
‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর ভাঙন এলাকার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা তাহমিনা বেগম। এবার পূর্বাঞ্চলে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তাঁর ক্ষত নিয়ে রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে তাহমিনার। তার মতো খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই হয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুরের লাখো মানুষের।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টি বন্যাকবলিত হয়। জেলায় ৮২ হাজার ৭৭৫টি ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৪ ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭৪ হাজার ৮১টি। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
কুমিল্লার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা বুড়িচং। এই উপজেলায় মোট ১৬ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২ হাজার ঘর। এই উপজেলার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বিলকিস আক্তার বলেন, ‘শুধু জানডা লইয়া রাস্তায় আছি, বন্যার পানি গেছে কিন্তু ঘরবাড়িতো সব শেষ। এখন সড়কের ওপর থাকি। মানুষ শুধু খাওন দেয়। ঘরবাড়ি না করা পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে। ঘর করার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লায় ভয়াবহ বন্যায় ৩ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। বরাদ্দ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুনর্বাসনের কাজ শুরু করব।’
ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরে প্রায় ১৯ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। বন্যার্তদের আয়-উপার্জন না থাকায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বাঞ্ছানগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়ির ভেতরে এখনো হাঁটুপানি। বাঞ্ছানগর এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন বলেন, হঠাৎ বন্যার পানি ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। একপর্যায়ে খাটের ওপর খাট দিয়ে ঘরের মায়া ছেড়ে যাননি কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে। পাননি কোনো সহায়তা। ২৫ দিন ধরে ঘরে-বাইরে পানি থাকায় রোজগার বন্ধ। তাই অনাহার-অর্ধাহারে কাটছে তাঁদের দিন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভানবাসি মানুষের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
ফেনীর প্রায় ৬৪ হাজার আধা পাকা ও কাঁচাঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বানভাসি মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আর্থিক মূল্য আনুমানিক ৩৭০ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা ছাড়াবে। বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেলার হাজারো মানুষ। ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় পানির প্রবল স্রোতে ঘরের পাকা দালানের পেছনের অংশ ধসে পড়েছে। মেরামতে খরচ করতে হবে অন্তত সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
ছাগলনাইয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, এবার উপজেলার প্রায় সব এলাকা ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
পরশুরামে আনুমানিক ১৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর, বসন্তপুর, উত্তর শ্রীপুর, ধলিয়া, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের নীলক্ষ্মী, গাবতলা, বাসুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর, জিএমহাট ইউনিয়নের বশিকপুর ও মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর, দক্ষিণ তারালিয়া, নোয়াপুর, কামাল্লা, বদরপুর, করইয়া ও পৈথারা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, যেন একটি বিধ্বস্ত জনপদ। পানিতে ডুবে মাটির ঘরগুলো সম্পূর্ণ মিশে গেছে। এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর ভাঙন এলাকার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা তাহমিনা বেগম। এবার পূর্বাঞ্চলে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তাঁর ক্ষত নিয়ে রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে তাহমিনার। তার মতো খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই হয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুরের লাখো মানুষের।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টি বন্যাকবলিত হয়। জেলায় ৮২ হাজার ৭৭৫টি ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৪ ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭৪ হাজার ৮১টি। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
কুমিল্লার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা বুড়িচং। এই উপজেলায় মোট ১৬ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২ হাজার ঘর। এই উপজেলার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বিলকিস আক্তার বলেন, ‘শুধু জানডা লইয়া রাস্তায় আছি, বন্যার পানি গেছে কিন্তু ঘরবাড়িতো সব শেষ। এখন সড়কের ওপর থাকি। মানুষ শুধু খাওন দেয়। ঘরবাড়ি না করা পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে। ঘর করার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লায় ভয়াবহ বন্যায় ৩ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। বরাদ্দ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুনর্বাসনের কাজ শুরু করব।’
ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরে প্রায় ১৯ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। বন্যার্তদের আয়-উপার্জন না থাকায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বাঞ্ছানগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়ির ভেতরে এখনো হাঁটুপানি। বাঞ্ছানগর এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন বলেন, হঠাৎ বন্যার পানি ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। একপর্যায়ে খাটের ওপর খাট দিয়ে ঘরের মায়া ছেড়ে যাননি কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে। পাননি কোনো সহায়তা। ২৫ দিন ধরে ঘরে-বাইরে পানি থাকায় রোজগার বন্ধ। তাই অনাহার-অর্ধাহারে কাটছে তাঁদের দিন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভানবাসি মানুষের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
ফেনীর প্রায় ৬৪ হাজার আধা পাকা ও কাঁচাঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বানভাসি মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আর্থিক মূল্য আনুমানিক ৩৭০ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা ছাড়াবে। বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেলার হাজারো মানুষ। ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় পানির প্রবল স্রোতে ঘরের পাকা দালানের পেছনের অংশ ধসে পড়েছে। মেরামতে খরচ করতে হবে অন্তত সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
ছাগলনাইয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, এবার উপজেলার প্রায় সব এলাকা ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
পরশুরামে আনুমানিক ১৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর, বসন্তপুর, উত্তর শ্রীপুর, ধলিয়া, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের নীলক্ষ্মী, গাবতলা, বাসুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর, জিএমহাট ইউনিয়নের বশিকপুর ও মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর, দক্ষিণ তারালিয়া, নোয়াপুর, কামাল্লা, বদরপুর, করইয়া ও পৈথারা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, যেন একটি বিধ্বস্ত জনপদ। পানিতে ডুবে মাটির ঘরগুলো সম্পূর্ণ মিশে গেছে। এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর ভাঙন এলাকার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা তাহমিনা বেগম। এবার পূর্বাঞ্চলে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তাঁর ক্ষত নিয়ে রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে তাহমিনার। তার মতো খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই হয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুরের লাখো মানুষের।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টি বন্যাকবলিত হয়। জেলায় ৮২ হাজার ৭৭৫টি ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৪ ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭৪ হাজার ৮১টি। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
কুমিল্লার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা বুড়িচং। এই উপজেলায় মোট ১৬ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২ হাজার ঘর। এই উপজেলার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বিলকিস আক্তার বলেন, ‘শুধু জানডা লইয়া রাস্তায় আছি, বন্যার পানি গেছে কিন্তু ঘরবাড়িতো সব শেষ। এখন সড়কের ওপর থাকি। মানুষ শুধু খাওন দেয়। ঘরবাড়ি না করা পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে। ঘর করার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লায় ভয়াবহ বন্যায় ৩ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। বরাদ্দ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুনর্বাসনের কাজ শুরু করব।’
ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরে প্রায় ১৯ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। বন্যার্তদের আয়-উপার্জন না থাকায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বাঞ্ছানগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়ির ভেতরে এখনো হাঁটুপানি। বাঞ্ছানগর এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন বলেন, হঠাৎ বন্যার পানি ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। একপর্যায়ে খাটের ওপর খাট দিয়ে ঘরের মায়া ছেড়ে যাননি কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে। পাননি কোনো সহায়তা। ২৫ দিন ধরে ঘরে-বাইরে পানি থাকায় রোজগার বন্ধ। তাই অনাহার-অর্ধাহারে কাটছে তাঁদের দিন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভানবাসি মানুষের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
ফেনীর প্রায় ৬৪ হাজার আধা পাকা ও কাঁচাঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বানভাসি মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আর্থিক মূল্য আনুমানিক ৩৭০ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা ছাড়াবে। বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেলার হাজারো মানুষ। ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় পানির প্রবল স্রোতে ঘরের পাকা দালানের পেছনের অংশ ধসে পড়েছে। মেরামতে খরচ করতে হবে অন্তত সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
ছাগলনাইয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, এবার উপজেলার প্রায় সব এলাকা ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
পরশুরামে আনুমানিক ১৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর, বসন্তপুর, উত্তর শ্রীপুর, ধলিয়া, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের নীলক্ষ্মী, গাবতলা, বাসুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর, জিএমহাট ইউনিয়নের বশিকপুর ও মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর, দক্ষিণ তারালিয়া, নোয়াপুর, কামাল্লা, বদরপুর, করইয়া ও পৈথারা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, যেন একটি বিধ্বস্ত জনপদ। পানিতে ডুবে মাটির ঘরগুলো সম্পূর্ণ মিশে গেছে। এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর ভাঙন এলাকার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা তাহমিনা বেগম। এবার পূর্বাঞ্চলে যে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে, তাঁর ক্ষত নিয়ে রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে তাহমিনার। তার মতো খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই হয়েছে কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুরের লাখো মানুষের।
কুমিল্লা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৪টি বন্যাকবলিত হয়। জেলায় ৮২ হাজার ৭৭৫টি ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৪ ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭৪ হাজার ৮১টি। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা।
কুমিল্লার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা বুড়িচং। এই উপজেলায় মোট ১৬ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৪ হাজার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২ হাজার ঘর। এই উপজেলার বুরবুড়িয়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বিলকিস আক্তার বলেন, ‘শুধু জানডা লইয়া রাস্তায় আছি, বন্যার পানি গেছে কিন্তু ঘরবাড়িতো সব শেষ। এখন সড়কের ওপর থাকি। মানুষ শুধু খাওন দেয়। ঘরবাড়ি না করা পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে। ঘর করার জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লায় ভয়াবহ বন্যায় ৩ হাজার ৩৬২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। বরাদ্দ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুনর্বাসনের কাজ শুরু করব।’
ভয়াবহ বন্যায় লক্ষ্মীপুরে প্রায় ১৯ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে হাজারো পরিবার। বন্যার্তদের আয়-উপার্জন না থাকায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বাঞ্ছানগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়ির ভেতরে এখনো হাঁটুপানি। বাঞ্ছানগর এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন বলেন, হঠাৎ বন্যার পানি ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। একপর্যায়ে খাটের ওপর খাট দিয়ে ঘরের মায়া ছেড়ে যাননি কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে। পাননি কোনো সহায়তা। ২৫ দিন ধরে ঘরে-বাইরে পানি থাকায় রোজগার বন্ধ। তাই অনাহার-অর্ধাহারে কাটছে তাঁদের দিন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। এবারের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভানবাসি মানুষের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
ফেনীর প্রায় ৬৪ হাজার আধা পাকা ও কাঁচাঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বানভাসি মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আর্থিক মূল্য আনুমানিক ৩৭০ কোটি টাকা। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা ছাড়াবে। বন্যায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন জেলার হাজারো মানুষ। ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় পানির প্রবল স্রোতে ঘরের পাকা দালানের পেছনের অংশ ধসে পড়েছে। মেরামতে খরচ করতে হবে অন্তত সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
ছাগলনাইয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, এবার উপজেলার প্রায় সব এলাকা ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসস্থানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
পরশুরামে আনুমানিক ১৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর, বসন্তপুর, উত্তর শ্রীপুর, ধলিয়া, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের নীলক্ষ্মী, গাবতলা, বাসুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর, জিএমহাট ইউনিয়নের বশিকপুর ও মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর, দক্ষিণ তারালিয়া, নোয়াপুর, কামাল্লা, বদরপুর, করইয়া ও পৈথারা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, যেন একটি বিধ্বস্ত জনপদ। পানিতে ডুবে মাটির ঘরগুলো সম্পূর্ণ মিশে গেছে। এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
এর ফলে বহাল থাকল বাগেরহাটের চারটি আসন। বাদ পড়েছে গাজীপুর-৬ আসনটিও।
এর আগে বাগেরহাটের আসন একটি কমিয়ে তিনটি করা এবং গাজীপুরে একটি বাড়ানো-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের গেজেট চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত ১০ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং গাজীপুর-৬ আসন থেকে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ড. হাফিজুর রহমান ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ড. হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন।

‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২২ মিনিট আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন।
বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি ও তফসিল ঘোষণা বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করতে বঙ্গভবনে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছান।
এর আগে ১০টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত), তাহমিদা বেগম, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও আব্দুর রহমানেল মাছউদ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তফসিল-সংক্রান্ত ভাষণ রেকর্ড করতে ইতিমধ্যে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে চিঠিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের শাড়ি বুনন শিল্পকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেসকো কনভেনশনের চলমান ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। সভায় প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে এটি দ্বিতীয় নিবন্ধন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান এবং ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য গৌরবের বিষয়। দীর্ঘ দুই শতকের বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের তাঁতিদের অনবদ্য শিল্পকর্মের বৈশ্বিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের সকল নারীর নিত্য পরিধেয়, যা এই শাড়ি বুনন শিল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।’
এই অর্জনকে বাংলাদেশের সকল তাঁতি ও নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সামগ্রিক সুরক্ষায় এই স্বীকৃতি নতুন মাত্রা যোগ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর স্বীকৃতি অর্জনের মতো বাংলাদেশের অপরিমেয় সাংস্কৃতিক উপাদান রয়েছে।
নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কনভেনশন সংক্রান্ত অভিজ্ঞ জনবল তৈরি করার মাধ্যমে আরও অনেক ঐতিহ্যের ইউনেসকো-স্বীকৃতি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের চলমান ২০তম সভা উদ্বোধন করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর। অনুষ্ঠানে ইউনেসকোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল. এনানি উপস্থিত ছিলেন।

‘গাঙের ভাঙনের পরে পানিতে ঘরদুয়ার সব ভাসাইয়া নিছে। রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে থাকছি। রোদ-ঝড়বৃষ্টি, মশার কামড় সব সহ্য করতে হচ্ছে। কোনো উপায় নাই। ঘরদুয়ার করার আর সামর্থ্য নাই।’
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২২ মিনিট আগে
বাগেরহাটের ৪টি আসন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিতে এ আদেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা বঙ্গভবনে পৌঁছেছেন। বঙ্গভবনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির বৈঠকের শিডিউল রাখা আছে।
২ ঘণ্টা আগে