নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরির বিষয়ে কমিটি কাজ করছে। নতুন করে শতাধিক আবেদন পড়েছে। ২৬ মার্চের আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না—জাতির এই দাবির সঙ্গে একমত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘“পাকিস্তান আমলে এর চেয়ে ভালো ছিলাম”—এই কথা বলে তারা কী বোঝাতে চায়? তাদের দোসররাই পারে এসব কথা বলতে। তারাই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি।’
একই সময়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখনো সক্রিয়। বিদেশে যারা পলাতক রয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ১০ তারিখে বিএনপি যে কর্মসূচি পালন করেছিল, হানাদার বাহিনীও ১৯৭১ সালে এভাবে দেশকে ধ্বংস করে কর্মসূচি দিয়েছিল।’
এর পরপরই শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল জামায়াতে ইসলামী। আর তাদের সঙ্গে বিএনপি জোট করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, গুম হয়েছিল। এদিন থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সেই ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছে। যারা যুদ্ধাপরাধী, তাদের ইতিমধ্যে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে কারণে জীবন দিয়েছিলেন, শাহাদত বরণ করেছিলেন। সেই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এটার কারণ হলো, তারা ছিল অত্যন্ত মানবিক, উদারনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।’
বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ছাড়াও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ১৪ ডিসেম্বর রাতে নিহত, নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানেরাও। তাঁরাও সরকারের কাছে পুরোনো দাবিগুলোই এবারও তুলেছেন। যেগুলো এত বছর পরেও বাস্তবায়িত না হওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে জানানো হয়নি এখনো। জাতি জানতে চায়, সরকার কেন তাদের ফিরিয়ে আনতে পারল না।’
বুদ্ধিজীবী সৈয়দ মোর্শেদ আলীর সন্তান তাহমিনা খান বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বরের বীভৎসতার স্বীকৃতি আমাদের দাবি। স্বজনদের রক্তের দাবি আমরা ছাড়ব না। সেই গণহত্যার কথা পৃথিবীতে তুলে ধরুন। পরবর্তী প্রজন্মও যেন এই দাবিতে সোচ্চার থাকে।’
এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমরেড খলিকুজ্জামান, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও পেশাজীবী নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরির বিষয়ে কমিটি কাজ করছে। নতুন করে শতাধিক আবেদন পড়েছে। ২৬ মার্চের আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে রায়েরবাজার বদ্ধভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না—জাতির এই দাবির সঙ্গে একমত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘“পাকিস্তান আমলে এর চেয়ে ভালো ছিলাম”—এই কথা বলে তারা কী বোঝাতে চায়? তাদের দোসররাই পারে এসব কথা বলতে। তারাই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি।’
একই সময়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখনো সক্রিয়। বিদেশে যারা পলাতক রয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ১০ তারিখে বিএনপি যে কর্মসূচি পালন করেছিল, হানাদার বাহিনীও ১৯৭১ সালে এভাবে দেশকে ধ্বংস করে কর্মসূচি দিয়েছিল।’
এর পরপরই শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল জামায়াতে ইসলামী। আর তাদের সঙ্গে বিএনপি জোট করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, গুম হয়েছিল। এদিন থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সেই ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছে। যারা যুদ্ধাপরাধী, তাদের ইতিমধ্যে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে কারণে জীবন দিয়েছিলেন, শাহাদত বরণ করেছিলেন। সেই লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও দর্শন নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এটার কারণ হলো, তারা ছিল অত্যন্ত মানবিক, উদারনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী।’
বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ছাড়াও শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ১৪ ডিসেম্বর রাতে নিহত, নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানেরাও। তাঁরাও সরকারের কাছে পুরোনো দাবিগুলোই এবারও তুলেছেন। যেগুলো এত বছর পরেও বাস্তবায়িত না হওয়ায় তাঁরা ক্ষোভ জানিয়েছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে জানানো হয়নি এখনো। জাতি জানতে চায়, সরকার কেন তাদের ফিরিয়ে আনতে পারল না।’
বুদ্ধিজীবী সৈয়দ মোর্শেদ আলীর সন্তান তাহমিনা খান বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বরের বীভৎসতার স্বীকৃতি আমাদের দাবি। স্বজনদের রক্তের দাবি আমরা ছাড়ব না। সেই গণহত্যার কথা পৃথিবীতে তুলে ধরুন। পরবর্তী প্রজন্মও যেন এই দাবিতে সোচ্চার থাকে।’
এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমরেড খলিকুজ্জামান, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও পেশাজীবী নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
কৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য কৃষকদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ইতিমধ্যে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি ছিল এ বিষয়ে অংশীজনদের মতামত জানানোর শেষ দিন।
২ ঘণ্টা আগেহাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
২ ঘণ্টা আগেগতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
৮ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
১৪ ঘণ্টা আগে