শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী হামলার ছকও করেছেন দেশে থাকা নিষিদ্ধঘোষিত এই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হামলা চালানোর মতো অস্ত্র না থাকায় বোমা হামলাই ভরসা এই জঙ্গিদের। আর এ জন্য কম খরচেই বানিয়ে ফেলছে শক্তিশালী আইইডি, যা বিস্ফোরণ ঘটালে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে গোয়েন্দারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতে পূর্ণশক্তিতেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর। পাশাপাশি টাকা হলে কিনে ফেলবে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বোম ডিসপোজাল) রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিকভাবে সদস্যদের বোমা তৈরিতে দক্ষ করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ফোরকান ও সাব্বির নামে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফোরকান একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে নব্য জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। আর সাব্বির বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নব্য জেএমবির এই দুই বোমা বিশেষজ্ঞ অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেক সদস্যকে বোমা বা আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
সিটিটিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থের অভাবের প্রভাব পড়েছে মূল সংগঠনে। তাই কার্যক্রম ও নিজেদের হাতখরচ চালাতে চুরি, ছিনতাই, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণায়ও অংশ নিচ্ছে জঙ্গিরা। সেই টাকা দিয়েই বোমা তৈরির সরঞ্জাম কিনছে। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা ও তাঁর সঙ্গী এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোবাইক–ইজিবাইকে উঠে চালককে ইলেকট্রিক শক দিয়ে গাড়িও ছিনতাই করছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির বর্তমান আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কে বসে জঙ্গিনেতাদের বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়মিত টাকাও পাঠাচ্ছেন। প্রথম সারির নেতারা মাসে ১৫ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন।
জঙ্গিদের টার্গেট এখনো পুলিশ
‘তাগুতের বাচ্চারা শুনে রাখ, বাংলায় একদিন তোদের সমাবেশগুলোতে সেকেন্ড অ্যাটাক করা হবে বিইযনিল্লাহ।’ ‘মরুর প্রান্তর ব্যাকআপ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় পোস্ট করে পুলিশ সদস্যদের এভাবেই হুমকি দেয় জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে করা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের পরিকল্পনার অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে সাংগঠনিক কাজে নিহত ও গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া। তারা যেকোনো সময় এই সুযোগ নিতে চাইবে। এ ছাড়া সংগঠনের অর্থায়নে ড্রোন তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা, ডিশলাইন হ্যাক করে জঙ্গিদের দাওয়াত প্রচারণা চালানোসহ এনজিওকর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা পরিকল্পনা তো আছেই।
শিশুকিশোরদের সংগঠনে টানছে নব্য জেএমবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াগাঁও ও সাতগ্রাম এলাকার অন্তত ২০-২৫ জন কিশোরের খোঁজ মিলছে না। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি সূত্র বলছে, এই কিশোরেরা নব্য জেএমবির সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তরা শিশুকিশোর হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার না করে ডি-র্যাডিকালাইজেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই উপজেলায় ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলোয় আহলে হাদিসপন্থী সদস্যদের প্রভাব অনেক বেশি। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিখোঁজ কিশোরেরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
সংগঠনে ঢুকেই আক্রমণাত্মক হচ্ছে জঙ্গিরা
জঙ্গিদের নিয়ে কাজ করা সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা তাদের ধরন বদলিয়েছে। আগে একজন জঙ্গি সদস্যকে অপারেশনে অংশ নিতে চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতো। এখন সংগঠনে ঢুকেই তিন-চার মাসের মধ্যে হামলায় অংশ নিচ্ছে। গত ১৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে যে আইইডি হামলার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অংশ নেওয়া দুজনই সংগঠনের নতুন সদস্য।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জঙ্গিদের যত পরিকল্পনাই থাকুক না কেন, তাদের সব কার্যক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী হামলার ছকও করেছেন দেশে থাকা নিষিদ্ধঘোষিত এই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হামলা চালানোর মতো অস্ত্র না থাকায় বোমা হামলাই ভরসা এই জঙ্গিদের। আর এ জন্য কম খরচেই বানিয়ে ফেলছে শক্তিশালী আইইডি, যা বিস্ফোরণ ঘটালে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে গোয়েন্দারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতে পূর্ণশক্তিতেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর। পাশাপাশি টাকা হলে কিনে ফেলবে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বোম ডিসপোজাল) রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিকভাবে সদস্যদের বোমা তৈরিতে দক্ষ করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ফোরকান ও সাব্বির নামে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফোরকান একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে নব্য জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। আর সাব্বির বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নব্য জেএমবির এই দুই বোমা বিশেষজ্ঞ অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেক সদস্যকে বোমা বা আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
সিটিটিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থের অভাবের প্রভাব পড়েছে মূল সংগঠনে। তাই কার্যক্রম ও নিজেদের হাতখরচ চালাতে চুরি, ছিনতাই, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণায়ও অংশ নিচ্ছে জঙ্গিরা। সেই টাকা দিয়েই বোমা তৈরির সরঞ্জাম কিনছে। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা ও তাঁর সঙ্গী এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোবাইক–ইজিবাইকে উঠে চালককে ইলেকট্রিক শক দিয়ে গাড়িও ছিনতাই করছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির বর্তমান আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কে বসে জঙ্গিনেতাদের বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়মিত টাকাও পাঠাচ্ছেন। প্রথম সারির নেতারা মাসে ১৫ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন।
জঙ্গিদের টার্গেট এখনো পুলিশ
‘তাগুতের বাচ্চারা শুনে রাখ, বাংলায় একদিন তোদের সমাবেশগুলোতে সেকেন্ড অ্যাটাক করা হবে বিইযনিল্লাহ।’ ‘মরুর প্রান্তর ব্যাকআপ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় পোস্ট করে পুলিশ সদস্যদের এভাবেই হুমকি দেয় জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে করা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের পরিকল্পনার অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে সাংগঠনিক কাজে নিহত ও গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া। তারা যেকোনো সময় এই সুযোগ নিতে চাইবে। এ ছাড়া সংগঠনের অর্থায়নে ড্রোন তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা, ডিশলাইন হ্যাক করে জঙ্গিদের দাওয়াত প্রচারণা চালানোসহ এনজিওকর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা পরিকল্পনা তো আছেই।
শিশুকিশোরদের সংগঠনে টানছে নব্য জেএমবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াগাঁও ও সাতগ্রাম এলাকার অন্তত ২০-২৫ জন কিশোরের খোঁজ মিলছে না। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি সূত্র বলছে, এই কিশোরেরা নব্য জেএমবির সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তরা শিশুকিশোর হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার না করে ডি-র্যাডিকালাইজেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই উপজেলায় ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলোয় আহলে হাদিসপন্থী সদস্যদের প্রভাব অনেক বেশি। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিখোঁজ কিশোরেরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
সংগঠনে ঢুকেই আক্রমণাত্মক হচ্ছে জঙ্গিরা
জঙ্গিদের নিয়ে কাজ করা সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা তাদের ধরন বদলিয়েছে। আগে একজন জঙ্গি সদস্যকে অপারেশনে অংশ নিতে চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতো। এখন সংগঠনে ঢুকেই তিন-চার মাসের মধ্যে হামলায় অংশ নিচ্ছে। গত ১৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে যে আইইডি হামলার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অংশ নেওয়া দুজনই সংগঠনের নতুন সদস্য।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জঙ্গিদের যত পরিকল্পনাই থাকুক না কেন, তাদের সব কার্যক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী হামলার ছকও করেছেন দেশে থাকা নিষিদ্ধঘোষিত এই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হামলা চালানোর মতো অস্ত্র না থাকায় বোমা হামলাই ভরসা এই জঙ্গিদের। আর এ জন্য কম খরচেই বানিয়ে ফেলছে শক্তিশালী আইইডি, যা বিস্ফোরণ ঘটালে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে গোয়েন্দারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতে পূর্ণশক্তিতেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর। পাশাপাশি টাকা হলে কিনে ফেলবে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বোম ডিসপোজাল) রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিকভাবে সদস্যদের বোমা তৈরিতে দক্ষ করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ফোরকান ও সাব্বির নামে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফোরকান একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে নব্য জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। আর সাব্বির বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নব্য জেএমবির এই দুই বোমা বিশেষজ্ঞ অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেক সদস্যকে বোমা বা আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
সিটিটিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থের অভাবের প্রভাব পড়েছে মূল সংগঠনে। তাই কার্যক্রম ও নিজেদের হাতখরচ চালাতে চুরি, ছিনতাই, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণায়ও অংশ নিচ্ছে জঙ্গিরা। সেই টাকা দিয়েই বোমা তৈরির সরঞ্জাম কিনছে। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা ও তাঁর সঙ্গী এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোবাইক–ইজিবাইকে উঠে চালককে ইলেকট্রিক শক দিয়ে গাড়িও ছিনতাই করছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির বর্তমান আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কে বসে জঙ্গিনেতাদের বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়মিত টাকাও পাঠাচ্ছেন। প্রথম সারির নেতারা মাসে ১৫ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন।
জঙ্গিদের টার্গেট এখনো পুলিশ
‘তাগুতের বাচ্চারা শুনে রাখ, বাংলায় একদিন তোদের সমাবেশগুলোতে সেকেন্ড অ্যাটাক করা হবে বিইযনিল্লাহ।’ ‘মরুর প্রান্তর ব্যাকআপ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় পোস্ট করে পুলিশ সদস্যদের এভাবেই হুমকি দেয় জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে করা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের পরিকল্পনার অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে সাংগঠনিক কাজে নিহত ও গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া। তারা যেকোনো সময় এই সুযোগ নিতে চাইবে। এ ছাড়া সংগঠনের অর্থায়নে ড্রোন তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা, ডিশলাইন হ্যাক করে জঙ্গিদের দাওয়াত প্রচারণা চালানোসহ এনজিওকর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা পরিকল্পনা তো আছেই।
শিশুকিশোরদের সংগঠনে টানছে নব্য জেএমবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াগাঁও ও সাতগ্রাম এলাকার অন্তত ২০-২৫ জন কিশোরের খোঁজ মিলছে না। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি সূত্র বলছে, এই কিশোরেরা নব্য জেএমবির সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তরা শিশুকিশোর হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার না করে ডি-র্যাডিকালাইজেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই উপজেলায় ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলোয় আহলে হাদিসপন্থী সদস্যদের প্রভাব অনেক বেশি। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিখোঁজ কিশোরেরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
সংগঠনে ঢুকেই আক্রমণাত্মক হচ্ছে জঙ্গিরা
জঙ্গিদের নিয়ে কাজ করা সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা তাদের ধরন বদলিয়েছে। আগে একজন জঙ্গি সদস্যকে অপারেশনে অংশ নিতে চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতো। এখন সংগঠনে ঢুকেই তিন-চার মাসের মধ্যে হামলায় অংশ নিচ্ছে। গত ১৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে যে আইইডি হামলার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অংশ নেওয়া দুজনই সংগঠনের নতুন সদস্য।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জঙ্গিদের যত পরিকল্পনাই থাকুক না কেন, তাদের সব কার্যক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী হামলার ছকও করেছেন দেশে থাকা নিষিদ্ধঘোষিত এই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। তবে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হামলা চালানোর মতো অস্ত্র না থাকায় বোমা হামলাই ভরসা এই জঙ্গিদের। আর এ জন্য কম খরচেই বানিয়ে ফেলছে শক্তিশালী আইইডি, যা বিস্ফোরণ ঘটালে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে গোয়েন্দারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতে পূর্ণশক্তিতেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর। পাশাপাশি টাকা হলে কিনে ফেলবে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (বোম ডিসপোজাল) রহমত উল্লাহ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংগঠনের শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিকভাবে সদস্যদের বোমা তৈরিতে দক্ষ করার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ফোরকান ও সাব্বির নামে দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফোরকান একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে নব্য জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। আর সাব্বির বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার সামরিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নব্য জেএমবির এই দুই বোমা বিশেষজ্ঞ অনলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেক সদস্যকে বোমা বা আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
সিটিটিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থের অভাবের প্রভাব পড়েছে মূল সংগঠনে। তাই কার্যক্রম ও নিজেদের হাতখরচ চালাতে চুরি, ছিনতাই, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণায়ও অংশ নিচ্ছে জঙ্গিরা। সেই টাকা দিয়েই বোমা তৈরির সরঞ্জাম কিনছে। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার জঙ্গি কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা ও তাঁর সঙ্গী এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোবাইক–ইজিবাইকে উঠে চালককে ইলেকট্রিক শক দিয়ে গাড়িও ছিনতাই করছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির বর্তমান আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কে বসে জঙ্গিনেতাদের বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়মিত টাকাও পাঠাচ্ছেন। প্রথম সারির নেতারা মাসে ১৫ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন।
জঙ্গিদের টার্গেট এখনো পুলিশ
‘তাগুতের বাচ্চারা শুনে রাখ, বাংলায় একদিন তোদের সমাবেশগুলোতে সেকেন্ড অ্যাটাক করা হবে বিইযনিল্লাহ।’ ‘মরুর প্রান্তর ব্যাকআপ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি দিয়ে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় পোস্ট করে পুলিশ সদস্যদের এভাবেই হুমকি দেয় জঙ্গিরা।
জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে করা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের পরিকল্পনার অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে সাংগঠনিক কাজে নিহত ও গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যদের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়া। তারা যেকোনো সময় এই সুযোগ নিতে চাইবে। এ ছাড়া সংগঠনের অর্থায়নে ড্রোন তৈরি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা, ডিশলাইন হ্যাক করে জঙ্গিদের দাওয়াত প্রচারণা চালানোসহ এনজিওকর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা পরিকল্পনা তো আছেই।
শিশুকিশোরদের সংগঠনে টানছে নব্য জেএমবি
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নোয়াগাঁও ও সাতগ্রাম এলাকার অন্তত ২০-২৫ জন কিশোরের খোঁজ মিলছে না। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি সূত্র বলছে, এই কিশোরেরা নব্য জেএমবির সদস্য হিসেবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তরা শিশুকিশোর হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার না করে ডি-র্যাডিকালাইজেশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ওই উপজেলায় ৬৮টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলোয় আহলে হাদিসপন্থী সদস্যদের প্রভাব অনেক বেশি। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিখোঁজ কিশোরেরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
সংগঠনে ঢুকেই আক্রমণাত্মক হচ্ছে জঙ্গিরা
জঙ্গিদের নিয়ে কাজ করা সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা তাদের ধরন বদলিয়েছে। আগে একজন জঙ্গি সদস্যকে অপারেশনে অংশ নিতে চার-পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হতো। এখন সংগঠনে ঢুকেই তিন-চার মাসের মধ্যে হামলায় অংশ নিচ্ছে। গত ১৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে যে আইইডি হামলার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অংশ নেওয়া দুজনই সংগঠনের নতুন সদস্য।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জঙ্গিদের যত পরিকল্পনাই থাকুক না কেন, তাদের সব কার্যক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
২ ঘণ্টা আগেদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এই মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
যুক্তিতর্কের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের একটি ভিডিও দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বিচার চলার সময় আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সেটি। সেখানে আরমান বলেছেন, এ আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার না করতে পারাসহ ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিচার হচ্ছে; যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করেছে। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও (আমির হোসেন) একমত পোষণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সেই বক্তব্য কোন প্রেক্ষাপটে, সেটা আমরা কীভাবে বুঝব?’
আমির হোসেন বলেন, এ আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসিও এ আইনে গ্রহণ করা যায় না। এ আইনে এমন একটি বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে সাঁতার কাটার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? আপনি দেখান, এই সাক্ষ্যপ্রমাণ ভুল।’
আমির হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআরপিসি ও এভিডেন্স অ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ১ হাজার ৫০০ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু আবু সাঈদ ছাড়া আর কোনো সংগঠক মারা যাননি। চাইলে তো শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাহিদ ইসলামদের টার্গেট করে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু করেননি। তাই টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সঠিক নয়।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘টার্গেট করে সবাইকে মেরে ফলতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের যে টপ লিডার, তিনি তাদের পকেটে ছিলেন, তাঁকে মেরেছে? আ স ম আবদুর রবকে মারা হয়েছে? আরও যাঁরা নেতা ছিলেন, তাঁদের মারা হয়েছে? কোনো নেতা মরেননি। যারা টার্গেট করে, তাদের স্ট্র্যাটেজি থাকে কাকে মারবে, কতটুকু মারবে, কোথায় মারবে, কখন মারবে। আমির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মারা যাবে কোথায়, নেতারা তো সব ভারতে ছিলেন। আর বৈধ আন্দোলনকেও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে। বেশ কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করলেও তো আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত। তা তো করেনি।
পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘প্রসিকিউশন বলেছে, ৫২টি জেলায় আন্দোলনের ব্যাপকতা ছিল। অথচ সাক্ষী আনা হয়েছে ১৫-২০টি জেলা থেকে। তাই ব্যাপক মাত্রায় অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, শুধু ঢাকা শহরে হলেও হবে, যাত্রাবাড়ীতে হলেও হবে। ওয়াইডলি। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করলে হবে। আমির হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ২০ হাজার ছাত্র-জনতা ছিল। মারা গেছে কতজন, ২০ জন। আন্দোলন ছিল ভুল প্রক্রিয়ায়। কারণ, কোটাপদ্ধতি শেখ হাসিনা বিলোপ করেছিলেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহাল হয়। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রভাব ফেলতে পারে না, কিন্তু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে। পরে এক দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করল কীভাবে? কোর্টকে যদি সহযোগিতা না করেন, সেটাই তো প্রভাব। আমির হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন, এমন কোনো ডকুমেন্ট কি এসেছে?’ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সব উপাদান সরকারের হাতে। আমরা এখন যে মামলা করছি, প্রসিকিউশন অফ থাকলে আমরা চালাতে পারব না। তাই উপাদান সব সরকারের হাতে।’ এ সময় আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে কি আমি ধরে নেব, এই বিচার রাষ্ট্র যা চাইবে, তা-ই হবে?’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রের হাতে সুইচগুলো আছে। অনেক সুইচ আছে। আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এই সরকার কোনো সুইচ চাইলে এই ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে ব্যবহারও করতে পারে।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যদি আমার নিরাপত্তা বন্ধ করে দেয়, আমার গাড়ি বন্ধ করে দেয়, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, আমরা কীভাবে চালাব? রাষ্ট্র আপনাকে আটকে রাখলে আপনি কীভাবে আসবেন? রাষ্ট্রের হাতে সে ব্যবস্থা আছে। রায়ের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন আমরা সরকারকে কেয়ার করব না। আয়োজন সরকারকে করে দিতে হবে।’
যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। কিন্তু সুশাসনের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের সময় কোনো দুঃশাসন ছিল না। ১৫ বছর ছিল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের মহাসোপান। তাদের সময়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নীত করার যে প্রচেষ্টা, তা বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদ শব্দটি মূলত একতরফা বয়ান।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন-গুম, বেআইনি আটক, মিথ্যা মামলা, অপহরণ—এই কাজগুলো কী? জবাবে আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র চালাতে গেলে প্রয়োজনে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়। সব সঠিক না-ও হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আমির হোসেন বলেন, এই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতেন সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। বিএনপি তাদের সুবিধামতো বিচারপতিকে যাতে প্রধান বিচারপতি করা যায়, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিল। এই কাজটি না করলে, শেখ হাসিনা যদি বিলোপ করতেন, তাহলে বলা যেত, শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বয়স বাড়িয়ে ডিজাইনের নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ ছিল, যেটাকে বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে আইনের মাধ্যমে বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। তাই এটি শেখ হাসিনার কোনো কূটচাল ছিল না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তিনি এ দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা এই মামলায় আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের গতকাল ছিল প্রথম দিন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই মামলার বিচারকাজ চলছে। এই মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন।
যুক্তিতর্কের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে কথা বলেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমানের একটি ভিডিও দেখেছেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীর বিচার চলার সময় আরমানের সাক্ষাৎকারের ভিডিও সেটি। সেখানে আরমান বলেছেন, এ আইনে সাক্ষ্য আইনের সঠিক ব্যবহার না করতে পারাসহ ব্যাপক সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিচার হচ্ছে; যা ন্যায়বিচারকে বিঘ্নিত করেছে। তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও (আমির হোসেন) একমত পোষণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘সেই বক্তব্য কোন প্রেক্ষাপটে, সেটা আমরা কীভাবে বুঝব?’
আমির হোসেন বলেন, এ আইনে মূল যে এভিডেন্স অ্যাক্ট, সেটা প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই। সিআরপিসিও এ আইনে গ্রহণ করা যায় না। এ আইনে এমন একটি বিচার, যেখানে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে আসামিকে বলা হবে সাঁতার কাটার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে? আপনি দেখান, এই সাক্ষ্যপ্রমাণ ভুল।’
আমির হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি, সিআরপিসি ও এভিডেন্স অ্যাক্ট অ্যাপ্লিকেবল হওয়া উচিত ছিল।’ তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ১ হাজার ৫০০ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু আবু সাঈদ ছাড়া আর কোনো সংগঠক মারা যাননি। চাইলে তো শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী বাহিনী দিয়ে, পুলিশ বাহিনী দিয়ে সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাহিদ ইসলামদের টার্গেট করে মেরে ফেলতে পারতেন। কিন্তু করেননি। তাই টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সঠিক নয়।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘টার্গেট করে সবাইকে মেরে ফলতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। ১৯৭১ সালে আমাদের যে টপ লিডার, তিনি তাদের পকেটে ছিলেন, তাঁকে মেরেছে? আ স ম আবদুর রবকে মারা হয়েছে? আরও যাঁরা নেতা ছিলেন, তাঁদের মারা হয়েছে? কোনো নেতা মরেননি। যারা টার্গেট করে, তাদের স্ট্র্যাটেজি থাকে কাকে মারবে, কতটুকু মারবে, কোথায় মারবে, কখন মারবে। আমির হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে মারা যাবে কোথায়, নেতারা তো সব ভারতে ছিলেন। আর বৈধ আন্দোলনকেও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সরকারের আছে। বেশ কয়েকজনকে টার্গেট করে হত্যা করলেও তো আন্দোলন দুর্বল হয়ে যেত। তা তো করেনি।
পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী বলেন, ‘প্রসিকিউশন বলেছে, ৫২টি জেলায় আন্দোলনের ব্যাপকতা ছিল। অথচ সাক্ষী আনা হয়েছে ১৫-২০টি জেলা থেকে। তাই ব্যাপক মাত্রায় অপরাধ সংগঠনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, শুধু ঢাকা শহরে হলেও হবে, যাত্রাবাড়ীতে হলেও হবে। ওয়াইডলি। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করলে হবে। আমির হোসেন বলেন, যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ২০ হাজার ছাত্র-জনতা ছিল। মারা গেছে কতজন, ২০ জন। আন্দোলন ছিল ভুল প্রক্রিয়ায়। কারণ, কোটাপদ্ধতি শেখ হাসিনা বিলোপ করেছিলেন। পরে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা পুনর্বহাল হয়। নির্বাহী বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর কোনো রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, প্রভাব ফেলতে পারে না, কিন্তু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আছে। পরে এক দিনের মধ্যে শুনানির ব্যবস্থা করল কীভাবে? কোর্টকে যদি সহযোগিতা না করেন, সেটাই তো প্রভাব। আমির হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন, এমন কোনো ডকুমেন্ট কি এসেছে?’ ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সব উপাদান সরকারের হাতে। আমরা এখন যে মামলা করছি, প্রসিকিউশন অফ থাকলে আমরা চালাতে পারব না। তাই উপাদান সব সরকারের হাতে।’ এ সময় আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে কি আমি ধরে নেব, এই বিচার রাষ্ট্র যা চাইবে, তা-ই হবে?’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, রাষ্ট্রের হাতে সুইচগুলো আছে। অনেক সুইচ আছে। আমির হোসেন বলেন, ‘তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এই সরকার কোনো সুইচ চাইলে এই ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে ব্যবহারও করতে পারে।’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘যদি আমার নিরাপত্তা বন্ধ করে দেয়, আমার গাড়ি বন্ধ করে দেয়, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়, আমরা কীভাবে চালাব? রাষ্ট্র আপনাকে আটকে রাখলে আপনি কীভাবে আসবেন? রাষ্ট্রের হাতে সে ব্যবস্থা আছে। রায়ের প্রশ্ন যখন আসবে, তখন আমরা সরকারকে কেয়ার করব না। আয়োজন সরকারকে করে দিতে হবে।’
যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে প্রসিকিউশন। কিন্তু সুশাসনের কথা বলা হয়নি। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের সময় কোনো দুঃশাসন ছিল না। ১৫ বছর ছিল আওয়ামী লীগের উন্নয়নের মহাসোপান। তাদের সময়ে মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নীত করার যে প্রচেষ্টা, তা বাস্তবায়নে অনেকটা সফল হয়েছেন শেখ হাসিনা। ফ্যাসিবাদ শব্দটি মূলত একতরফা বয়ান।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, খুন-গুম, বেআইনি আটক, মিথ্যা মামলা, অপহরণ—এই কাজগুলো কী? জবাবে আমির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র চালাতে গেলে প্রয়োজনে অনেক সময় কঠোর হতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়। সব সঠিক না-ও হতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আমির হোসেন বলেন, এই (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার আন্দোলন ছিল শেখ হাসিনার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতেন সর্বশেষ প্রধান বিচারপতি। বিএনপি তাদের সুবিধামতো বিচারপতিকে যাতে প্রধান বিচারপতি করা যায়, সে জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দিল। এই কাজটি না করলে, শেখ হাসিনা যদি বিলোপ করতেন, তাহলে বলা যেত, শেখ হাসিনা ভুল করেছেন। বয়স বাড়িয়ে ডিজাইনের নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছিল। এটা থেকে প্রতীয়মান হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভালো উদ্যোগ ছিল, যেটাকে বিনষ্ট করার একটা চেষ্টা ছিল। পরবর্তী সময়ে আইনের মাধ্যমে বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। তাই এটি শেখ হাসিনার কোনো কূটচাল ছিল না।
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
১৫ জুলাই ২০২১বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
২ ঘণ্টা আগেদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা...
২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সংস্থাগুলো হলো সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব সংগঠন দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সংস্থা সিভিকাস, থাইল্যান্ডভিত্তিক রোহিঙ্গা নিয়ে নিয়োজিত মানবাধিকার সংগঠন ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।
গত রোববার এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে। মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার, আইনি সংস্কার, গুম এবং অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় চিঠিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসংশা করা হয়েছে।
চিঠিতে ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে এবং এর আগের ১৫ বছরে যেসব গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতে করে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ অন্যতম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বাক্স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার যাতে খর্ব না হয় সে জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের আগস্টের আগে হওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলো পর্যালোচনা ও বাতিলের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সংস্থাগুলো হলো সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব সংগঠন দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সংস্থা সিভিকাস, থাইল্যান্ডভিত্তিক রোহিঙ্গা নিয়ে নিয়োজিত মানবাধিকার সংগঠন ফোরটিফাই রাইটস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস ও টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট।
গত রোববার এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে। মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার, আইনি সংস্কার, গুম এবং অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা তদন্তের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় চিঠিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসংশা করা হয়েছে।
চিঠিতে ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে এবং এর আগের ১৫ বছরে যেসব গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতে করে বিচারের আওতায় আনার সুপারিশ অন্যতম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বাক্স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার যাতে খর্ব না হয় সে জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের আগস্টের আগে হওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলাগুলো পর্যালোচনা ও বাতিলের কথা বলা হয়েছে সুপারিশে।
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
১৫ জুলাই ২০২১বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
২ ঘণ্টা আগেদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা...
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্যে শফিউল আজিম, ড. এ কে এম মতিউর রহমান, ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মো. নূরুল আলম, মো. আজিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. সামসুল আরেফিন, মো. মশিউর রহমান ও মো. মনজুর হোসেনকে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী কারও চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াই সরকার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব অবসরকালীন সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর বেশ কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে ওএসডি করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
সিনিয়র সচিব ও সচিবদের মধ্যে শফিউল আজিম, ড. এ কে এম মতিউর রহমান, ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মো. নূরুল আলম, মো. আজিজুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. সামসুল আরেফিন, মো. মশিউর রহমান ও মো. মনজুর হোসেনকে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওই ধারা অনুযায়ী কারও চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া ছাড়াই সরকার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। তবে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব অবসরকালীন সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর বেশ কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে ওএসডি করা হয়।
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
১৫ জুলাই ২০২১বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
১ ঘণ্টা আগেদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা...
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী (প্রশাসন-১) সচিব নুসরাত জাহান স্বাক্ষরিত গত ২১ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, ‘সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এ গণ-অভ্যুত্থানে ব্যাপকসংখ্যক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন এবং দেশব্যাপী সহস্রাধিক নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত জুলাই শহীদ পরিবারের সন্তানদের অবৈতনিক শিক্ষার সুবিধা প্রদানপূর্বক তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখা আবশ্যক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
জানতে চাইলে নুসরাত জাহান বলেন, সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত জুলাই শহীদ পরিবারের সন্তানদের অবৈতনিক শিক্ষার সুবিধা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চলতি মাসের ১৫ তারিখ অফিস আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ।
দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী (প্রশাসন-১) সচিব নুসরাত জাহান স্বাক্ষরিত গত ২১ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আদেশে বলা হয়, ‘সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এ গণ-অভ্যুত্থানে ব্যাপকসংখ্যক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন এবং দেশব্যাপী সহস্রাধিক নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত জুলাই শহীদ পরিবারের সন্তানদের অবৈতনিক শিক্ষার সুবিধা প্রদানপূর্বক তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখা আবশ্যক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
জানতে চাইলে নুসরাত জাহান বলেন, সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে অধ্যয়নরত জুলাই শহীদ পরিবারের সন্তানদের অবৈতনিক শিক্ষার সুবিধা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চলতি মাসের ১৫ তারিখ অফিস আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ।
নব্য জেএমবির প্রত্যেক সদস্যকে আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সংগঠিত হতে দলে ভেড়ানো হচ্ছে নতুন নতুন সদস্য। উদ্দেশ্য রাজধানীতে বড় হামলা করে আলোচনায় আসা। সংগঠনের আমির মাহাদী হাসান জন তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে এমন নির্দেশনাই দিচ্ছেন।
১৫ জুলাই ২০২১বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় টার্গেট করে হত্যার তথ্য সত্য নয় বলে ট্রাইব্যুনালে দাবি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তাদের চিঠিটি গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থাকা ৯ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
২ ঘণ্টা আগে