কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ অমীমাংসিত কয়েকটি বিষয় সমাধানের জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান আগেই হয়ে গেছে। যদিও এ দাবি মানতে নারাজ বাংলাদেশ। সরকার মনে করে, পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন অপরাধগুলোর জন্য মাফ চাওয়া ও অন্য বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা চলে এ বৈঠক। দীর্ঘ ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উভয় পক্ষ একাত্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপর আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৈঠকে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসহাক দার বলেন, ‘অমীমাংসিত ইস্যু ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো নিষ্পত্তি হয়েছে। ওই সময় [সই হওয়া চুক্তিটি] দুই দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল। এরপর ২০০০ সালের শুরুতে [পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট] জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এখানে এসে প্রকাশ্যে ও খোলামনে পুরো [পাকিস্তান] জাতির পক্ষে বিষয়টির সমাধান করেছেন।’
পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারে ভাইদের মধ্যে কোনো বিষয় একবার মিটে গেলে সবার তা মেনে নেওয়া উচিত। ইসলাম, কোরআন ও নবী [হজরত] মুহাম্মদ (সা.) মন পরিষ্কার করে অগ্রসর হতে নসিহত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের মন পরিষ্কার করে সামনের দিকে এগোতে হবে। দুই দেশের জনগণের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া উচিত।’
তবে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হয়ে গেছে, ইসহাক দারের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই একমত নই।’
উপদেষ্টার দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনায় তোলা হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই যে হিসাবপত্র হোক এবং টাকাপয়সার বিষয়টি সমাধান হোক। আমরা চাই এখানে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটির বিষয়ে তারা দুঃখপ্রকাশ করুক, মাফ চাক। আমরা চাই আটকে পড়া মানুষগুলোকে তারা ফেরত নিয়ে যাক।’
আলোচনায় ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করে তিনি বলেন, তিনটি বিষয়েই বাংলাদেশের অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নৃশংসতার জন্য যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক পাকিস্তানের ১৯৫ জন সৈনিক ও অন্যদের দেশটিতে ফেরত পাঠানো ও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বাংলাদেশের জনগণের কাছে ‘অতীতের অন্যায়’ ক্ষমা করে দিয়ে ভুলে যেতে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানও চেয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণ ‘অতীত’ ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করুক। ‘বাংলাদেশের মানুষ জানে কী করে ক্ষমা করতে হয়’—শেখ মুজিবুর রহমানের এ উক্তিটি চুক্তিতে যুক্ত করা হয়। চুক্তিটি সইয়ের কিছুদিন আগে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমেদ চুক্তিতে সই করেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষ ঠিক করেছে সম্পর্ক বহুমাত্রিক উপায়ে মসৃণভাবে এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের বিষয়গুলো নিয়ে এমনভাবে কথা বলবে, যাতে এগুলো সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিকেলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, [অভিন্ন পাকিস্তানের] সম্পদ ভাগাভাগি, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আসা বৈদেশিক সহায়তা ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার মতো বিষয়গুলোর ত্বরিত সমাধান দরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আলোচনায় বাণিজ্য, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানো, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, কৃষি ও মৎস্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সার্কসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো জোরালোভাবে এসেছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছে।
ইসহাক দার বৈঠকে জানান, পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের ৫০০ শিক্ষার্থীকে আগামী পাঁচ বছর বৃত্তি দেবে। এর এক-চতুর্থাংশ দেওয়া হবে চিকিৎসা খাতে পড়াশোনার জন্য। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৪০ ব্যক্তির চিকিৎসা ও হকি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও পাকিস্তান প্রস্তাব দিয়েছে।
বেইজিং, ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি পাকিস্তান তুলেছে। বাংলাদেশ আরও কয়েকটি দেশকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছে।
ছয় চুক্তি, স্মারক সই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর দুই দেশ ছয়টি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই করে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশ সফরে কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি; দুই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি যৌথ কর্মকাঠামো (জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ) তৈরি; দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও পাকিস্তান সংবাদ সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।
দলিলগুলো সইয়ের সময় স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও তথ্য উপদেষ্টা এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী একই সময়ে কিন্তু পৃথকভাবে ঢাকা সফর করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের মন্ত্রীকে বলেন, সার্ক সক্রিয় করা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদার করা তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ফ্লাই জিন্নাহ আগামী অক্টোবরে পাকিস্তান থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। পিআইএ বেসরকারি খাতে যাওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট দেবে।
সরকারি পর্যায়ে বৈঠকের বাইরে ইসহাক দার গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁদের বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তিনি শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের আগ্রহে এ সফরগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তান থেকে উচ্চপর্যায়ের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের প্রায় নিশ্চল সম্পর্কে আবার গতি আসতে পারে, এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। শেখ হাসিনার প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের সম্পর্ক গতি হারায়।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ অমীমাংসিত কয়েকটি বিষয় সমাধানের জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান আগেই হয়ে গেছে। যদিও এ দাবি মানতে নারাজ বাংলাদেশ। সরকার মনে করে, পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন অপরাধগুলোর জন্য মাফ চাওয়া ও অন্য বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা চলে এ বৈঠক। দীর্ঘ ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উভয় পক্ষ একাত্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপর আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৈঠকে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসহাক দার বলেন, ‘অমীমাংসিত ইস্যু ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো নিষ্পত্তি হয়েছে। ওই সময় [সই হওয়া চুক্তিটি] দুই দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল। এরপর ২০০০ সালের শুরুতে [পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট] জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এখানে এসে প্রকাশ্যে ও খোলামনে পুরো [পাকিস্তান] জাতির পক্ষে বিষয়টির সমাধান করেছেন।’
পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারে ভাইদের মধ্যে কোনো বিষয় একবার মিটে গেলে সবার তা মেনে নেওয়া উচিত। ইসলাম, কোরআন ও নবী [হজরত] মুহাম্মদ (সা.) মন পরিষ্কার করে অগ্রসর হতে নসিহত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের মন পরিষ্কার করে সামনের দিকে এগোতে হবে। দুই দেশের জনগণের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া উচিত।’
তবে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হয়ে গেছে, ইসহাক দারের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই একমত নই।’
উপদেষ্টার দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনায় তোলা হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই যে হিসাবপত্র হোক এবং টাকাপয়সার বিষয়টি সমাধান হোক। আমরা চাই এখানে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটির বিষয়ে তারা দুঃখপ্রকাশ করুক, মাফ চাক। আমরা চাই আটকে পড়া মানুষগুলোকে তারা ফেরত নিয়ে যাক।’
আলোচনায় ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করে তিনি বলেন, তিনটি বিষয়েই বাংলাদেশের অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নৃশংসতার জন্য যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক পাকিস্তানের ১৯৫ জন সৈনিক ও অন্যদের দেশটিতে ফেরত পাঠানো ও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বাংলাদেশের জনগণের কাছে ‘অতীতের অন্যায়’ ক্ষমা করে দিয়ে ভুলে যেতে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানও চেয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণ ‘অতীত’ ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করুক। ‘বাংলাদেশের মানুষ জানে কী করে ক্ষমা করতে হয়’—শেখ মুজিবুর রহমানের এ উক্তিটি চুক্তিতে যুক্ত করা হয়। চুক্তিটি সইয়ের কিছুদিন আগে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমেদ চুক্তিতে সই করেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষ ঠিক করেছে সম্পর্ক বহুমাত্রিক উপায়ে মসৃণভাবে এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের বিষয়গুলো নিয়ে এমনভাবে কথা বলবে, যাতে এগুলো সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিকেলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, [অভিন্ন পাকিস্তানের] সম্পদ ভাগাভাগি, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আসা বৈদেশিক সহায়তা ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার মতো বিষয়গুলোর ত্বরিত সমাধান দরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আলোচনায় বাণিজ্য, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানো, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, কৃষি ও মৎস্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সার্কসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো জোরালোভাবে এসেছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছে।
ইসহাক দার বৈঠকে জানান, পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের ৫০০ শিক্ষার্থীকে আগামী পাঁচ বছর বৃত্তি দেবে। এর এক-চতুর্থাংশ দেওয়া হবে চিকিৎসা খাতে পড়াশোনার জন্য। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৪০ ব্যক্তির চিকিৎসা ও হকি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও পাকিস্তান প্রস্তাব দিয়েছে।
বেইজিং, ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি পাকিস্তান তুলেছে। বাংলাদেশ আরও কয়েকটি দেশকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছে।
ছয় চুক্তি, স্মারক সই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর দুই দেশ ছয়টি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই করে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশ সফরে কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি; দুই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি যৌথ কর্মকাঠামো (জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ) তৈরি; দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও পাকিস্তান সংবাদ সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।
দলিলগুলো সইয়ের সময় স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও তথ্য উপদেষ্টা এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী একই সময়ে কিন্তু পৃথকভাবে ঢাকা সফর করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের মন্ত্রীকে বলেন, সার্ক সক্রিয় করা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদার করা তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ফ্লাই জিন্নাহ আগামী অক্টোবরে পাকিস্তান থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। পিআইএ বেসরকারি খাতে যাওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট দেবে।
সরকারি পর্যায়ে বৈঠকের বাইরে ইসহাক দার গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁদের বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তিনি শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের আগ্রহে এ সফরগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তান থেকে উচ্চপর্যায়ের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের প্রায় নিশ্চল সম্পর্কে আবার গতি আসতে পারে, এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। শেখ হাসিনার প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের সম্পর্ক গতি হারায়।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ অমীমাংসিত কয়েকটি বিষয় সমাধানের জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান আগেই হয়ে গেছে। যদিও এ দাবি মানতে নারাজ বাংলাদেশ। সরকার মনে করে, পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন অপরাধগুলোর জন্য মাফ চাওয়া ও অন্য বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা চলে এ বৈঠক। দীর্ঘ ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উভয় পক্ষ একাত্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপর আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৈঠকে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসহাক দার বলেন, ‘অমীমাংসিত ইস্যু ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো নিষ্পত্তি হয়েছে। ওই সময় [সই হওয়া চুক্তিটি] দুই দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল। এরপর ২০০০ সালের শুরুতে [পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট] জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এখানে এসে প্রকাশ্যে ও খোলামনে পুরো [পাকিস্তান] জাতির পক্ষে বিষয়টির সমাধান করেছেন।’
পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারে ভাইদের মধ্যে কোনো বিষয় একবার মিটে গেলে সবার তা মেনে নেওয়া উচিত। ইসলাম, কোরআন ও নবী [হজরত] মুহাম্মদ (সা.) মন পরিষ্কার করে অগ্রসর হতে নসিহত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের মন পরিষ্কার করে সামনের দিকে এগোতে হবে। দুই দেশের জনগণের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া উচিত।’
তবে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হয়ে গেছে, ইসহাক দারের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই একমত নই।’
উপদেষ্টার দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনায় তোলা হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই যে হিসাবপত্র হোক এবং টাকাপয়সার বিষয়টি সমাধান হোক। আমরা চাই এখানে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটির বিষয়ে তারা দুঃখপ্রকাশ করুক, মাফ চাক। আমরা চাই আটকে পড়া মানুষগুলোকে তারা ফেরত নিয়ে যাক।’
আলোচনায় ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করে তিনি বলেন, তিনটি বিষয়েই বাংলাদেশের অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নৃশংসতার জন্য যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক পাকিস্তানের ১৯৫ জন সৈনিক ও অন্যদের দেশটিতে ফেরত পাঠানো ও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বাংলাদেশের জনগণের কাছে ‘অতীতের অন্যায়’ ক্ষমা করে দিয়ে ভুলে যেতে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানও চেয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণ ‘অতীত’ ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করুক। ‘বাংলাদেশের মানুষ জানে কী করে ক্ষমা করতে হয়’—শেখ মুজিবুর রহমানের এ উক্তিটি চুক্তিতে যুক্ত করা হয়। চুক্তিটি সইয়ের কিছুদিন আগে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমেদ চুক্তিতে সই করেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষ ঠিক করেছে সম্পর্ক বহুমাত্রিক উপায়ে মসৃণভাবে এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের বিষয়গুলো নিয়ে এমনভাবে কথা বলবে, যাতে এগুলো সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিকেলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, [অভিন্ন পাকিস্তানের] সম্পদ ভাগাভাগি, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আসা বৈদেশিক সহায়তা ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার মতো বিষয়গুলোর ত্বরিত সমাধান দরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আলোচনায় বাণিজ্য, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানো, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, কৃষি ও মৎস্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সার্কসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো জোরালোভাবে এসেছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছে।
ইসহাক দার বৈঠকে জানান, পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের ৫০০ শিক্ষার্থীকে আগামী পাঁচ বছর বৃত্তি দেবে। এর এক-চতুর্থাংশ দেওয়া হবে চিকিৎসা খাতে পড়াশোনার জন্য। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৪০ ব্যক্তির চিকিৎসা ও হকি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও পাকিস্তান প্রস্তাব দিয়েছে।
বেইজিং, ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি পাকিস্তান তুলেছে। বাংলাদেশ আরও কয়েকটি দেশকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছে।
ছয় চুক্তি, স্মারক সই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর দুই দেশ ছয়টি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই করে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশ সফরে কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি; দুই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি যৌথ কর্মকাঠামো (জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ) তৈরি; দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও পাকিস্তান সংবাদ সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।
দলিলগুলো সইয়ের সময় স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও তথ্য উপদেষ্টা এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী একই সময়ে কিন্তু পৃথকভাবে ঢাকা সফর করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের মন্ত্রীকে বলেন, সার্ক সক্রিয় করা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদার করা তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ফ্লাই জিন্নাহ আগামী অক্টোবরে পাকিস্তান থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। পিআইএ বেসরকারি খাতে যাওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট দেবে।
সরকারি পর্যায়ে বৈঠকের বাইরে ইসহাক দার গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁদের বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তিনি শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের আগ্রহে এ সফরগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তান থেকে উচ্চপর্যায়ের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের প্রায় নিশ্চল সম্পর্কে আবার গতি আসতে পারে, এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। শেখ হাসিনার প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের সম্পর্ক গতি হারায়।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ অমীমাংসিত কয়েকটি বিষয় সমাধানের জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান আগেই হয়ে গেছে। যদিও এ দাবি মানতে নারাজ বাংলাদেশ। সরকার মনে করে, পাকিস্তানের উচিত ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন অপরাধগুলোর জন্য মাফ চাওয়া ও অন্য বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা।
গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা চলে এ বৈঠক। দীর্ঘ ১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে উভয় পক্ষ একাত্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোর ওপর আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৈঠকে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসহাক দার বলেন, ‘অমীমাংসিত ইস্যু ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো নিষ্পত্তি হয়েছে। ওই সময় [সই হওয়া চুক্তিটি] দুই দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল। এরপর ২০০০ সালের শুরুতে [পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট] জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এখানে এসে প্রকাশ্যে ও খোলামনে পুরো [পাকিস্তান] জাতির পক্ষে বিষয়টির সমাধান করেছেন।’
পাকিস্তানের মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারে ভাইদের মধ্যে কোনো বিষয় একবার মিটে গেলে সবার তা মেনে নেওয়া উচিত। ইসলাম, কোরআন ও নবী [হজরত] মুহাম্মদ (সা.) মন পরিষ্কার করে অগ্রসর হতে নসিহত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের মন পরিষ্কার করে সামনের দিকে এগোতে হবে। দুই দেশের জনগণের উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া উচিত।’
তবে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হয়ে গেছে, ইসহাক দারের এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই একমত নই।’
উপদেষ্টার দাবি, ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনায় তোলা হয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।
তৌহিদ হোসেন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই যে হিসাবপত্র হোক এবং টাকাপয়সার বিষয়টি সমাধান হোক। আমরা চাই এখানে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটির বিষয়ে তারা দুঃখপ্রকাশ করুক, মাফ চাক। আমরা চাই আটকে পড়া মানুষগুলোকে তারা ফেরত নিয়ে যাক।’
আলোচনায় ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করে তিনি বলেন, তিনটি বিষয়েই বাংলাদেশের অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় নৃশংসতার জন্য যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক পাকিস্তানের ১৯৫ জন সৈনিক ও অন্যদের দেশটিতে ফেরত পাঠানো ও বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক মেরামতের বিষয়ে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়, পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বাংলাদেশের জনগণের কাছে ‘অতীতের অন্যায়’ ক্ষমা করে দিয়ে ভুলে যেতে অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানও চেয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণ ‘অতীত’ ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করুক। ‘বাংলাদেশের মানুষ জানে কী করে ক্ষমা করতে হয়’—শেখ মুজিবুর রহমানের এ উক্তিটি চুক্তিতে যুক্ত করা হয়। চুক্তিটি সইয়ের কিছুদিন আগে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের তদানীন্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমেদ চুক্তিতে সই করেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষ ঠিক করেছে সম্পর্ক বহুমাত্রিক উপায়ে মসৃণভাবে এগিয়ে নিতে ১৯৭১ সালের বিষয়গুলো নিয়ে এমনভাবে কথা বলবে, যাতে এগুলো সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের বিষয়ে গতকাল বিকেলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা, [অভিন্ন পাকিস্তানের] সম্পদ ভাগাভাগি, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আসা বৈদেশিক সহায়তা ও আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার মতো বিষয়গুলোর ত্বরিত সমাধান দরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আলোচনায় বাণিজ্য, সমুদ্র ও আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানো, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, কৃষি ও মৎস্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, সার্কসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো জোরালোভাবে এসেছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সহযোগিতা চেয়েছে।
ইসহাক দার বৈঠকে জানান, পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চতর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের ৫০০ শিক্ষার্থীকে আগামী পাঁচ বছর বৃত্তি দেবে। এর এক-চতুর্থাংশ দেওয়া হবে চিকিৎসা খাতে পড়াশোনার জন্য। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ৪০ ব্যক্তির চিকিৎসা ও হকি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়েও পাকিস্তান প্রস্তাব দিয়েছে।
বেইজিং, ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি পাকিস্তান তুলেছে। বাংলাদেশ আরও কয়েকটি দেশকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছে।
ছয় চুক্তি, স্মারক সই
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর দুই দেশ ছয়টি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই করে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশ সফরে কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি; দুই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি যৌথ কর্মকাঠামো (জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ) তৈরি; দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ও পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা ও পাকিস্তান সংবাদ সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়।
দলিলগুলো সইয়ের সময় স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য ও তথ্য উপদেষ্টা এবং পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী একই সময়ে কিন্তু পৃথকভাবে ঢাকা সফর করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের মন্ত্রীকে বলেন, সার্ক সক্রিয় করা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদার করা তাঁর সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। তিনি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ফ্লাই জিন্নাহ আগামী অক্টোবরে পাকিস্তান থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। পিআইএ বেসরকারি খাতে যাওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট দেবে।
সরকারি পর্যায়ে বৈঠকের বাইরে ইসহাক দার গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে তাঁদের বাসভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন। তিনি শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের আগ্রহে এ সফরগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তান থেকে উচ্চপর্যায়ের এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের প্রায় নিশ্চল সম্পর্কে আবার গতি আসতে পারে, এমনটি মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। শেখ হাসিনার প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের সম্পর্ক গতি হারায়।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
১ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
১০ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ...
২৫ আগস্ট ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
১ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সমসাময়িক বিষয়ে আজ বুধবার বেলা ৩টায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আসিফ মাহমুদের সংবাদ সম্মেলন হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সমসাময়িক কোন বিষয়ে আসিফ মাহমুদ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন, মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।
আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য ভাষণের রেকর্ড করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও আজ পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে।
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও তফসিল ঘোষণার আগে সরকারে থাকা দুজন ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ওই বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন আসিফ মাহমুদ।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ...
২৫ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা অঞ্চলে ১৪টি হেলিকপ্টারের সাহায্যে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী অংশ তখনকার বিশাল, প্রশস্ত মেঘনা পার হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শত শত নৌকার সাহায্যে অবশিষ্ট সেনা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম পরিবহনে সহায়তা করে।
প্রচণ্ড চাপে পড়ে আগের দিন ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও গভর্নর মালেক সৈন্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেদিন দাউদকান্দির পতনের পর তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, ঢাকাই যৌথ বাহিনীর পরবর্তী লক্ষ্য। পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ণ অনুমোদন লাভ করে।
সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীর রায়পুরায় অবতরণের পর প্রায় ৩ ঘণ্টা ঢাকার পাকিস্তানি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোর ওপর বিমান হামলা চলে। তখন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা, গণহত্যার অন্যতম সহযোগী রাও ফরমান আলী ঢাকায় অবস্থানকারী জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব পল মার্ক হেনরিকে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির’ আয়োজন করার আবেদন জানান। বাঙালিদের ওপর ৯ মাস হত্যাযজ্ঞ চলার পর এত দিনে এসে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং এই অঞ্চলে থাকা পাকিস্তানি বাহিনীকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এ প্রস্তাব জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেন।
নিরাপত্তা পরিষদে রাও ফরমান আলীর এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ চলার সময় হঠাৎ খবর আসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্রস্তাবটি নাকচ করে দিয়েছেন। ঘটনা হচ্ছে, খবরটি ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সরকার ইয়াহিয়াকে জানান, পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য সপ্তম নৌবহর ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা হয়েছে। এ কারণেই ইয়াহিয়ার মত বদলে যায়। পাকিস্তান নিজে থেকে ‘সম্মানজনকভাবে’ সেনা প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগী হলেও সেই উদ্যোগকে সমর্থন না করে মার্কিন সরকার বরং তা রদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তার ওপর ভারতকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত করানোর তাগিদ দিয়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট নিক্সন সোভিয়েত নেতা ব্রেজনেভকে দুই দফা বার্তা পাঠান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে ভারতকে সম্মত করতে ব্রেজনেভের ওপর চাপের মাত্রা বাড়ানো হয়। তাঁকে জানানো হয়, ভারত যদি এরপরও সম্মত না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
উপমহাদেশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ‘শক্ত ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে পারে, তা সোভিয়েত ইউনিয়নের ভালো করেই জানা ছিল। সোভিয়েত সরকার তাদের নৌবাহিনীকে সতর্ক রাখে। মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যাত্রারম্ভের আগেই সোভিয়েতরা তাদের ভারত মহাসাগরীয় নৌবহরের শক্তি বৃদ্ধি শুরু করে।
১০ ডিসেম্বর মার্কিন সপ্তম নৌবহর চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরকে সংযোগকারী পাঁচ শ’ মাইল দীর্ঘ মালাক্কা প্রণালির ওপারে ছিল। ভারত মহাসাগরে সোভিয়েত নৌবহরের সমাবেশ তখন সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় জানা যায়, মার্কিন সপ্তম নৌবহরের গতিবিধি জানার জন্যই সোভিয়েত সরকার কসমস নামের নজরদারি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে।
এদিকে চূড়ান্ত পর্বের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের আশঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে যেতে থাকেন অনেক সাধারণ মানুষ। আগের দিন সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছিল। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে লড়াই হবে বলে মুক্তিযোদ্ধারা লোকজনকে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। অনেক লোককে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, পোঁটলাপুঁটলি নিয়ে রিকশা বা বেবিট্যাক্সিতে (সিএনজি অটোর আগের সংস্করণ) করে শহর থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ লটবহর মাথায় নিয়ে হেঁটেই চলেছেন। এ যেন ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ঢাকা ছাড়ার যে ঢল নেমেছিল কিছুটা প্রতিচ্ছবি।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ...
২৫ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। সব ঠিক থাকলে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আগামী ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কমিশন জানায়, ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে। এর মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইসি। সেখান থেকে সরে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। দিনটি বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণের পর ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ভোটের পরের দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। এ জন্য ১২ ফেব্রুয়ারিকে ভোটের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলে আসছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ঈদ উৎসবের মতো। ফলে এবারই প্রথম ভোটের আগের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। পরের দুই দিন ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন। আজ সেই ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আর নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানায়, সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিটিভির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল। আজ দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন। এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আজ বিকেলেও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে ২০টির মতো পরিপত্র জারি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নিয়োগ, মনিটরিং সেল এবং আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সেল গঠনের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ধারাবাহিকভাবে এগুলো জারি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভোটের সঙ্গে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানো এবং বাজেট বাড়ানোর বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে কমিশনকে। এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইনবিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় ভোট দিতে একজন ভোটারের কত সময় লাগবে, সেই ধারণা নিতে গত ২৯ নভেম্বর ভোটের মহড়া করে ইসি। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে। এ সময়ের মধ্যে পোস্টার না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি ও আধা সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এসব পদে দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং গতকাল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। রেওয়াজ অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসির তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ করলে কঠোরভাবে দমন
তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়—এটিই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাঁরা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবিদাওয়া আছে, তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করবেন না।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবে কমিশন। এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের ভাষণ রেকর্ড করা হবে। তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। সব ঠিক থাকলে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে ১২ ফেব্রুয়ারি।
আগামী ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে কমিশন জানায়, ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে। এর মধ্যে ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়েছিল ইসি। সেখান থেকে সরে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। দিনটি বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণের পর ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। ভোটের পরের দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন। এ জন্য ১২ ফেব্রুয়ারিকে ভোটের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বারবার বলে আসছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ঈদ উৎসবের মতো। ফলে এবারই প্রথম ভোটের আগের দিন ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকবে। পরের দুই দিন ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্র, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন। আজ সেই ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আর নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, তফসিল ঘোষণায় ভাষণের সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আজ সন্ধ্যায় অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে।
সূত্র জানায়, সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিটিভির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল। আজ দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে কমিশন। এরপর সিইসির ভাষণ রেকর্ড করার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আজ বিকেলেও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বিভিন্ন বিষয়ে ২০টির মতো পরিপত্র জারি করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি নিয়োগ, মনিটরিং সেল এবং আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সেল গঠনের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার পর ধারাবাহিকভাবে এগুলো জারি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ ভোটের সঙ্গে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানো এবং বাজেট বাড়ানোর বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়েছে কমিশনকে। এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইনবিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে।
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় ভোট দিতে একজন ভোটারের কত সময় লাগবে, সেই ধারণা নিতে গত ২৯ নভেম্বর ভোটের মহড়া করে ইসি। এই অভিজ্ঞতা থেকে ভোটের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হবে। আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ জানান, আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে। এ সময়ের মধ্যে পোস্টার না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি ও আধা সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এসব পদে দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং গতকাল প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি। রেওয়াজ অনুযায়ী, আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসির তফসিল ঘোষণার ভাষণ রেকর্ড করা হবে।
তফসিলের পর বেআইনি জনসমাবেশ করলে কঠোরভাবে দমন
তফসিল ঘোষণার পর সব ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, আন্দোলন পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর হয়—এটিই সরকারের মূল লক্ষ্য। এ কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বেআইনি ও অনুমোদনহীন জনসমাবেশ, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন আন্দোলন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাঁরা বেআইনিভাবে সভা-সমাবেশে অংশ নেবেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচনমুখী সময়ে আছি। এ কারণে, সবার যা কিছু দাবিদাওয়া আছে, তা নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশা করব, এ সময়ের মধ্যে কেউ দাবিদাওয়া নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি বা স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করবেন না।’

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তাঁর এ সফরে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে একাত্তর প্রসঙ্গ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনাসহ...
২৫ আগস্ট ২০২৫
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসিফ মাহমুদ।
১ ঘণ্টা আগে
মুক্তিবাহিনীর অগ্রাভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর একের পর এক অবস্থানের পতনে মুক্ত হচ্ছিল বাংলাদেশের একেকটি অঞ্চল। এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার মুহূর্তটি। যদিও ঠিক কখন, কীভাবে সেদিনটি আসবে, তখনো তা স্পষ্ট নয় সাধারণ মানুষের কাছে। তবে সবাই অধীর আগ্রহে ক্ষণ গুনছিল।
২ ঘণ্টা আগে