নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কৃষিজমি রক্ষায় ২০১৬ সালে উদ্যোগ নেওয়া আইন দ্রুত পাস করতে জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জাপান ও ফিনল্যান্ডের আইন অনুসরণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে দ্বীপ উন্নয়ন আইন করতেও সংসদকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার চককানু এলাকার মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির পুকুর খনন নিয়ে করা রিটের রায়ে এমন পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ। ২০২২ সালের ২ জুন দেওয়া রায়ের ১৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬’ খসড়া আইন প্রণয়ন করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে এটি এখনো আলোর মুখ দেখছে না। বাংলাদেশের কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ইত্যাদি সুরক্ষার জন্য আইনটি দ্রুত জাতীয় সংসদ কর্তৃক পাস হওয়া অতি আবশ্যক। জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংগঠনের প্রতিবেদনের আলোকে আমরা আমাদের দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা করতে পারলে, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ সম্পর্কিত বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
দ্বীপ সংরক্ষণ আইনের বিষয়ে রায়ে বলা হয়, দ্বীপ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সম্মত টেকসই উন্নয়নের জন্য পৃথিবীতে প্রথম জাপান ‘রিমোট আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন ১৯৫৩ সালে প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এটি সংশোধিত হয়। আইনটি জাপানের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোদি সরকার ২০১৭ সালে ‘আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে দ্বীপের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। আমাদের দ্বীপ সমূহের উন্নয়নের জন্য দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত করা প্রয়োজন।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন—আইনজীবী বজলুর রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার।
২০১৬ সালে প্রণয়ন করা খসড়া আইনে বলা হয়, যেহেতু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে পরিকল্পিত আবাসন, বাড়িঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কাজ এবং শিল্প-কারখানা বা রাস্তাঘাট নির্মাণের কারণে প্রতিনিয়তই ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে, দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্য শস্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে এবং পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। ফলে অপরিকল্পিত বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা বা রাস্তাঘাট তৈরি রোধ করে ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে এবং কৃষি জমি ও কৃষি প্রযুক্তির প্রায়োগিক সুবিধার সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
কৃষিজমি রক্ষায় ২০১৬ সালে উদ্যোগ নেওয়া আইন দ্রুত পাস করতে জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জাপান ও ফিনল্যান্ডের আইন অনুসরণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে দ্বীপ উন্নয়ন আইন করতেও সংসদকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর মান্দা উপজেলার চককানু এলাকার মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির পুকুর খনন নিয়ে করা রিটের রায়ে এমন পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ। ২০২২ সালের ২ জুন দেওয়া রায়ের ১৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, ‘কৃষিজমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬’ খসড়া আইন প্রণয়ন করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে এটি এখনো আলোর মুখ দেখছে না। বাংলাদেশের কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ইত্যাদি সুরক্ষার জন্য আইনটি দ্রুত জাতীয় সংসদ কর্তৃক পাস হওয়া অতি আবশ্যক। জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংগঠনের প্রতিবেদনের আলোকে আমরা আমাদের দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা করতে পারলে, পরিবেশ এবং প্রতিবেশ সম্পর্কিত বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।
দ্বীপ সংরক্ষণ আইনের বিষয়ে রায়ে বলা হয়, দ্বীপ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সম্মত টেকসই উন্নয়নের জন্য পৃথিবীতে প্রথম জাপান ‘রিমোট আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন ১৯৫৩ সালে প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এটি সংশোধিত হয়। আইনটি জাপানের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোদি সরকার ২০১৭ সালে ‘আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে দ্বীপের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। আমাদের দ্বীপ সমূহের উন্নয়নের জন্য দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত করা প্রয়োজন।
আবেদনের পক্ষে ছিলেন—আইনজীবী বজলুর রশিদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার।
২০১৬ সালে প্রণয়ন করা খসড়া আইনে বলা হয়, যেহেতু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে পরিকল্পিত আবাসন, বাড়িঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কাজ এবং শিল্প-কারখানা বা রাস্তাঘাট নির্মাণের কারণে প্রতিনিয়তই ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে, দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্য শস্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ছে এবং পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। ফলে অপরিকল্পিত বাড়িঘর, শিল্প-কারখানা বা রাস্তাঘাট তৈরি রোধ করে ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে এবং কৃষি জমি ও কৃষি প্রযুক্তির প্রায়োগিক সুবিধার সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক কাঠামোর সংস্কার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে গতকাল বুধবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মহাপরিদর্শক গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি পুলিশ। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। বেসরকারি সংস্থা আইন
৯ ঘণ্টা আগেসাময়িক বরখাস্তের পর রাষ্ট্রের গোপনীয় নথি ফাঁস করার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস পলিসি) মুকিতুল হাসানের বিরুদ্ধে এবার মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার আরেক দ্বিতীয় সচিব (বোর্ড প্রশাসন-৪) বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা করেন।
৯ ঘণ্টা আগেঢাকা টু বুড়িমারী ট্রেন চলাচলে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ...
১০ ঘণ্টা আগে