Ajker Patrika

ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিলে চতুর্থ ডোজ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডব্লিউএইচও অনুমোদন দিলে চতুর্থ ডোজ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

করোনা থেকে আরও সুরক্ষায় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রটোকল অনুযায়ী চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করে ইসরায়েল। মাসখানেক পর চলতি বছরের শুরুতে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু করে ডেনমার্ক। গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়াও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ফাইজারের টিকা।

তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইউএইচও) চতুর্থ ডোজ দেওয়ার অনুমোদন দেয়নি। চতুর্থ ডোজের ব্যাপারে আরও তথ্য দরকার বলে মনে করে সংস্থাটি। গত মে মাসে ডব্লিইউএইচ’র কাছে চতুর্থ ডোজ ব্যবহার নিয়ে সাতটি প্রতিবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ইসরায়েলের ছয়টি এবং কানাডার একটি।

এবার বাংলাদেশেও চতুর্থ ডোজ দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। তবে ডব্লিইউএইচ’র অনুমোদন পেলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, চতুর্থ ডোজ নিয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেয়নি। যেসব দেশ চতুর্থ ডোজ দিয়েছে, তা নিজেদের প্রটোকল মেনে। ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা পেলে দেওয়া হবে।

গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম। এত দিন কেবল সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হচ্ছিল। আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

খুরশীদ আলম বলেন, দেশে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। এখনো নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি। মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছে। এই বিশেষ কর্মসূচি বিশেষ করেই তাদের জন্য যারা এখনো টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া থেকে বাকি রয়েছেন। তাই যারা এখনো টিকার বাইরে তারা চলমান টিকা কর্মসূচির ভেতরে টিকা নিন।

খুরশীদ আলম আরও বলেন, বিশেষ এই টিকাদান কর্মসূচি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এরপর থেকে আর টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। তবে বুস্টার ডোজ চলবে। কারণ টিকার পরিমাণের স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। আর বর্তমানে ৩ কোটি টিকা হাতে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কোভিড টিকাদান কর্মসূচি কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘টিকা এখনো আমাদের পাইপ লাইনে রয়েছে, কিন্তু হাতে থাকা টিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো আনা যাবে না।’

এই সময় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

চট্টগ্রামে হামলায় ‘নিরাপত্তাহীন’ পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত