Ajker Patrika

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: শেয়ার হস্তান্তরে স্থিতাবস্থা, থমকে গেছে নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ মে ২০২৪, ১২: ২৫
Thumbnail image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশীদার ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের (আইটিডি) শেয়ার সিনোহাইড্রোকে হস্তান্তরে ৩০ মে পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আইটিডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

আইটিডির আইনজীবী বলেছেন, এই আদেশের কারণে নির্মাণকাজ চলতে বাধা নেই। তবে চীনা কোম্পানির আইনজীবী বলেছেন, নির্মাণকাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, টুকটাক কাজ হচ্ছে।

ইতালিয়ান থাইয়ের শেয়ার স্থানান্তরের ওপর স্থিতাবস্থা তুলে দিয়ে ১২ মে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায় স্থগিত চেয়ে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে চেম্বার আদালত হয়ে তা আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।

আইটিডির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ইমতিয়াজ ফারুক। চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী এবং ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চায়না এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) বাস্তবায়নাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

এর ২৭ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার বিজিএফ হিসেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে দেবে। সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি ব্যয়ের মধ্যে ইতালিয়ান থাই ৫১ শতাংশ, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন ১৫ শতাংশ দেবে।

আইটিডির পক্ষে থাকা ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক পরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল বিভাগ শেয়ার হস্তান্তরের ওপর ৩০ মে পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। তবে নির্মাণকাজ চলতে কোনো বাধা নেই।

চীনা কোম্পানির আইনজীবী মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, শেয়ার হস্তান্তর করতে না পারলে চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থ ছাড় করবে না। এখন কাজ প্রায় বন্ধ রয়েছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‍্যাম্পসহ দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র‍্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ খুলে দেওয়া হয়। গত ১৯ মার্চ কারওয়ান বাজার (এফডিসি) অংশে নামার র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রকল্প সূত্র জানায়, গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। বর্তমানে হাতিরঝিল অংশে কিছু কাজ চললেও মগবাজার-মালিবাগ ও কারওয়ান বাজার অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত