বাসস, ঢাকা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ ঢাকার সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আয়োজিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা বীর জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, জনকল্যাণমুখী ও স্বাধীন রাষ্ট্র, আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ ও মানবিকতা। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আমরা বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে এই দেশের জনগণই যেন সব ক্ষমতার উৎস হয়ে ওঠে এবং বাংলাদেশ মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে স্বীকৃতি পায়।’
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দিনটি আমাদের বিজয়ের ইতিহাসে এক যুগসন্ধিক্ষণ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা এবং বাঙালি জনগণ সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ পরিচালনা করেছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সমন্বিত অভিযান আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল। স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের অতুলনীয় ত্যাগের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অভিযানগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে সাংগঠনিক রূপ দিতে যুদ্ধরত সব বাহিনীকে “বাংলাদেশ ফোর্সেস” নামে একীভূত করা হয়েছিল এবং সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে যুদ্ধ পরিচালিত হয়। তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশি সাবমেরিনার ও নাবিকদের সমন্বয়ে গঠিত নৌ কমান্ডো দল ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে দুঃসাহসী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নদীবন্দরে খাদ্য ও রসদবাহী জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। বিমানবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত “কিলোফ্লাইট” চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সফল হামলা চালায়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব দুঃসাহসী অভিযান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।’
প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদেরও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা। এই যুদ্ধে অর্জিত বিজয়ের মাধ্যমেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তরুণ সমাজকে মেধাভিত্তিক সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম করার আহ্বান জানান।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘জুলাই ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, আহত ও জীবিত ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যেন তাঁদের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।
অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি আনুষ্ঠানিক সম্মান প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়ায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতি তিনি ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ ঢাকার সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ আয়োজিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা বীর জনগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, জনকল্যাণমুখী ও স্বাধীন রাষ্ট্র, আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ ও মানবিকতা। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে আমরা বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে এই দেশের জনগণই যেন সব ক্ষমতার উৎস হয়ে ওঠে এবং বাংলাদেশ মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে স্বীকৃতি পায়।’
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দিনটি আমাদের বিজয়ের ইতিহাসে এক যুগসন্ধিক্ষণ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা এবং বাঙালি জনগণ সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ পরিচালনা করেছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সমন্বিত অভিযান আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল। স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের অতুলনীয় ত্যাগের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অভিযানগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে সাংগঠনিক রূপ দিতে যুদ্ধরত সব বাহিনীকে “বাংলাদেশ ফোর্সেস” নামে একীভূত করা হয়েছিল এবং সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে যুদ্ধ পরিচালিত হয়। তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশি সাবমেরিনার ও নাবিকদের সমন্বয়ে গঠিত নৌ কমান্ডো দল ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে দুঃসাহসী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নদীবন্দরে খাদ্য ও রসদবাহী জাহাজ ডুবিয়ে দেয়। বিমানবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত “কিলোফ্লাইট” চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সফল হামলা চালায়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব দুঃসাহসী অভিযান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।’
প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদেরও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা। এই যুদ্ধে অর্জিত বিজয়ের মাধ্যমেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তব্যে প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তরুণ সমাজকে মেধাভিত্তিক সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম করার আহ্বান জানান।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, ‘জুলাই ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, আহত ও জীবিত ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যেন তাঁদের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।
অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি আনুষ্ঠানিক সম্মান প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়ায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতি তিনি ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
১ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
শারীরিক জটিলতা এবং নির্ধারিত সময়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবারের মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল তাঁর।
১০ ঘণ্টা আগে
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেশত্রুমুক্ত তিনটি জেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ফেনী প্রতিনিধি

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে ভুটানের তৎকালীন রাজা স্বীকৃতি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক বার্তা।
ভুটান ও ভারতের মধ্যে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ নিয়ে কখনো কখনো মিডিয়ার খবরের সূত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভারত ও ভুটান যথাক্রমে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে—মিডিয়ার একাংশের এমন খবরের পর একবার বিতর্ক ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই...। ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।...আমাদের ইতিহাসে রয়েছে যে এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগেই ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত ও ভুটান উভয়ই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে দিয়েছে ভুটান।’
অর্থাৎ দুই প্রতিবেশীর স্বীকৃতি এসেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
সচিব জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির বার্তায় ভুটানের তখনকার রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক বাংলাদেশের জনগণের সাফল্য কামনা করেন এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন।’
ভুটান সরকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কাছে সেই ওয়্যারলেস বার্তার একটি টেক্সট হস্তান্তর করেছিল।
এই দিনেই শত্রুমুক্ত যশোর ও ফেনী
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনী ও যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
৬ তারিখ দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। শহরে ওড়ে বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকাখচিত প্রথম পতাকা।
যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ সময় সহায়তাকারী ভারতের মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি সেনা স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালানো শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা খুলনার গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলির রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ।
ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আজ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আশেক হাসান।
৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় বিজয়বার্তা। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
মুক্তিযুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযানে অংশ নেওয়া আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যুদ্ধ করেছি জাতির মুক্তির আশায়; প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদের জন্য।...মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেই। সবাই শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুড়িগ্রাম জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, প্রীতিলতা ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালি করে শহরের কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল আরেক জেলা ফেনী। পাকিস্তানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল সীমান্তের বিলোনিয়ায়।
৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। পরে শহরের রাজাঝির দীঘিরপাড়ে ডাকবাংলোর সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে শহর। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এখনো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবার আগে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ফেনীমুক্ত দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকে গেরিলা যুদ্ধ করতে করতে আমরা পাঁচগাছিয়া এলাকার কাছাকাছি চলে আসি। ৫ ডিসেম্বর আমরা ঠিক ফেনীর কাছাকাছি যখন আসি, তখন পাকিস্তানি সেনারা রণেভঙ্গ দিয়ে শেষ রাতের দিকে শুভপুর ও বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
ঐতিহাসিক এদিনটি উপলক্ষে আজ ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিয়ে স্মরণ করবেন বিজয়ের সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে।

স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে ভুটানের তৎকালীন রাজা স্বীকৃতি দিয়ে পাঠিয়েছিলেন এক ঐতিহাসিক বার্তা।
ভুটান ও ভারতের মধ্যে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল, এ নিয়ে কখনো কখনো মিডিয়ার খবরের সূত্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ভারত ও ভুটান যথাক্রমে ৬ ও ৭ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দিয়েছে—মিডিয়ার একাংশের এমন খবরের পর একবার বিতর্ক ছড়ায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সত্য নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই...। ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর একটি ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।...আমাদের ইতিহাসে রয়েছে যে এমনকি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগেই ভুটান প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত ও ভুটান উভয়ই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে দিয়েছে ভুটান।’
অর্থাৎ দুই প্রতিবেশীর স্বীকৃতি এসেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
সচিব জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির বার্তায় ভুটানের তখনকার রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক বাংলাদেশের জনগণের সাফল্য কামনা করেন এবং স্বাধীনতা-যুদ্ধের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন।’
ভুটান সরকার ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কাছে সেই ওয়্যারলেস বার্তার একটি টেক্সট হস্তান্তর করেছিল।
এই দিনেই শত্রুমুক্ত যশোর ও ফেনী
একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনী ও যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
৬ তারিখ দুপুরের পরপরই যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। শহরে ওড়ে বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকাখচিত প্রথম পতাকা।
যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম জানান, ১৯৭১ সালের ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এ সময় সহায়তাকারী ভারতের মিত্রবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাকিস্তানি সেনা স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পর্যুদস্ত হয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পালানো শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা খুলনার গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এ সময় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলির রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। মুক্তির আনন্দে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ।
ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন আজ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক মো. আশেক হাসান।
৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামও হানাদার মুক্ত হয়। এই দিনে বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে চারদিকে ছড়িয়ে দেয় বিজয়বার্তা। বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
মুক্তিযুদ্ধে অর্ধশতাধিক অভিযানে অংশ নেওয়া আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যুদ্ধ করেছি জাতির মুক্তির আশায়; প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদের জন্য।...মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেই। সবাই শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে।’
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কুড়িগ্রাম জেলা ও সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, প্রীতিলতা ব্রিগেডসহ কয়েকটি সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে বিজয় র্যালি করে শহরের কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছিল আরেক জেলা ফেনী। পাকিস্তানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পণ করেছিল সীমান্তের বিলোনিয়ায়।
৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে ফেনী শহরে প্রবেশ করতে থাকেন। পরে শহরের রাজাঝির দীঘিরপাড়ে ডাকবাংলোর সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে শহর। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস সদস্যরা ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এখনো তরুণ প্রজন্ম চাইলে এ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবার আগে দেশপ্রেমকে প্রাধান্য দিতে হবে।’
ফেনীমুক্ত দিবস সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শুরু থেকে গেরিলা যুদ্ধ করতে করতে আমরা পাঁচগাছিয়া এলাকার কাছাকাছি চলে আসি। ৫ ডিসেম্বর আমরা ঠিক ফেনীর কাছাকাছি যখন আসি, তখন পাকিস্তানি সেনারা রণেভঙ্গ দিয়ে শেষ রাতের দিকে শুভপুর ও বারইয়ারহাট হয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।
ঐতিহাসিক এদিনটি উপলক্ষে আজ ফেনীতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এতে অংশ নিয়ে স্মরণ করবেন বিজয়ের সেই স্মরণীয় মুহূর্তকে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ ঢাকার সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
১৫ দিন আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
শারীরিক জটিলতা এবং নির্ধারিত সময়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবারের মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল তাঁর।
১০ ঘণ্টা আগে
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর কূটনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মানবিক ঝুঁকি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সদরদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হস্তান্তর শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফের এই অমানবিক পুশইন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড ও দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মকাণ্ড সীমান্ত এলাকায় মানবিক সংকট তৈরি করছে এবং দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজিবি মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক আইন ও শুভ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুর নিরাপত্তা এবং চিকিৎসাগত ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির এই উদ্যোগ দায়িত্বশীলতার এক উদাহরণ।
বিজিবি আশা প্রকাশ করেছে, পুশইনসহ এ ধরনের আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী ও অমানবিক কর্মকাণ্ড বিএসএফ ভবিষ্যতে বন্ধ করবে এবং সীমান্তে মানবিক, আইনসঙ্গত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রক্রিয়া বজায় রাখবে।

ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর কূটনৈতিক যোগাযোগের ভিত্তিতে অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মানবিক ঝুঁকি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সদরদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হস্তান্তর শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফের এই অমানবিক পুশইন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড ও দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মকাণ্ড সীমান্ত এলাকায় মানবিক সংকট তৈরি করছে এবং দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজিবি মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক আইন ও শুভ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুর নিরাপত্তা এবং চিকিৎসাগত ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির এই উদ্যোগ দায়িত্বশীলতার এক উদাহরণ।
বিজিবি আশা প্রকাশ করেছে, পুশইনসহ এ ধরনের আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী ও অমানবিক কর্মকাণ্ড বিএসএফ ভবিষ্যতে বন্ধ করবে এবং সীমান্তে মানবিক, আইনসঙ্গত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রক্রিয়া বজায় রাখবে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ ঢাকার সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
১৫ দিন আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
১ ঘণ্টা আগে
শারীরিক জটিলতা এবং নির্ধারিত সময়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবারের মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল তাঁর।
১০ ঘণ্টা আগে
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শারীরিক জটিলতা এবং নির্ধারিত সময়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবারের মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল তাঁর। এর মধ্যে ৮০ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। এসবের জেরে যাত্রার দিনক্ষণ পিছিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি উড়োজাহাজেও এসেছে বদল। তারপরও সার্বিকভাবে লন্ডনযাত্রা নিয়ে জটিলতা এখনো রয়েই গেছে বলে জানা গেছে।
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে কারিগরি ত্রুটির কারণে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকায় আসতে দেরি হবে বলে জানানো হয়। খালেদার শারীরিক অবস্থাও ভ্রমণের উপযুক্ত ছিল না। দুই কারণে যাত্রার তারিখ বদলের ঘোষণার পর জানা গেছে, কাতারের রাজপরিবারের ওই বাহনে লন্ডন যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। বরং অঙ্গীকার রক্ষা করতে এ জন্য জার্মানির একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছে কাতার সরকার। পশ্চিম এশিয়ার দেশ জর্জিয়া থেকে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে বলে জানা গেছে।
ঢাকায় কাতার দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ জানান, কাতার সরকার এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দিচ্ছে। আজ শনিবার বিকেলে সেটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে বলে দূতাবাস থেকে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি আরও বিলম্ব হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি ও ফুসফুসের গুরুতর জটিলতায় ভুগছেন তিনি। গত ২৭ নভেম্বর থেকে রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাঁর চিকিৎসা চলছে। যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলও যুক্ত হয়েছে চিকিৎসা তৎপরতায়।
দেশনেত্রীর লন্ডনযাত্রার দিনক্ষণ বাতিলের কারণ জানাতে গিয়ে এয়ারক্রাফটের ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কথা তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথাও বলেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে (খালেদা জিয়া) লন্ডনে নেওয়া হবে।’
এদিকে সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া লন্ডন যেতে পারবেন কি না বা কবে যেতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র বলছে, লন্ডন যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমত গুরুত্ব পাচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের বিষয়টি। উড্ডয়ন করার মতো সক্ষম থাকতে হবে তাঁকে। কম-বেশি দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা ভ্রমণের মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ অবস্থায় লন্ডনে নেওয়া সম্ভব হবে কি না–বিষয়টি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সবকিছু বিচার-বিবেচনা করেই শুধু মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দেবে। অন্যদিকে জার্মানির যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করা হয়েছে, সেটির ধারণক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। চ্যালেঞ্জার-৬০ নামের ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর সঙ্গে মাত্র চারজন ভ্রমণ করতে পারবেন। আগের পরিকল্পনায় চিকিৎসক ও ব্যক্তিগত সেবাদাতাসহ প্রায় ১৫ জনের যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। এটি একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই চেয়ারপারসনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে। খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকেরা ‘প্রাণপণ চেষ্টা করছেন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁরা আশা করছেন রোববার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চিকিৎসকেরাই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরও এই চিকিৎসা আরও উন্নত হাসপাতালে করা প্রয়োজন বলে সবাই মনে করছেন।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য চীনে নেওয়ার একটি প্রস্তাব সে দেশ থেকে এসেছিল। তাঁকে বিদেশে নেওয়ার জন্য চীন এয়ার অ্যাম্বুলেস পাঠাতেও আগ্রহী ছিল। কিন্তু খালেদার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের পক্ষেই মত দেন। তাঁর যুক্তি ছিল ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জ্বালানি নিতে থামা ছাড়াই ঢাকা থেকে সরাসরি লন্ডনে পৌঁছাতে পারে।
ঢাকায় এলেন জুবাইদা রহমান
খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে যুক্তরাজ্য থেকে গতকাল ঢাকায় এসেছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছেই শাশুড়িকে দেখতে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। খালেদা জিয়াকে দেখার পর জুবাইদা ধানমন্ডিতে মায়ের বাসায় যান বলে জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। তিনি বলেন, ‘ভাবি (জুবাইদা) লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই সরাসরি এভারকেয়ারে আসেন। ম্যাডাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শয্যার পাশে ছিলেন, ডাক্তারদের সঙ্গে সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে মিটিংও করেছেন।’
হাসিনার দুঃশাসনের নিন্দা তারেকের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়ন করা হয় বলে অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন। স্বৈরাচার পতন দিবসকে সামনে রেখে এই পোস্ট করেন তারেক রহমান।
ফেসবুক পোস্টে তারেক লেখেন, ‘শেখ হাসিনার দুঃশাসনে “গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছিল। অবিরাম নির্যাতনের কশাঘাতে অসুস্থ দেশনেত্রীর জীবন এখন চরম সংকটে।’
স্বৈরাচার পতন দিবসে গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’
স্বৈরাচার পতন দিবসকে ‘অবিস্মরণীয় একটি দিন’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৯০ সালের এ দিনে রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে অবসান হয়েছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ ১৯৮২-এর ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র হত্যা করে জারি করেছিল অসাংবিধানিক শাসন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা, যার সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ ৯ বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।...এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতা মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করায় মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।’

শারীরিক জটিলতা এবং নির্ধারিত সময়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবারের মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল তাঁর। এর মধ্যে ৮০ বছর বয়সী বিএনপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। এসবের জেরে যাত্রার দিনক্ষণ পিছিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি উড়োজাহাজেও এসেছে বদল। তারপরও সার্বিকভাবে লন্ডনযাত্রা নিয়ে জটিলতা এখনো রয়েই গেছে বলে জানা গেছে।
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে কারিগরি ত্রুটির কারণে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকায় আসতে দেরি হবে বলে জানানো হয়। খালেদার শারীরিক অবস্থাও ভ্রমণের উপযুক্ত ছিল না। দুই কারণে যাত্রার তারিখ বদলের ঘোষণার পর জানা গেছে, কাতারের রাজপরিবারের ওই বাহনে লন্ডন যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন। বরং অঙ্গীকার রক্ষা করতে এ জন্য জার্মানির একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছে কাতার সরকার। পশ্চিম এশিয়ার দেশ জর্জিয়া থেকে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে বলে জানা গেছে।
ঢাকায় কাতার দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ জানান, কাতার সরকার এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দিচ্ছে। আজ শনিবার বিকেলে সেটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে বলে দূতাবাস থেকে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি আরও বিলম্ব হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি ও ফুসফুসের গুরুতর জটিলতায় ভুগছেন তিনি। গত ২৭ নভেম্বর থেকে রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাঁর চিকিৎসা চলছে। যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলও যুক্ত হয়েছে চিকিৎসা তৎপরতায়।
দেশনেত্রীর লন্ডনযাত্রার দিনক্ষণ বাতিলের কারণ জানাতে গিয়ে এয়ারক্রাফটের ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কথা তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথাও বলেছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে (খালেদা জিয়া) লন্ডনে নেওয়া হবে।’
এদিকে সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া লন্ডন যেতে পারবেন কি না বা কবে যেতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র বলছে, লন্ডন যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমত গুরুত্ব পাচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের বিষয়টি। উড্ডয়ন করার মতো সক্ষম থাকতে হবে তাঁকে। কম-বেশি দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা ভ্রমণের মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ অবস্থায় লন্ডনে নেওয়া সম্ভব হবে কি না–বিষয়টি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সবকিছু বিচার-বিবেচনা করেই শুধু মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দেবে। অন্যদিকে জার্মানির যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ভাড়া করা হয়েছে, সেটির ধারণক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। চ্যালেঞ্জার-৬০ নামের ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর সঙ্গে মাত্র চারজন ভ্রমণ করতে পারবেন। আগের পরিকল্পনায় চিকিৎসক ও ব্যক্তিগত সেবাদাতাসহ প্রায় ১৫ জনের যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। এটি একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির মহাসচিব বলেন, চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই চেয়ারপারসনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে। খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকেরা ‘প্রাণপণ চেষ্টা করছেন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁরা আশা করছেন রোববার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চিকিৎসকেরাই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরও এই চিকিৎসা আরও উন্নত হাসপাতালে করা প্রয়োজন বলে সবাই মনে করছেন।
এদিকে বিএনপির একটি সূত্র বলছে, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য চীনে নেওয়ার একটি প্রস্তাব সে দেশ থেকে এসেছিল। তাঁকে বিদেশে নেওয়ার জন্য চীন এয়ার অ্যাম্বুলেস পাঠাতেও আগ্রহী ছিল। কিন্তু খালেদার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের পক্ষেই মত দেন। তাঁর যুক্তি ছিল ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জ্বালানি নিতে থামা ছাড়াই ঢাকা থেকে সরাসরি লন্ডনে পৌঁছাতে পারে।
ঢাকায় এলেন জুবাইদা রহমান
খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে যুক্তরাজ্য থেকে গতকাল ঢাকায় এসেছেন তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছেই শাশুড়িকে দেখতে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তিনি। খালেদা জিয়াকে দেখার পর জুবাইদা ধানমন্ডিতে মায়ের বাসায় যান বলে জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। তিনি বলেন, ‘ভাবি (জুবাইদা) লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই সরাসরি এভারকেয়ারে আসেন। ম্যাডাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শয্যার পাশে ছিলেন, ডাক্তারদের সঙ্গে সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে মিটিংও করেছেন।’
হাসিনার দুঃশাসনের নিন্দা তারেকের
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃশাসনের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর নানা নিপীড়ন করা হয় বলে অভিযোগ এনেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ আনেন। স্বৈরাচার পতন দিবসকে সামনে রেখে এই পোস্ট করেন তারেক রহমান।
ফেসবুক পোস্টে তারেক লেখেন, ‘শেখ হাসিনার দুঃশাসনে “গণতন্ত্রের মা” দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর জেল-জুলুমসহ নানামাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে আনা হয়েছিল। অবিরাম নির্যাতনের কশাঘাতে অসুস্থ দেশনেত্রীর জীবন এখন চরম সংকটে।’
স্বৈরাচার পতন দিবসে গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান। তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের ভয়ংকর শত্রু। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’
স্বৈরাচার পতন দিবসকে ‘অবিস্মরণীয় একটি দিন’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘১৯৯০ সালের এ দিনে রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথে অবসান হয়েছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ ১৯৮২-এর ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র হত্যা করে জারি করেছিল অসাংবিধানিক শাসন। যে সাংবিধানিক রাজনীতি ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা, যার সূচনা করেছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ ৯ বছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আপসহীন নেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।...এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর ৬ ডিসেম্বর এই দিনে ছাত্র-জনতা মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচারকে পরাজিত করায় মুক্ত হয়েছিল গণতন্ত্র। সেই অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনায় আবারও ছাত্র-জনতা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এক হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করে।’

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ ঢাকার সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
১৫ দিন আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
১ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে ‘সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, থানার বাইরে কোনো ভারী অস্ত্র নেই।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে সময় লুট করা হয় ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র।
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
তবে কতসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
নতুন অধ্যাদেশ পাস হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশ পুনর্গঠনের উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। সমস্যা থাকলে তারা সুপারিশ করতে পারবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা দেখবে।
এদিন সকালে নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় ফায়ার সার্ভিসের। পরে স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গঠনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক অপরিহার্য উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাবছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে ‘সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, থানার বাইরে কোনো ভারী অস্ত্র নেই।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে সময় লুট করা হয় ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র।
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
তবে কতসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
নতুন অধ্যাদেশ পাস হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশ পুনর্গঠনের উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। সমস্যা থাকলে তারা সুপারিশ করতে পারবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা দেখবে।
এদিন সকালে নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় ফায়ার সার্ভিসের। পরে স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গঠনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক অপরিহার্য উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাবছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ ঢাকার সেনানিবাসে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
১৫ দিন আগে
স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বাংলাদেশকে একই দিন স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান ও ভারত। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় ক্রমেই নিশ্চিত হয়ে আসায় এই স্বীকৃতি এসেছিল। আবার একই দিন শত্রুসেনামুক্ত হয়েছিল দেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা যশোর ও ফেনী।
১ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আইসিপিতে আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সোনালী খাতুন এবং তার আট বছরের সন্তান মো. সাব্বির শেখকে সুস্থ ও নিরাপদ অবস্থায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে
শারীরিক জটিলতা এবং নির্ধারিত সময়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিয়ে সমস্যা হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবারের মধ্যেই লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল তাঁর।
১০ ঘণ্টা আগে