নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মাথায় শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন মোবারক হোসেন (৫৮)। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ পাঁচটি হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু মেলেনি একটি আইসিইউ। পরে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
মোবারক হোসেনের ছেলে ইয়াসির আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৯ জুন আব্বার করোনা শনাক্ত হয়। আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে একেবারে খারাপ হতে থাকে। পরে এক পরিচিতের মাধ্যমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে বলা হয় আইসিইউ নেই। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েও একটা আইসিইউ পাইনি। তাই আব্বাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখান থেকেও আমাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়েছি।’
আইসিইউ না পেয়ে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথের সঙ্গে কথা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রোগীদের অনেক চাপ থাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে আমাদের এই হাসপাতালে আইসিইউ খালি থাকছে না। তাই অনেকের আইসিইউ জরুরি হলেও ফেরত দিতে হচ্ছে, আমাদের কিছুই করার নেই। এখনো অনেকে জটিল অবস্থা নিয়ে আছেন, কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সাধারণ শয্যা পর্যাপ্ত খালি আছে।’
এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৩৫০টি শয্যার ২১৩ টিতে রোগী আছে। তবে খালি নেই ২৪টি আইসিইউর কোনোটি।
শুধু মুগদা নয়, রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল–২, মুগদা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে খালি নেই কোনো আইসিইউ। কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ জরুরি এমন রোগীর অপেক্ষায় থাকার সংখ্যাও অনেক। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী নিয়ে চলছে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে ৪০ জন কোভিড রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে এখানে।
মুগদা হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের তুলনায় রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। একটা আইসিইউও ফাঁকা নেই। অনেকে জটিল অবস্থায়ও কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আইসিইউর সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটা তো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে, তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।'
ঢামেকের এই অধ্যাপক বলেন, `হাসপাতালগুলোতে সেবার মান না বাড়ায় আক্রান্তরা চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। অনেকে অক্সিজেন কিনে হাসপাতালের বারান্দায় সেবা নিচ্ছেন। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হলে এ রকমটা হতে পারে? যে গতিতে সংক্রমণ ছুটছে, তাতে যেকোনো সময় ভারতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।'
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে–নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ঢাকাসহ সারা দেশে আইসিইউর সংকট অপ্রত্যাশিত নয়, বরং অবধারিত। কারণ রোগী যত বাড়বে, আনুপাতিক হারে হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে মৃত্যুও বাড়বে। এজন্য আমাদের প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগীর সংখ্যা কমাতে হবে।'
সামনে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোতে জোরালো ব্যবস্থা নিতে না পারায় সেগুলো থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। আগে সংক্রমণের তীব্রতা ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক, এখন গ্রাম পর্যায়ে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে লকডাউন শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামেও কঠোরভাবে পালন জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ৩৮৪টি আইসিইউ–সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত খালি ছিল মাত্র ১২৭টি। ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড–১৯ হাসপাতালেই ফাঁকা ১০২টি। এই হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ২১২। রোগীর চাপ আগের তুলনায় বেশি হওয়ায় ৩ হাজার ৫৫৭ শয্যার অর্ধেকই পূর্ণ রোগীতে।
এদিকে, ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কয়েক দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলে বাড়িতেই অক্সিজেন নিচ্ছিলেন পিরোজপুরের আক্তারুজ্জামান চান্নু (৬৫)। এই জেলায় আইসিইউ–সেবা নেই। দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ পেতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আনার চেষ্টা করেন স্বজনেরা। কিন্তু পথেই মারা যান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে সংক্রমণের হার উচ্চমুখী এমন ৩০ জেলা জরুরি চিকিৎসা ও রোগী ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে। এসব জেলার রোগীরা নিজ জেলায় চাহিদামতো সেবা পাচ্ছে না। আক্রান্তদের সঠিক ব্যবস্থাপনায়ও রাখা যাচ্ছে না। ফলে তাদের নিয়ে বিভাগীয় শহরে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণেরও। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণের মজুত শেষ হয়েছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠালেও পূরণ করতে পারছে না অধিদপ্তর।
বর্তমানে সিএমএসডিতে হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা, কোভিড–১৯ টেস্টিং কিট, ভেন্টিলেটর, রেমডিসিভির ইনজেকশন ও ভেন্টিলেটর নেই। ৫ হাজারে নেমে এসেছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মজুত। এ ছাড়া ৭০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও আইসিইউর ১০০ শয্যা রয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মাথায় শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন মোবারক হোসেন (৫৮)। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ পাঁচটি হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু মেলেনি একটি আইসিইউ। পরে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
মোবারক হোসেনের ছেলে ইয়াসির আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৯ জুন আব্বার করোনা শনাক্ত হয়। আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে একেবারে খারাপ হতে থাকে। পরে এক পরিচিতের মাধ্যমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে বলা হয় আইসিইউ নেই। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েও একটা আইসিইউ পাইনি। তাই আব্বাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখান থেকেও আমাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়েছি।’
আইসিইউ না পেয়ে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথের সঙ্গে কথা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রোগীদের অনেক চাপ থাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে আমাদের এই হাসপাতালে আইসিইউ খালি থাকছে না। তাই অনেকের আইসিইউ জরুরি হলেও ফেরত দিতে হচ্ছে, আমাদের কিছুই করার নেই। এখনো অনেকে জটিল অবস্থা নিয়ে আছেন, কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সাধারণ শয্যা পর্যাপ্ত খালি আছে।’
এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৩৫০টি শয্যার ২১৩ টিতে রোগী আছে। তবে খালি নেই ২৪টি আইসিইউর কোনোটি।
শুধু মুগদা নয়, রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল–২, মুগদা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে খালি নেই কোনো আইসিইউ। কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ জরুরি এমন রোগীর অপেক্ষায় থাকার সংখ্যাও অনেক। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী নিয়ে চলছে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে ৪০ জন কোভিড রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে এখানে।
মুগদা হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের তুলনায় রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। একটা আইসিইউও ফাঁকা নেই। অনেকে জটিল অবস্থায়ও কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আইসিইউর সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটা তো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে, তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।'
ঢামেকের এই অধ্যাপক বলেন, `হাসপাতালগুলোতে সেবার মান না বাড়ায় আক্রান্তরা চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। অনেকে অক্সিজেন কিনে হাসপাতালের বারান্দায় সেবা নিচ্ছেন। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হলে এ রকমটা হতে পারে? যে গতিতে সংক্রমণ ছুটছে, তাতে যেকোনো সময় ভারতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।'
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে–নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ঢাকাসহ সারা দেশে আইসিইউর সংকট অপ্রত্যাশিত নয়, বরং অবধারিত। কারণ রোগী যত বাড়বে, আনুপাতিক হারে হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে মৃত্যুও বাড়বে। এজন্য আমাদের প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগীর সংখ্যা কমাতে হবে।'
সামনে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোতে জোরালো ব্যবস্থা নিতে না পারায় সেগুলো থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। আগে সংক্রমণের তীব্রতা ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক, এখন গ্রাম পর্যায়ে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে লকডাউন শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামেও কঠোরভাবে পালন জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ৩৮৪টি আইসিইউ–সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত খালি ছিল মাত্র ১২৭টি। ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড–১৯ হাসপাতালেই ফাঁকা ১০২টি। এই হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ২১২। রোগীর চাপ আগের তুলনায় বেশি হওয়ায় ৩ হাজার ৫৫৭ শয্যার অর্ধেকই পূর্ণ রোগীতে।
এদিকে, ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কয়েক দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলে বাড়িতেই অক্সিজেন নিচ্ছিলেন পিরোজপুরের আক্তারুজ্জামান চান্নু (৬৫)। এই জেলায় আইসিইউ–সেবা নেই। দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ পেতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আনার চেষ্টা করেন স্বজনেরা। কিন্তু পথেই মারা যান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে সংক্রমণের হার উচ্চমুখী এমন ৩০ জেলা জরুরি চিকিৎসা ও রোগী ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে। এসব জেলার রোগীরা নিজ জেলায় চাহিদামতো সেবা পাচ্ছে না। আক্রান্তদের সঠিক ব্যবস্থাপনায়ও রাখা যাচ্ছে না। ফলে তাদের নিয়ে বিভাগীয় শহরে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণেরও। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণের মজুত শেষ হয়েছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠালেও পূরণ করতে পারছে না অধিদপ্তর।
বর্তমানে সিএমএসডিতে হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা, কোভিড–১৯ টেস্টিং কিট, ভেন্টিলেটর, রেমডিসিভির ইনজেকশন ও ভেন্টিলেটর নেই। ৫ হাজারে নেমে এসেছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মজুত। এ ছাড়া ৭০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও আইসিইউর ১০০ শয্যা রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মাথায় শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন মোবারক হোসেন (৫৮)। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ পাঁচটি হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু মেলেনি একটি আইসিইউ। পরে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
মোবারক হোসেনের ছেলে ইয়াসির আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৯ জুন আব্বার করোনা শনাক্ত হয়। আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে একেবারে খারাপ হতে থাকে। পরে এক পরিচিতের মাধ্যমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে বলা হয় আইসিইউ নেই। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েও একটা আইসিইউ পাইনি। তাই আব্বাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখান থেকেও আমাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়েছি।’
আইসিইউ না পেয়ে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথের সঙ্গে কথা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রোগীদের অনেক চাপ থাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে আমাদের এই হাসপাতালে আইসিইউ খালি থাকছে না। তাই অনেকের আইসিইউ জরুরি হলেও ফেরত দিতে হচ্ছে, আমাদের কিছুই করার নেই। এখনো অনেকে জটিল অবস্থা নিয়ে আছেন, কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সাধারণ শয্যা পর্যাপ্ত খালি আছে।’
এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৩৫০টি শয্যার ২১৩ টিতে রোগী আছে। তবে খালি নেই ২৪টি আইসিইউর কোনোটি।
শুধু মুগদা নয়, রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল–২, মুগদা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে খালি নেই কোনো আইসিইউ। কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ জরুরি এমন রোগীর অপেক্ষায় থাকার সংখ্যাও অনেক। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী নিয়ে চলছে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে ৪০ জন কোভিড রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে এখানে।
মুগদা হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের তুলনায় রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। একটা আইসিইউও ফাঁকা নেই। অনেকে জটিল অবস্থায়ও কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আইসিইউর সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটা তো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে, তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।'
ঢামেকের এই অধ্যাপক বলেন, `হাসপাতালগুলোতে সেবার মান না বাড়ায় আক্রান্তরা চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। অনেকে অক্সিজেন কিনে হাসপাতালের বারান্দায় সেবা নিচ্ছেন। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হলে এ রকমটা হতে পারে? যে গতিতে সংক্রমণ ছুটছে, তাতে যেকোনো সময় ভারতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।'
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে–নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ঢাকাসহ সারা দেশে আইসিইউর সংকট অপ্রত্যাশিত নয়, বরং অবধারিত। কারণ রোগী যত বাড়বে, আনুপাতিক হারে হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে মৃত্যুও বাড়বে। এজন্য আমাদের প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগীর সংখ্যা কমাতে হবে।'
সামনে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোতে জোরালো ব্যবস্থা নিতে না পারায় সেগুলো থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। আগে সংক্রমণের তীব্রতা ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক, এখন গ্রাম পর্যায়ে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে লকডাউন শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামেও কঠোরভাবে পালন জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ৩৮৪টি আইসিইউ–সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত খালি ছিল মাত্র ১২৭টি। ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড–১৯ হাসপাতালেই ফাঁকা ১০২টি। এই হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ২১২। রোগীর চাপ আগের তুলনায় বেশি হওয়ায় ৩ হাজার ৫৫৭ শয্যার অর্ধেকই পূর্ণ রোগীতে।
এদিকে, ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কয়েক দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলে বাড়িতেই অক্সিজেন নিচ্ছিলেন পিরোজপুরের আক্তারুজ্জামান চান্নু (৬৫)। এই জেলায় আইসিইউ–সেবা নেই। দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ পেতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আনার চেষ্টা করেন স্বজনেরা। কিন্তু পথেই মারা যান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে সংক্রমণের হার উচ্চমুখী এমন ৩০ জেলা জরুরি চিকিৎসা ও রোগী ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে। এসব জেলার রোগীরা নিজ জেলায় চাহিদামতো সেবা পাচ্ছে না। আক্রান্তদের সঠিক ব্যবস্থাপনায়ও রাখা যাচ্ছে না। ফলে তাদের নিয়ে বিভাগীয় শহরে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণেরও। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণের মজুত শেষ হয়েছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠালেও পূরণ করতে পারছে না অধিদপ্তর।
বর্তমানে সিএমএসডিতে হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা, কোভিড–১৯ টেস্টিং কিট, ভেন্টিলেটর, রেমডিসিভির ইনজেকশন ও ভেন্টিলেটর নেই। ৫ হাজারে নেমে এসেছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মজুত। এ ছাড়া ৭০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও আইসিইউর ১০০ শয্যা রয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তিন দিনের মাথায় শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকেন মোবারক হোসেন (৫৮)। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ পাঁচটি হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু মেলেনি একটি আইসিইউ। পরে মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
মোবারক হোসেনের ছেলে ইয়াসির আরাফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৯ জুন আব্বার করোনা শনাক্ত হয়। আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে একেবারে খারাপ হতে থাকে। পরে এক পরিচিতের মাধ্যমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিই। সেখান থেকে বলা হয় আইসিইউ নেই। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েও একটা আইসিইউ পাইনি। তাই আব্বাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখান থেকেও আমাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়েছি।’
আইসিইউ না পেয়ে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে মুগদা হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার নাথের সঙ্গে কথা হলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রোগীদের অনেক চাপ থাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে আমাদের এই হাসপাতালে আইসিইউ খালি থাকছে না। তাই অনেকের আইসিইউ জরুরি হলেও ফেরত দিতে হচ্ছে, আমাদের কিছুই করার নেই। এখনো অনেকে জটিল অবস্থা নিয়ে আছেন, কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সাধারণ শয্যা পর্যাপ্ত খালি আছে।’
এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৩৫০টি শয্যার ২১৩ টিতে রোগী আছে। তবে খালি নেই ২৪টি আইসিইউর কোনোটি।
শুধু মুগদা নয়, রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল–২, মুগদা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে খালি নেই কোনো আইসিইউ। কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ জরুরি এমন রোগীর অপেক্ষায় থাকার সংখ্যাও অনেক। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী নিয়ে চলছে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নতুন করে ৪০ জন কোভিড রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে এখানে।
মুগদা হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগের তুলনায় রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। একটা আইসিইউও ফাঁকা নেই। অনেকে জটিল অবস্থায়ও কিন্তু আইসিইউ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আইসিইউর সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটা তো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে, তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।'
ঢামেকের এই অধ্যাপক বলেন, `হাসপাতালগুলোতে সেবার মান না বাড়ায় আক্রান্তরা চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই মারা যাচ্ছেন। অনেকে অক্সিজেন কিনে হাসপাতালের বারান্দায় সেবা নিচ্ছেন। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হলে এ রকমটা হতে পারে? যে গতিতে সংক্রমণ ছুটছে, তাতে যেকোনো সময় ভারতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।'
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে–নজির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ঢাকাসহ সারা দেশে আইসিইউর সংকট অপ্রত্যাশিত নয়, বরং অবধারিত। কারণ রোগী যত বাড়বে, আনুপাতিক হারে হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে মৃত্যুও বাড়বে। এজন্য আমাদের প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগীর সংখ্যা কমাতে হবে।'
সামনে কী পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোতে জোরালো ব্যবস্থা নিতে না পারায় সেগুলো থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। আগে সংক্রমণের তীব্রতা ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক, এখন গ্রাম পর্যায়ে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে লকডাউন শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামেও কঠোরভাবে পালন জরুরি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, রাজধানীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ৩৮৪টি আইসিইউ–সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত খালি ছিল মাত্র ১২৭টি। ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড–১৯ হাসপাতালেই ফাঁকা ১০২টি। এই হাসপাতালে আইসিইউর সংখ্যা ২১২। রোগীর চাপ আগের তুলনায় বেশি হওয়ায় ৩ হাজার ৫৫৭ শয্যার অর্ধেকই পূর্ণ রোগীতে।
এদিকে, ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। কয়েক দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হলে বাড়িতেই অক্সিজেন নিচ্ছিলেন পিরোজপুরের আক্তারুজ্জামান চান্নু (৬৫)। এই জেলায় আইসিইউ–সেবা নেই। দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ পেতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আনার চেষ্টা করেন স্বজনেরা। কিন্তু পথেই মারা যান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে সংক্রমণের হার উচ্চমুখী এমন ৩০ জেলা জরুরি চিকিৎসা ও রোগী ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে। এসব জেলার রোগীরা নিজ জেলায় চাহিদামতো সেবা পাচ্ছে না। আক্রান্তদের সঠিক ব্যবস্থাপনায়ও রাখা যাচ্ছে না। ফলে তাদের নিয়ে বিভাগীয় শহরে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণেরও। রাজধানীর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) অধিকাংশ জরুরি চিকিৎসা উপকরণের মজুত শেষ হয়েছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালগুলো থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠালেও পূরণ করতে পারছে না অধিদপ্তর।
বর্তমানে সিএমএসডিতে হাই ফ্লো ন্যাজেল ক্যানোলা, কোভিড–১৯ টেস্টিং কিট, ভেন্টিলেটর, রেমডিসিভির ইনজেকশন ও ভেন্টিলেটর নেই। ৫ হাজারে নেমে এসেছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মজুত। এ ছাড়া ৭০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও আইসিইউর ১০০ শয্যা রয়েছে বলে জানা গেছে।

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

আইসিইউয়ের সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটাতো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে
০৩ জুলাই ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আইসিইউয়ের সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটাতো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে
০৩ জুলাই ২০২১
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

আইসিইউয়ের সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটাতো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে
০৩ জুলাই ২০২১
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

আইসিইউয়ের সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটাতো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে
০৩ জুলাই ২০২১
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগে