সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি প্ল্যাটফর্মই সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সক্রিয় থাকবে। এ জন্য নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম এবং কাজের ধরন নেতৃত্ব সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই ঠিক করবেন। সেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে জানামতে, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন সংগঠিত করেছিল ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই প্ল্যাটফর্মে পেছন থেকে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন, সরকার পতনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাঁরা সংগঠিত হন জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে। ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির শীর্ষ এবং নেতৃস্থানীয় অনেকে এখন নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসেই এই দল ও ছাত্রসংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের, নীতি-আদর্শের মানুষের সম্মিলন ঘটেছিল। রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন আত্মপ্রকাশের পর অনেকে যেমন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তেমনি অনেকে প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এতে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অপরাধের কয়েকটি ঘটনায়ও বিব্রত সংশ্লিষ্টরা। ফলে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অস্তিত্ব নিয়ে।
এই প্রেক্ষাপটে কয়েক দিন আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই। ছাত্র আন্দোলনের সময়কার অন্যতম এই নেতার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগঠনটির বিলুপ্তির আলোচনা উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন সংগঠনটির অধিকাংশ নেতা।
নাহিদের বক্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার ছাত্রদের সবাই নতুন রাজনৈতিক দল বা নতুন ছাত্রসংগঠনে যুক্তও হননি। অংশীদারদের আলোচনা ছাড়া প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত হবে না। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এসব আলোচনার প্রেক্ষাপটে নাগরিক কমিটির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও আবার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঈদের আগেই পুনর্গঠিত হতে পারে সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ছাত্রসংগঠন নয়; বরং একটি গণসংগঠন হিসেবে তৈরির আলোচনা চলছে। ছাত্র শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ রাখার প্রস্তাব উঠেছে। জুলাইয়ের স্মৃতি রক্ষায় সভা, সেমিনার, শহীদ এবং আহতদের নিয়ে কাজ করবে সংগঠনটি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখাই মূলত সংগঠনটির কাজ হবে। তবে এসব বিষয়ে এখনো নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ছাত্র আন্দোলনের আসন্ন কমিটির শীর্ষ পদের আলোচনায় আছেন সংগঠনটির বর্তমান মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য মইনুল ইসলাম, সিনথিয়া জাহীন আয়েশা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মালিহা নামলা। আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন উমামা ফাতেমা, হাসান ইনাম ও মইনুল ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতারা তাঁদের ফোরামে সংগঠনটির পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিগগির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
আর এনসিপি গঠনের আগে প্রধান চারটি পদ বহাল রেখে বাকি সব সেল ও শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সে সময় কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির বাকি সব নেতৃত্ব কাঠামো, নির্বাহী কমিটি, সেল ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা নতুন দল গঠনের পরবর্তী ১৫ দিন অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ফোরাম পরবর্তী নেতৃত্ব কাঠামো নির্ধারণ করবে।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি প্ল্যাটফর্মই সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সক্রিয় থাকবে। এ জন্য নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম এবং কাজের ধরন নেতৃত্ব সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই ঠিক করবেন। সেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে জানামতে, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন সংগঠিত করেছিল ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই প্ল্যাটফর্মে পেছন থেকে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন, সরকার পতনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাঁরা সংগঠিত হন জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে। ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির শীর্ষ এবং নেতৃস্থানীয় অনেকে এখন নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসেই এই দল ও ছাত্রসংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের, নীতি-আদর্শের মানুষের সম্মিলন ঘটেছিল। রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন আত্মপ্রকাশের পর অনেকে যেমন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তেমনি অনেকে প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এতে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অপরাধের কয়েকটি ঘটনায়ও বিব্রত সংশ্লিষ্টরা। ফলে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অস্তিত্ব নিয়ে।
এই প্রেক্ষাপটে কয়েক দিন আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই। ছাত্র আন্দোলনের সময়কার অন্যতম এই নেতার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগঠনটির বিলুপ্তির আলোচনা উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন সংগঠনটির অধিকাংশ নেতা।
নাহিদের বক্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার ছাত্রদের সবাই নতুন রাজনৈতিক দল বা নতুন ছাত্রসংগঠনে যুক্তও হননি। অংশীদারদের আলোচনা ছাড়া প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত হবে না। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এসব আলোচনার প্রেক্ষাপটে নাগরিক কমিটির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও আবার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঈদের আগেই পুনর্গঠিত হতে পারে সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ছাত্রসংগঠন নয়; বরং একটি গণসংগঠন হিসেবে তৈরির আলোচনা চলছে। ছাত্র শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ রাখার প্রস্তাব উঠেছে। জুলাইয়ের স্মৃতি রক্ষায় সভা, সেমিনার, শহীদ এবং আহতদের নিয়ে কাজ করবে সংগঠনটি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখাই মূলত সংগঠনটির কাজ হবে। তবে এসব বিষয়ে এখনো নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ছাত্র আন্দোলনের আসন্ন কমিটির শীর্ষ পদের আলোচনায় আছেন সংগঠনটির বর্তমান মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য মইনুল ইসলাম, সিনথিয়া জাহীন আয়েশা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মালিহা নামলা। আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন উমামা ফাতেমা, হাসান ইনাম ও মইনুল ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতারা তাঁদের ফোরামে সংগঠনটির পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিগগির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
আর এনসিপি গঠনের আগে প্রধান চারটি পদ বহাল রেখে বাকি সব সেল ও শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সে সময় কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির বাকি সব নেতৃত্ব কাঠামো, নির্বাহী কমিটি, সেল ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা নতুন দল গঠনের পরবর্তী ১৫ দিন অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ফোরাম পরবর্তী নেতৃত্ব কাঠামো নির্ধারণ করবে।
সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি প্ল্যাটফর্মই সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সক্রিয় থাকবে। এ জন্য নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম এবং কাজের ধরন নেতৃত্ব সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই ঠিক করবেন। সেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে জানামতে, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন সংগঠিত করেছিল ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই প্ল্যাটফর্মে পেছন থেকে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন, সরকার পতনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাঁরা সংগঠিত হন জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে। ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির শীর্ষ এবং নেতৃস্থানীয় অনেকে এখন নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসেই এই দল ও ছাত্রসংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের, নীতি-আদর্শের মানুষের সম্মিলন ঘটেছিল। রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন আত্মপ্রকাশের পর অনেকে যেমন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তেমনি অনেকে প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এতে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অপরাধের কয়েকটি ঘটনায়ও বিব্রত সংশ্লিষ্টরা। ফলে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অস্তিত্ব নিয়ে।
এই প্রেক্ষাপটে কয়েক দিন আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই। ছাত্র আন্দোলনের সময়কার অন্যতম এই নেতার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগঠনটির বিলুপ্তির আলোচনা উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন সংগঠনটির অধিকাংশ নেতা।
নাহিদের বক্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার ছাত্রদের সবাই নতুন রাজনৈতিক দল বা নতুন ছাত্রসংগঠনে যুক্তও হননি। অংশীদারদের আলোচনা ছাড়া প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত হবে না। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এসব আলোচনার প্রেক্ষাপটে নাগরিক কমিটির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও আবার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঈদের আগেই পুনর্গঠিত হতে পারে সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ছাত্রসংগঠন নয়; বরং একটি গণসংগঠন হিসেবে তৈরির আলোচনা চলছে। ছাত্র শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ রাখার প্রস্তাব উঠেছে। জুলাইয়ের স্মৃতি রক্ষায় সভা, সেমিনার, শহীদ এবং আহতদের নিয়ে কাজ করবে সংগঠনটি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখাই মূলত সংগঠনটির কাজ হবে। তবে এসব বিষয়ে এখনো নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ছাত্র আন্দোলনের আসন্ন কমিটির শীর্ষ পদের আলোচনায় আছেন সংগঠনটির বর্তমান মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য মইনুল ইসলাম, সিনথিয়া জাহীন আয়েশা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মালিহা নামলা। আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন উমামা ফাতেমা, হাসান ইনাম ও মইনুল ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতারা তাঁদের ফোরামে সংগঠনটির পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিগগির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
আর এনসিপি গঠনের আগে প্রধান চারটি পদ বহাল রেখে বাকি সব সেল ও শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সে সময় কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির বাকি সব নেতৃত্ব কাঠামো, নির্বাহী কমিটি, সেল ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা নতুন দল গঠনের পরবর্তী ১৫ দিন অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ফোরাম পরবর্তী নেতৃত্ব কাঠামো নির্ধারণ করবে।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুটি প্ল্যাটফর্মই সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সক্রিয় থাকবে। এ জন্য নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম এবং কাজের ধরন নেতৃত্ব সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই ঠিক করবেন। সেই প্রক্রিয়া চলছে। তবে জানামতে, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন সংগঠিত করেছিল ছাত্র নেতাদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই প্ল্যাটফর্মে পেছন থেকে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন, সরকার পতনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে তাঁরা সংগঠিত হন জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে। ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির শীর্ষ এবং নেতৃস্থানীয় অনেকে এখন নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসেই এই দল ও ছাত্রসংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের, নীতি-আদর্শের মানুষের সম্মিলন ঘটেছিল। রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন আত্মপ্রকাশের পর অনেকে যেমন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তেমনি অনেকে প্ল্যাটফর্মগুলোতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এতে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে অপরাধের কয়েকটি ঘটনায়ও বিব্রত সংশ্লিষ্টরা। ফলে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অস্তিত্ব নিয়ে।
