নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নৌপথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌপথ খনন-সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে দেশের নৌপথের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন থমকে দেওয়া হয়েছিল। পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকার দেশের নৌপথসহ কোনো পথেই উন্নয়ন করেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, যে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের নৌপথের অগ্রগতি হবে। দেশের নৌপথ ব্যবহারকারী পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসাধন এবং একে টেকসই খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন, টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাটি নির্মাণ-সংক্রান্ত চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খননকাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠান এবং ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন, ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, তিনটি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, চারটি প্যাসেঞ্জার ও দুইটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, পনেরোটি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুইটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরের আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে মূল নদী ও শাখাসমূহ (প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ) পারফরম্যান্স বেইজড কন্ট্রাক্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নাব্যতা সংরক্ষণ করা হবে। এ নৌ-করিডরের মধ্যে ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সেগুলো হলো ষাটনল, চরভৈরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, সন্দ্বীপ এবং নলচিরা; ওই নৌরুটের তিনটি ফেরি ক্রসিং (চাঁদপুর-শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট) এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, চারটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (ঢাকা শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশাল) এবং দুইটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (পানগাঁও ও আশুগঞ্জ), নৌ-করিডরটির বিভিন্ন স্থানে (ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হরিণা, হিজলা, মজুচৌধুরী, ইলিশা (ভোলা), ভেদুরিয়া, লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যানঘাট (চরবাটা), সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা এবং তমরুদ্দিন) পনোরোটি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুইটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌ-করিডর এবং নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালের বর্ধিতাংশ অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার রুট বা নৌপথ হিসেবে চিহ্নিত। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ নৌযান এ করিডরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে এবং দৈনিক প্রায় ২ লাখ যাত্রী এসব নৌপথ ব্যবহার করে। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মূল্য ৩৩৪৯ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। যার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প সাহায্য ৩০৫২ দশমিক ৮০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের ২৯৬ দশমিক ৬২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নৌপথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌপথ খনন-সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে দেশের নৌপথের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন থমকে দেওয়া হয়েছিল। পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকার দেশের নৌপথসহ কোনো পথেই উন্নয়ন করেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, যে দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের নৌপথের অগ্রগতি হবে। দেশের নৌপথ ব্যবহারকারী পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসাধন এবং একে টেকসই খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন, টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাটি নির্মাণ-সংক্রান্ত চুক্তি করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খননকাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠান এবং ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন, ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, তিনটি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, চারটি প্যাসেঞ্জার ও দুইটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, পনেরোটি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুইটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডরের আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে মূল নদী ও শাখাসমূহ (প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ) পারফরম্যান্স বেইজড কন্ট্রাক্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নাব্যতা সংরক্ষণ করা হবে। এ নৌ-করিডরের মধ্যে ছয়টি স্থানে নৌযানসমূহের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সেগুলো হলো ষাটনল, চরভৈরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, সন্দ্বীপ এবং নলচিরা; ওই নৌরুটের তিনটি ফেরি ক্রসিং (চাঁদপুর-শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট) এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, চারটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (ঢাকা শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশাল) এবং দুইটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন (পানগাঁও ও আশুগঞ্জ), নৌ-করিডরটির বিভিন্ন স্থানে (ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হরিণা, হিজলা, মজুচৌধুরী, ইলিশা (ভোলা), ভেদুরিয়া, লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যানঘাট (চরবাটা), সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা এবং তমরুদ্দিন) পনোরোটি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুইটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌ-করিডর এবং নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালের বর্ধিতাংশ অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার রুট বা নৌপথ হিসেবে চিহ্নিত। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ নৌযান এ করিডরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে এবং দৈনিক প্রায় ২ লাখ যাত্রী এসব নৌপথ ব্যবহার করে। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মূল্য ৩৩৪৯ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। যার মধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প সাহায্য ৩০৫২ দশমিক ৮০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের ২৯৬ দশমিক ৬২ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।’
৭ মিনিট আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
১৭ মিনিট আগেদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিভিল সার্জন সম্মেলন। আজ সোমবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সম্মেলন আয়োজিত হবে। এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, ঘুষ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পরামর্শ আহ্বানে সাড়া পাচ্ছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গত ১৯ এপ্রিল উপদেষ্টা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ই-মেইলের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত অভিযোগ ও পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান।
৩ ঘণ্টা আগে