বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আটকে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রুহুল আমিন। আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘১৮ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। আমরা প্রথম থেকে দুইটা কাজ করে এসেছি। একটা হচ্ছে, যাঁরা যেতে পারেননি তাঁদের মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করা, আরেকটি হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা। সম্প্রতি দুটিরই উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে হাইকমিশন থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির নিয়ন্ত্রণে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুটি বৈঠক হয়েছে এবং দুটি বৈঠকই ফলপ্রসূ হয়েছে। এই বৈঠক দুটি থেকে একটা অগ্রগতি হয়েছে সেটি হলো আমাদের কিছু মডেলিটি ফাইনাল করার আছে। কী পদ্ধতিতে তাঁরা যাবেন, কত সংখ্যায় যাবেন, যাতে কর্মীদের হ্যারাজমেন্টের শিকার না হয়। আমরা আশা করছি, এই ফেব্রুয়ারির শেষে আরেকটা বৈঠক হবে।’
রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে যা যা তথ্য দেওয়া দরকার, মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে তা দেওয়া হয়েছে। তারাও আমাদের কাছে তাদের তথ্যগুলো শেয়ার করেছে। আমাদের থেকে মোটামুটি যেভাবে অ্যাপ্রোচ করেছি, তারা নীতিগতভাবে অনেক জিনিসই মেনে নিয়েছে। যাতে করে কর্মীরা নতুন করে আর কোনো হয়রানির শিকার না হন।’
কত দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যেভাবে আলোচনা চলছে, তাতে খুব বেশি দিন লাগবে না। আশা করছি ফেব্রুয়ারিতে ঠিক করতে পারব। মার্চ-এপ্রিল নাগাদ যাওয়া শুরু করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলব না। পদ্ধতির বিষয়ে আমাদের বক্তব্য আছে, সেটা আমরা দিয়েছি। তারা (মালয়েশিয়া সরকার) সেটা শুনেছে। তারা তাদের মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করবে। তাদের মিনিস্টার লেভেলে আলোচনা করে আমাদের জানাবে। যেহেতু এখনো সেটা ফাইনাল হয়নি।’
সংখ্যার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আমরা ১৮ হাজার (১৭,৭৯০ জন) তালিকা ধরে কথা বলেছি। কীভাবে সংখ্যা নির্ধারণ হবে, তা ঠিক হয়নি। আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে প্রস্তুত রয়েছি। তারা যখনই বলবে, তখনই আমরা কাজ শুরু করতে পারব। তারা যদি বলে ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করতে হবে, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু এটা বুঝতে হবে, তাদেরও সরকারি প্রক্রিয়া রয়েছে। সে প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারাও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীর ৮১ শতাংশ লোকের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। যাঁরা টাকা ফেরত পেয়েছেন, কর্মীর লিখিত স্ট্যাম্পসহ কাগজ আমাদের কাছে দিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সি। তবে যারা দিচ্ছে না, পরিশোধ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমাদের প্রাইম টার্গেট তাঁরা (কর্মীরা) যেন টাকা ফেরত পান। দ্বিতীয়ত তাঁদের যাওয়ার প্রসেসটা যেন একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারি। দিন শেষে তাঁরা যদি যেতে পারেন, সেটা হবে আমাদের সফলতা।’
এদিকে আজ বুধবার সকাল থেকে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীর পক্ষে শতাধিক কর্মী কারওয়ান বাজার এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে তাঁরা প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
পরে দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল প্রবাসী কল্যাণ ভবনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে এসেছে।
আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আটকে পড়া বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রুহুল আমিন। আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘১৮ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। আমরা প্রথম থেকে দুইটা কাজ করে এসেছি। একটা হচ্ছে, যাঁরা যেতে পারেননি তাঁদের মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করা, আরেকটি হচ্ছে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা। সম্প্রতি দুটিরই উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে হাইকমিশন থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির নিয়ন্ত্রণে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুটি বৈঠক হয়েছে এবং দুটি বৈঠকই ফলপ্রসূ হয়েছে। এই বৈঠক দুটি থেকে একটা অগ্রগতি হয়েছে সেটি হলো আমাদের কিছু মডেলিটি ফাইনাল করার আছে। কী পদ্ধতিতে তাঁরা যাবেন, কত সংখ্যায় যাবেন, যাতে কর্মীদের হ্যারাজমেন্টের শিকার না হয়। আমরা আশা করছি, এই ফেব্রুয়ারির শেষে আরেকটা বৈঠক হবে।’
রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে যা যা তথ্য দেওয়া দরকার, মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে তা দেওয়া হয়েছে। তারাও আমাদের কাছে তাদের তথ্যগুলো শেয়ার করেছে। আমাদের থেকে মোটামুটি যেভাবে অ্যাপ্রোচ করেছি, তারা নীতিগতভাবে অনেক জিনিসই মেনে নিয়েছে। যাতে করে কর্মীরা নতুন করে আর কোনো হয়রানির শিকার না হন।’
কত দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে, জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যেভাবে আলোচনা চলছে, তাতে খুব বেশি দিন লাগবে না। আশা করছি ফেব্রুয়ারিতে ঠিক করতে পারব। মার্চ-এপ্রিল নাগাদ যাওয়া শুরু করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলব না। পদ্ধতির বিষয়ে আমাদের বক্তব্য আছে, সেটা আমরা দিয়েছি। তারা (মালয়েশিয়া সরকার) সেটা শুনেছে। তারা তাদের মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করবে। তাদের মিনিস্টার লেভেলে আলোচনা করে আমাদের জানাবে। যেহেতু এখনো সেটা ফাইনাল হয়নি।’
সংখ্যার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘আমরা ১৮ হাজার (১৭,৭৯০ জন) তালিকা ধরে কথা বলেছি। কীভাবে সংখ্যা নির্ধারণ হবে, তা ঠিক হয়নি। আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে প্রস্তুত রয়েছি। তারা যখনই বলবে, তখনই আমরা কাজ শুরু করতে পারব। তারা যদি বলে ১৫ দিনের মধ্যে শুরু করতে হবে, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কিন্তু এটা বুঝতে হবে, তাদেরও সরকারি প্রক্রিয়া রয়েছে। সে প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারাও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীর ৮১ শতাংশ লোকের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। যাঁরা টাকা ফেরত পেয়েছেন, কর্মীর লিখিত স্ট্যাম্পসহ কাগজ আমাদের কাছে দিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সি। তবে যারা দিচ্ছে না, পরিশোধ করছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমাদের প্রাইম টার্গেট তাঁরা (কর্মীরা) যেন টাকা ফেরত পান। দ্বিতীয়ত তাঁদের যাওয়ার প্রসেসটা যেন একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারি। দিন শেষে তাঁরা যদি যেতে পারেন, সেটা হবে আমাদের সফলতা।’
এদিকে আজ বুধবার সকাল থেকে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীর পক্ষে শতাধিক কর্মী কারওয়ান বাজার এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে তাঁরা প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে জড়ো হয়ে আন্দোলন করেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
পরে দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল প্রবাসী কল্যাণ ভবনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে এসেছে।
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড..
২ ঘণ্টা আগেমজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
৪ ঘণ্টা আগেচাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পরপর দুই দিন সড়ক অবরোধ করেছেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত এসব পুলিশ সদস্যের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য ডিআইজি পদ
৪ ঘণ্টা আগে