এই প্রেক্ষাপটে কয়েক দিন আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক’ পরিচয়ের এখন আর অস্তিত্ব নেই। ছাত্র আন্দোলনের সময়কার অন্যতম এই নেতার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগঠনটির বিলুপ্তির আলোচনা উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন সংগঠনটির অধিকাংশ নেতা।
নাহিদের বক্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে এক পোস্টে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশীদার ছাত্রদের সবাই নতুন রাজনৈতিক দল বা নতুন ছাত্রসংগঠনে যুক্তও হননি। অংশীদারদের আলোচনা ছাড়া প্ল্যাটফর্ম বিলুপ্ত হবে না। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এসব আলোচনার প্রেক্ষাপটে নাগরিক কমিটির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেও আবার ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঈদের আগেই পুনর্গঠিত হতে পারে সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ছাত্রসংগঠন নয়; বরং একটি গণসংগঠন হিসেবে তৈরির আলোচনা চলছে। ছাত্র শব্দটি বাদ দিয়ে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’ রাখার প্রস্তাব উঠেছে। জুলাইয়ের স্মৃতি রক্ষায় সভা, সেমিনার, শহীদ এবং আহতদের নিয়ে কাজ করবে সংগঠনটি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধরে রাখাই মূলত সংগঠনটির কাজ হবে। তবে এসব বিষয়ে এখনো নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ছাত্র আন্দোলনের আসন্ন কমিটির শীর্ষ পদের আলোচনায় আছেন সংগঠনটির বর্তমান মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, অভ্যুত্থানবিষয়ক বিশেষ সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য মইনুল ইসলাম, সিনথিয়া জাহীন আয়েশা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মালিহা নামলা। আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন উমামা ফাতেমা, হাসান ইনাম ও মইনুল ইসলাম।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতারা তাঁদের ফোরামে সংগঠনটির পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিগগির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
আর এনসিপি গঠনের আগে প্রধান চারটি পদ বহাল রেখে বাকি সব সেল ও শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সে সময় কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির বাকি সব নেতৃত্ব কাঠামো, নির্বাহী কমিটি, সেল ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা নতুন দল গঠনের পরবর্তী ১৫ দিন অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ফোরাম পরবর্তী নেতৃত্ব কাঠামো নির্ধারণ করবে।

এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৩৩ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এটাকে (সিইসির পদ) আমি ব্যক্তিগতভাবে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নিইনি, চাকরি হিসেবে নিইনি। এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে...
৪ ঘণ্টা আগে
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে,
১২ মার্চ ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এটাকে (সিইসির পদ) আমি ব্যক্তিগতভাবে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নিইনি, চাকরি হিসেবে নিইনি। এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে...
৪ ঘণ্টা আগে
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সিইসি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে এক ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ ও গণতন্ত্রের পথচলা নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তিনি তাঁর দায়িত্বকে গতানুগতিক ‘রুটিন কাজ’ বা ‘চাকরি’ হিসেবে না দেখে এটিকে ‘মিশন’ এবং ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না, বরং ‘দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করে সিইসি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।’
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে। তাঁদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণত যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু এবার সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি তাঁদের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে।’
আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণকে ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে সিইসি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে গত এক বছরে বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সিইসি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে এক ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ ও গণতন্ত্রের পথচলা নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তিনি তাঁর দায়িত্বকে গতানুগতিক ‘রুটিন কাজ’ বা ‘চাকরি’ হিসেবে না দেখে এটিকে ‘মিশন’ এবং ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না, বরং ‘দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করে সিইসি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।’
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে। তাঁদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণত যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু এবার সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি তাঁদের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে।’
আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণকে ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে সিইসি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে গত এক বছরে বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে,
১২ মার্চ ২০২৫
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৩৩ মিনিট আগে
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এটাকে (সিইসির পদ) আমি ব্যক্তিগতভাবে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নিইনি, চাকরি হিসেবে নিইনি। এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে...
৪ ঘণ্টা আগে
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশ কোন দিকে যাবে, গণতন্ত্রের পথে কীভাবে হাঁটবে, সেটা নির্ভর করছে আগামী সংসদ নির্বাচনের ওপর। নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ হবে।
আজ সোমবার জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও ২০২৫-২৬ সালের চতুর্থ ধাপের আনসার প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এটাকে (সিইসির পদ) আমি ব্যক্তিগতভাবে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নিইনি, চাকরি হিসেবে নিইনি। এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি গতানুগতিক ধারার কাজে বিশ্বাসী নই। বিশেষ করে, এ ধরনের সংকটময় মুহূর্তে দেশ যখন রয়েছে—এখানে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব, যাতে দেশ এগিয়ে যায়, গণতন্ত্র এগিয়ে যায়।’
নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা নিজেরাই ভোট দিতে পারেন না। আমরা এবার উদ্যোগ নিয়েছি, যাঁরা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন। আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরাই অধিকসংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে গতিপথ নির্ধারণ হবে, সেখানে আনসার বাহিনীর বিশাল একটি ভূমিকা থাকবে।
এ সময় ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সিইসি।
এ ছাড়া নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সব বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আনসার সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
এ সময় ইসির ম্যান্ডেট অনুযায়ী আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করবে বলে জানান বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব।
তিনি জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে গত এক বছরে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশ কোন দিকে যাবে, গণতন্ত্রের পথে কীভাবে হাঁটবে, সেটা নির্ভর করছে আগামী সংসদ নির্বাচনের ওপর। নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গতিপথ নির্ধারণ হবে।
আজ সোমবার জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও ২০২৫-২৬ সালের চতুর্থ ধাপের আনসার প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এটাকে (সিইসির পদ) আমি ব্যক্তিগতভাবে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নিইনি, চাকরি হিসেবে নিইনি। এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি গতানুগতিক ধারার কাজে বিশ্বাসী নই। বিশেষ করে, এ ধরনের সংকটময় মুহূর্তে দেশ যখন রয়েছে—এখানে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব, যাতে দেশ এগিয়ে যায়, গণতন্ত্র এগিয়ে যায়।’
নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা নিজেরাই ভোট দিতে পারেন না। আমরা এবার উদ্যোগ নিয়েছি, যাঁরা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন। আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরাই অধিকসংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে গতিপথ নির্ধারণ হবে, সেখানে আনসার বাহিনীর বিশাল একটি ভূমিকা থাকবে।
এ সময় ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণ ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সিইসি।
এ ছাড়া নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সব বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আনসার সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
এ সময় ইসির ম্যান্ডেট অনুযায়ী আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করবে বলে জানান বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব।
তিনি জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে গত এক বছরে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়।

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে,
১২ মার্চ ২০২৫
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৩৩ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে
সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনেকগুলো ত্রুটি রেখেই তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল। মেট্রোরেলের কোনো ‘সেফটি অডিট’ (নিরাপত্তা নিরীক্ষা) হয়নি। তাই ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে সেফটি অডিট করাবে সরকার।
আজ সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজে কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। আর যেখানে দুর্ঘটনা (ফার্মগেটে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু) ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ত্রুটি আছে।’
দ্রুতই সেফটি অডিট করানো হবে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।’
মেট্রোর বেয়ারিং প্যাড সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘মেট্রোর বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস না। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে সেটা বলতে পারি— ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটি কারণেও হতে পারে।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের না। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কিনা, যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল সে বুঝে নিয়েছে কিনা—সেগুলো এখন আমাদের দেখতে হবে। আমরা বিদেশি পরামর্শক রেখেছি, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের এবং পরামর্শকদের আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব। আর ডিএমটিসিএল পরামর্শকের কাছ থেকে বুঝে নেবে। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট (ত্রুটি) আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’
বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল ওই অংশের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে ২০২৫ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত। কিন্তু আমরা এই ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড একসেপ্ট করিনি এখনো। কারণ এখনো অনেক মেজর ডিফেক্ট রয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক না করা পর্যন্ত ডিফেক্ট লায়াবিলিটির নোটিফিকেশন পিরিয়ড একসেপ্ট করব না। এটা এখনো ডিফেক্ট লায়াবিলিটি নোটিফিকেশন পিরিয়ডে আছে। যত সমস্যা আছে এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা আবার সব পিলার পরিদর্শন করছি। আগেও যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করে নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো—যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।’
এমআরটি লাইন-৬ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাসের ট্রায়াল রান ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সে সময়টি দিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছরে মেট্রো চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রো সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোর প্রথম সিভিল কন্ট্রাক্ট থেকে রাজস্ব অপারেশন শুরু করতে সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর লাগে।’
মেট্রো প্রকল্প ব্যর্থ হয়নি—সরকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। বিপুল অর্থ ব্যয়ে লাইন-১-এর কাজ করা হয়েছে, আর এর মান সবাই নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নতমানের মেট্রো নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রো আমাদের করতেই হবে—তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’
আরও খবর পড়ুন:

অনেকগুলো ত্রুটি রেখেই তাড়াহুড়া করে মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল। মেট্রোরেলের কোনো ‘সেফটি অডিট’ (নিরাপত্তা নিরীক্ষা) হয়নি। তাই ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়ে সেফটি অডিট করাবে সরকার।
আজ সোমবার সকালে উত্তরা মেট্রোরেল ডিপিতে মেট্রোর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণকাজে কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। আর যেখানে দুর্ঘটনা (ফার্মগেটে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যু) ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ত্রুটি আছে।’
দ্রুতই সেফটি অডিট করানো হবে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাব।’
মেট্রোর বেয়ারিং প্যাড সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘মেট্রোর বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস না। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে সেটা বলতে পারি— ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটি কারণেও হতে পারে।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের না। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কিনা, যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল সে বুঝে নিয়েছে কিনা—সেগুলো এখন আমাদের দেখতে হবে। আমরা বিদেশি পরামর্শক রেখেছি, বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব তাদের এবং পরামর্শকদের আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব। আর ডিএমটিসিএল পরামর্শকের কাছ থেকে বুঝে নেবে। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট (ত্রুটি) আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’
বিয়ারিং প্যাডের দুর্ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল ওই অংশের ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে ২০২৫ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত। কিন্তু আমরা এই ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড একসেপ্ট করিনি এখনো। কারণ এখনো অনেক মেজর ডিফেক্ট রয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক না করা পর্যন্ত ডিফেক্ট লায়াবিলিটির নোটিফিকেশন পিরিয়ড একসেপ্ট করব না। এটা এখনো ডিফেক্ট লায়াবিলিটি নোটিফিকেশন পিরিয়ডে আছে। যত সমস্যা আছে এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আমরা আবার সব পিলার পরিদর্শন করছি। আগেও যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করে নোটিফিকেশন দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও পুনরায় যাচাই করা হচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো—যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।’
এমআরটি লাইন-৬ সম্পর্কে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ৬ থেকে ৯ মাসের ট্রায়াল রান ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সে সময়টি দিতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন বছরে মেট্রো চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রো সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোর প্রথম সিভিল কন্ট্রাক্ট থেকে রাজস্ব অপারেশন শুরু করতে সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর লাগে।’
মেট্রো প্রকল্প ব্যর্থ হয়নি—সরকার এই প্রকল্প সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। বিপুল অর্থ ব্যয়ে লাইন-১-এর কাজ করা হয়েছে, আর এর মান সবাই নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেছেন। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নতমানের মেট্রো নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রো আমাদের করতেই হবে—তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’
আরও খবর পড়ুন:

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নতুন ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের পর অনেকটাই নিষ্ক্রিয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে শিগগির দুটি প্ল্যাটফর্মকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই লক্ষ্যে সংগঠন দুটির নেতৃত্ব, কাঠামো, কার্যক্রম কেমন হবে,
১২ মার্চ ২০২৫
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৩৩ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৪ ঘণ্টা আগে
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়। এটাকে (সিইসির পদ) আমি ব্যক্তিগতভাবে রুটিন দায়িত্ব হিসেবে নিইনি, চাকরি হিসেবে নিইনি। এটাকে আমি মিশন হিসেবে নিয়েছি, চ্যালেঞ্জ হিসেবে...
৪ ঘণ্টা আগে