প্রতিষ্ঠার দুই দশক
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
আদালতে মামলার চাপ কমানো ও বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি থেকে বাঁচাতে ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য করা হয়েছিল গ্রাম আদালত আইন। ২০০৬ সালে আইনের মাধ্যমে চালু হওয়া গ্রাম আদালতের প্রতি দীর্ঘ দুই দশকেও মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়নি। বিচারপ্রার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে তাই নানাভাবে চেষ্টা-চরিত্র চলছে।
গ্রাম আদালতে ফৌজদারি মামলায় ১০ এবং দেওয়ানি মামলার জন্য ২০ টাকা আবেদন ফি। আদালত থেকে মামলা পাঠানো হলে তার জন্য কোনো ফি নেই। এ রকম নামমাত্র খরচে আর স্বল্প সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে কাজ করছে গ্রাম আদালত। অথচ প্রচলিত আদালতে প্রায়ই বছরের পর বছর ঘুরতে হয় বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য। এই আদালতে অভিযোগ জমা হওয়ার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হয়। তবে গ্রাম আদালতের সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া ছাড়া অন্য শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এই আদালতের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে আপিল করতে পারবে।
গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকার, ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একসঙ্গে কাজ করছে। ২০০৯-১৫ সাল পর্যন্ত ৩৫১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ পাইলট প্রকল্পের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়ন করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়িত হয় ২০১৬-২২ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা ছাড়া ৪ হাজার ৪৫৩টি ইউনিয়নে এর তৃতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত মেয়াদের এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ন্যায়বিচারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আইনি সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় বিচারব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পের লিগ্যাল অ্যানালিস্ট মশিউর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রাম আদালতের সুফল জনসাধারণকে জানাতে প্রচার বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিচার সম্পন্ন করার ৯০ দিনের সময়সীমা কমাতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে। আর বিরোধের ধরন দেখে শুরুতেই গ্রাম আদালতে পাঠাতে হলে ফৌজদারি কার্যবিধি এবং পিআরবি সংশোধন করা দরকার। আশা করি, আমাদের নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে গ্রাম আদালতের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রাম আদালতের প্রতিনিধিদের অনেকেরই বিচারের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকে। বিদ্যমান আইন অনুসারে অভিযোগ গঠনের আগে গ্রাম আদালতে মামলা পাঠানো যায় না। এতে সময় অপচয়সহ নানাবিধ হয়রানির শিকার হতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। মামলা করা থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত কখনো কখনো ৫ মাসের বেশি লেগে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘গ্রাম আদালতের ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা ৯০ দিনের বদলে ৩০ দিন করা উচিত। এতে গ্রাম আদালতে দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি হবে এবং মামলাজট কমবে।’
গ্রাম আদালত যেসব ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে চুরি, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, দাঙ্গা, প্রতারণা, ভয়ভীতি দেখানো, নারীর প্রতি অবমাননাকর কথা বলা এবং মূল্যবান সম্পত্তি আটক করা। দেওয়ানি বিরোধের মধ্যে রয়েছে পাওনা টাকা আদায়, স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধার, অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধার বা তার মূল্য আদায়, কৃষিশ্রমিকদের পরিশোধযোগ্য মজুরি আদায়, স্ত্রী কর্তৃক বকেয়া ভরণপোষণ আদায় ইত্যাদি।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
গ্রাম আদালতের বিদ্যমান কাঠামোর অতিরিক্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিচক্ষণ, অভিজ্ঞ এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য শিক্ষিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা প্যানেল গঠন করতে হবে। আদালত গঠনের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হলে চেয়ারম্যান কোনো উপদেষ্টাকে সদস্য করতে পারবেন। এজলাস কক্ষের কর্মপরিবেশসহ সব কার্যক্রমে বিচারিক পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সূচি ধার্য করতে হবে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের সভাপতিত্বে একটি তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে। গ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম স্বচ্ছ, কার্যকর ও গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় সার্কুলার, নির্দেশনা ইত্যাদি জারির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গ্রাম আদালত পুরোপুরি কার্যকর করতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিল। তবে গত ৯ মাসেও সে সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ‘গ্রাম আদালত সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নয়। এটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। তবে আইন সংশোধনের কোনো উদ্যোগ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে আমার জানা নেই।’
আদালতে মামলার চাপ কমানো ও বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি থেকে বাঁচাতে ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য করা হয়েছিল গ্রাম আদালত আইন। ২০০৬ সালে আইনের মাধ্যমে চালু হওয়া গ্রাম আদালতের প্রতি দীর্ঘ দুই দশকেও মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ সৃষ্টি হয়নি। বিচারপ্রার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে তাই নানাভাবে চেষ্টা-চরিত্র চলছে।
গ্রাম আদালতে ফৌজদারি মামলায় ১০ এবং দেওয়ানি মামলার জন্য ২০ টাকা আবেদন ফি। আদালত থেকে মামলা পাঠানো হলে তার জন্য কোনো ফি নেই। এ রকম নামমাত্র খরচে আর স্বল্প সময়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে কাজ করছে গ্রাম আদালত। অথচ প্রচলিত আদালতে প্রায়ই বছরের পর বছর ঘুরতে হয় বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য। এই আদালতে অভিযোগ জমা হওয়ার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হয়। তবে গ্রাম আদালতের সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া ছাড়া অন্য শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এই আদালতের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে আপিল করতে পারবে।
গ্রাম আদালত ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকার, ইউএনডিপি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একসঙ্গে কাজ করছে। ২০০৯-১৫ সাল পর্যন্ত ৩৫১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ পাইলট প্রকল্পের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়ন করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়িত হয় ২০১৬-২২ সাল পর্যন্ত ১ হাজার ৮০টি ইউনিয়নে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা ছাড়া ৪ হাজার ৪৫৩টি ইউনিয়নে এর তৃতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত মেয়াদের এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ন্যায়বিচারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আইনি সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় বিচারব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্পের লিগ্যাল অ্যানালিস্ট মশিউর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রাম আদালতের সুফল জনসাধারণকে জানাতে প্রচার বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিচার সম্পন্ন করার ৯০ দিনের সময়সীমা কমাতে হলে আইন সংশোধন করতে হবে। আর বিরোধের ধরন দেখে শুরুতেই গ্রাম আদালতে পাঠাতে হলে ফৌজদারি কার্যবিধি এবং পিআরবি সংশোধন করা দরকার। আশা করি, আমাদের নেওয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে গ্রাম আদালতের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রাম আদালতের প্রতিনিধিদের অনেকেরই বিচারের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকে। বিদ্যমান আইন অনুসারে অভিযোগ গঠনের আগে গ্রাম আদালতে মামলা পাঠানো যায় না। এতে সময় অপচয়সহ নানাবিধ হয়রানির শিকার হতে হয় বিচারপ্রার্থীদের। মামলা করা থেকে নিষ্পত্তি পর্যন্ত কখনো কখনো ৫ মাসের বেশি লেগে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘গ্রাম আদালতের ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা ৯০ দিনের বদলে ৩০ দিন করা উচিত। এতে গ্রাম আদালতে দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি হবে এবং মামলাজট কমবে।’
গ্রাম আদালত যেসব ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে চুরি, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, দাঙ্গা, প্রতারণা, ভয়ভীতি দেখানো, নারীর প্রতি অবমাননাকর কথা বলা এবং মূল্যবান সম্পত্তি আটক করা। দেওয়ানি বিরোধের মধ্যে রয়েছে পাওনা টাকা আদায়, স্থাবর সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধার, অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধার বা তার মূল্য আদায়, কৃষিশ্রমিকদের পরিশোধযোগ্য মজুরি আদায়, স্ত্রী কর্তৃক বকেয়া ভরণপোষণ আদায় ইত্যাদি।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
গ্রাম আদালতের বিদ্যমান কাঠামোর অতিরিক্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিচক্ষণ, অভিজ্ঞ এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য শিক্ষিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা প্যানেল গঠন করতে হবে। আদালত গঠনের ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হলে চেয়ারম্যান কোনো উপদেষ্টাকে সদস্য করতে পারবেন। এজলাস কক্ষের কর্মপরিবেশসহ সব কার্যক্রমে বিচারিক পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলন নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সূচি ধার্য করতে হবে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের সভাপতিত্বে একটি তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে। গ্রাম আদালতের বিচারিক কার্যক্রম স্বচ্ছ, কার্যকর ও গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় সার্কুলার, নির্দেশনা ইত্যাদি জারির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গ্রাম আদালত পুরোপুরি কার্যকর করতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিল। তবে গত ৯ মাসেও সে সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জানতে চাইলে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ‘গ্রাম আদালত সরাসরি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নয়। এটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। তবে আইন সংশোধনের কোনো উদ্যোগ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে বলে আমার জানা নেই।’
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে অংশ নিতে ১২ অক্টোবর বিকেলে রোমে পৌঁছান ড. ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
১৫ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
১৫ ঘণ্টা আগে