নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই, এই বিচার জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক অধ্যায় হিসেবে অম্লান হয়ে থাকুক। বাংলাদেশে এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে না পারে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা যে আমরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেই সব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যাঁরা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করবে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।’
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হত্যা ও জখম-সম্পর্কিত যেসব উপাদান প্রসিকিউশন উপস্থাপন করবে, সেগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট, স্বচ্ছ এবং অকাট্য প্রমাণ; যার ভিত্তিতে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যায়সংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিচারের জন্য এসেছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, তা স্পষ্টভাবে দেখাবে—এই অপরাধগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক সংগঠিত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত।
‘উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ মানুষের কণ্ঠ রোধ করা, ভয় সৃষ্টি করা এবং জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দমন করা। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়; বরং একটি জাতির স্বপ্ন ও অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, হাজারো পরিবার চিরতরে ভেঙে গেছে।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশুলিয়া থানা এলাকায় ২৯ জন নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং শিশুসহ বহু মানুষকে গুরুতর আহত করে। তদুপরি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে পাঁচটি মৃতদেহসহ একজন জীবিত ও গুরুতর আহত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
‘আসামিরা পুলিশের গাড়িতে ৬ জনের দেহ পুড়িয়ে এর দায়-দায়িত্ব ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা ছিল মূল উদ্দেশ্য। আসামিরা (পুলিশ) তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক রাষ্ট্রীয় মদদে আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গণহারে গুলি চালিয়েছে। মরদেহ পোড়ানোর এই বর্বরতা শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।’
চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় নির্ধারিত হয় তার বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে। বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলন ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন দেশের তরুণসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো তাদের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; যা ছিল আইন, সংবিধান এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
‘এই প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কেবল আইনগত কর্তব্য নয়, এটি একটি নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি, এই বিচারিকপ্রক্রিয়ায় আসামিদের প্রাসঙ্গিক অধিকার এবং সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এই বিচার প্রতিহিংসা নয়, এটি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। এই ট্রাইব্যুনাল কেবল একটি অপরাধের বিচারের স্থান নয়; এটি হোক আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, আইনের শাসন এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতি জাতির সম্মিলিত প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলা আমাদের দেশের আইন ও নৈতিকতার ইতিহাসে এক অনন্য এবং নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে যুদ্ধ বা বিশৃঙ্খলার সময় সংঘটিত অপরাধের পরিবর্তে এই অভিযোগগুলো দেশের গণতন্ত্রের মূল কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া কঠোর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। এতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, শান্তিপূর্ণভাবে বৈষম্যহীন ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই বিচার কার্যক্রম পুরোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সংগত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহির আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়। বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ়, নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই, এই বিচার জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক অধ্যায় হিসেবে অম্লান হয়ে থাকুক। বাংলাদেশে এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে না পারে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা যে আমরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেই সব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যাঁরা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করবে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।’
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হত্যা ও জখম-সম্পর্কিত যেসব উপাদান প্রসিকিউশন উপস্থাপন করবে, সেগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট, স্বচ্ছ এবং অকাট্য প্রমাণ; যার ভিত্তিতে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যায়সংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিচারের জন্য এসেছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, তা স্পষ্টভাবে দেখাবে—এই অপরাধগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক সংগঠিত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত।
‘উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ মানুষের কণ্ঠ রোধ করা, ভয় সৃষ্টি করা এবং জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দমন করা। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়; বরং একটি জাতির স্বপ্ন ও অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, হাজারো পরিবার চিরতরে ভেঙে গেছে।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশুলিয়া থানা এলাকায় ২৯ জন নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং শিশুসহ বহু মানুষকে গুরুতর আহত করে। তদুপরি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে পাঁচটি মৃতদেহসহ একজন জীবিত ও গুরুতর আহত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
‘আসামিরা পুলিশের গাড়িতে ৬ জনের দেহ পুড়িয়ে এর দায়-দায়িত্ব ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা ছিল মূল উদ্দেশ্য। আসামিরা (পুলিশ) তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক রাষ্ট্রীয় মদদে আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গণহারে গুলি চালিয়েছে। মরদেহ পোড়ানোর এই বর্বরতা শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।’
চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় নির্ধারিত হয় তার বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে। বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলন ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন দেশের তরুণসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো তাদের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; যা ছিল আইন, সংবিধান এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
‘এই প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কেবল আইনগত কর্তব্য নয়, এটি একটি নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি, এই বিচারিকপ্রক্রিয়ায় আসামিদের প্রাসঙ্গিক অধিকার এবং সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এই বিচার প্রতিহিংসা নয়, এটি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। এই ট্রাইব্যুনাল কেবল একটি অপরাধের বিচারের স্থান নয়; এটি হোক আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, আইনের শাসন এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতি জাতির সম্মিলিত প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলা আমাদের দেশের আইন ও নৈতিকতার ইতিহাসে এক অনন্য এবং নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে যুদ্ধ বা বিশৃঙ্খলার সময় সংঘটিত অপরাধের পরিবর্তে এই অভিযোগগুলো দেশের গণতন্ত্রের মূল কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া কঠোর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। এতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, শান্তিপূর্ণভাবে বৈষম্যহীন ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই বিচার কার্যক্রম পুরোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সংগত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহির আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়। বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ়, নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই, এই বিচার জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক অধ্যায় হিসেবে অম্লান হয়ে থাকুক। বাংলাদেশে এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে না পারে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা যে আমরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেই সব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যাঁরা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করবে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।’
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হত্যা ও জখম-সম্পর্কিত যেসব উপাদান প্রসিকিউশন উপস্থাপন করবে, সেগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট, স্বচ্ছ এবং অকাট্য প্রমাণ; যার ভিত্তিতে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যায়সংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিচারের জন্য এসেছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, তা স্পষ্টভাবে দেখাবে—এই অপরাধগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক সংগঠিত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত।
‘উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ মানুষের কণ্ঠ রোধ করা, ভয় সৃষ্টি করা এবং জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দমন করা। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়; বরং একটি জাতির স্বপ্ন ও অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, হাজারো পরিবার চিরতরে ভেঙে গেছে।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশুলিয়া থানা এলাকায় ২৯ জন নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং শিশুসহ বহু মানুষকে গুরুতর আহত করে। তদুপরি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে পাঁচটি মৃতদেহসহ একজন জীবিত ও গুরুতর আহত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
‘আসামিরা পুলিশের গাড়িতে ৬ জনের দেহ পুড়িয়ে এর দায়-দায়িত্ব ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা ছিল মূল উদ্দেশ্য। আসামিরা (পুলিশ) তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক রাষ্ট্রীয় মদদে আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গণহারে গুলি চালিয়েছে। মরদেহ পোড়ানোর এই বর্বরতা শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।’
চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় নির্ধারিত হয় তার বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে। বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলন ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন দেশের তরুণসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো তাদের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; যা ছিল আইন, সংবিধান এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
‘এই প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কেবল আইনগত কর্তব্য নয়, এটি একটি নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি, এই বিচারিকপ্রক্রিয়ায় আসামিদের প্রাসঙ্গিক অধিকার এবং সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এই বিচার প্রতিহিংসা নয়, এটি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। এই ট্রাইব্যুনাল কেবল একটি অপরাধের বিচারের স্থান নয়; এটি হোক আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, আইনের শাসন এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতি জাতির সম্মিলিত প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলা আমাদের দেশের আইন ও নৈতিকতার ইতিহাসে এক অনন্য এবং নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে যুদ্ধ বা বিশৃঙ্খলার সময় সংঘটিত অপরাধের পরিবর্তে এই অভিযোগগুলো দেশের গণতন্ত্রের মূল কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া কঠোর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। এতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, শান্তিপূর্ণভাবে বৈষম্যহীন ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই বিচার কার্যক্রম পুরোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সংগত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহির আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়। বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ়, নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাই, এই বিচার জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় এক অধ্যায় হিসেবে অম্লান হয়ে থাকুক। বাংলাদেশে এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক, যাতে ভবিষ্যতে কেউ মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে না পারে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা যে আমরা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেই সব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যাঁরা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইব্যুনাল প্রমাণ করবে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।’
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘হত্যা ও জখম-সম্পর্কিত যেসব উপাদান প্রসিকিউশন উপস্থাপন করবে, সেগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট, স্বচ্ছ এবং অকাট্য প্রমাণ; যার ভিত্তিতে এই ট্রাইব্যুনাল ন্যায়সংগত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীবিশেষের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই। আমরা অপরাধের বিচারের জন্য এসেছি। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, যেসব তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি, তা স্পষ্টভাবে দেখাবে—এই অপরাধগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক সংগঠিত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত।
‘উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ মানুষের কণ্ঠ রোধ করা, ভয় সৃষ্টি করা এবং জনগণের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা দমন করা। এসব অপরাধ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়; বরং একটি জাতির স্বপ্ন ও অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছে। অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, হাজারো পরিবার চিরতরে ভেঙে গেছে।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আশুলিয়া থানা এলাকায় ২৯ জন নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং শিশুসহ বহু মানুষকে গুরুতর আহত করে। তদুপরি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে পাঁচটি মৃতদেহসহ একজন জীবিত ও গুরুতর আহত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
‘আসামিরা পুলিশের গাড়িতে ৬ জনের দেহ পুড়িয়ে এর দায়-দায়িত্ব ছাত্র-জনতার ওপর চাপানোর চেষ্টা ছিল মূল উদ্দেশ্য। আসামিরা (পুলিশ) তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে ও ব্যাপক রাষ্ট্রীয় মদদে আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ওপর গণহারে গুলি চালিয়েছে। মরদেহ পোড়ানোর এই বর্বরতা শুধু বাংলাদেশ না, সারা দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন।’
চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্যে বলেন, ‘একটি সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় নির্ধারিত হয় তার বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে। বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলন ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন দেশের তরুণসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের ন্যায্য দাবি ও অধিকারের পক্ষে রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো তাদের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল; যা ছিল আইন, সংবিধান এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
‘এই প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কেবল আইনগত কর্তব্য নয়, এটি একটি নৈতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি, এই বিচারিকপ্রক্রিয়ায় আসামিদের প্রাসঙ্গিক অধিকার এবং সুষ্ঠু বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। এই বিচার প্রতিহিংসা নয়, এটি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। এই ট্রাইব্যুনাল কেবল একটি অপরাধের বিচারের স্থান নয়; এটি হোক আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, আইনের শাসন এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রতি জাতির সম্মিলিত প্রতিজ্ঞার প্রতীক।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলা আমাদের দেশের আইন ও নৈতিকতার ইতিহাসে এক অনন্য এবং নজিরবিহীন ঘটনা, যেখানে যুদ্ধ বা বিশৃঙ্খলার সময় সংঘটিত অপরাধের পরিবর্তে এই অভিযোগগুলো দেশের গণতন্ত্রের মূল কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া কঠোর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। এতে সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ, শান্তিপূর্ণভাবে বৈষম্যহীন ও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছিল।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই বিচার কার্যক্রম পুরোনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সংগত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহির আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়। বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ়, নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

আজ রোববার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। পরে আগামীকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হবে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে