Ajker Patrika

পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলারের সন্ধানে লন্ডনে ইউনূস, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান না স্টারমার

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ১৬: ০৭
মুহাম্মদ ইউনূস ও কিয়ার স্টারমার। ফাইল ছবি
মুহাম্মদ ইউনূস ও কিয়ার স্টারমার। ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ উদ্ধারে সমর্থন চাইতে লন্ডন সফরে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে সদ্য নির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার হয়েছে, তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যুক্তরাজ্যে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ সরকারের নৈতিক ও আইনি দায়বদ্ধতা রয়েছে।

স্টারমারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে ইউনূস বলেন, ‘আমার সরাসরি তাঁর সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তবে আমার বিশ্বাস, তিনি আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবেন।’

তবে ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে জানা গেছে, এমন কোনো সাক্ষাৎসূচি নেই।

ইউনূস বলেন, ‘এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, যুক্তরাজ্যের জন্যও একটি নৈতিক ও আইনি ইস্যু। আমরা আরও আন্তরিক সহায়তা চাই।’

২০২৪ সালের গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনূস। নতুন সরকার তাঁর নেতৃত্বে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে।

এদিকে শেখ হাসিনার ভাতিজি ও লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন, তবুও চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি যুক্তরাজ্যের দুর্নীতি প্রতিরোধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি ইউনূসকে একটি চিঠি দিয়ে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। তবে ইউনূস বলেন, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না। ‘এটি একটি আইনি বিষয়, ব্যক্তিগত কিছু নয়’, বলেন ইউনূস।

ইউনূসের অভিযোগ, শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতা আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের লাভবান করার জন্য ব্যবহার করেছেন। ‘এটি ছিল একটি ব্যাপক লুটপাট’, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সরকার ধারণা করছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। এর বড় অংশ যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থানান্তরিত হয়েছে।

ইউনূস বলেন, লন্ডন সফর তাঁর অভিযান মাত্র শুরু। তিনি ব্রিটিশ ব্যবসায়ী, ব্যাংক, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন।

‘গ্রেট ব্রিটেনের জনগণের সমর্থন আমাদের দরকার’, বলেন তিনি।

তাঁর টিম জানিয়েছে, তাঁরা এখনো যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকসহ আরও অনেকের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির ছেলের মালিকানাধীন দুটি লন্ডনের সম্পত্তিতে জব্দের আদেশ দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত