নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে ওই দিন তাঁর ডিউটি ছিল না। তিনি থানায় চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি লোকজনের হইচই শুনে নিচে নেমে আসেন। নিচে এসে থানার মেইন গেটের বাম দিকে একটি ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ দেখতে পান। তৎকালীন ওসি সায়েদের নির্দেশে তিনি নীল রঙের একটি ব্যানার দিয়ে লাশ ঢেকে দেন।
রাশেদুল আরও জানান, ওই সময় ওসি সায়েদের সঙ্গে ছিলেন ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাত। তিনি পাশের একটি ভবন থেকে পাঞ্জাবি ও টুপি নিয়ে বন্ধুর বাসায় চলে যান। পরে জানতে পারেন, লাশগুলো পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা অব্যাহত রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেরায় আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীর উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ, আশুলিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে, আপনি এ বিষয়ে তদন্ত করেছেন?’ জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সিডিতে কোনো তথ্য নেই। এটা আমার তদন্তের বিষয় নয়।’
এ সময় প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, আইসিটি রুল অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা লিখিত প্রতিবেদনের বাইরে প্রশ্ন করা যাবে না। তবে এই প্রশ্ন ট্রাইব্যুনাল আমলে না নিয়ে আইনজীবীকে বলেন, ‘পুলিশ যে বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছে, মামলা হয়েছে? মামলা করেন। মামলা হোক। আপনি আর্গুমেন্টে (যুক্তি-তর্ক) বলবেন, শুধু ছাত্রদের মারা হয়নি, ছাত্ররাও মেরেছে।’
আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিষয়টি দীর্ঘদিনের অবৈধ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন—এটি সত্য নয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে ওই দিন তাঁর ডিউটি ছিল না। তিনি থানায় চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি লোকজনের হইচই শুনে নিচে নেমে আসেন। নিচে এসে থানার মেইন গেটের বাম দিকে একটি ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ দেখতে পান। তৎকালীন ওসি সায়েদের নির্দেশে তিনি নীল রঙের একটি ব্যানার দিয়ে লাশ ঢেকে দেন।
রাশেদুল আরও জানান, ওই সময় ওসি সায়েদের সঙ্গে ছিলেন ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাত। তিনি পাশের একটি ভবন থেকে পাঞ্জাবি ও টুপি নিয়ে বন্ধুর বাসায় চলে যান। পরে জানতে পারেন, লাশগুলো পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা অব্যাহত রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেরায় আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীর উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ, আশুলিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে, আপনি এ বিষয়ে তদন্ত করেছেন?’ জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সিডিতে কোনো তথ্য নেই। এটা আমার তদন্তের বিষয় নয়।’
এ সময় প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, আইসিটি রুল অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা লিখিত প্রতিবেদনের বাইরে প্রশ্ন করা যাবে না। তবে এই প্রশ্ন ট্রাইব্যুনাল আমলে না নিয়ে আইনজীবীকে বলেন, ‘পুলিশ যে বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছে, মামলা হয়েছে? মামলা করেন। মামলা হোক। আপনি আর্গুমেন্টে (যুক্তি-তর্ক) বলবেন, শুধু ছাত্রদের মারা হয়নি, ছাত্ররাও মেরেছে।’
আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিষয়টি দীর্ঘদিনের অবৈধ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন—এটি সত্য নয়।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
৬ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
৬ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
৬ ঘণ্টা আগে