নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহফুজ আলম কিছু বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। পূর্বে ইসলামপন্থী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
আজ শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। ইংরেজিতে দেওয়া তাঁর এই ব্যাখ্যাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন ‘মহা জরুরি পোস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
মাহফুজ আলমের ব্যাখ্যা মোটামুটি এ রকম:
‘১. ফেসবুকে আমার একটি ভেরিফায়েড আইডি আছে। অন্য কোনো পেজ বা আইডি নেই। ভুয়া আইডি ও পেজগুলো আপনারা রিপোর্ট করতে পারেন। আনফ্রেন্ড করতে পারেন। আনফলো করতে পারেন।
২. আমার বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেলে যে, আমি ইসলামপন্থী বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা! আমি কখনো হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।
ইকোনমিক টাইমস–এর এক সাংবাদিক হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে আমার মিথ্যা সম্পৃক্ততা নিয়ে লিখেছেন, যা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ভারতীয় রাষ্ট্রের ন্যারেটিভে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে।
আমি আগে যেমন, এখনো তেমন হিযবুত তাহরীরের মতাদর্শের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই আছি।
৩. আমি ইসলামি ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মতাদর্শ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।
আমি জামায়াতের ‘ইসলাম’ অনুসরণ করিনি এবং এখনো করি না। সেই কারণে আমি তামিরুল মিল্লাত বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য শিবিরকর্মীর মতো কোনো ‘সুবিধা’ বা ‘অধিকার’ পাইনি। বরং আমাকে ক্যাম্পাসে ইসলামভীতি এবং শিবির ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে।
আমাকে বেছে নিতে হয়েছে নির্জন পথ—মুজিববাদ, ইসলামভীতি এবং ইসলামি মতাদর্শের বিরুদ্ধে, বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহাসিক আকাঙ্ক্ষার অভিমুখে। পরে আমি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক অধ্যয়ন চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে আমার রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা গ্রহণ করি।
৪. আমি ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না। তবে নয় দফাসহ ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমার সঙ্গে পরামর্শ করে এবং আমার ‘অনুমোদন’ক্রমে। গত পাঁচ বছরে প্রায় সব প্রোগ্রাম ও ন্যারেটিভ আমার হাত দিয়েই লেখা হয়েছে। সবই আপনারা জানতে পারবেন যদি আমি বা আমার সঙ্গীরা বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো পার করতে পারি। দোয়া করবেন যেন আমরা সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারি অথবা শহীদ হতে পারি।
৫. আমি একজন বিশ্বাসী এবং বাঙালি মুসলমান। আমি ইসলামি বা সেক্যুলার কোনো মতাদর্শকেই সমর্থন করি না। আমি এই অঞ্চলে সভ্যতাগতভাবে পরিবর্তিত একটি রাষ্ট্র ও সমাজের রূপকল্প পোষণ করি, যা গড়ে উঠবে দায় ও দরদের আদর্শের ভিত্তিতে। নির্যাতিত জনগণের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাগুলো রাষ্ট্রনীতিতে রূপান্তরিত হবে।
ঢাকা হবে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সভ্যতাগত মেলবন্ধন কেন্দ্র। ইনশা আল্লাহ!
৬. আমি ইসলামি বা অন্য কোনো ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের বিরোধী নই। আমি মনে করি, রাষ্ট্রগঠনে সম্প্রদায়গুলোর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশসমূহের সহাবস্থান করার সুযোগ থাকা দরকার। রাষ্ট্রের সেক্যুলার প্রকল্প যেন কোনো সম্প্রদায়েরই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের জায়গাকে সংকুচিত করে না ফেলে। তবে এই অভিপ্রকাশগুলো যেন আবার ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের দিকে না যায়।
৭. একদম ঠিক ঠিক করে বললে, আমি লালন বা মার্কসের অনুসারী নই, তাই আমি ফরহাদ মজহারের ইসলাম ও মার্কসবাদ গ্রহণ করি না। লালনকে আমি বাংলার আত্ম–অন্বেষণ চর্চা ও আচার–অনুষ্ঠানের একটি সমন্বিত প্রকাশ হিসেবে দেখি। আর, যত দিন পুঁজিবাদ থাকবে তত দিন প্রাসঙ্গিক থাকবেন মার্কস।
তবে, বাঙালি মুসলমানদের প্রশ্নটি প্রধানত নদীমাতৃক ইসলাম ও বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের রূপরেখায় আলোচনা করা উচিত। বাঙালি মুসলমানদের উচিত হীনমন্যতার শেকল ভেঙে ফেলে তাদের পূর্বপুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্ব দরবারে ব্যাখ্যা করা।
৮. আমি মাজার ও কবর পূজারি নই। আমি বিভিন্ন তরিকার সুফি এবং আলেমদের শ্রদ্ধা করি। কৈশোরকাল এবং পরবর্তী সময়ে আমি অনেক আলেম ও পিরদের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলাম এবং এখনো তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। তাঁরা আমাকে নবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসায় অভিষিক্ত করেছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আবার, আমি আপসকামী এবং ফ্যাসিবাদ সমর্থনকারী সুফিবাদ পছন্দ করি না। আমি সেই সুফি ও আলেমদের ভালোবাসি, যারা নিজেদের অধিকারের জন্য দাঁড়ান।
আমি মনে করি, যারা মাজার ভাঙছে তারা আসলে বাঙালি মুসলমানদের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা এবং বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
৯. ঐতিহাসিক সম্প্রদায় হিসেবে বাঙালি মুসলমানদের জোট গঠন করতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মজলুম হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমানের সঙ্গে। এভাবেই দূর করতে হবে মুজিববাদ, ইসলাম–আতঙ্ক, হিন্দুত্ববাদ এবং ফ্যাসিবাদ–সমর্থনকারী সুফিবাদ ও ইসলামিজমকে। আমরা অনেকবার দেখেছি কীভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ইসলামিজমও মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদের বাঁচার উপায় হয়ে উঠেছে।
১০. আমি আমার বাঙালি মুসলমান পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করি, যারা ত্যাগ ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলেছিলেন। এই সম্প্রদায় এ অঞ্চলে তাদের ন্যায্য হিস্যা পাবে এবং তাদের রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। আমি পশ্চাৎপদ জাতীয়তাবাদগুলোর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে আরও আরও মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য দরকার নতুন ভাষা ও শব্দভান্ডার।
পুনশ্চঃ আমার লেখাগুলোতে কেউ আহত হলে, আমি অন্তর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি আপনাদের সবাইকে সহনাগরিক হিসেবে এবং ভাই ও বোন হিসেবে ভালোবাসি।
দয়াল দরদি নবীজিকে সালাম!
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহফুজ আলম কিছু বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। পূর্বে ইসলামপন্থী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
আজ শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। ইংরেজিতে দেওয়া তাঁর এই ব্যাখ্যাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন ‘মহা জরুরি পোস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
মাহফুজ আলমের ব্যাখ্যা মোটামুটি এ রকম:
‘১. ফেসবুকে আমার একটি ভেরিফায়েড আইডি আছে। অন্য কোনো পেজ বা আইডি নেই। ভুয়া আইডি ও পেজগুলো আপনারা রিপোর্ট করতে পারেন। আনফ্রেন্ড করতে পারেন। আনফলো করতে পারেন।
২. আমার বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেলে যে, আমি ইসলামপন্থী বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা! আমি কখনো হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।
ইকোনমিক টাইমস–এর এক সাংবাদিক হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে আমার মিথ্যা সম্পৃক্ততা নিয়ে লিখেছেন, যা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে ভারতীয় রাষ্ট্রের ন্যারেটিভে ফাঁসানোর জন্য করা হয়েছে।
আমি আগে যেমন, এখনো তেমন হিযবুত তাহরীরের মতাদর্শের বিরুদ্ধে এবং যেকোনো অগণতান্ত্রিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই আছি।
৩. আমি ইসলামি ছাত্রশিবিরের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম না। আমি তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে তারা আমাকে তাদের প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মতাদর্শ আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।
আমি জামায়াতের ‘ইসলাম’ অনুসরণ করিনি এবং এখনো করি না। সেই কারণে আমি তামিরুল মিল্লাত বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য শিবিরকর্মীর মতো কোনো ‘সুবিধা’ বা ‘অধিকার’ পাইনি। বরং আমাকে ক্যাম্পাসে ইসলামভীতি এবং শিবির ট্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে।
আমাকে বেছে নিতে হয়েছে নির্জন পথ—মুজিববাদ, ইসলামভীতি এবং ইসলামি মতাদর্শের বিরুদ্ধে, বাঙালি মুসলমানদের ঐতিহাসিক আকাঙ্ক্ষার অভিমুখে। পরে আমি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক অধ্যয়ন চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে আমার রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ভূমিকা গ্রহণ করি।
৪. আমি ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলাম না। তবে নয় দফাসহ ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমার সঙ্গে পরামর্শ করে এবং আমার ‘অনুমোদন’ক্রমে। গত পাঁচ বছরে প্রায় সব প্রোগ্রাম ও ন্যারেটিভ আমার হাত দিয়েই লেখা হয়েছে। সবই আপনারা জানতে পারবেন যদি আমি বা আমার সঙ্গীরা বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো পার করতে পারি। দোয়া করবেন যেন আমরা সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারি অথবা শহীদ হতে পারি।
৫. আমি একজন বিশ্বাসী এবং বাঙালি মুসলমান। আমি ইসলামি বা সেক্যুলার কোনো মতাদর্শকেই সমর্থন করি না। আমি এই অঞ্চলে সভ্যতাগতভাবে পরিবর্তিত একটি রাষ্ট্র ও সমাজের রূপকল্প পোষণ করি, যা গড়ে উঠবে দায় ও দরদের আদর্শের ভিত্তিতে। নির্যাতিত জনগণের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাগুলো রাষ্ট্রনীতিতে রূপান্তরিত হবে।
ঢাকা হবে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের সভ্যতাগত মেলবন্ধন কেন্দ্র। ইনশা আল্লাহ!
৬. আমি ইসলামি বা অন্য কোনো ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের বিরোধী নই। আমি মনে করি, রাষ্ট্রগঠনে সম্প্রদায়গুলোর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশসমূহের সহাবস্থান করার সুযোগ থাকা দরকার। রাষ্ট্রের সেক্যুলার প্রকল্প যেন কোনো সম্প্রদায়েরই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিপ্রকাশের জায়গাকে সংকুচিত করে না ফেলে। তবে এই অভিপ্রকাশগুলো যেন আবার ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের দিকে না যায়।
৭. একদম ঠিক ঠিক করে বললে, আমি লালন বা মার্কসের অনুসারী নই, তাই আমি ফরহাদ মজহারের ইসলাম ও মার্কসবাদ গ্রহণ করি না। লালনকে আমি বাংলার আত্ম–অন্বেষণ চর্চা ও আচার–অনুষ্ঠানের একটি সমন্বিত প্রকাশ হিসেবে দেখি। আর, যত দিন পুঁজিবাদ থাকবে তত দিন প্রাসঙ্গিক থাকবেন মার্কস।
তবে, বাঙালি মুসলমানদের প্রশ্নটি প্রধানত নদীমাতৃক ইসলাম ও বাংলার মুসলিম সম্প্রদায়ের রূপরেখায় আলোচনা করা উচিত। বাঙালি মুসলমানদের উচিত হীনমন্যতার শেকল ভেঙে ফেলে তাদের পূর্বপুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্ব দরবারে ব্যাখ্যা করা।
৮. আমি মাজার ও কবর পূজারি নই। আমি বিভিন্ন তরিকার সুফি এবং আলেমদের শ্রদ্ধা করি। কৈশোরকাল এবং পরবর্তী সময়ে আমি অনেক আলেম ও পিরদের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলাম এবং এখনো তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে। তাঁরা আমাকে নবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসায় অভিষিক্ত করেছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আবার, আমি আপসকামী এবং ফ্যাসিবাদ সমর্থনকারী সুফিবাদ পছন্দ করি না। আমি সেই সুফি ও আলেমদের ভালোবাসি, যারা নিজেদের অধিকারের জন্য দাঁড়ান।
আমি মনে করি, যারা মাজার ভাঙছে তারা আসলে বাঙালি মুসলমানদের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা এবং বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
৯. ঐতিহাসিক সম্প্রদায় হিসেবে বাঙালি মুসলমানদের জোট গঠন করতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মজলুম হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমানের সঙ্গে। এভাবেই দূর করতে হবে মুজিববাদ, ইসলাম–আতঙ্ক, হিন্দুত্ববাদ এবং ফ্যাসিবাদ–সমর্থনকারী সুফিবাদ ও ইসলামিজমকে। আমরা অনেকবার দেখেছি কীভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী ইসলামিজমও মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদের বাঁচার উপায় হয়ে উঠেছে।
১০. আমি আমার বাঙালি মুসলমান পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করি, যারা ত্যাগ ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলেছিলেন। এই সম্প্রদায় এ অঞ্চলে তাদের ন্যায্য হিস্যা পাবে এবং তাদের রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে। আমি পশ্চাৎপদ জাতীয়তাবাদগুলোর বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের ভেতরে এবং বাইরে আরও আরও মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য দরকার নতুন ভাষা ও শব্দভান্ডার।
পুনশ্চঃ আমার লেখাগুলোতে কেউ আহত হলে, আমি অন্তর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি আপনাদের সবাইকে সহনাগরিক হিসেবে এবং ভাই ও বোন হিসেবে ভালোবাসি।
দয়াল দরদি নবীজিকে সালাম!
জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের করা প্রতিবেদনটি জেনেভায় সংস্থাটির সদস্যদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আগামীকাল বুধবার এই উপস্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
৩ মিনিট আগেনতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা তুললেও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে না নির্বাচন কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) আগারগাঁওয়ে
৪৩ মিনিট আগেপাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের ২৩তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার এবং বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ২৩তম বৈঠকে এটি অনুমোদন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে