নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ১৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
ডিএনসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) মোস্তাক আহমেদ জানান, সিপাহি পদে ১ হাজার ৮২ জন এবং ওয়্যারলেস অপারেটর পদে ১২৪ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ডিএনসি প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
মোস্তাক আহমেদ জানান, পূর্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণাচক্রকে পরীক্ষার আগেই শনাক্ত করে তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রাখা হয়। পরীক্ষার দিন অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতির চেষ্টাকালে ৫ পরীক্ষার্থীকে এবং অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসা ১৩ ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএনসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেন। এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
ডিএনসি জানিয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পরীক্ষার ফল একই দিন প্রকাশ করা হয় এবং ভবিষ্যতের সব নিয়োগেও একই ধরনের কঠোরতা বজায় থাকবে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যোগ্য প্রার্থীরাই যেন দেশের মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য জালিয়াতিমুক্ত নিয়োগপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ১৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
ডিএনসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) মোস্তাক আহমেদ জানান, সিপাহি পদে ১ হাজার ৮২ জন এবং ওয়্যারলেস অপারেটর পদে ১২৪ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ডিএনসি প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
মোস্তাক আহমেদ জানান, পূর্বপ্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণাচক্রকে পরীক্ষার আগেই শনাক্ত করে তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রাখা হয়। পরীক্ষার দিন অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতির চেষ্টাকালে ৫ পরীক্ষার্থীকে এবং অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসা ১৩ ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএনসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেন। এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি সরঞ্জামও জব্দ করা হয়।
ডিএনসি জানিয়েছে, নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পরীক্ষার ফল একই দিন প্রকাশ করা হয় এবং ভবিষ্যতের সব নিয়োগেও একই ধরনের কঠোরতা বজায় থাকবে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, যোগ্য প্রার্থীরাই যেন দেশের মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য জালিয়াতিমুক্ত নিয়োগপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হবে।

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯০ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। অন্যান্য অভিযোগে আরও ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন ‘শতভাগ প্রস্তুত’ থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ শনিবার এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে তাঁদের লাশ তোলা হবে। আগামীকাল রোববার রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তাঁদের লাশ উত্তোলন শুরু হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯০ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। অন্যান্য অভিযোগে আরও ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন এ তথ্য জানান।
অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও বিপজ্জনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে—একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, সাতটি গুলি, দুটি চায়নিজ কুড়াল, দুটি বার্মিজ চাকু, একটি ক্ষুর, চারটি হাঁসুয়া, দুটি রামদা, দুটি চাপাতি, একটি চাকু, দুটি ককটেল, দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি রিভলবার এবং দুটি গুলির খোসা।
শাহাদাত হোসাইন বলেন, এ ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান থাকবে।

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯০ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। অন্যান্য অভিযোগে আরও ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন এ তথ্য জানান।
অভিযানে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও বিপজ্জনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে—একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, সাতটি গুলি, দুটি চায়নিজ কুড়াল, দুটি বার্মিজ চাকু, একটি ক্ষুর, চারটি হাঁসুয়া, দুটি রামদা, দুটি চাপাতি, একটি চাকু, দুটি ককটেল, দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি রিভলবার এবং দুটি গুলির খোসা।
শাহাদাত হোসাইন বলেন, এ ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান থাকবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ১৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
১৮ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন ‘শতভাগ প্রস্তুত’ থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ শনিবার এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে তাঁদের লাশ তোলা হবে। আগামীকাল রোববার রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তাঁদের লাশ উত্তোলন শুরু হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন ‘শতভাগ প্রস্তুত’ থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই), ইউএনডিপি ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘আমি আজ সকাল থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মিটিংয়ে ছিলাম। বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ এই পর্যায়ে ইসি কতভাগ প্রস্তুত, এ প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এখন আমরা শতভাগ প্রস্তুত।’
এ সময় তফসিল ঘোষণার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত তফসিল ঘোষণার দিন নির্ধারণ হয়নি।’
এর আগে ২৯ নভেম্বর শেরেবাংলা নগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মক ভোটিং পরিদর্শন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আশা প্রকাশ করেন যে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন ‘শতভাগ প্রস্তুত’ থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই), ইউএনডিপি ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, ‘আমি আজ সকাল থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মিটিংয়ে ছিলাম। বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’ এই পর্যায়ে ইসি কতভাগ প্রস্তুত, এ প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এখন আমরা শতভাগ প্রস্তুত।’
এ সময় তফসিল ঘোষণার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত তফসিল ঘোষণার দিন নির্ধারণ হয়নি।’
এর আগে ২৯ নভেম্বর শেরেবাংলা নগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে মক ভোটিং পরিদর্শন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আশা প্রকাশ করেন যে, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ১৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
১৮ অক্টোবর ২০২৫
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯০ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। অন্যান্য অভিযোগে আরও ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে তাঁদের লাশ তোলা হবে। আগামীকাল রোববার রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তাঁদের লাশ উত্তোলন শুরু হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে তাঁদের লাশ তোলা হবে। আগামীকাল রোববার রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তাঁদের লাশ উত্তোলন শুরু হবে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, লাশ উত্তোলনের জন্য অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ উত্তোলন শুরু হবে। তখন বিশেষজ্ঞ টিম লাশ শনাক্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
লাশ উত্তোলনের অংশ হিসেবে কাল সকালে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান এলাকা পরিদর্শন করবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্দেব্রিদার, সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহসহ সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিআইডি জানিয়েছে, লাশগুলো উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা নিয়ে আবার যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ফরেনসিক টিম। /
এর আগে, পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়েরবাজার গণকবরে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দাফন করা অজ্ঞাতনামা লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এসব লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ প্রোফাইল সংরক্ষণ করে লাশগুলোর পরিচিতি ও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
জুলাই আন্দোলনে নিহত ১১৪ জনকে রায়েরবাজার কবরস্থানের যে জায়গায় দাফন করা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সে জায়গাটি বিশেষভাবে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, এখানে ১১৪ জনকে দাফন করা হয়েছে। যাঁদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ প্রোফাইল দরকার এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজনে লাশ তোলা হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে তাঁদের লাশ তোলা হবে। আগামীকাল রোববার রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তাঁদের লাশ উত্তোলন শুরু হবে।
আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, লাশ উত্তোলনের জন্য অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ উত্তোলন শুরু হবে। তখন বিশেষজ্ঞ টিম লাশ শনাক্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।
লাশ উত্তোলনের অংশ হিসেবে কাল সকালে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান এলাকা পরিদর্শন করবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্দেব্রিদার, সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহসহ সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিআইডি জানিয়েছে, লাশগুলো উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা নিয়ে আবার যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ফরেনসিক টিম। /
এর আগে, পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়েরবাজার গণকবরে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে দাফন করা অজ্ঞাতনামা লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এসব লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ প্রোফাইল সংরক্ষণ করে লাশগুলোর পরিচিতি ও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
জুলাই আন্দোলনে নিহত ১১৪ জনকে রায়েরবাজার কবরস্থানের যে জায়গায় দাফন করা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সে জায়গাটি বিশেষভাবে মার্বেল পাথর, টাইলস দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, এখানে ১১৪ জনকে দাফন করা হয়েছে। যাঁদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ প্রোফাইল দরকার এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য কাজের জন্য প্রয়োজনে লাশ তোলা হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ১৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
১৮ অক্টোবর ২০২৫
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯০ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। অন্যান্য অভিযোগে আরও ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন ‘শতভাগ প্রস্তুত’ থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ শনিবার এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
গত এক দশকে আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেএস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন এবং স্ত্রীকে আহত করার ঘটনা দেশের বিচারক মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বিচারকেরা কলমবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদ জানান। এর আগে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে জঙ্গি হামলায় দুই বিচারক নিহত হন। এ ছাড়া নানা সময়ে আদালত প্রাঙ্গণেও বিচারকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ খুলনার আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর দুই ব্যক্তিকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও বিচারকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
গত এক দশকে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
সবশেষ গত ১৮ নভেম্বর দেশের সব বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আদালত, আদালতের বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারকদের নিরাপত্তা সর্বাধিক অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি সর্বদাই সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাগিদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গত বছরের নভেম্বরে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হামলায় নিহত হন রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী। সেই সঙ্গে আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। ওই ঘটনার পর শঙ্কামুক্ত পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনা এবং আদালত চত্বরে আইনজীবী ও জনসাধারণের স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের দাবি জানান বিচারকেরা।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে ওই দাবি জানায়। এরপর এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীন আদালত রক্ষী বা কোর্ট সিকিউরিটি (সিএফ) নামে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে চলতি বছরের ৩০ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে। চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের সব অধস্তন আদালতের বিচারক, কর্মচারী ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ উদ্বেগের বিষয় অবহিত করা হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহায়তায় দেশের প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বাসভবন, বিচারক, কর্মচারীসহ আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। একইভাবে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
অধস্তন আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যেখানে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকার জেলা আদালত ও খুলনায় বোমা হামলার জেরে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্ট। আইজিপিকে দেওয়া চিঠিতে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের গাড়ি, বাসভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবারও চিঠি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। চিঠিতে দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, গাড়ি ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন ও স্ত্রী আহতের ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বলা হয়, সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বারবার পত্র প্রেরণ করা সত্ত্বে ও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিচার বিভাগের সদস্যরা রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার অরক্ষিত ও নিরাপত্তাহীন। জেলা পর্যায়ের সব বিচারকের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি আবাসন ও পরিবহনব্যবস্থা নেই। চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ফলে বিচারকদের বাধ্য হয়ে অরক্ষিত বাসায় ভাড়া থাকতে হয়, রিকশা-ভ্যানে করে এমনকি হেঁটেও যাতায়াত করতে হয়।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের বিচারকেরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১৮৭ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গাড়ি নেই এবং ২২৩ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গানম্যান নেই। হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়ে বিচারকেরা হেঁটে বাসায় ফিরছেন—এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পত্র প্রেরণের পরও বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের বিচারকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে।’
এদিকে জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজদের অবিলম্বে গাড়ি ও গানম্যান সরবরাহ করতে অনুরোধ জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মামলা বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের রিকুইজিশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্যও গানম্যান সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় আইন উপদেষ্টাকে।
বিলুপ্ত হওয়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ ছিল অধস্তন আদালতের বিচারকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা। যাতে করে ভাড়া বাড়িতে তাঁদের থাকতে না হয়। সুপ্রিম কোর্ট বারবার চিঠি দিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। কারণ, রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব সময় বিচার বিভাগকে প্রশাসনের একটা কোনায় ঠেলে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। প্রশাসনের লোকজন যত সুযোগ-সুবিধা নিজেরা নিয়ে নেয়, যেহেতু বাজেটের একটা বড় অংশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিচার বিভাগের বাজেট সব সময়ই একটু অবহেলিত। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা উচিত।’

সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন এবং স্ত্রীকে আহত করার ঘটনা দেশের বিচারক মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বিচারকেরা কলমবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে নিরাপত্তাহীনতার প্রতিবাদ জানান। এর আগে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে জঙ্গি হামলায় দুই বিচারক নিহত হন। এ ছাড়া নানা সময়ে আদালত প্রাঙ্গণেও বিচারকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ খুলনার আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর দুই ব্যক্তিকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও বিচারকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
গত এক দশকে সুপ্রিম কোর্ট আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বহুবার চিঠি পাঠালেও বিচারকদের নিরাপত্তায় কোনো স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। হাইকোর্ট একাধিকবার রিটের পর রুল জারি করে বিচারকদের বাসা, এজলাস, আদালত প্রাঙ্গণ ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
সবশেষ গত ১৮ নভেম্বর দেশের সব বিচারক এবং তাঁদের এজলাস ও বাসভবনের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে কমিটি গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আদালত, আদালতের বিচারক ও আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিচারকদের নিরাপত্তা সর্বাধিক অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রধান বিচারপতি সর্বদাই সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাগিদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গত বছরের নভেম্বরে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হামলায় নিহত হন রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী। সেই সঙ্গে আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। ওই ঘটনার পর শঙ্কামুক্ত পরিবেশে বিচারকার্য পরিচালনা এবং আদালত চত্বরে আইনজীবী ও জনসাধারণের স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের দাবি জানান বিচারকেরা।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতিতে ওই দাবি জানায়। এরপর এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সব আদালতে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের অধীন আদালত রক্ষী বা কোর্ট সিকিউরিটি (সিএফ) নামে বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে চলতি বছরের ৩০ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে। চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের সব অধস্তন আদালতের বিচারক, কর্মচারী ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান বিচারপতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ উদ্বেগের বিষয় অবহিত করা হয়েছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহায়তায় দেশের প্রত্যেক আদালত প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বাসভবন, বিচারক, কর্মচারীসহ আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। একইভাবে ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
অধস্তন আদালতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি চিঠি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। যেখানে ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকার জেলা আদালত ও খুলনায় বোমা হামলার জেরে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্ট। আইজিপিকে দেওয়া চিঠিতে সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের গাড়ি, বাসভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবারও চিঠি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। চিঠিতে দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, গাড়ি ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।
রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজের ছেলেকে বাসায় গিয়ে খুন ও স্ত্রী আহতের ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বলা হয়, সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বারবার পত্র প্রেরণ করা সত্ত্বে ও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিচার বিভাগের সদস্যরা রাষ্ট্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার অরক্ষিত ও নিরাপত্তাহীন। জেলা পর্যায়ের সব বিচারকের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি আবাসন ও পরিবহনব্যবস্থা নেই। চৌকি আদালতে কর্মরত বিচারকদের অবস্থা আরও শোচনীয়। ফলে বিচারকদের বাধ্য হয়ে অরক্ষিত বাসায় ভাড়া থাকতে হয়, রিকশা-ভ্যানে করে এমনকি হেঁটেও যাতায়াত করতে হয়।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশের বিচারকেরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ১৮৭ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গাড়ি নেই এবং ২২৩ জন অতিরিক্ত জেলা জজের গানম্যান নেই। হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়ে বিচারকেরা হেঁটে বাসায় ফিরছেন—এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পত্র প্রেরণের পরও বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের বিচারকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে।’
এদিকে জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজদের অবিলম্বে গাড়ি ও গানম্যান সরবরাহ করতে অনুরোধ জানিয়ে গত ১৮ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মামলা বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিচারকদের রিকুইজিশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্যও গানম্যান সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় আইন উপদেষ্টাকে।
বিলুপ্ত হওয়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সুপারিশ ছিল অধস্তন আদালতের বিচারকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা। যাতে করে ভাড়া বাড়িতে তাঁদের থাকতে না হয়। সুপ্রিম কোর্ট বারবার চিঠি দিলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। কারণ, রাষ্ট্রব্যবস্থায় সব সময় বিচার বিভাগকে প্রশাসনের একটা কোনায় ঠেলে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। প্রশাসনের লোকজন যত সুযোগ-সুবিধা নিজেরা নিয়ে নেয়, যেহেতু বাজেটের একটা বড় অংশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিচার বিভাগের বাজেট সব সময়ই একটু অবহেলিত। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করা উচিত।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অসদাচরণের অভিযোগে ১৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
১৮ অক্টোবর ২০২৫
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯০ জন বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। অন্যান্য অভিযোগে আরও ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন ‘শতভাগ প্রস্তুত’ থাকলেও তফসিল ঘোষণার তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। আজ শনিবার এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের পরিচয় শনাক্তে তাঁদের লাশ তোলা হবে। আগামীকাল রোববার রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে তাঁদের লাশ উত্তোলন শুরু হবে।
১ ঘণ্টা আগে