণে মানুষ দুর্নীতি করে। একসময় দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হতো। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না, এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের অন্যান্য সংস্থার মতোই দুদক কাজ করে যাচ্ছে।
দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের জাতীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। লোভ-লালসা দুর্নীতির প্রধান কারণ। আজ দুর্নীতি শুধু সরকারি অফিসে সীমাবদ্ধ নেই, সবখানেই বাসা বেঁধেছে। দুর্নীতি নির্মূলে দুদক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, অর্থনীতির এই কঠিন সময়ে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশ থেকে নানা উপায়ে টাকা পাচার হচ্ছে, এটা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষিত মানুষ ও অসাধু ব্যবসায়ীরা ডলার পাচার করছে। ডলার পাচারকারীরা দেশের শত্রু।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থ পাচার রোধ করা গেলে আমরা এগিয়ে যেতাম। দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, সহনীয় মাত্রায় আনতে দুদক কাজ করছে। রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে যত অনিয়ম। এই দুই খাতে আপনি আচার্য। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনিয়ম রোধে আপনি ব্যবস্থা নেবেন।’
এর আগে সকালে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এবার ২১তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য—‘উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’।
দিবসটি উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে উদ্যাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। একই সঙ্গে দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সারা দেশে দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী, মানববন্ধন, সেমিনার ও আলোচনা সভা। সেখানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক সংগঠন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দৃশ্যমান ও উন্মুক্ত স্থানে দুর্নীতিবিরোধী বাণীসংবলিত ব্যানার স্থাপন, জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন-বেলুন ওড়ানো, আলোচনা সভা এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়/জেলা কার্যালয়/বিভাগীয় জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ব্যাপক জনসমাগম হয় এমন স্থানে দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। যদিও সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। দুদকের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে, কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
আজ শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলা ভিন্ন খাতে নিতে চেয়েছিল। দেশকে নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টাকে আমরা নানাভাবে প্রতিহত করেছি, ন্যায়ের সঙ্গে আইনের মাধ্যমে। দুদকের সবা্কই আমি সাধুবাদ জানাই। সত্য কথা বলতে গেলে সবাই একমত না। দুই-একজন এর মধ্যে বিট্রে করার চেষ্টা করেছে, যেটা আমি ধরেছি। এটা একটি সুদূরপ্রসারী কাজ। আমাদের তখনকার চেয়ারম্যান ধরতে পারেন নাই। কিন্তু আমি ধরেছি। যে এজাহারটি করা হয়েছে, সেটি ফ্যাক্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। তখন আমি এজাহার বদল করতে বলি।’
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে ঘটা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলায় বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সমস্ত মেগা প্রজেক্টগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয় নাই। এটা সরকারের সাফল্য, সরকারের কর্মকর্তাদের সাফল্য। দুর্নীতি দমন সরকারের জিরো টলারেন্স ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
দুর্নীতিকে প্রান্তিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি যথাযথভাবে কার্যকর করা গেলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আরও গতি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আসুন উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করি। বর্তমান বাস্তবতায় দুদকের সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এ কারণে দুদককে দুর্নীতি দমন ও নিয়ন্ত্রণে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় মামলায় মোকদ্দমা নয় সার্ভিল্যান্স, ইনভেস্টিগেশন, মামলা পরিচালনায় আধুনিকীকরণ, রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
দুদককে নিজস্ব আলাদা প্রসিকিউশন ইউনিট করার তাগিদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা হলে আদালতে দুদকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, অভাবে নয় লোভের কারণে মানুষ দুর্নীতি করে। একসময় দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হতো। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না, এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের অন্যান্য সংস্থার মতোই দুদক কাজ করে যাচ্ছে।
দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের জাতীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। লোভ-লালসা দুর্নীতির প্রধান কারণ। আজ দুর্নীতি শুধু সরকারি অফিসে সীমাবদ্ধ নেই, সবখানেই বাসা বেঁধেছে। দুর্নীতি নির্মূলে দুদক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, অর্থনীতির এই কঠিন সময়ে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশ থেকে নানা উপায়ে টাকা পাচার হচ্ছে, এটা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষিত মানুষ ও অসাধু ব্যবসায়ীরা ডলার পাচার করছে। ডলার পাচারকারীরা দেশের শত্রু।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থ পাচার রোধ করা গেলে আমরা এগিয়ে যেতাম। দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, সহনীয় মাত্রায় আনতে দুদক কাজ করছে। রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে যত অনিয়ম। এই দুই খাতে আপনি আচার্য। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনিয়ম রোধে আপনি ব্যবস্থা নেবেন।’
এর আগে সকালে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এবার ২১তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য—‘উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’।
দিবসটি উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে উদ্যাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। একই সঙ্গে দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সারা দেশে দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী, মানববন্ধন, সেমিনার ও আলোচনা সভা। সেখানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক সংগঠন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দৃশ্যমান ও উন্মুক্ত স্থানে দুর্নীতিবিরোধী বাণীসংবলিত ব্যানার স্থাপন, জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন-বেলুন ওড়ানো, আলোচনা সভা এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়/জেলা কার্যালয়/বিভাগীয় জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ব্যাপক জনসমাগম হয় এমন স্থানে দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। যদিও সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। দুদকের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে, কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
আজ শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলা ভিন্ন খাতে নিতে চেয়েছিল। দেশকে নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টাকে আমরা নানাভাবে প্রতিহত করেছি, ন্যায়ের সঙ্গে আইনের মাধ্যমে। দুদকের সবা্কই আমি সাধুবাদ জানাই। সত্য কথা বলতে গেলে সবাই একমত না। দুই-একজন এর মধ্যে বিট্রে করার চেষ্টা করেছে, যেটা আমি ধরেছি। এটা একটি সুদূরপ্রসারী কাজ। আমাদের তখনকার চেয়ারম্যান ধরতে পারেন নাই। কিন্তু আমি ধরেছি। যে এজাহারটি করা হয়েছে, সেটি ফ্যাক্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। তখন আমি এজাহার বদল করতে বলি।’
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে ঘটা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির মামলায় বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে সমস্ত মেগা প্রজেক্টগুলো নিয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয় নাই। এটা সরকারের সাফল্য, সরকারের কর্মকর্তাদের সাফল্য। দুর্নীতি দমন সরকারের জিরো টলারেন্স ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
দুর্নীতিকে প্রান্তিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি যথাযথভাবে কার্যকর করা গেলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা আরও গতি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আসুন উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করি। বর্তমান বাস্তবতায় দুদকের সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এ কারণে দুদককে দুর্নীতি দমন ও নিয়ন্ত্রণে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় মামলায় মোকদ্দমা নয় সার্ভিল্যান্স, ইনভেস্টিগেশন, মামলা পরিচালনায় আধুনিকীকরণ, রেকর্ড ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
দুদককে নিজস্ব আলাদা প্রসিকিউশন ইউনিট করার তাগিদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা হলে আদালতে দুদকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, অভাবে নয় লোভের কারণে মানুষ দুর্নীতি করে। একসময় দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হতো। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না, এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের অন্যান্য সংস্থার মতোই দুদক কাজ করে যাচ্ছে।
দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের জাতীয় উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। লোভ-লালসা দুর্নীতির প্রধান কারণ। আজ দুর্নীতি শুধু সরকারি অফিসে সীমাবদ্ধ নেই, সবখানেই বাসা বেঁধেছে। দুর্নীতি নির্মূলে দুদক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, অর্থনীতির এই কঠিন সময়ে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশ থেকে নানা উপায়ে টাকা পাচার হচ্ছে, এটা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষিত মানুষ ও অসাধু ব্যবসায়ীরা ডলার পাচার করছে। ডলার পাচারকারীরা দেশের শত্রু।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থ পাচার রোধ করা গেলে আমরা এগিয়ে যেতাম। দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, সহনীয় মাত্রায় আনতে দুদক কাজ করছে। রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে যত অনিয়ম। এই দুই খাতে আপনি আচার্য। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনিয়ম রোধে আপনি ব্যবস্থা নেবেন।’
এর আগে সকালে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এবার ২১তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য—‘উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’।
দিবসটি উপলক্ষে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে উদ্যাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। একই সঙ্গে দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সারা দেশে দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী, মানববন্ধন, সেমিনার ও আলোচনা সভা। সেখানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক সংগঠন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে সারা দেশে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দৃশ্যমান ও উন্মুক্ত স্থানে দুর্নীতিবিরোধী বাণীসংবলিত ব্যানার স্থাপন, জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলন, ফেস্টুন-বেলুন ওড়ানো, আলোচনা সভা এবং গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়/জেলা কার্যালয়/বিভাগীয় জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ব্যাপক জনসমাগম হয় এমন স্থানে দুর্নীতিবিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (আনকাক) সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। যদিও সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। দুদকের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে। কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে। কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে। কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে দুদকে ষড়যন্ত্রকারীরা ছিল, এখনো আছে। আমি (বর্তমান) চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করব। একসময় বলবও আপনাকে। কারা তখনো আমাদের বিচলিত বা বিব্রত করার চেষ্টা করেছে।’
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে