নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রকাশিত জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে (মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স-এমপিআই) এই চিত্র উঠে এসেছে। ইউনিসেফ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহাযোগিতায় এই সূচক প্রকাশ করেছে জিইডি।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে শিশুরা যেসব বঞ্চনার শিকার হয় এবং যা প্রতিনিয়ত তাদের অধিকার ও সম্ভাবনাকে ব্যাহত করে চলেছে, সেসব অবিলম্বে মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
এমপিআইয়ে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত পদ্ধতিতে দারিদ্র্য পরিমাপ করা হয়, যেখানে শুধু আয়ের ভিত্তিতে নয়, বরং শারীরিক দুর্বলতা বা খারাপ স্বাস্থ্য, শিক্ষার সুযোগের অভাব, অপর্যাপ্ত পুষ্টি, অনিরাপদ জীবনযাপন বা থাকার ব্যবস্থা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহের অভাব—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়। এসব সূচকের অন্তত দুটি দ্বারা প্রভাবিত হলে তাকে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসরত বলে বিবেচনা করা হয়।
এমপিআই অনুযায়ী, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে। অর্থনৈতিক দারিদ্র্য ও খর্বকায় শিশুর সংখ্যা হ্রাসে অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশে বহুমাত্রিক শিশু দারিদ্র্য এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। কারণ, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকার শিশুরা শহরাঞ্চলের শিশুদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি মাত্রায় বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। এমপিআইয়ে স্কুলে উপস্থিতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, শিশুর শিক্ষাসংক্রান্ত বঞ্চনাগুলো শিশুর দারিদ্র্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালক।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, যখন প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে তিনটি শিশুই এই দারিদ্র্যের শিকার, সে সময় মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ দ্বারা গৃহীত এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের কাছে এমন স্পষ্ট তথ্য দেবে, যা তাদের নীতিগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে, সামাজিক খাতে আরও সচেতন ও পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে এবং কার্যকরী ও লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। এই বছর এই মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে আবারও পরিচালিত হবে।
প্রতিবেদনে অঞ্চলভিত্তিক দারিদ্র্য বৈষম্যের চিত্রও উঠে এসেছে। দেশের পাঁচটি জেলায় ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার: বান্দরবান, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলা। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার রয়েছে বান্দরবানে (৬৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ)। আর দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সিলেট বিভাগে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি, যা ৩৭ দশিমিক ৭০ শতাংশ। কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলায় বিদ্যমান উচ্চমাত্রার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য, পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের একটি আঞ্চলিক দারিদ্র্যা—ক্লাস্টার বা দারিদ্র্যের ঘনত্বের ইঙ্গিত দেয়। শিশুর দারিদ্র্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো পূর্বাঞ্চলের অঞ্চলগুলোতে বেশি। অপরদিকে অর্থনৈতিক দারিদ্র্য উত্তরাঞ্চলে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নীতিনির্ধারকদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এলাকার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো এর অন্তর্নিহিত কারণসমূহ উদ্ঘাটন করা। আমাদের প্রতিটি সূচকের গভীরে যেতে হবে, বুঝতে হবে কীভাবে ও কেন তা সামগ্রিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে প্রভাব রাখছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট কাউন্সেলর অ্যান্ড অ্যাক্টিং হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মি. এডউইন কুককুক বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য এটি অত্যাবশ্যক যে দেশের সব মানুষ—বিশেষ করে, যারা এখনো দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে রয়েছে—সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করবে। এর জন্য অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী উভয় ধরনের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন: অন্য দেশগুলোর সমন্বিত অ্যাপ্রোচ (পদ্ধতি) থেকে প্রাসঙ্গিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি দেশের নিজস্ব উদ্ভাবন—যেমন, বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগের মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন।

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রকাশিত জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে (মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স-এমপিআই) এই চিত্র উঠে এসেছে। ইউনিসেফ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহাযোগিতায় এই সূচক প্রকাশ করেছে জিইডি।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে শিশুরা যেসব বঞ্চনার শিকার হয় এবং যা প্রতিনিয়ত তাদের অধিকার ও সম্ভাবনাকে ব্যাহত করে চলেছে, সেসব অবিলম্বে মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
এমপিআইয়ে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত পদ্ধতিতে দারিদ্র্য পরিমাপ করা হয়, যেখানে শুধু আয়ের ভিত্তিতে নয়, বরং শারীরিক দুর্বলতা বা খারাপ স্বাস্থ্য, শিক্ষার সুযোগের অভাব, অপর্যাপ্ত পুষ্টি, অনিরাপদ জীবনযাপন বা থাকার ব্যবস্থা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহের অভাব—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়। এসব সূচকের অন্তত দুটি দ্বারা প্রভাবিত হলে তাকে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসরত বলে বিবেচনা করা হয়।
এমপিআই অনুযায়ী, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে। অর্থনৈতিক দারিদ্র্য ও খর্বকায় শিশুর সংখ্যা হ্রাসে অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশে বহুমাত্রিক শিশু দারিদ্র্য এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। কারণ, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকার শিশুরা শহরাঞ্চলের শিশুদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি মাত্রায় বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। এমপিআইয়ে স্কুলে উপস্থিতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, শিশুর শিক্ষাসংক্রান্ত বঞ্চনাগুলো শিশুর দারিদ্র্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালক।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, যখন প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে তিনটি শিশুই এই দারিদ্র্যের শিকার, সে সময় মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ দ্বারা গৃহীত এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের কাছে এমন স্পষ্ট তথ্য দেবে, যা তাদের নীতিগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে, সামাজিক খাতে আরও সচেতন ও পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে এবং কার্যকরী ও লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। এই বছর এই মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে আবারও পরিচালিত হবে।
প্রতিবেদনে অঞ্চলভিত্তিক দারিদ্র্য বৈষম্যের চিত্রও উঠে এসেছে। দেশের পাঁচটি জেলায় ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার: বান্দরবান, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলা। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার রয়েছে বান্দরবানে (৬৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ)। আর দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সিলেট বিভাগে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি, যা ৩৭ দশিমিক ৭০ শতাংশ। কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলায় বিদ্যমান উচ্চমাত্রার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য, পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের একটি আঞ্চলিক দারিদ্র্যা—ক্লাস্টার বা দারিদ্র্যের ঘনত্বের ইঙ্গিত দেয়। শিশুর দারিদ্র্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো পূর্বাঞ্চলের অঞ্চলগুলোতে বেশি। অপরদিকে অর্থনৈতিক দারিদ্র্য উত্তরাঞ্চলে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নীতিনির্ধারকদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এলাকার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো এর অন্তর্নিহিত কারণসমূহ উদ্ঘাটন করা। আমাদের প্রতিটি সূচকের গভীরে যেতে হবে, বুঝতে হবে কীভাবে ও কেন তা সামগ্রিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে প্রভাব রাখছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট কাউন্সেলর অ্যান্ড অ্যাক্টিং হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মি. এডউইন কুককুক বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য এটি অত্যাবশ্যক যে দেশের সব মানুষ—বিশেষ করে, যারা এখনো দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে রয়েছে—সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করবে। এর জন্য অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী উভয় ধরনের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন: অন্য দেশগুলোর সমন্বিত অ্যাপ্রোচ (পদ্ধতি) থেকে প্রাসঙ্গিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি দেশের নিজস্ব উদ্ভাবন—যেমন, বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগের মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রকাশিত জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে (মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স-এমপিআই) এই চিত্র উঠে এসেছে। ইউনিসেফ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহাযোগিতায় এই সূচক প্রকাশ করেছে জিইডি।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে শিশুরা যেসব বঞ্চনার শিকার হয় এবং যা প্রতিনিয়ত তাদের অধিকার ও সম্ভাবনাকে ব্যাহত করে চলেছে, সেসব অবিলম্বে মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
এমপিআইয়ে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত পদ্ধতিতে দারিদ্র্য পরিমাপ করা হয়, যেখানে শুধু আয়ের ভিত্তিতে নয়, বরং শারীরিক দুর্বলতা বা খারাপ স্বাস্থ্য, শিক্ষার সুযোগের অভাব, অপর্যাপ্ত পুষ্টি, অনিরাপদ জীবনযাপন বা থাকার ব্যবস্থা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহের অভাব—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়। এসব সূচকের অন্তত দুটি দ্বারা প্রভাবিত হলে তাকে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসরত বলে বিবেচনা করা হয়।
এমপিআই অনুযায়ী, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে। অর্থনৈতিক দারিদ্র্য ও খর্বকায় শিশুর সংখ্যা হ্রাসে অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশে বহুমাত্রিক শিশু দারিদ্র্য এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। কারণ, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকার শিশুরা শহরাঞ্চলের শিশুদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি মাত্রায় বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। এমপিআইয়ে স্কুলে উপস্থিতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, শিশুর শিক্ষাসংক্রান্ত বঞ্চনাগুলো শিশুর দারিদ্র্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালক।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, যখন প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে তিনটি শিশুই এই দারিদ্র্যের শিকার, সে সময় মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ দ্বারা গৃহীত এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের কাছে এমন স্পষ্ট তথ্য দেবে, যা তাদের নীতিগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে, সামাজিক খাতে আরও সচেতন ও পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে এবং কার্যকরী ও লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। এই বছর এই মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে আবারও পরিচালিত হবে।
প্রতিবেদনে অঞ্চলভিত্তিক দারিদ্র্য বৈষম্যের চিত্রও উঠে এসেছে। দেশের পাঁচটি জেলায় ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার: বান্দরবান, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলা। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার রয়েছে বান্দরবানে (৬৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ)। আর দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সিলেট বিভাগে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি, যা ৩৭ দশিমিক ৭০ শতাংশ। কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলায় বিদ্যমান উচ্চমাত্রার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য, পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের একটি আঞ্চলিক দারিদ্র্যা—ক্লাস্টার বা দারিদ্র্যের ঘনত্বের ইঙ্গিত দেয়। শিশুর দারিদ্র্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো পূর্বাঞ্চলের অঞ্চলগুলোতে বেশি। অপরদিকে অর্থনৈতিক দারিদ্র্য উত্তরাঞ্চলে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নীতিনির্ধারকদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এলাকার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো এর অন্তর্নিহিত কারণসমূহ উদ্ঘাটন করা। আমাদের প্রতিটি সূচকের গভীরে যেতে হবে, বুঝতে হবে কীভাবে ও কেন তা সামগ্রিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে প্রভাব রাখছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট কাউন্সেলর অ্যান্ড অ্যাক্টিং হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মি. এডউইন কুককুক বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য এটি অত্যাবশ্যক যে দেশের সব মানুষ—বিশেষ করে, যারা এখনো দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে রয়েছে—সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করবে। এর জন্য অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী উভয় ধরনের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন: অন্য দেশগুলোর সমন্বিত অ্যাপ্রোচ (পদ্ধতি) থেকে প্রাসঙ্গিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি দেশের নিজস্ব উদ্ভাবন—যেমন, বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগের মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন।

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রকাশিত জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে (মাল্টিডাইমেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স-এমপিআই) এই চিত্র উঠে এসেছে। ইউনিসেফ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহাযোগিতায় এই সূচক প্রকাশ করেছে জিইডি।
প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে শিশুরা যেসব বঞ্চনার শিকার হয় এবং যা প্রতিনিয়ত তাদের অধিকার ও সম্ভাবনাকে ব্যাহত করে চলেছে, সেসব অবিলম্বে মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
এমপিআইয়ে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত পদ্ধতিতে দারিদ্র্য পরিমাপ করা হয়, যেখানে শুধু আয়ের ভিত্তিতে নয়, বরং শারীরিক দুর্বলতা বা খারাপ স্বাস্থ্য, শিক্ষার সুযোগের অভাব, অপর্যাপ্ত পুষ্টি, অনিরাপদ জীবনযাপন বা থাকার ব্যবস্থা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহের অভাব—এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মূল্যায়ন করা হয়। এসব সূচকের অন্তত দুটি দ্বারা প্রভাবিত হলে তাকে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসরত বলে বিবেচনা করা হয়।
এমপিআই অনুযায়ী, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে। অর্থনৈতিক দারিদ্র্য ও খর্বকায় শিশুর সংখ্যা হ্রাসে অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশে বহুমাত্রিক শিশু দারিদ্র্য এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। কারণ, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৫ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া গ্রামীণ এলাকার শিশুরা শহরাঞ্চলের শিশুদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি মাত্রায় বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার হচ্ছে। এমপিআইয়ে স্কুলে উপস্থিতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, শিশুর শিক্ষাসংক্রান্ত বঞ্চনাগুলো শিশুর দারিদ্র্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালক।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, যখন প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে তিনটি শিশুই এই দারিদ্র্যের শিকার, সে সময় মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ দ্বারা গৃহীত এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের কাছে এমন স্পষ্ট তথ্য দেবে, যা তাদের নীতিগত অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে, সামাজিক খাতে আরও সচেতন ও পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে এবং কার্যকরী ও লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। এই বছর এই মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে আবারও পরিচালিত হবে।
প্রতিবেদনে অঞ্চলভিত্তিক দারিদ্র্য বৈষম্যের চিত্রও উঠে এসেছে। দেশের পাঁচটি জেলায় ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার: বান্দরবান, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলা। দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার রয়েছে বান্দরবানে (৬৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ)। আর দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সিলেট বিভাগে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি, যা ৩৭ দশিমিক ৭০ শতাংশ। কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ, রাঙামাটি ও ভোলায় বিদ্যমান উচ্চমাত্রার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য, পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের একটি আঞ্চলিক দারিদ্র্যা—ক্লাস্টার বা দারিদ্র্যের ঘনত্বের ইঙ্গিত দেয়। শিশুর দারিদ্র্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের মতো পূর্বাঞ্চলের অঞ্চলগুলোতে বেশি। অপরদিকে অর্থনৈতিক দারিদ্র্য উত্তরাঞ্চলে বেশি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নীতিনির্ধারকদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এলাকার বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (এমপিআই) বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো এর অন্তর্নিহিত কারণসমূহ উদ্ঘাটন করা। আমাদের প্রতিটি সূচকের গভীরে যেতে হবে, বুঝতে হবে কীভাবে ও কেন তা সামগ্রিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকে প্রভাব রাখছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট কাউন্সেলর অ্যান্ড অ্যাক্টিং হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন মি. এডউইন কুককুক বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য এটি অত্যাবশ্যক যে দেশের সব মানুষ—বিশেষ করে, যারা এখনো দারিদ্র্যের ফাঁদে আটকে রয়েছে—সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করবে। এর জন্য অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী উভয় ধরনের আত্মবিশ্লেষণ প্রয়োজন: অন্য দেশগুলোর সমন্বিত অ্যাপ্রোচ (পদ্ধতি) থেকে প্রাসঙ্গিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি দেশের নিজস্ব উদ্ভাবন—যেমন, বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগের মূল্যায়ন ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন।

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’
নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা
৩১ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’
শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।
মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা
৩১ জুলাই ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা
৩১ জুলাই ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের প্রতি ১০টির মধ্যে প্রায় তিনটি শিশু (২৮ দশমিক ৯ শতাংশ) বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। এটা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী প্রাপ্তবয়স্কদের হারের (২১ দশমিক ৪৪ শতাংশ) চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর ফলে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শিশুরা বাংলাদেশে বিদ্যমান দারিদ্র্যের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর দ্বারা
৩১ জুলাই ২০২৫
হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।
৩৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন।
২ ঘণ্টা আগে