নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্রের পথে নেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই। ওই রায় লেখা থেকে শুরু করে সই করা পর্যন্ত আইনি পরিক্রমায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক যে অপরাধ করেছেন, সে অপরাধ দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় সুনির্দিষ্ট অপরাধ। আমরা এটিও আদালতের নোটিশে আনব।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে লিভ মঞ্জুরের পর আদালত থেকে বের হয়ে আজ বুধবার এসব কথা বলেন মো. আসাদুজ্জামান।
অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনানিতে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছি। পাকিস্তানের একটি সংবিধান ছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছে, আমরা আর পাকিস্তানি কাঠামো ও সংবিধানের আওতায় শাসিত হব না। শাসকশ্রেণি কে হবে, আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তারপর দেশ স্বাধীন করে ১৯৭২ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাংবিধানিক কাঠামো ছিল না। ৭২ সালের সংবিধানে আমরা বলেছি, এটা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘১৯৯০ সালে গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে আবার ফিরে আসা সংবিধানে ছিল না। আমরা তিন জোটের রূপরেখাকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছি। আমরা সেটা সংবিধানের পার্ট করেছি। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে জুলাই বিপ্লব এসেছে। আগামী দিনে নির্বাচন নিয়ে জনগণকে সব প্রকার সংশয় থেকে বের করে আনার জন্য ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের যে অবস্থা, সেখান থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনীর যে রায়, তা বাতিল হওয়া দরকার। এ রায় মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করেছে।’
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় আপিল বিভাগের রুলের পরিপন্থী। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক যখন রায় দিলেন, তখন তাঁর শপথ ছিল না। ওই রায়ের কারণে আয়নাঘর, হাজার হাজার মানুষ গুম, লাখ লাখ মামলা, বিনা ভোটের নির্বাচন—সবকিছু হয়েছে। খায়রুল হকের কারাগারে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, তিনি শুধু বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেননি, মানুষের সব অধিকারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য খায়রুল হককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমরা মনে করি, ওই রায় বাতিল হয়ে যাবে। আমরা মনে করি, খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে।’
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ওই রায়ের ফলে নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। যার ফলে স্বৈরশাসকের জন্ম হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু থাকলে কারও পক্ষে স্বৈরশাসক হয়ে ওঠা সম্ভব ছিল না। এগুলো বুঝেই জামায়াতে ইসলামী তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অগণতান্ত্রিক বলা হয়েছিল। যা ছিল ৯০ দিনের জন্য। ৯০ দিনের জন্য অগণতান্ত্রিক সরকার মানতে না পারার কারণে ১৫ বছর স্বৈরশাসক ও অগণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার সঙ্গে থাকতে হয়েছে।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। রিভিউ শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ১৪ বছর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে এই আদেশ দেওয়া হয়।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্রের পথে নেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই। ওই রায় লেখা থেকে শুরু করে সই করা পর্যন্ত আইনি পরিক্রমায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক যে অপরাধ করেছেন, সে অপরাধ দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় সুনির্দিষ্ট অপরাধ। আমরা এটিও আদালতের নোটিশে আনব।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে লিভ মঞ্জুরের পর আদালত থেকে বের হয়ে আজ বুধবার এসব কথা বলেন মো. আসাদুজ্জামান।
অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনানিতে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছি। পাকিস্তানের একটি সংবিধান ছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছে, আমরা আর পাকিস্তানি কাঠামো ও সংবিধানের আওতায় শাসিত হব না। শাসকশ্রেণি কে হবে, আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তারপর দেশ স্বাধীন করে ১৯৭২ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাংবিধানিক কাঠামো ছিল না। ৭২ সালের সংবিধানে আমরা বলেছি, এটা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন।’
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘১৯৯০ সালে গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে আবার ফিরে আসা সংবিধানে ছিল না। আমরা তিন জোটের রূপরেখাকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছি। আমরা সেটা সংবিধানের পার্ট করেছি। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে জুলাই বিপ্লব এসেছে। আগামী দিনে নির্বাচন নিয়ে জনগণকে সব প্রকার সংশয় থেকে বের করে আনার জন্য ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের যে অবস্থা, সেখান থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনীর যে রায়, তা বাতিল হওয়া দরকার। এ রায় মৌলিক কাঠামোকে আঘাত করেছে।’
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় আপিল বিভাগের রুলের পরিপন্থী। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক যখন রায় দিলেন, তখন তাঁর শপথ ছিল না। ওই রায়ের কারণে আয়নাঘর, হাজার হাজার মানুষ গুম, লাখ লাখ মামলা, বিনা ভোটের নির্বাচন—সবকিছু হয়েছে। খায়রুল হকের কারাগারে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, তিনি শুধু বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেননি, মানুষের সব অধিকারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা আরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য খায়রুল হককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমরা মনে করি, ওই রায় বাতিল হয়ে যাবে। আমরা মনে করি, খায়রুল হকের বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে।’
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ওই রায়ের ফলে নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে, তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। যার ফলে স্বৈরশাসকের জন্ম হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু থাকলে কারও পক্ষে স্বৈরশাসক হয়ে ওঠা সম্ভব ছিল না। এগুলো বুঝেই জামায়াতে ইসলামী তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অগণতান্ত্রিক বলা হয়েছিল। যা ছিল ৯০ দিনের জন্য। ৯০ দিনের জন্য অগণতান্ত্রিক সরকার মানতে না পারার কারণে ১৫ বছর স্বৈরশাসক ও অগণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার সঙ্গে থাকতে হয়েছে।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। রিভিউ শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ১৪ বছর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে এই আদেশ দেওয়া হয়।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন। এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
সদ্যপ্রয়াত লেখক ও গবেষক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনা বড় বড় ধরনের সব অপরাধ করেছেন। আর তাকে এ সময় ভারত সমর্থন দিয়ে গেছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর সঙ্গে তাঁর যে গভীর সম্পর্ক ছিল, তা কোনো নতুন ব্যাপার ছিল না। এ সম্পর্কের ভিত্তি ছিল যে, ভারতই একমাত্র রাষ্ট্র, যেটা তাঁকে ক্ষম
১ ঘণ্টা আগেট্রাইব্যুনালকে শহীদ শাহারিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দিপ্তী বলেন, ‘আনাস গেন্ডারিয়া আদর্শ একাডেমির ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে যখন গুলি করে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছিল। ৫ আগস্ট সকালে আনাসকে ঘরে না পেয়ে তার রুমে যাই। সেখানে পড়ার
৩ ঘণ্টা আগেবিজিবি জানিয়েছে, গত মাসে তাদের অভিযানে মোট ১৭৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে সোনা, রুপা, তৈরি পোশাক, থান কাপড়, কসমেটিকস, ইমিটেশন গয়না, আতশবাজি, কাঠ, চা-পাতা, সুপারি, সার, কয়লা, সুতা, যানবাহনের যন্ত্রাংশ, পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, বীজ, চকলেটসহ বিপুল পরিমাণ ভোগ্যপণ
৩ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থার
৩ ঘণ্টা আগে