Ajker Patrika

নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে, নিহত ৯ ও আহত ৭২৪: এমএসএফ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে, নিহত ৯ ও আহত ৭২৪: এমএসএফ

নভেম্বর মাসে অক্টোবর মাসের তুলনায় রাজনৈতিক সহিংসতাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে গ্রেপ্তার, সীমান্ত পরিস্থিতি ও নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। নভেম্বর মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।

আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ তথ্য জানায়। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন এবং নিজেদের তথ্যানুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন বলা হয়, নভেম্বরে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে মামলায় অক্টোবরে ১২ জন থেকে নভেম্বর মাসে ৩৮৫-তে পৌঁছায়। এমএসফের ভাষ্যে যা বহুগুণ বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক দমনপীড়ন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। রাজনৈতিক সহিংসতাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অক্টোবরে ৪৯টি সহিংসতার ঘটনায় ৫৪৭ জন আহত ও ২ জন নিহত হয়েছিলেন। পরের মাসে ৭২টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৭২৪ জন আহত এবং নিহত হয়েছেন ৯ জন।

এমএসএফের প্রতিবেদন বলছে, সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে এসব ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না; বরং ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হন। ভারতীয় সীমান্তবর্তী নাগরিকের গুলিতে ১ জন নিহত ও ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা ১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। চোরাকারবারিদের হামলা ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে এক যুবক নিহত হন। ভারতীয় সীমান্তবর্তী বঙ্গোপসাগর থেকে ১০৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। এ ছাড়া নাফ নদী থেকে নৌকাসহ ৪৭ জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছেন।

নারী ও শিশু সহিংসতার ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য এমএসএফের। অক্টোবরের তুলনায় যৌন নিপীড়ন ও শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। অক্টোবরে ছিল ২৪টি যৌন নিপীড়নের ঘটনা, যা নভেম্বরে ২৮টি হয়েছে, শারীরিক নির্যাতন যেখানে ছিল ৫৭টি, সেখানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭টিতে।

এ ছাড়া নভেম্বরে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাসে হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে ঘটেই চলেছে। চলতি সময়ে গণপিটুনির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তা বোধের বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে ভাবিয়ে তুলেছে।

এমএসএফ বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক চর্চা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমমর্যাদা ও নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা জোর দাবি জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৭
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ৩১ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ৩১ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।

ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।

ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’

শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’

এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।

মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচনে এমপি প্রার্থীদের খেলাপি তথ্য হালনাগাদের তাগিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ শিখতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন সমন্বয়কসহ ১২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।

রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩ সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে নিজেদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাবেক ১৩ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার অনুমোদনের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ অবৈধভাবে ভোগদখলের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে দুদক দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ এনেছে।

অভিযোগ রয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটিকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি প্রকৃত উদ্দেশ্যের বাইরে গিয়ে তাঁরা স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১০৬ ও ১০৭তম বোর্ডসভায় বেআইনিভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় ‘ফ্ল্যাট দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানের নীতিমালা-২০১৮’ অনুমোদন করা হয়। কিন্তু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে অধিগ্রহণ করা ৪০ একর জমি পরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৯৯ বছরের লিজে আবাসন বরাদ্দে ব্যবহার করা হয়, যা গেজেটের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

দুদক জানায়, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার কথা থাকলেও সেতু কর্তৃপক্ষ তা নেয়নি। সেতু কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আইনেও এ ধরনের আবাসন প্রকল্প গ্রহণের কোনো ক্ষমতা নেই। এমনকি সরকারি নীতিমালা গেজেটে প্রকাশ বাধ্যতামূলক হলেও ‘নীতিমালা, ২০১৮’ কোনো গেজেটে প্রকাশ করা হয়নি। সব মিলিয়ে এটি ছিল সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া একটি প্রকল্প।

ওবায়দুল কাদের ছাড়াও মামলায় অপর আসামিরা হলেন সেতু বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সাবেক বিদ্যুৎ-সচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. আবদুল জলিল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক অর্থসচিব ও সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য ও সাবেক সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, ইআরডির সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আজম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইআরডির সাবেক সচিব ড. আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত