এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি। এই সংখ্যা এরই মধ্যে আরও বেড়েছে। বিচারক স্বল্পতাকেই মামলা জটের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিচারকের স্বল্পতা নিয়ে প্রথম কর্ম দিবসেই কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। প্রথম কার্যদিবসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে মাত্র এক হাজার নয় শত বিচারকের কাধে যে বিপুল পরিমাণ মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে, তা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই সুখকর নয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাঁর বিদায়ী সংবর্ধনায় মামলা জটের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য যে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় আমাদের বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। মামলাজট নিরসনে দেশের অধস্তন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারকের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।’
এদিকে মামলা জট কমাতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের ১১২টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর যুগ্ম জেলা জজের ১৫৯টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালে চিঠি দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সময়েও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ৭৩টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অনুমোদনের পর এখন সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য রয়েছে। আর যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদনের পর এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেউ।
যদিও গত রোববার মামলা জটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, জট কমাতে যা যা প্রয়োজন সরকার তাই করবে। তিনি বলেন, আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করব।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়টি অনেক আগের, তাই আমি কিছু জানি না। পদ সৃষ্টি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে জট কমাতে বিচারক নিয়োগ হওয়া দরকার।’
এদিকে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের চিঠির পর পদ সৃষ্টি করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছে। অতিরিক্ত জেলা জজদের পদ সৃষ্টি হয়ে গেছে, এখন সচিব কমিটিতে আছে। আর যুগ্ম জেলা জজের বিষয়টি জনপ্রশাসনে আছে বলে জানান তিনি।
১১২টি অতিরিক্ত জেলা জজের পদ
নিম্ন আদালতে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় সারা দেশের আদালতে ১১২ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই চিঠিতে বিভিন্ন জেলায় সহায়ক কর্মকর্তা–কর্মচারিসহ ৯১টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ২১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এর পদ সৃষ্টির জন্য বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে অধস্তন আদালতে ৩০ লাখ মামলা (ওই সময় পর্যন্ত) বিচারাধীন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মামলার সংখ্যা। বিদ্যমান বিচারক দিয়ে পাহাড়সম মামলা জটের প্রেক্ষাপটে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য ন্যায় বিচার করা দুরূহ।
ওই চিঠিতে বিচারকের তুলনায় মামলার অনুপাত উল্লেখ করা হয় ১: ১৮৭৫। এর মধ্যে পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজের কারণে ১০ ভাগ পদ শূন্য থাকে। ম্যাজিস্ট্রেসির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য বিচারক ও মামলার সুষম অনুপাত ১: ৫৭৮ হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকেরা একাধারে দেওয়ানি, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, আপিল ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত, শিশু আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার করেন।
ন্যায় বিচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৫৯টি যুগ্ম জেলা জজের পদ
১৫৯ জন যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে ১১১টি যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, ৩৪টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ও ১৪টি অর্থ ঋণ আদালত। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ এবং অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে বলা হয়, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ একই সঙ্গে দেওয়ানি আদালত, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলার বিচার করেন। যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত অপেক্ষাকৃত গুরুতর দায়রা মামলার বিচার করেন। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ আদায় সংক্রান্ত মামলার বিচার করেন অর্থঋণ আদালত।

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি। এই সংখ্যা এরই মধ্যে আরও বেড়েছে। বিচারক স্বল্পতাকেই মামলা জটের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিচারকের স্বল্পতা নিয়ে প্রথম কর্ম দিবসেই কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। প্রথম কার্যদিবসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে মাত্র এক হাজার নয় শত বিচারকের কাধে যে বিপুল পরিমাণ মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে, তা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই সুখকর নয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাঁর বিদায়ী সংবর্ধনায় মামলা জটের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য যে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় আমাদের বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। মামলাজট নিরসনে দেশের অধস্তন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারকের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।’
এদিকে মামলা জট কমাতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের ১১২টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর যুগ্ম জেলা জজের ১৫৯টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালে চিঠি দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সময়েও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ৭৩টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অনুমোদনের পর এখন সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য রয়েছে। আর যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদনের পর এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেউ।
যদিও গত রোববার মামলা জটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, জট কমাতে যা যা প্রয়োজন সরকার তাই করবে। তিনি বলেন, আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করব।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়টি অনেক আগের, তাই আমি কিছু জানি না। পদ সৃষ্টি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে জট কমাতে বিচারক নিয়োগ হওয়া দরকার।’
এদিকে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের চিঠির পর পদ সৃষ্টি করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছে। অতিরিক্ত জেলা জজদের পদ সৃষ্টি হয়ে গেছে, এখন সচিব কমিটিতে আছে। আর যুগ্ম জেলা জজের বিষয়টি জনপ্রশাসনে আছে বলে জানান তিনি।
১১২টি অতিরিক্ত জেলা জজের পদ
নিম্ন আদালতে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় সারা দেশের আদালতে ১১২ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই চিঠিতে বিভিন্ন জেলায় সহায়ক কর্মকর্তা–কর্মচারিসহ ৯১টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ২১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এর পদ সৃষ্টির জন্য বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে অধস্তন আদালতে ৩০ লাখ মামলা (ওই সময় পর্যন্ত) বিচারাধীন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মামলার সংখ্যা। বিদ্যমান বিচারক দিয়ে পাহাড়সম মামলা জটের প্রেক্ষাপটে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য ন্যায় বিচার করা দুরূহ।
ওই চিঠিতে বিচারকের তুলনায় মামলার অনুপাত উল্লেখ করা হয় ১: ১৮৭৫। এর মধ্যে পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজের কারণে ১০ ভাগ পদ শূন্য থাকে। ম্যাজিস্ট্রেসির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য বিচারক ও মামলার সুষম অনুপাত ১: ৫৭৮ হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকেরা একাধারে দেওয়ানি, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, আপিল ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত, শিশু আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার করেন।
ন্যায় বিচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৫৯টি যুগ্ম জেলা জজের পদ
১৫৯ জন যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে ১১১টি যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, ৩৪টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ও ১৪টি অর্থ ঋণ আদালত। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ এবং অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে বলা হয়, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ একই সঙ্গে দেওয়ানি আদালত, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলার বিচার করেন। যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত অপেক্ষাকৃত গুরুতর দায়রা মামলার বিচার করেন। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ আদায় সংক্রান্ত মামলার বিচার করেন অর্থঋণ আদালত।
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি। এই সংখ্যা এরই মধ্যে আরও বেড়েছে। বিচারক স্বল্পতাকেই মামলা জটের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিচারকের স্বল্পতা নিয়ে প্রথম কর্ম দিবসেই কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। প্রথম কার্যদিবসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে মাত্র এক হাজার নয় শত বিচারকের কাধে যে বিপুল পরিমাণ মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে, তা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই সুখকর নয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাঁর বিদায়ী সংবর্ধনায় মামলা জটের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য যে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় আমাদের বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। মামলাজট নিরসনে দেশের অধস্তন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারকের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।’
এদিকে মামলা জট কমাতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের ১১২টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর যুগ্ম জেলা জজের ১৫৯টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালে চিঠি দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সময়েও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ৭৩টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অনুমোদনের পর এখন সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য রয়েছে। আর যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদনের পর এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেউ।
যদিও গত রোববার মামলা জটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, জট কমাতে যা যা প্রয়োজন সরকার তাই করবে। তিনি বলেন, আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করব।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়টি অনেক আগের, তাই আমি কিছু জানি না। পদ সৃষ্টি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে জট কমাতে বিচারক নিয়োগ হওয়া দরকার।’
এদিকে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের চিঠির পর পদ সৃষ্টি করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছে। অতিরিক্ত জেলা জজদের পদ সৃষ্টি হয়ে গেছে, এখন সচিব কমিটিতে আছে। আর যুগ্ম জেলা জজের বিষয়টি জনপ্রশাসনে আছে বলে জানান তিনি।
১১২টি অতিরিক্ত জেলা জজের পদ
নিম্ন আদালতে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় সারা দেশের আদালতে ১১২ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই চিঠিতে বিভিন্ন জেলায় সহায়ক কর্মকর্তা–কর্মচারিসহ ৯১টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ২১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এর পদ সৃষ্টির জন্য বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে অধস্তন আদালতে ৩০ লাখ মামলা (ওই সময় পর্যন্ত) বিচারাধীন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মামলার সংখ্যা। বিদ্যমান বিচারক দিয়ে পাহাড়সম মামলা জটের প্রেক্ষাপটে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য ন্যায় বিচার করা দুরূহ।
ওই চিঠিতে বিচারকের তুলনায় মামলার অনুপাত উল্লেখ করা হয় ১: ১৮৭৫। এর মধ্যে পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজের কারণে ১০ ভাগ পদ শূন্য থাকে। ম্যাজিস্ট্রেসির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য বিচারক ও মামলার সুষম অনুপাত ১: ৫৭৮ হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকেরা একাধারে দেওয়ানি, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, আপিল ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত, শিশু আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার করেন।
ন্যায় বিচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৫৯টি যুগ্ম জেলা জজের পদ
১৫৯ জন যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে ১১১টি যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, ৩৪টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ও ১৪টি অর্থ ঋণ আদালত। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ এবং অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে বলা হয়, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ একই সঙ্গে দেওয়ানি আদালত, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলার বিচার করেন। যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত অপেক্ষাকৃত গুরুতর দায়রা মামলার বিচার করেন। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ আদায় সংক্রান্ত মামলার বিচার করেন অর্থঋণ আদালত।

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি। এই সংখ্যা এরই মধ্যে আরও বেড়েছে। বিচারক স্বল্পতাকেই মামলা জটের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিচারকের স্বল্পতা নিয়ে প্রথম কর্ম দিবসেই কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। প্রথম কার্যদিবসে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে মাত্র এক হাজার নয় শত বিচারকের কাধে যে বিপুল পরিমাণ মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে, তা বিচার বিভাগের জন্য কোনোভাবেই সুখকর নয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাঁর বিদায়ী সংবর্ধনায় মামলা জটের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য যে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় আমাদের বিচারকের সংখ্যা অপ্রতুল। মামলাজট নিরসনে দেশের অধস্তন আদালত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারকের সংখ্যা পর্যায়ক্রমে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।’
এদিকে মামলা জট কমাতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের ১১২টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালে চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর যুগ্ম জেলা জজের ১৫৯টি পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালে চিঠি দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘ সময়েও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ৭৩টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অনুমোদনের পর এখন সচিব কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য রয়েছে। আর যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদনের পর এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেউ।
যদিও গত রোববার মামলা জটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, জট কমাতে যা যা প্রয়োজন সরকার তাই করবে। তিনি বলেন, আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করব।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়টি অনেক আগের, তাই আমি কিছু জানি না। পদ সৃষ্টি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে জট কমাতে বিচারক নিয়োগ হওয়া দরকার।’
এদিকে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের চিঠির পর পদ সৃষ্টি করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আছে। অতিরিক্ত জেলা জজদের পদ সৃষ্টি হয়ে গেছে, এখন সচিব কমিটিতে আছে। আর যুগ্ম জেলা জজের বিষয়টি জনপ্রশাসনে আছে বলে জানান তিনি।
১১২টি অতিরিক্ত জেলা জজের পদ
নিম্ন আদালতে মামলার সংখ্যা বিবেচনায় সারা দেশের আদালতে ১১২ জন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই চিঠিতে বিভিন্ন জেলায় সহায়ক কর্মকর্তা–কর্মচারিসহ ৯১টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং ২১টি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এর পদ সৃষ্টির জন্য বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে অধস্তন আদালতে ৩০ লাখ মামলা (ওই সময় পর্যন্ত) বিচারাধীন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মামলার সংখ্যা। বিদ্যমান বিচারক দিয়ে পাহাড়সম মামলা জটের প্রেক্ষাপটে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য ন্যায় বিচার করা দুরূহ।
ওই চিঠিতে বিচারকের তুলনায় মামলার অনুপাত উল্লেখ করা হয় ১: ১৮৭৫। এর মধ্যে পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজের কারণে ১০ ভাগ পদ শূন্য থাকে। ম্যাজিস্ট্রেসির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য বিচারক ও মামলার সুষম অনুপাত ১: ৫৭৮ হওয়া উচিত বলে উল্লেখ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকেরা একাধারে দেওয়ানি, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ, আপিল ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত, শিশু আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার করেন।
ন্যায় বিচারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
১৫৯টি যুগ্ম জেলা জজের পদ
১৫৯ জন যুগ্ম জেলা জজের পদ সৃষ্টি করতে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল চিঠি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে ১১১টি যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, ৩৪টি যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ ও ১৪টি অর্থ ঋণ আদালত। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারী। দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের অনেক জেলায় যুগ্ম–জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ এবং অর্থ ঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যাধিক্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত সময়ে বিচার প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে বলা হয়, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ একই সঙ্গে দেওয়ানি আদালত, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল, দায়রা আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি মামলার বিচার করেন। যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত অপেক্ষাকৃত গুরুতর দায়রা মামলার বিচার করেন। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ আদায় সংক্রান্ত মামলার বিচার করেন অর্থঋণ আদালত।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৬ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ৪০০ নেতাকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব রোধে ছোট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেজোটের ভোটে নির্বাচনী প্রতীক
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি চায়, আগের মতোই অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাক জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধানের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে ইসি এখন কী করবে—সবাই তাকিয়ে সেদিকেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আমাদের কাজ করে দিয়েছি।’
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, জোটের ভোটে প্রতীকের বিষয়টি এখন আর ইসির হাতে নেই; এটি ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি এখন সরকারের হাতে চলে গেছে।
গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে আরপিওর ২০ ধারায় আনা সংশোধনী পরিবর্তন করে আগের মতো দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীকে ভোট করার দাবি জানান। একই দিন জোটের ভোটে দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে একই দাবি জানিয়ে ইসিতে চিঠি দেয় ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। তবে গত মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইসিতে ১৮ দফা সুপারিশের মধ্যে তারা উল্লেখ করে, উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে।
এ ছাড়া গতকাল বুধবার ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নুরুল হক নুর বলেন, জোটের ভোটে দলগুলোর নিজ নিজ প্রতীকের ভোটে তাদের সম্মতি রয়েছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান। তবে কালোটাকা ও পেশিশক্তি মুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন আয়োজন, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবহার, কেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
সংশোধিত আরপিওর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো—আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে; নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে, তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে; ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে, তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন; প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে, আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে; কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল, সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসির পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে; প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো, সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে; কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে; যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে; এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রভৃতি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগেও ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাঁরা যদি মনে করতেন, ভোট গ্রহণ চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই, তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করতে পারতেন। তবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সেই ক্ষমতা কিছুটা কমিয়েছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করার সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের এক দিনের জন্য যতই শক্তিশালী করা হোক না কেন, তা তেমন কাজে আসবে না। এক দিন ক্ষমতা দেখিয়ে পরে তাঁরা বরং স্থানীয়ভাবে ঝামেলায় পড়তে পারেন। কারণ, অতীতে অনেকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই নির্বাচনেরও পরেও মাসখানেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আইনি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি চায়, আগের মতোই অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পাক জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধানের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে ইসি এখন কী করবে—সবাই তাকিয়ে সেদিকেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘আমরা তো আমাদের কাজ করে দিয়েছি।’
ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, জোটের ভোটে প্রতীকের বিষয়টি এখন আর ইসির হাতে নেই; এটি ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি এখন সরকারের হাতে চলে গেছে।
গত রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠক করে আরপিওর ২০ ধারায় আনা সংশোধনী পরিবর্তন করে আগের মতো দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীকে ভোট করার দাবি জানান। একই দিন জোটের ভোটে দলগুলোর ইচ্ছেমতো প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে একই দাবি জানিয়ে ইসিতে চিঠি দেয় ববি হাজ্জাজের দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)। তবে গত মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের পক্ষে ভোট করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইসিতে ১৮ দফা সুপারিশের মধ্যে তারা উল্লেখ করে, উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ২০ নম্বর অনুচ্ছেদের সর্বশেষ সংশোধনীর বিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিধান বহাল রাখতে হবে।
এ ছাড়া গতকাল বুধবার ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) নুরুল হক নুর বলেন, জোটের ভোটে দলগুলোর নিজ নিজ প্রতীকের ভোটে তাদের সম্মতি রয়েছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান। তবে কালোটাকা ও পেশিশক্তি মুক্ত, ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন আয়োজন, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবহার, কেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
সংশোধিত আরপিওর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো—আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে; নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে, তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে; ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে, তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে; এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন; প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে, আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, এটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে; কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল, সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসির পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে; প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো, সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে; কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে; যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে; এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রভৃতি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগেও ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাঁরা যদি মনে করতেন, ভোট গ্রহণ চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই, তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করতে পারতেন। তবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সেই ক্ষমতা কিছুটা কমিয়েছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করার সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের এক দিনের জন্য যতই শক্তিশালী করা হোক না কেন, তা তেমন কাজে আসবে না। এক দিন ক্ষমতা দেখিয়ে পরে তাঁরা বরং স্থানীয়ভাবে ঝামেলায় পড়তে পারেন। কারণ, অতীতে অনেকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তাই নির্বাচনেরও পরেও মাসখানেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আইনি সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। তাহলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি
১২ জানুয়ারি ২০২২
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ৪০০ নেতাকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব রোধে ছোট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে তাঁকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
জবানবন্দিতে আশরাফুল হাসান বলেন, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ডিউটি করার সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁকে জানান, আশুলিয়া থানাসংলগ্ন মুনির ও লতিফ মণ্ডলের পুরোনো টিনশেড বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েকটি গুলি পড়ে আছে। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি চার্জারসহ ছয়টি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেন। এসব গুলির পেছনে ইংরেজিতে ৭.৬২ লেখাসহ অন্যান্য লেখা ছিল। তিনি গুলিগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশ গুলি চালানোর পর ছয় তরুণকে ভ্যানে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে ছয়জনের দেহ আগুনে পুড়ে যায়। তবে পোড়ানোর সময় একজনের দেহে প্রাণ ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুনানির সময় এই মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন ও কনস্টেবল মুকুল। এ ছাড়া সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আটজন এখনো পলাতক।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে তাঁকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
জবানবন্দিতে আশরাফুল হাসান বলেন, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ডিউটি করার সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁকে জানান, আশুলিয়া থানাসংলগ্ন মুনির ও লতিফ মণ্ডলের পুরোনো টিনশেড বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় কয়েকটি গুলি পড়ে আছে। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি চার্জারসহ ছয়টি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করেন। এসব গুলির পেছনে ইংরেজিতে ৭.৬২ লেখাসহ অন্যান্য লেখা ছিল। তিনি গুলিগুলো আলামত হিসেবে জব্দ করেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশ গুলি চালানোর পর ছয় তরুণকে ভ্যানে তুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে ছয়জনের দেহ আগুনে পুড়ে যায়। তবে পোড়ানোর সময় একজনের দেহে প্রাণ ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুনানির সময় এই মামলায় গ্রেপ্তার আটজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন ও কনস্টেবল মুকুল। এ ছাড়া সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আটজন এখনো পলাতক।

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি
১২ জানুয়ারি ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৬ মিনিট আগে
বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ৪০০ নেতাকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব রোধে ছোট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ৪০০ নেতাকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) একটা স্থানীয় মিডিয়ায় দেখলাম, আইসিসিতে তাঁর পার্টি একটি ক্লেইম করছে। সেখানে তিনি যে ভয়ানক রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তার কোনো উল্লেখ আমরা সেখানে দেখি নাই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করছে, ৪০০ জন মারা গেছে। সেটাও আনকনটেস্টেড দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ যারা জমা দিয়েছেন, আমাদের টাকা চুরি করেছেন, সেই টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দামি ল ফার্মকে নিয়োগ করে, এই ধরনের কাজ তারা করছেন। আমাদের দেশের চুরির টাকায় এই কাজটি করেছেন, এটাকেও আবার কেউ কেউ প্রমোট করছেন।’
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি আইসিসিতে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে বল হয়, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ‘প্রায় ৪০০’ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের অনেককে ‘মব তৈরি করে পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়। এসব ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ও সাক্ষ্য যুক্ত করে নথিতে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
আবেদনে বলা হয়, এসব হত্যা, বেআইনি আটক ও নির্যাতনের ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার বাংলাদেশে হওয়ার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের ‘অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার করে জামিন বা অভিযোগ ছাড়াই কারাগারে পাঠানোর’ অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।
আবেদনে বলা হয়েছে, রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে অভিনেতা ও সংগীতশিল্পীর মতো বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এই ‘নিপীড়নের’ শিকার হচ্ছেন।
সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে কারাগারে ‘অন্তত ২৫ জন’ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’ বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরে ‘নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন’ পাওয়া গেছে।
আইনজীবী স্টিভেন পাওলস বলছেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘ডেভিল হান্ট’ নামে যে অভিযান শুরু করে, যার ঘোষিত লক্ষ্য ছিল ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ’ দমন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ওই অভিযানে মাত্র ১২ দিনে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইসিসিতে জমা দেওয়া আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ‘ইমিউনিটি অর্ডার’ জারি করে, যাতে বলা হয়েছিল—১৫ জুলাই থেকে ৮ অগাস্টের মধ্যে আন্দোলনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।
অভিযোগে বলা হয়, এ ধরনের একতরফা দায়মুক্তি শুধু অপরাধীদের পার পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে না, বরং এসব হামলার প্রতি রাষ্ট্রের নীরব সমর্থনেরও ইঙ্গিত দেয়।
সেখানে আরও বলা হয়, তদন্তের মাধ্যমে এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণ সম্ভব হবে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় প্রতিশোধমূলক সহিংসতা এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে; এবং এই ধরনের অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে।
আবেদনে আইসিসির রোম সংবিধির ১৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী তদন্ত শুরু করতে আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম সংবিধিতে অনুসমর্থন করে বাংলাদেশ; ওই বছরের ১ জুন থেকে তা কার্যকর হয়।
এমন এক সময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইসিসিতে অভিযোগ করা হল, যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ৪০০ নেতাকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) একটা স্থানীয় মিডিয়ায় দেখলাম, আইসিসিতে তাঁর পার্টি একটি ক্লেইম করছে। সেখানে তিনি যে ভয়ানক রকম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তার কোনো উল্লেখ আমরা সেখানে দেখি নাই। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করছে, ৪০০ জন মারা গেছে। সেটাও আনকনটেস্টেড দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ যারা জমা দিয়েছেন, আমাদের টাকা চুরি করেছেন, সেই টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দামি ল ফার্মকে নিয়োগ করে, এই ধরনের কাজ তারা করছেন। আমাদের দেশের চুরির টাকায় এই কাজটি করেছেন, এটাকেও আবার কেউ কেউ প্রমোট করছেন।’
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি আইসিসিতে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে বল হয়, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ‘প্রায় ৪০০’ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের অনেককে ‘মব তৈরি করে পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়। এসব ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ও সাক্ষ্য যুক্ত করে নথিতে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
আবেদনে বলা হয়, এসব হত্যা, বেআইনি আটক ও নির্যাতনের ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার বাংলাদেশে হওয়ার কোনো বাস্তব সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের ‘অযৌক্তিকভাবে গ্রেপ্তার করে জামিন বা অভিযোগ ছাড়াই কারাগারে পাঠানোর’ অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।
আবেদনে বলা হয়েছে, রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক থেকে শুরু করে অভিনেতা ও সংগীতশিল্পীর মতো বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এই ‘নিপীড়নের’ শিকার হচ্ছেন।
সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে কারাগারে ‘অন্তত ২৫ জন’ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের মৃত্যুর কারণ ‘হৃদরোগ’ বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরে ‘নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন’ পাওয়া গেছে।
আইনজীবী স্টিভেন পাওলস বলছেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘ডেভিল হান্ট’ নামে যে অভিযান শুরু করে, যার ঘোষিত লক্ষ্য ছিল ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ’ দমন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ওই অভিযানে মাত্র ১২ দিনে প্রায় ১৮ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইসিসিতে জমা দেওয়া আবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ‘ইমিউনিটি অর্ডার’ জারি করে, যাতে বলা হয়েছিল—১৫ জুলাই থেকে ৮ অগাস্টের মধ্যে আন্দোলনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।
অভিযোগে বলা হয়, এ ধরনের একতরফা দায়মুক্তি শুধু অপরাধীদের পার পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে না, বরং এসব হামলার প্রতি রাষ্ট্রের নীরব সমর্থনেরও ইঙ্গিত দেয়।
সেখানে আরও বলা হয়, তদন্তের মাধ্যমে এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণ সম্ভব হবে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় প্রতিশোধমূলক সহিংসতা এখন বৈশ্বিক উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে; এবং এই ধরনের অপরাধ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে।
আবেদনে আইসিসির রোম সংবিধির ১৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী তদন্ত শুরু করতে আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম সংবিধিতে অনুসমর্থন করে বাংলাদেশ; ওই বছরের ১ জুন থেকে তা কার্যকর হয়।
এমন এক সময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইসিসিতে অভিযোগ করা হল, যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে।

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি
১২ জানুয়ারি ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৬ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব রোধে ছোট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব রোধে ছোট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান (পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন) ফেরদৌস মুত্তাকিম, বৈশ্বিক লিগ্যাল বিজনেস পার্টনার আদিল শাহ ও টিকটকের বাংলাদেশপ্রধান আবু নাঈম উপস্থিত ছিলেন।
তবে বৈঠকের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি টিকটক প্রতিনিধিরা। তাঁরা এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করেছেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব রোধে ছোট ভিডিওর জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে টিকটকের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান (পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন) ফেরদৌস মুত্তাকিম, বৈশ্বিক লিগ্যাল বিজনেস পার্টনার আদিল শাহ ও টিকটকের বাংলাদেশপ্রধান আবু নাঈম উপস্থিত ছিলেন।
তবে বৈঠকের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি টিকটক প্রতিনিধিরা। তাঁরা এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করেছেন।

সারা দেশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে মামলার সংখ্যা। তবে সে অনুসারে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আর তাই তৈরি হচ্ছে মামলা জট। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিচারাধীন ছিল ৪১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭২টি মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৬১টি
১২ জানুয়ারি ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে প্রার্থীকে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২০ ধারায় সংশোধনী আনছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হলে এতে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।
৬ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন। আজ বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান। জবানবন্দি শেষে
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ থেকে চুরি করা অর্থ দিয়ে বিদেশি আইনি পরামর্শক নিয়োগের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ৪০০ নেতাকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে