ঢাবি প্রতিনিধি
কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘ইসলামে কখনো আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি। আপনি মত দিতে পারেন, ফতোয়া দিতে পারেন, কিন্তু কারও ওপর মত–ফতোয়া বাস্তবায়ন করার অধিকার আপনার নেই। আপনারা যারা মাজার ভাঙছেন, আপনাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই, এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সারা দেশে মাজারে হামলার প্রতিবাদে’ এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। ভাববৈঠকী এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা মাজার ভাঙাকে ইসলামের কাজ বলে মনে করে, তারা যদি ভাবে তাদের আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠাইছে ইসলামকে বাপের সম্পত্তি মনে করার জন্য। এক মহিলা এ দেশকে বাপের সম্পত্তি মনে করেছিল বলে তাকে আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি। আর কেউ যদি মনে করে, ইসলাম তাদের বাপের সম্পত্তি, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, ইসলাম তাদের বাপের সম্পত্তি না। ইসলাম প্রত্যেক জনগণের, সকলের। আমাদের রাসুল, আমরা বলি রহমাতুল্লিল আলামিন, তিনি শুধু মানুষের জন্য শান্তি হয়ে হাজির হন নাই, তিনি পশুপাখি কীটপতঙ্গ সকল জীবের জন্য শান্তি হয়ে হাজির হয়েছেন।’
মাজার ভাঙার পক্ষের লোকদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আমাদের বেশি আপনারা মুসলমানিত্বের বড়াই কইরেন না। আপনাদের পেছনের ল্যাঞ্জা আমরা দেখে ফেলেছি। আপনারা দিল্লির দালাল। দিল্লির দালাল হয়ে মাজার ভাঙতেছেন, এসবের উত্তর আপনাদের দেওয়া হবে। এ সরকারকে আমরা সমর্থন করি, আমরা চাই না এ সরকার দুর্বল হোক। আমরা বারবার এসব বলা সত্ত্বেও এ সরকার আমাদের কথা কানে তুলছে না।’
মাজারগুলোতে মাদক ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড হয় এমন যুক্তি প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা অনৈতিক কাজ সমর্থন করি না। অনৈতিক কাজ কি শুধু মাজারে হয়! পুরো রাষ্ট্র, এ দেশের ধনিক শ্রেণি-এলিট শ্রেণি তাদের হোটেলে, তাদের বাসভবনে অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা তাদের সম্পর্কে কিছু বলেন না। কারণ আপনাদের কোন হেডাম নেই। আপনারা খবরদারি করছেন গরিবের ওপরে, অতি গরিবের ওপর, যাদের কাছে রাসুলুল্লাহ ছাড়া কেউ নেই। তারা শুধু রাসুলুল্লাহর জিকির ছাড়া আর কিছুই করছে না। যদি ইসলামের ইতিহাস না জানেন, তাহলে দয়া করে পড়ুন।’
কবর বাঁধাই ও উঁচু করার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া আলেমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কবর সমান করে দেওয়ার কথা বলেন। শুধু কি পীর বুজুর্গদের কবর উঁচু! টুঙ্গিপাড়া যান, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার ভাঙেন, জিয়াউর রহমানের মাজার ভাঙেন। কিন্তু আপনারা পারবেন না। আপনাদের সে ক্ষমতা নেই।’
যেসব মাজার ভাঙা হয়েছে, সেসব মাজার পুনঃস্থাপন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানান ফরহাদ মজহার। অন্যথায় সব দায়ভার সরকারকে নিতে হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘ইসলামে কখনো আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি। আপনি মত দিতে পারেন, ফতোয়া দিতে পারেন, কিন্তু কারও ওপর মত–ফতোয়া বাস্তবায়ন করার অধিকার আপনার নেই। আপনারা যারা মাজার ভাঙছেন, আপনাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই, এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সারা দেশে মাজারে হামলার প্রতিবাদে’ এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। ভাববৈঠকী এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা মাজার ভাঙাকে ইসলামের কাজ বলে মনে করে, তারা যদি ভাবে তাদের আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠাইছে ইসলামকে বাপের সম্পত্তি মনে করার জন্য। এক মহিলা এ দেশকে বাপের সম্পত্তি মনে করেছিল বলে তাকে আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি। আর কেউ যদি মনে করে, ইসলাম তাদের বাপের সম্পত্তি, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, ইসলাম তাদের বাপের সম্পত্তি না। ইসলাম প্রত্যেক জনগণের, সকলের। আমাদের রাসুল, আমরা বলি রহমাতুল্লিল আলামিন, তিনি শুধু মানুষের জন্য শান্তি হয়ে হাজির হন নাই, তিনি পশুপাখি কীটপতঙ্গ সকল জীবের জন্য শান্তি হয়ে হাজির হয়েছেন।’
মাজার ভাঙার পক্ষের লোকদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আমাদের বেশি আপনারা মুসলমানিত্বের বড়াই কইরেন না। আপনাদের পেছনের ল্যাঞ্জা আমরা দেখে ফেলেছি। আপনারা দিল্লির দালাল। দিল্লির দালাল হয়ে মাজার ভাঙতেছেন, এসবের উত্তর আপনাদের দেওয়া হবে। এ সরকারকে আমরা সমর্থন করি, আমরা চাই না এ সরকার দুর্বল হোক। আমরা বারবার এসব বলা সত্ত্বেও এ সরকার আমাদের কথা কানে তুলছে না।’
মাজারগুলোতে মাদক ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড হয় এমন যুক্তি প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা অনৈতিক কাজ সমর্থন করি না। অনৈতিক কাজ কি শুধু মাজারে হয়! পুরো রাষ্ট্র, এ দেশের ধনিক শ্রেণি-এলিট শ্রেণি তাদের হোটেলে, তাদের বাসভবনে অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা তাদের সম্পর্কে কিছু বলেন না। কারণ আপনাদের কোন হেডাম নেই। আপনারা খবরদারি করছেন গরিবের ওপরে, অতি গরিবের ওপর, যাদের কাছে রাসুলুল্লাহ ছাড়া কেউ নেই। তারা শুধু রাসুলুল্লাহর জিকির ছাড়া আর কিছুই করছে না। যদি ইসলামের ইতিহাস না জানেন, তাহলে দয়া করে পড়ুন।’
কবর বাঁধাই ও উঁচু করার বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া আলেমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কবর সমান করে দেওয়ার কথা বলেন। শুধু কি পীর বুজুর্গদের কবর উঁচু! টুঙ্গিপাড়া যান, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার ভাঙেন, জিয়াউর রহমানের মাজার ভাঙেন। কিন্তু আপনারা পারবেন না। আপনাদের সে ক্ষমতা নেই।’
যেসব মাজার ভাঙা হয়েছে, সেসব মাজার পুনঃস্থাপন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানান ফরহাদ মজহার। অন্যথায় সব দায়ভার সরকারকে নিতে হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে।
৬ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
৬ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
৭ ঘণ্টা আগে