শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হলেও নতুন অস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পুলিশের সব ইউনিটে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জামের চাহিদা চাওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিটগুলোর পাঠানো চাহিদা বিশ্লেষণ করে গুরুত্ব বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের যানবাহনের সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে ডাবল কেবিন পিকআপসহ ৪৩১টি যান কিনতে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, মাসখানেক ধরে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশ অনেক সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে। ৫ আগস্ট থানায় থানায় হামলা করে পুলিশের অনেক অস্ত্রশস্ত্র-সরঞ্জাম লুট করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সবই কিনতে হবে। বাহিনী চালানোর জন্য ও পুলিশকে সক্রিয় করার জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার বিকল্প নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমন করার চেষ্টায় পুলিশ বিপুল পরিমাণ গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশের অনেক সরঞ্জাম, যানবাহন। থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হয়েছে অস্ত্র-গুলি, রাবার বুলেট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল, হাতকড়া, ওয়াকিটকি, বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এসব কারণে পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের মজুত কমে গেছে। এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরাধ দমন করতে গিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকটে পড়েছে। এ জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ায় মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন না পুলিশ সদস্যরা।
সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনা থেকে সব মিলিয়ে লুট হয়েছে ৫ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি। এর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত যৌথ অভিযানে ৪ হাজার ৩৪১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বেহাত ৭.৬২ বোরের ১২৯টি রাইফেল, ৩০টি এসএমজি, চারটি এলএমজিসহ বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৪১৯ আগ্নেয়াস্ত্র। ৫ আগস্ট গণভবন থেকে এসএসএফের বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও খোয়া যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় প্রথম ধাপে ইতিমধ্যে চীন, তুরস্ক এবং অন্য কয়েকটি দেশ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের একাধিক দল ইতিমধ্যে এসব দেশে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে এসেছে। এই পরিদর্শনে সরঞ্জামগুলোর মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য প্রথম ধাপে চীন থেকে ১০ হাজার পলি কার্বোনেট শিট (ঢাল), ৩০ হাজার বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং ১০ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড কেনার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার কাঁদানে গ্যাসের শেল কেনা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব উপকরণের কারখানা গত অক্টোবরে পরিদর্শন করেন।
সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়ার বেশ কিছুটা অগ্রগতি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, পুলিশ সংস্কার কমিটি পুলিশের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা পুনর্মূল্যায়ন করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। তবে পুলিশের মাঠপর্যায় এই পরামর্শের সঙ্গে একমত নয়।
অবশ্য পুলিশের সদ্য নিযুক্ত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘গত এক দশকে পুলিশের জন্য ভারী এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের নীতি নেওয়া হয়েছে। এখন এই নীতির কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমাদের মূল কাজ হলো নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা, জীবন কেড়ে নেওয়া নয়।’
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সংকটের মধ্যে গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম কেনার এই উদ্যোগ পুলিশ বাহিনীকে আবার কার্যকর করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তে বিলম্ব এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালার সংস্কার হলে পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমে এটি কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, পুলিশের গোলাবারুদ এবং অপারেশনাল সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি সময়োপযোগী। তবে এগুলোর ব্যবহারে অবশ্যই মানবাধিকার এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে কোনো ধরনের অপব্যবহার না ঘটে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হলেও নতুন অস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পুলিশের সব ইউনিটে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জামের চাহিদা চাওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিটগুলোর পাঠানো চাহিদা বিশ্লেষণ করে গুরুত্ব বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের যানবাহনের সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে ডাবল কেবিন পিকআপসহ ৪৩১টি যান কিনতে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, মাসখানেক ধরে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশ অনেক সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে। ৫ আগস্ট থানায় থানায় হামলা করে পুলিশের অনেক অস্ত্রশস্ত্র-সরঞ্জাম লুট করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সবই কিনতে হবে। বাহিনী চালানোর জন্য ও পুলিশকে সক্রিয় করার জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার বিকল্প নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমন করার চেষ্টায় পুলিশ বিপুল পরিমাণ গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশের অনেক সরঞ্জাম, যানবাহন। থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হয়েছে অস্ত্র-গুলি, রাবার বুলেট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল, হাতকড়া, ওয়াকিটকি, বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এসব কারণে পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের মজুত কমে গেছে। এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরাধ দমন করতে গিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকটে পড়েছে। এ জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ায় মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন না পুলিশ সদস্যরা।
সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনা থেকে সব মিলিয়ে লুট হয়েছে ৫ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি। এর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত যৌথ অভিযানে ৪ হাজার ৩৪১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বেহাত ৭.৬২ বোরের ১২৯টি রাইফেল, ৩০টি এসএমজি, চারটি এলএমজিসহ বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৪১৯ আগ্নেয়াস্ত্র। ৫ আগস্ট গণভবন থেকে এসএসএফের বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও খোয়া যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় প্রথম ধাপে ইতিমধ্যে চীন, তুরস্ক এবং অন্য কয়েকটি দেশ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের একাধিক দল ইতিমধ্যে এসব দেশে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে এসেছে। এই পরিদর্শনে সরঞ্জামগুলোর মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য প্রথম ধাপে চীন থেকে ১০ হাজার পলি কার্বোনেট শিট (ঢাল), ৩০ হাজার বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং ১০ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড কেনার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার কাঁদানে গ্যাসের শেল কেনা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব উপকরণের কারখানা গত অক্টোবরে পরিদর্শন করেন।
সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়ার বেশ কিছুটা অগ্রগতি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, পুলিশ সংস্কার কমিটি পুলিশের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা পুনর্মূল্যায়ন করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। তবে পুলিশের মাঠপর্যায় এই পরামর্শের সঙ্গে একমত নয়।
অবশ্য পুলিশের সদ্য নিযুক্ত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘গত এক দশকে পুলিশের জন্য ভারী এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের নীতি নেওয়া হয়েছে। এখন এই নীতির কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমাদের মূল কাজ হলো নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা, জীবন কেড়ে নেওয়া নয়।’
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সংকটের মধ্যে গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম কেনার এই উদ্যোগ পুলিশ বাহিনীকে আবার কার্যকর করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তে বিলম্ব এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালার সংস্কার হলে পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমে এটি কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, পুলিশের গোলাবারুদ এবং অপারেশনাল সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি সময়োপযোগী। তবে এগুলোর ব্যবহারে অবশ্যই মানবাধিকার এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে কোনো ধরনের অপব্যবহার না ঘটে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হলেও নতুন অস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পুলিশের সব ইউনিটে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জামের চাহিদা চাওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিটগুলোর পাঠানো চাহিদা বিশ্লেষণ করে গুরুত্ব বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের যানবাহনের সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে ডাবল কেবিন পিকআপসহ ৪৩১টি যান কিনতে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, মাসখানেক ধরে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশ অনেক সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে। ৫ আগস্ট থানায় থানায় হামলা করে পুলিশের অনেক অস্ত্রশস্ত্র-সরঞ্জাম লুট করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সবই কিনতে হবে। বাহিনী চালানোর জন্য ও পুলিশকে সক্রিয় করার জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার বিকল্প নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমন করার চেষ্টায় পুলিশ বিপুল পরিমাণ গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশের অনেক সরঞ্জাম, যানবাহন। থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হয়েছে অস্ত্র-গুলি, রাবার বুলেট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল, হাতকড়া, ওয়াকিটকি, বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এসব কারণে পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের মজুত কমে গেছে। এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরাধ দমন করতে গিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকটে পড়েছে। এ জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ায় মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন না পুলিশ সদস্যরা।
সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনা থেকে সব মিলিয়ে লুট হয়েছে ৫ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি। এর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত যৌথ অভিযানে ৪ হাজার ৩৪১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বেহাত ৭.৬২ বোরের ১২৯টি রাইফেল, ৩০টি এসএমজি, চারটি এলএমজিসহ বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৪১৯ আগ্নেয়াস্ত্র। ৫ আগস্ট গণভবন থেকে এসএসএফের বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও খোয়া যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় প্রথম ধাপে ইতিমধ্যে চীন, তুরস্ক এবং অন্য কয়েকটি দেশ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের একাধিক দল ইতিমধ্যে এসব দেশে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে এসেছে। এই পরিদর্শনে সরঞ্জামগুলোর মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য প্রথম ধাপে চীন থেকে ১০ হাজার পলি কার্বোনেট শিট (ঢাল), ৩০ হাজার বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং ১০ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড কেনার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার কাঁদানে গ্যাসের শেল কেনা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব উপকরণের কারখানা গত অক্টোবরে পরিদর্শন করেন।
সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়ার বেশ কিছুটা অগ্রগতি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, পুলিশ সংস্কার কমিটি পুলিশের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা পুনর্মূল্যায়ন করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। তবে পুলিশের মাঠপর্যায় এই পরামর্শের সঙ্গে একমত নয়।
অবশ্য পুলিশের সদ্য নিযুক্ত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘গত এক দশকে পুলিশের জন্য ভারী এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের নীতি নেওয়া হয়েছে। এখন এই নীতির কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমাদের মূল কাজ হলো নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা, জীবন কেড়ে নেওয়া নয়।’
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সংকটের মধ্যে গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম কেনার এই উদ্যোগ পুলিশ বাহিনীকে আবার কার্যকর করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তে বিলম্ব এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালার সংস্কার হলে পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমে এটি কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, পুলিশের গোলাবারুদ এবং অপারেশনাল সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি সময়োপযোগী। তবে এগুলোর ব্যবহারে অবশ্যই মানবাধিকার এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে কোনো ধরনের অপব্যবহার না ঘটে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট বিভিন্ন থানা থেকে বিপুল অস্ত্র লুট হলেও নতুন অস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে পুলিশের সব ইউনিটে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরঞ্জামের চাহিদা চাওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিটগুলোর পাঠানো চাহিদা বিশ্লেষণ করে গুরুত্ব বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কেনাকাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশের যানবাহনের সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে ডাবল কেবিন পিকআপসহ ৪৩১টি যান কিনতে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানতে চাইলে পুলিশের সদ্য সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, মাসখানেক ধরে চলা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশ অনেক সরঞ্জাম ব্যবহার করেছে। ৫ আগস্ট থানায় থানায় হামলা করে পুলিশের অনেক অস্ত্রশস্ত্র-সরঞ্জাম লুট করা হয়েছে। ধীরে ধীরে সবই কিনতে হবে। বাহিনী চালানোর জন্য ও পুলিশকে সক্রিয় করার জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার বিকল্প নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমন করার চেষ্টায় পুলিশ বিপুল পরিমাণ গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশের অনেক সরঞ্জাম, যানবাহন। থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট হয়েছে অস্ত্র-গুলি, রাবার বুলেট, লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল, হাতকড়া, ওয়াকিটকি, বিভিন্ন নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এসব কারণে পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের মজুত কমে গেছে। এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অপরাধ দমন করতে গিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকটে পড়েছে। এ জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়ায় মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন না পুলিশ সদস্যরা।
সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের স্থাপনা থেকে সব মিলিয়ে লুট হয়েছে ৫ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি। এর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত যৌথ অভিযানে ৪ হাজার ৩৪১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো বেহাত ৭.৬২ বোরের ১২৯টি রাইফেল, ৩০টি এসএমজি, চারটি এলএমজিসহ বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৪১৯ আগ্নেয়াস্ত্র। ৫ আগস্ট গণভবন থেকে এসএসএফের বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও খোয়া যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের গোলাবারুদ ও সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় প্রথম ধাপে ইতিমধ্যে চীন, তুরস্ক এবং অন্য কয়েকটি দেশ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের একাধিক দল ইতিমধ্যে এসব দেশে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করে এসেছে। এই পরিদর্শনে সরঞ্জামগুলোর মান নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য প্রথম ধাপে চীন থেকে ১০ হাজার পলি কার্বোনেট শিট (ঢাল), ৩০ হাজার বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং ১০ হাজার সাউন্ড গ্রেনেড কেনার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার কাঁদানে গ্যাসের শেল কেনা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব উপকরণের কারখানা গত অক্টোবরে পরিদর্শন করেন।
সূত্র বলেছে, পুলিশের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়ার বেশ কিছুটা অগ্রগতি হলেও আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, পুলিশ সংস্কার কমিটি পুলিশের জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা পুনর্মূল্যায়ন করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। তবে পুলিশের মাঠপর্যায় এই পরামর্শের সঙ্গে একমত নয়।
অবশ্য পুলিশের সদ্য নিযুক্ত আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ‘গত এক দশকে পুলিশের জন্য ভারী এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের নীতি নেওয়া হয়েছে। এখন এই নীতির কার্যকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আমাদের মূল কাজ হলো নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা, জীবন কেড়ে নেওয়া নয়।’
পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সংকটের মধ্যে গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম কেনার এই উদ্যোগ পুলিশ বাহিনীকে আবার কার্যকর করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তে বিলম্ব এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালার সংস্কার হলে পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমে এটি কেমন প্রভাব ফেলবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, পুলিশের গোলাবারুদ এবং অপারেশনাল সরঞ্জামের সংকট মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি সময়োপযোগী। তবে এগুলোর ব্যবহারে অবশ্যই মানবাধিকার এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে কোনো ধরনের অপব্যবহার না ঘটে।

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে বিপুল ব্যবহার এবং লুটের কারণে বাংলাদেশ পুলিশের গোলাবারুদ ও উপকরণ ভান্ডারের মজুত কমে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ থেকে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ঢালসহ সরঞ্জাম কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে