সুপ্রিয় সিকদার, ঢাকা

শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
তবে মহাসড়কে কমপক্ষে ১২৬ সিসির মোটরসাইকেল বাধ্যতামূলক করার বিধিটি ছাড়া অন্যগুলো নিয়ে ব্যাপক আপত্তি দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, শহরের রিকশার গতিই ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার থাকে। মোটরসাইকেলের জন্য এই গতি বেঁধে দেওয়া হাস্যকর! এ ছাড়া এতে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়বে।
মূলত বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ ’-এর খসড়া তৈরি করেছে সরকার।
পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করেছে। খসড়া নীতিমালা নিয়ে আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মোটরসাইকেলের গতি কমানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেলে বয়স্ক ও শিশুকে যাত্রী না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএসটিআই অনুমোদিত উন্নতমানের হেলমেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম চালককে পরার কথা বলা হয়েছে।’
এই যুগ্ম সচিব আরও বলেন, ‘বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত করতে অংশীজনদের সঙ্গে সভা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।’
এই নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ মোটরসাইকেল চালকেরা। সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন রাস্তায় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। এই নীতিমালা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকেরাও।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একটা স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কালো আইন তৈরি করে যুবসমাজকে জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মুর্তোজা এক ভিডিও বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দিনে দিনে মোটরসাইকেলের গুরুত্ব বাড়ছে। তবে সরকারের এই নীতিমালার খসড়া দেখে মনে হচ্ছে, তারা মোটরসাইকেলের ওপর বিরক্ত। মোটরসাইকেবিরোধী একটা মনোভাব নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।’ এই নীতিমালার খসড়া কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শুধু রাজধানীর হিসাব করলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহন কোনোটিই ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। সেটি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করলে কোনো সুফল আসবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোটরসাইকেলচালক মো. জামাল হোসেন। বাড়ি ভোলায়। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে আয় করেন। দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা মোটরসাইকেল চালালে সব খরচ বাদ দিয়ে থাকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এই দিয়েই চলে তাঁর ৫ সদস্যের সংসার।
খসড়া এই নীতিমালা নিয়ে জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে রিকশাও চলে ৩০ কিলোমিটার গতিতে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলাচল করে। প্রাইভেট কার, গণপরিবহন আরও বেশি গতিতে চলাচল করে। সে অনুযায়ী ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চললে সড়ক দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।’
প্রতিদিনের আয়ে টান পড়বে জানিয়ে জামাল হোসেন দাবি করেন, ‘এই নীতিমালা করা হয়েছে পুলিশকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি ৩০-এ চালাব না ৪০-এ, সেটা না দেখেই পুলিশ মামলা দেবে। আগে পুলিশের ২ হাজার টাকার মামলা থেকে বাঁচতে ৫০০ টাকা ঘুষ দিতাম। এখন আরও বেশি দিতে হবে।’
এই খসড়া নীতিমালার উপযুক্ততা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাভেদে যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করা যেতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনো যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করে দেওয়ার মতো সংস্কৃতি এখনো আমাদের দেশে আসেনি। বিভিন্ন দেশে লেন বিভাজন আছে। লেন অনুযায়ী বিভিন্ন গতিতে গাড়ি চলাচল করে। তবে আমাদের এখানে লেনের সংস্কৃত নেই। সেজন্য নির্দিষ্ট একটি যানবাহনের জন্য গতি নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে এই নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।’
একই লেনে যখন একটি নির্দিষ্ট গতির গাড়ি চলবে, আর অন্যগুলো তাদের নিজেদের গতিতে চলবে—এতে করে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও মনে করেন এই সহকারী অধ্যাপক।
দিনাজপুরের সাইদ আল মামুন। থাকেন বনশ্রীতে। অন্য পেশার পাশাপাশি রাইড শেয়ার করে উপার্জন করেন। এই নীতিমালা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা স্রেফ অন্যান্য গাড়ির মালিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। গত ঈদেও অনেক মানুষ মোটরসাইকেলে পরিবার নিয়ে বাড়িতে গেছে। তখন বাসমালিকদের ব্যবসা হয়নি। আবার এখন অনেকেই মোটরসাইকেল কেনায় গণপরিবহনের ভাড়া উঠছে না ঠিকমতো। এই মালিকদের সুবিধা দিতেই সরকার এই নীতিমালা করছে।’
তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট নির্ধারণ নিয়ে সন্তুষ্ট সাইদ। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক আছে। বেশি সিসির মোটরসাইকেল হলে মহাসড়কে অন্য গাড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা যাবে।’
বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ এ ব্যাপারে বলেন, ‘ডব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) পুরো পৃথিবীতে রিস্ক ভালনারেবল গ্রুপের মধ্যে তিনটি আর্টিকেল ইনক্লুড করেছে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল। পুরো পৃথিবীতেই মোটরসাইকেলকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। অনেক দেশেই মোটরসাইকেল চলাচলে সিসি লিমিট করে দেওয়া। আমাদের দেশে এমন ছিল না। তবে নীতিমালায় সিসি লিমিটের কথা বলা হয়েছে। এটাকে আমি স্বাগত জানাই। কেননা, সিসি মানেই গতি না, সিসি অনেক বেশি স্ট্যাবিলিটিও দেয়। সিসি বেশি হলে ব্রেকিং পাওয়ারও অনেক ভালো থাকে।’
আরেক মোটরসাইকেল চালক নূরুন্নবী বলেন, ‘যদি মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এই নীতিমালা কিছুটা হলেও কার্যকর হতে পারে।’
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তানভীর ইসলাম। মিরপুর থেকে বনানী প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে অফিস করেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি আইন-নীতিমালা করার আগে সরকার একটা মাঠ জরিপ করে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সে জন্যই এই নীতিমালার খসড়ার আংশিক অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।’
৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন করা হলে আর মোটরসাইকেলই চালাবেন না ক্ষুব্ধ তানভীর। তানভীর বলেন, ‘বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ না করে সবার জন্য মোটরসাইকেলের অযৌক্তিক নীতিমালা করা হচ্ছে।’
মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ নিয়ে মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার খসড়ার আগে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়নি। বিধিনিষেধ এলে ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।
সংবাদকর্মী রজত কান্তি রায় বলেন, ‘প্রতিদিন রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে অফিসে আসি। গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে। যেখানে সড়কে সাধারণ গতি ৪০ কিলোমিটার, সেখানে শুধু মোটরসাইকেলে গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে দুর্ঘটনা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
রজত কান্তির মতে, শুধু মোটরসাইকেল চালকদের নিরাপত্তা, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এই আইন করা হচ্ছে না। একটি পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। কারণ, ঢাকা সিটিতে যানজট বাদে একটি বাসের গতি যদি ৪৫ কিলোমিটার, একটি ব্যক্তিগত গাড়ির গতি যদি ৫০ কিলোমিটার আর সিএনজি অটোরিকশার গতি ৪০ কিলোমিটার হয় আর সেই সড়কে যদি ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনার প্রবণতা বেড়ে যায়। বাড়বে যানজটও।
মহাসড়কে পিলিয়ন নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এই নীতিমালাটা মূলত করা হচ্ছে, হতাহতের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। একটা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়লে দুজনই আহত হয়। দুজন থাকলে দুজনই আহত হয়। সেক্ষেত্রে হতাহতের হার বেড়ে যায়।’
এদিকে গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই নীতিমালার খসড়া এখনো আমার টেবিলে আসেনি। খসড়া হলেই সেটি ফাইনাল নয়। আমি এটি দেখব। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।’
মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক, ক্রেতা-বিক্রেতা, চালক মোটদাগে এই নীতিমালার যারা অংশীজন তাঁদের কারও সঙ্গে আলাপ না করে করা এই নীতিমালা শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয় কি না দেখার অপেক্ষা।

শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
তবে মহাসড়কে কমপক্ষে ১২৬ সিসির মোটরসাইকেল বাধ্যতামূলক করার বিধিটি ছাড়া অন্যগুলো নিয়ে ব্যাপক আপত্তি দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, শহরের রিকশার গতিই ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার থাকে। মোটরসাইকেলের জন্য এই গতি বেঁধে দেওয়া হাস্যকর! এ ছাড়া এতে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়বে।
মূলত বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ ’-এর খসড়া তৈরি করেছে সরকার।
পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করেছে। খসড়া নীতিমালা নিয়ে আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মোটরসাইকেলের গতি কমানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেলে বয়স্ক ও শিশুকে যাত্রী না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএসটিআই অনুমোদিত উন্নতমানের হেলমেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম চালককে পরার কথা বলা হয়েছে।’
এই যুগ্ম সচিব আরও বলেন, ‘বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত করতে অংশীজনদের সঙ্গে সভা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।’
এই নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ মোটরসাইকেল চালকেরা। সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন রাস্তায় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। এই নীতিমালা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকেরাও।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একটা স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কালো আইন তৈরি করে যুবসমাজকে জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মুর্তোজা এক ভিডিও বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দিনে দিনে মোটরসাইকেলের গুরুত্ব বাড়ছে। তবে সরকারের এই নীতিমালার খসড়া দেখে মনে হচ্ছে, তারা মোটরসাইকেলের ওপর বিরক্ত। মোটরসাইকেবিরোধী একটা মনোভাব নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।’ এই নীতিমালার খসড়া কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শুধু রাজধানীর হিসাব করলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহন কোনোটিই ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। সেটি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করলে কোনো সুফল আসবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোটরসাইকেলচালক মো. জামাল হোসেন। বাড়ি ভোলায়। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে আয় করেন। দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা মোটরসাইকেল চালালে সব খরচ বাদ দিয়ে থাকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এই দিয়েই চলে তাঁর ৫ সদস্যের সংসার।
খসড়া এই নীতিমালা নিয়ে জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে রিকশাও চলে ৩০ কিলোমিটার গতিতে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলাচল করে। প্রাইভেট কার, গণপরিবহন আরও বেশি গতিতে চলাচল করে। সে অনুযায়ী ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চললে সড়ক দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।’
প্রতিদিনের আয়ে টান পড়বে জানিয়ে জামাল হোসেন দাবি করেন, ‘এই নীতিমালা করা হয়েছে পুলিশকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি ৩০-এ চালাব না ৪০-এ, সেটা না দেখেই পুলিশ মামলা দেবে। আগে পুলিশের ২ হাজার টাকার মামলা থেকে বাঁচতে ৫০০ টাকা ঘুষ দিতাম। এখন আরও বেশি দিতে হবে।’
এই খসড়া নীতিমালার উপযুক্ততা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাভেদে যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করা যেতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনো যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করে দেওয়ার মতো সংস্কৃতি এখনো আমাদের দেশে আসেনি। বিভিন্ন দেশে লেন বিভাজন আছে। লেন অনুযায়ী বিভিন্ন গতিতে গাড়ি চলাচল করে। তবে আমাদের এখানে লেনের সংস্কৃত নেই। সেজন্য নির্দিষ্ট একটি যানবাহনের জন্য গতি নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে এই নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।’
একই লেনে যখন একটি নির্দিষ্ট গতির গাড়ি চলবে, আর অন্যগুলো তাদের নিজেদের গতিতে চলবে—এতে করে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও মনে করেন এই সহকারী অধ্যাপক।
দিনাজপুরের সাইদ আল মামুন। থাকেন বনশ্রীতে। অন্য পেশার পাশাপাশি রাইড শেয়ার করে উপার্জন করেন। এই নীতিমালা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা স্রেফ অন্যান্য গাড়ির মালিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। গত ঈদেও অনেক মানুষ মোটরসাইকেলে পরিবার নিয়ে বাড়িতে গেছে। তখন বাসমালিকদের ব্যবসা হয়নি। আবার এখন অনেকেই মোটরসাইকেল কেনায় গণপরিবহনের ভাড়া উঠছে না ঠিকমতো। এই মালিকদের সুবিধা দিতেই সরকার এই নীতিমালা করছে।’
তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট নির্ধারণ নিয়ে সন্তুষ্ট সাইদ। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক আছে। বেশি সিসির মোটরসাইকেল হলে মহাসড়কে অন্য গাড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা যাবে।’
বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ এ ব্যাপারে বলেন, ‘ডব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) পুরো পৃথিবীতে রিস্ক ভালনারেবল গ্রুপের মধ্যে তিনটি আর্টিকেল ইনক্লুড করেছে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল। পুরো পৃথিবীতেই মোটরসাইকেলকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। অনেক দেশেই মোটরসাইকেল চলাচলে সিসি লিমিট করে দেওয়া। আমাদের দেশে এমন ছিল না। তবে নীতিমালায় সিসি লিমিটের কথা বলা হয়েছে। এটাকে আমি স্বাগত জানাই। কেননা, সিসি মানেই গতি না, সিসি অনেক বেশি স্ট্যাবিলিটিও দেয়। সিসি বেশি হলে ব্রেকিং পাওয়ারও অনেক ভালো থাকে।’
আরেক মোটরসাইকেল চালক নূরুন্নবী বলেন, ‘যদি মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এই নীতিমালা কিছুটা হলেও কার্যকর হতে পারে।’
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তানভীর ইসলাম। মিরপুর থেকে বনানী প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে অফিস করেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি আইন-নীতিমালা করার আগে সরকার একটা মাঠ জরিপ করে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সে জন্যই এই নীতিমালার খসড়ার আংশিক অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।’
৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন করা হলে আর মোটরসাইকেলই চালাবেন না ক্ষুব্ধ তানভীর। তানভীর বলেন, ‘বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ না করে সবার জন্য মোটরসাইকেলের অযৌক্তিক নীতিমালা করা হচ্ছে।’
মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ নিয়ে মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার খসড়ার আগে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়নি। বিধিনিষেধ এলে ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।
সংবাদকর্মী রজত কান্তি রায় বলেন, ‘প্রতিদিন রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে অফিসে আসি। গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে। যেখানে সড়কে সাধারণ গতি ৪০ কিলোমিটার, সেখানে শুধু মোটরসাইকেলে গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে দুর্ঘটনা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
রজত কান্তির মতে, শুধু মোটরসাইকেল চালকদের নিরাপত্তা, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এই আইন করা হচ্ছে না। একটি পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। কারণ, ঢাকা সিটিতে যানজট বাদে একটি বাসের গতি যদি ৪৫ কিলোমিটার, একটি ব্যক্তিগত গাড়ির গতি যদি ৫০ কিলোমিটার আর সিএনজি অটোরিকশার গতি ৪০ কিলোমিটার হয় আর সেই সড়কে যদি ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনার প্রবণতা বেড়ে যায়। বাড়বে যানজটও।
মহাসড়কে পিলিয়ন নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এই নীতিমালাটা মূলত করা হচ্ছে, হতাহতের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। একটা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়লে দুজনই আহত হয়। দুজন থাকলে দুজনই আহত হয়। সেক্ষেত্রে হতাহতের হার বেড়ে যায়।’
এদিকে গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই নীতিমালার খসড়া এখনো আমার টেবিলে আসেনি। খসড়া হলেই সেটি ফাইনাল নয়। আমি এটি দেখব। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।’
মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক, ক্রেতা-বিক্রেতা, চালক মোটদাগে এই নীতিমালার যারা অংশীজন তাঁদের কারও সঙ্গে আলাপ না করে করা এই নীতিমালা শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয় কি না দেখার অপেক্ষা।
সুপ্রিয় সিকদার, ঢাকা

শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
তবে মহাসড়কে কমপক্ষে ১২৬ সিসির মোটরসাইকেল বাধ্যতামূলক করার বিধিটি ছাড়া অন্যগুলো নিয়ে ব্যাপক আপত্তি দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, শহরের রিকশার গতিই ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার থাকে। মোটরসাইকেলের জন্য এই গতি বেঁধে দেওয়া হাস্যকর! এ ছাড়া এতে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়বে।
মূলত বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ ’-এর খসড়া তৈরি করেছে সরকার।
পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করেছে। খসড়া নীতিমালা নিয়ে আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মোটরসাইকেলের গতি কমানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেলে বয়স্ক ও শিশুকে যাত্রী না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএসটিআই অনুমোদিত উন্নতমানের হেলমেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম চালককে পরার কথা বলা হয়েছে।’
এই যুগ্ম সচিব আরও বলেন, ‘বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত করতে অংশীজনদের সঙ্গে সভা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।’
এই নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ মোটরসাইকেল চালকেরা। সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন রাস্তায় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। এই নীতিমালা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকেরাও।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একটা স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কালো আইন তৈরি করে যুবসমাজকে জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মুর্তোজা এক ভিডিও বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দিনে দিনে মোটরসাইকেলের গুরুত্ব বাড়ছে। তবে সরকারের এই নীতিমালার খসড়া দেখে মনে হচ্ছে, তারা মোটরসাইকেলের ওপর বিরক্ত। মোটরসাইকেবিরোধী একটা মনোভাব নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।’ এই নীতিমালার খসড়া কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শুধু রাজধানীর হিসাব করলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহন কোনোটিই ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। সেটি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করলে কোনো সুফল আসবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোটরসাইকেলচালক মো. জামাল হোসেন। বাড়ি ভোলায়। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে আয় করেন। দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা মোটরসাইকেল চালালে সব খরচ বাদ দিয়ে থাকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এই দিয়েই চলে তাঁর ৫ সদস্যের সংসার।
খসড়া এই নীতিমালা নিয়ে জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে রিকশাও চলে ৩০ কিলোমিটার গতিতে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলাচল করে। প্রাইভেট কার, গণপরিবহন আরও বেশি গতিতে চলাচল করে। সে অনুযায়ী ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চললে সড়ক দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।’
প্রতিদিনের আয়ে টান পড়বে জানিয়ে জামাল হোসেন দাবি করেন, ‘এই নীতিমালা করা হয়েছে পুলিশকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি ৩০-এ চালাব না ৪০-এ, সেটা না দেখেই পুলিশ মামলা দেবে। আগে পুলিশের ২ হাজার টাকার মামলা থেকে বাঁচতে ৫০০ টাকা ঘুষ দিতাম। এখন আরও বেশি দিতে হবে।’
এই খসড়া নীতিমালার উপযুক্ততা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাভেদে যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করা যেতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনো যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করে দেওয়ার মতো সংস্কৃতি এখনো আমাদের দেশে আসেনি। বিভিন্ন দেশে লেন বিভাজন আছে। লেন অনুযায়ী বিভিন্ন গতিতে গাড়ি চলাচল করে। তবে আমাদের এখানে লেনের সংস্কৃত নেই। সেজন্য নির্দিষ্ট একটি যানবাহনের জন্য গতি নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে এই নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।’
একই লেনে যখন একটি নির্দিষ্ট গতির গাড়ি চলবে, আর অন্যগুলো তাদের নিজেদের গতিতে চলবে—এতে করে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও মনে করেন এই সহকারী অধ্যাপক।
দিনাজপুরের সাইদ আল মামুন। থাকেন বনশ্রীতে। অন্য পেশার পাশাপাশি রাইড শেয়ার করে উপার্জন করেন। এই নীতিমালা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা স্রেফ অন্যান্য গাড়ির মালিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। গত ঈদেও অনেক মানুষ মোটরসাইকেলে পরিবার নিয়ে বাড়িতে গেছে। তখন বাসমালিকদের ব্যবসা হয়নি। আবার এখন অনেকেই মোটরসাইকেল কেনায় গণপরিবহনের ভাড়া উঠছে না ঠিকমতো। এই মালিকদের সুবিধা দিতেই সরকার এই নীতিমালা করছে।’
তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট নির্ধারণ নিয়ে সন্তুষ্ট সাইদ। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক আছে। বেশি সিসির মোটরসাইকেল হলে মহাসড়কে অন্য গাড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা যাবে।’
বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ এ ব্যাপারে বলেন, ‘ডব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) পুরো পৃথিবীতে রিস্ক ভালনারেবল গ্রুপের মধ্যে তিনটি আর্টিকেল ইনক্লুড করেছে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল। পুরো পৃথিবীতেই মোটরসাইকেলকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। অনেক দেশেই মোটরসাইকেল চলাচলে সিসি লিমিট করে দেওয়া। আমাদের দেশে এমন ছিল না। তবে নীতিমালায় সিসি লিমিটের কথা বলা হয়েছে। এটাকে আমি স্বাগত জানাই। কেননা, সিসি মানেই গতি না, সিসি অনেক বেশি স্ট্যাবিলিটিও দেয়। সিসি বেশি হলে ব্রেকিং পাওয়ারও অনেক ভালো থাকে।’
আরেক মোটরসাইকেল চালক নূরুন্নবী বলেন, ‘যদি মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এই নীতিমালা কিছুটা হলেও কার্যকর হতে পারে।’
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তানভীর ইসলাম। মিরপুর থেকে বনানী প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে অফিস করেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি আইন-নীতিমালা করার আগে সরকার একটা মাঠ জরিপ করে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সে জন্যই এই নীতিমালার খসড়ার আংশিক অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।’
৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন করা হলে আর মোটরসাইকেলই চালাবেন না ক্ষুব্ধ তানভীর। তানভীর বলেন, ‘বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ না করে সবার জন্য মোটরসাইকেলের অযৌক্তিক নীতিমালা করা হচ্ছে।’
মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ নিয়ে মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার খসড়ার আগে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়নি। বিধিনিষেধ এলে ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।
সংবাদকর্মী রজত কান্তি রায় বলেন, ‘প্রতিদিন রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে অফিসে আসি। গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে। যেখানে সড়কে সাধারণ গতি ৪০ কিলোমিটার, সেখানে শুধু মোটরসাইকেলে গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে দুর্ঘটনা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
রজত কান্তির মতে, শুধু মোটরসাইকেল চালকদের নিরাপত্তা, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এই আইন করা হচ্ছে না। একটি পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। কারণ, ঢাকা সিটিতে যানজট বাদে একটি বাসের গতি যদি ৪৫ কিলোমিটার, একটি ব্যক্তিগত গাড়ির গতি যদি ৫০ কিলোমিটার আর সিএনজি অটোরিকশার গতি ৪০ কিলোমিটার হয় আর সেই সড়কে যদি ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনার প্রবণতা বেড়ে যায়। বাড়বে যানজটও।
মহাসড়কে পিলিয়ন নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এই নীতিমালাটা মূলত করা হচ্ছে, হতাহতের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। একটা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়লে দুজনই আহত হয়। দুজন থাকলে দুজনই আহত হয়। সেক্ষেত্রে হতাহতের হার বেড়ে যায়।’
এদিকে গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই নীতিমালার খসড়া এখনো আমার টেবিলে আসেনি। খসড়া হলেই সেটি ফাইনাল নয়। আমি এটি দেখব। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।’
মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক, ক্রেতা-বিক্রেতা, চালক মোটদাগে এই নীতিমালার যারা অংশীজন তাঁদের কারও সঙ্গে আলাপ না করে করা এই নীতিমালা শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয় কি না দেখার অপেক্ষা।

শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
তবে মহাসড়কে কমপক্ষে ১২৬ সিসির মোটরসাইকেল বাধ্যতামূলক করার বিধিটি ছাড়া অন্যগুলো নিয়ে ব্যাপক আপত্তি দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, শহরের রিকশার গতিই ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার থাকে। মোটরসাইকেলের জন্য এই গতি বেঁধে দেওয়া হাস্যকর! এ ছাড়া এতে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়বে।
মূলত বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ ’-এর খসড়া তৈরি করেছে সরকার।
পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করেছে। খসড়া নীতিমালা নিয়ে আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মোটরসাইকেলের গতি কমানোর দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেলে বয়স্ক ও শিশুকে যাত্রী না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএসটিআই অনুমোদিত উন্নতমানের হেলমেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম চালককে পরার কথা বলা হয়েছে।’
এই যুগ্ম সচিব আরও বলেন, ‘বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত করতে অংশীজনদের সঙ্গে সভা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে।’
এই নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ মোটরসাইকেল চালকেরা। সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা-সংলগ্ন রাস্তায় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তাঁরা। এই নীতিমালা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকেরাও।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘একটা স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কালো আইন তৈরি করে যুবসমাজকে জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মুর্তোজা এক ভিডিও বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দিনে দিনে মোটরসাইকেলের গুরুত্ব বাড়ছে। তবে সরকারের এই নীতিমালার খসড়া দেখে মনে হচ্ছে, তারা মোটরসাইকেলের ওপর বিরক্ত। মোটরসাইকেবিরোধী একটা মনোভাব নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।’ এই নীতিমালার খসড়া কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। শুধু রাজধানীর হিসাব করলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, গণপরিবহন কোনোটিই ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। সেটি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করলে কোনো সুফল আসবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোটরসাইকেলচালক মো. জামাল হোসেন। বাড়ি ভোলায়। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে আয় করেন। দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা মোটরসাইকেল চালালে সব খরচ বাদ দিয়ে থাকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা। এই দিয়েই চলে তাঁর ৫ সদস্যের সংসার।
খসড়া এই নীতিমালা নিয়ে জামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা শহরে রিকশাও চলে ৩০ কিলোমিটার গতিতে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলাচল করে। প্রাইভেট কার, গণপরিবহন আরও বেশি গতিতে চলাচল করে। সে অনুযায়ী ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চললে সড়ক দুর্ঘটনা আরও বাড়বে।’
প্রতিদিনের আয়ে টান পড়বে জানিয়ে জামাল হোসেন দাবি করেন, ‘এই নীতিমালা করা হয়েছে পুলিশকে সুবিধা দেওয়ার জন্য। আমি ৩০-এ চালাব না ৪০-এ, সেটা না দেখেই পুলিশ মামলা দেবে। আগে পুলিশের ২ হাজার টাকার মামলা থেকে বাঁচতে ৫০০ টাকা ঘুষ দিতাম। এখন আরও বেশি দিতে হবে।’
এই খসড়া নীতিমালার উপযুক্ততা নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাভেদে যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করা যেতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনো যানবাহনের জন্য গতিসীমা ঠিক করে দেওয়ার মতো সংস্কৃতি এখনো আমাদের দেশে আসেনি। বিভিন্ন দেশে লেন বিভাজন আছে। লেন অনুযায়ী বিভিন্ন গতিতে গাড়ি চলাচল করে। তবে আমাদের এখানে লেনের সংস্কৃত নেই। সেজন্য নির্দিষ্ট একটি যানবাহনের জন্য গতি নির্দিষ্ট করা ঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে এই নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।’
একই লেনে যখন একটি নির্দিষ্ট গতির গাড়ি চলবে, আর অন্যগুলো তাদের নিজেদের গতিতে চলবে—এতে করে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও মনে করেন এই সহকারী অধ্যাপক।
দিনাজপুরের সাইদ আল মামুন। থাকেন বনশ্রীতে। অন্য পেশার পাশাপাশি রাইড শেয়ার করে উপার্জন করেন। এই নীতিমালা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা স্রেফ অন্যান্য গাড়ির মালিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। গত ঈদেও অনেক মানুষ মোটরসাইকেলে পরিবার নিয়ে বাড়িতে গেছে। তখন বাসমালিকদের ব্যবসা হয়নি। আবার এখন অনেকেই মোটরসাইকেল কেনায় গণপরিবহনের ভাড়া উঠছে না ঠিকমতো। এই মালিকদের সুবিধা দিতেই সরকার এই নীতিমালা করছে।’
তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট নির্ধারণ নিয়ে সন্তুষ্ট সাইদ। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক আছে। বেশি সিসির মোটরসাইকেল হলে মহাসড়কে অন্য গাড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা যাবে।’
বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ এ ব্যাপারে বলেন, ‘ডব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) পুরো পৃথিবীতে রিস্ক ভালনারেবল গ্রুপের মধ্যে তিনটি আর্টিকেল ইনক্লুড করেছে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল। পুরো পৃথিবীতেই মোটরসাইকেলকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। অনেক দেশেই মোটরসাইকেল চলাচলে সিসি লিমিট করে দেওয়া। আমাদের দেশে এমন ছিল না। তবে নীতিমালায় সিসি লিমিটের কথা বলা হয়েছে। এটাকে আমি স্বাগত জানাই। কেননা, সিসি মানেই গতি না, সিসি অনেক বেশি স্ট্যাবিলিটিও দেয়। সিসি বেশি হলে ব্রেকিং পাওয়ারও অনেক ভালো থাকে।’
আরেক মোটরসাইকেল চালক নূরুন্নবী বলেন, ‘যদি মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে এই নীতিমালা কিছুটা হলেও কার্যকর হতে পারে।’
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তানভীর ইসলাম। মিরপুর থেকে বনানী প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে অফিস করেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি আইন-নীতিমালা করার আগে সরকার একটা মাঠ জরিপ করে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সে জন্যই এই নীতিমালার খসড়ার আংশিক অংশ প্রকাশ করা হয়েছে।’
৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন করা হলে আর মোটরসাইকেলই চালাবেন না ক্ষুব্ধ তানভীর। তানভীর বলেন, ‘বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ না করে সবার জন্য মোটরসাইকেলের অযৌক্তিক নীতিমালা করা হচ্ছে।’
মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ নিয়ে মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স ও ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সাংবাদিকদের জানিয়েছে, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার খসড়ার আগে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়নি। বিধিনিষেধ এলে ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।
সংবাদকর্মী রজত কান্তি রায় বলেন, ‘প্রতিদিন রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে অফিসে আসি। গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে। যেখানে সড়কে সাধারণ গতি ৪০ কিলোমিটার, সেখানে শুধু মোটরসাইকেলে গতি ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিলে দুর্ঘটনা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।’
রজত কান্তির মতে, শুধু মোটরসাইকেল চালকদের নিরাপত্তা, সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এই আইন করা হচ্ছে না। একটি পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। কারণ, ঢাকা সিটিতে যানজট বাদে একটি বাসের গতি যদি ৪৫ কিলোমিটার, একটি ব্যক্তিগত গাড়ির গতি যদি ৫০ কিলোমিটার আর সিএনজি অটোরিকশার গতি ৪০ কিলোমিটার হয় আর সেই সড়কে যদি ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চলে স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনার প্রবণতা বেড়ে যায়। বাড়বে যানজটও।
মহাসড়কে পিলিয়ন নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এই নীতিমালাটা মূলত করা হচ্ছে, হতাহতের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। একটা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়লে দুজনই আহত হয়। দুজন থাকলে দুজনই আহত হয়। সেক্ষেত্রে হতাহতের হার বেড়ে যায়।’
এদিকে গতকাল সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে এক সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই নীতিমালার খসড়া এখনো আমার টেবিলে আসেনি। খসড়া হলেই সেটি ফাইনাল নয়। আমি এটি দেখব। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।’
মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক, ক্রেতা-বিক্রেতা, চালক মোটদাগে এই নীতিমালার যারা অংশীজন তাঁদের কারও সঙ্গে আলাপ না করে করা এই নীতিমালা শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয় কি না দেখার অপেক্ষা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
৩ মিনিট আগে
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৯ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৪১ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

শহরের ভেতর মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
০৭ মার্চ ২০২৩
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৯ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৪১ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ। দুদকের উপপরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক এসব জমি ক্রোকের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদন অনুযায়ী গাজীপুর সদর থানার ৮ দশমিক ৫৮ একর; গাজীপুর শ্রীপুর থানার ৪ দশমিক ৮৬ একর; কক্সবাজারের সদর থানার ২ দশমিক ১২ একর; কক্সবাজার চকরিয়া থানার দশমিক ৯৬ একর; মহেশখালী থানার ১৮০ দশমিক ২৮ একর এবং কক্সবাজার পেকুয়া থানার ২৭২ দশমিক ৬৮ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। ক্রোককৃত মোট জমির পরিমাণ ৪৬ হাজার ৯৪৮ দশমিক ৭৫ শতক বা ৪৬৯ একর।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে দুদক। বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলাগুলোর তদন্ত চলাকালে এস আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এই পরিমাণ স্থাবর সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, বিপুল পরিমাণ সম্পদ তাঁরা যেকোনো সময় বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে পারেন। এসব সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তরিত হলে অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কাজেই সেগুলো ক্রোক করার নির্দেশ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর বিভিন্ন কোম্পানির আট হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ, ১০ জুলাই এস আলম ও তাঁর ছেলেদের ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের ৪৩৪ দশমিক ৮৬ একর জমি ও রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৩ এপ্রিল শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৫৯ দশমিক ১৫ একর জমি ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।
গত ১৭ জুন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২০০ একর জমি, ১৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন একই আদালত।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১০ মার্চ এস আলমের এক হাজার ছয় বিঘা জমি, গত ৯ এপ্রিল তাঁর ৯০ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। একই দিন আদালত তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন। গত ২৪ জুন এস আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও ব্রিটিশ রাজার অধীনস্থ দ্বীপরাষ্ট্র জার্সির ২৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ এবং এস আলমের নামে থাকা সাইপ্রাসের দোতলাবিশিষ্ট বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই এস আলমের ৫৩টি হিসাবে থাকা ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে এস আলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর এস আলমের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ। দুদকের উপপরিচালক তাহসিন মুনাবীল হক এসব জমি ক্রোকের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদন অনুযায়ী গাজীপুর সদর থানার ৮ দশমিক ৫৮ একর; গাজীপুর শ্রীপুর থানার ৪ দশমিক ৮৬ একর; কক্সবাজারের সদর থানার ২ দশমিক ১২ একর; কক্সবাজার চকরিয়া থানার দশমিক ৯৬ একর; মহেশখালী থানার ১৮০ দশমিক ২৮ একর এবং কক্সবাজার পেকুয়া থানার ২৭২ দশমিক ৬৮ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। ক্রোককৃত মোট জমির পরিমাণ ৪৬ হাজার ৯৪৮ দশমিক ৭৫ শতক বা ৪৬৯ একর।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা করেছে দুদক। বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলাগুলোর তদন্ত চলাকালে এস আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের এই পরিমাণ স্থাবর সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, বিপুল পরিমাণ সম্পদ তাঁরা যেকোনো সময় বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তর করতে পারেন। এসব সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তরিত হলে অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে এবং রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কাজেই সেগুলো ক্রোক করার নির্দেশ প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর বিভিন্ন কোম্পানির আট হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ, ১০ জুলাই এস আলম ও তাঁর ছেলেদের ১৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের ৪৩৪ দশমিক ৮৬ একর জমি ও রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের দুটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। গত ২৩ এপ্রিল শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৫৯ দশমিক ১৫ একর জমি ক্রোকের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।
গত ১৭ জুন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ২০০ একর জমি, ১৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন একই আদালত।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১০ মার্চ এস আলমের এক হাজার ছয় বিঘা জমি, গত ৯ এপ্রিল তাঁর ৯০ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। একই দিন আদালত তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন। গত ২৪ জুন এস আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে থাকা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড ও ব্রিটিশ রাজার অধীনস্থ দ্বীপরাষ্ট্র জার্সির ২৫ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ এবং এস আলমের নামে থাকা সাইপ্রাসের দোতলাবিশিষ্ট বাড়ি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই এস আলমের ৫৩টি হিসাবে থাকা ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে এস আলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর এস আলমের তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।

শহরের ভেতর মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
০৭ মার্চ ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
৩ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৪১ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কিনতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। ভোটারদের মধ্যে এমন আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁরা অনুভব করেন যে নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান।
ড. ইউনূস নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, যাতে নির্বাচনকালীন সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এমন একটি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ কেউ না পায়।
বৈঠকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বডি ওর্ন ক্যামেরা মজুত রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নতুন ক্যামেরাগুলো এসে পৌঁছালে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বডি ওর্ন ক্যামেরার সাহায্যে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকেও তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কিনতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। ভোটারদের মধ্যে এমন আস্থা তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁরা অনুভব করেন যে নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল ও নিরাপদ পরিবেশ বিদ্যমান।
ড. ইউনূস নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি ওর্ন ক্যামেরা ক্রয়প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে, যাতে নির্বাচনকালীন সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এমন একটি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ কেউ না পায়।
বৈঠকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বডি ওর্ন ক্যামেরা মজুত রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করে পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নতুন ক্যামেরাগুলো এসে পৌঁছালে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বডি ওর্ন ক্যামেরার সাহায্যে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকেও তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

শহরের ভেতর মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
০৭ মার্চ ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
৩ মিনিট আগে
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৯ মিনিট আগে
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গত ২৭ অক্টোবর (সোমবার) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক শিডিউলড ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ (ইমার্জেন্সি/ডাইভারশন) বা নন-শিডিউলড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গতকাল (২৭ অক্টোবর) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক শিডিউল ফ্লাইটের পাশাপাশি নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সরকার স্থগিত করে। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক শিডিউলড ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ (ইমার্জেন্সি/ডাইভারশন) বা নন-শিডিউলড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন–১ শাখা থেকে গতকাল (২৭ অক্টোবর) জারি করা এক সরকারি পত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক শিডিউল ফ্লাইটের পাশাপাশি নন-শিডিউল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ও জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রেও ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হলো।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়টি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সরকার স্থগিত করে। এর ফলে বিমানবন্দরটিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকছে।

শহরের ভেতর মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার, মহাসড়কে যাত্রী নেওয়া যাবে না, আর উৎসবে মহাসড়কে থাকবে নিষিদ্ধ। এমন খসড়া নীতিমালা করেছে সরকার।
০৭ মার্চ ২০২৩
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
৩ মিনিট আগে
আলোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও ৪৬৯ একর জমি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।
৯ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য দ্রুততার সঙ্গে পর্যাপ্তসংখ্যক বডি ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশন
৪১ মিনিট আগে