কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমধ্যসাগরের উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়ার সেফ হোমে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নেবেন। বছরখানেকের মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে ১ হাজারের ওপর বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছি।’
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে গত শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম উজ জামান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদের ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে, আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে ইউরোপে যাত্রার সংখ্যাটা কমছে না। আমরা এটা নিয়ে সিরিয়াস অবস্থানে যাব। আমরা সিরিয়াসলি সচেতনতামূলক প্রচারে যাব। যেসব জেলার লোকজন বেশি যাচ্ছে, বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলের লোকদের বোঝানোর জন্য প্রচার চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে মানব পাচারের বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। লিবিয়াতে আমাদের শ্রমবাজার অল্প অল্প করে খুলছে। সেই স্বাভাবিক বাজারে বৈধ পথে যারা যাবে, এটা তাদের জন্য সাংঘর্ষিক।’
ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন, ‘চাপ অনুভব করছি না। এর আগে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের কোয়ারেটিনের সময় আমরা তথ্য নিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনোই এটাকে প্রশ্রয় দেব না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এদিকে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা ঢাকা আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জয়শঙ্করের এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় আনতে চায় ঢাকা।’ তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরশু (আগামী বৃহস্পতিবার) আসছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিবও আসবেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে।’
জয়শঙ্করের সফরে কোন বিষয়গুলো আলোচনা থাকবে—জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে ইস্যু সব সময় তো থাকেই। সময়ে সময়ে আমরা বৈঠক করে হালনাগাদ তথ্য দিই ও নিই। সামনে আমাদের বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। জেসিসি আছে, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার ব্যাপার আছে, সেটার তারিখ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অত বড় ফরমেটওয়াইজ না হলেও সবকিছুই আলোচনায় আসতে পারে।’
জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে দাওয়াতপত্র নিয়ে আসছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘দাওয়াতপত্রের বিষয়টা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাতে দাওয়াতপত্রের জন্য বসে থাকার বিষয় না। প্রয়োজন বোধ করলে যে কেউ সফর করতে পারে। সচিব পর্যায়ের আরও দুই-তিনটি বৈঠক বাকি আছে। এগুলোর পর জেআরসি হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।’
ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমধ্যসাগরের উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়ার সেফ হোমে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নেবেন। বছরখানেকের মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে ১ হাজারের ওপর বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছি।’
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে গত শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম উজ জামান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদের ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে, আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে ইউরোপে যাত্রার সংখ্যাটা কমছে না। আমরা এটা নিয়ে সিরিয়াস অবস্থানে যাব। আমরা সিরিয়াসলি সচেতনতামূলক প্রচারে যাব। যেসব জেলার লোকজন বেশি যাচ্ছে, বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলের লোকদের বোঝানোর জন্য প্রচার চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে মানব পাচারের বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। লিবিয়াতে আমাদের শ্রমবাজার অল্প অল্প করে খুলছে। সেই স্বাভাবিক বাজারে বৈধ পথে যারা যাবে, এটা তাদের জন্য সাংঘর্ষিক।’
ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন, ‘চাপ অনুভব করছি না। এর আগে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের কোয়ারেটিনের সময় আমরা তথ্য নিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনোই এটাকে প্রশ্রয় দেব না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এদিকে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা ঢাকা আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জয়শঙ্করের এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় আনতে চায় ঢাকা।’ তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরশু (আগামী বৃহস্পতিবার) আসছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিবও আসবেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে।’
জয়শঙ্করের সফরে কোন বিষয়গুলো আলোচনা থাকবে—জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে ইস্যু সব সময় তো থাকেই। সময়ে সময়ে আমরা বৈঠক করে হালনাগাদ তথ্য দিই ও নিই। সামনে আমাদের বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। জেসিসি আছে, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার ব্যাপার আছে, সেটার তারিখ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অত বড় ফরমেটওয়াইজ না হলেও সবকিছুই আলোচনায় আসতে পারে।’
জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে দাওয়াতপত্র নিয়ে আসছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘দাওয়াতপত্রের বিষয়টা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাতে দাওয়াতপত্রের জন্য বসে থাকার বিষয় না। প্রয়োজন বোধ করলে যে কেউ সফর করতে পারে। সচিব পর্যায়ের আরও দুই-তিনটি বৈঠক বাকি আছে। এগুলোর পর জেআরসি হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।’
জুলাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ভারতে চলে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্তত ৭১৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০-র বেশি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। সেখানে কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। থানার পুলিশের হাতে থাকা...
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সৈয়দ জামিল আহমেদ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় একাডেমির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় পদত্যাগের কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ‘মুনীর চৌধুরী প্রথম জাতীয় নাট্যোৎসব’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি..
১১ ঘণ্টা আগেজাটকা সংরক্ষণে আগামীকাল ১ মার্চ (শনিবার) থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ দিন দেশের ছয় জেলার পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে...
১১ ঘণ্টা আগেকেবিন প্রেসার কমে যাওয়ার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৮ ফ্লাইটটি মাঝপথ থেকে ফিরে এসে ঢাকায় জরুরি অবতরণ করেছে। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমারের আকাশে থাকা অবস্থায় উড়োজাহাজটিতে এ সমস্যা দেখা দেয়।
১৪ ঘণ্টা আগে