অনলাইন ডেস্ক
দেড় দশক আগে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমানে বিজিবি) সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া, নিহত কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাবিক রহমানসহ প্রায় ২৫ জন গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযোগ দেন বলে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান।
অন্যদের মধ্যে অভিযোগের মুখে রয়েছেন শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (প্রয়াত), আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানেরা।
অভিযোগকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম তাসমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন নেতা কর্মকর্তার ওপর যে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। একই সঙ্গে গণহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশপ্রেমিক এবং দক্ষ অফিসারদের ‘পরিকল্পিকভাবে খুন’ করা হয়েছে দাবি করে তাসমিরুল বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করে, জিম্মি করে লুটপাট চালানো হয়েছে; তাদের ওপর আঘাত করা হয়েছে। এ সবকিছুই মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।’
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে অভিযোগ করে শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড হয়েছে এই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ৫৭ অফিসারকে হত্যা করার জন্য। শুধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ রাইফেলস ধ্বংস করার জন্য নয়, দেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
রাকিন আহমেদ বলেন, ‘আমার বাবা-মাকে কীভাবে মেরেছে, বলতে আমার বুকটা ফেটে যায়। আমাকে অফিসাররা বলেছিল, বাবা তুমি তোমার বাবা-মায়ের লাশ দেখো না, তুমি তোমার বাবা-মায়ের লাশ নিতে পারবা না। দেখতেই পারিনি। সে নির্মমতা, বর্বরতা, আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না।’
মা-বাবাসহ পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে রাকিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাই, একটা সুষ্ঠু বিচার হোক। গত ১৫ বছর একা একা বড় হয়েছি। কী যে কষ্ট, বলে বোঝাতে পারব না!’
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সেই বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।
বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজা ভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় হয় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।
দেড় দশক আগে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমানে বিজিবি) সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত বিডিআর মহাপরিচালক জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া, নিহত কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাবিক রহমানসহ প্রায় ২৫ জন গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযোগ দেন বলে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান।
অন্যদের মধ্যে অভিযোগের মুখে রয়েছেন শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন (প্রয়াত), আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানেরা।
অভিযোগকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম তাসমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫৭ জন নেতা কর্মকর্তার ওপর যে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, তা মানবতাবিরোধী অপরাধ। একই সঙ্গে গণহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে বলে আমরা মনে করি।’
‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশপ্রেমিক এবং দক্ষ অফিসারদের ‘পরিকল্পিকভাবে খুন’ করা হয়েছে দাবি করে তাসমিরুল বলেন, ‘সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করে, জিম্মি করে লুটপাট চালানো হয়েছে; তাদের ওপর আঘাত করা হয়েছে। এ সবকিছুই মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।’
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে অভিযোগ করে শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড হয়েছে এই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ৫৭ অফিসারকে হত্যা করার জন্য। শুধু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ রাইফেলস ধ্বংস করার জন্য নয়, দেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
রাকিন আহমেদ বলেন, ‘আমার বাবা-মাকে কীভাবে মেরেছে, বলতে আমার বুকটা ফেটে যায়। আমাকে অফিসাররা বলেছিল, বাবা তুমি তোমার বাবা-মায়ের লাশ দেখো না, তুমি তোমার বাবা-মায়ের লাশ নিতে পারবা না। দেখতেই পারিনি। সে নির্মমতা, বর্বরতা, আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না।’
মা-বাবাসহ পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে রাকিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাই, একটা সুষ্ঠু বিচার হোক। গত ১৫ বছর একা একা বড় হয়েছি। কী যে কষ্ট, বলে বোঝাতে পারব না!’
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সেই বিদ্রোহের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।
বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজা ভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় হয় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরও ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।
মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করার জন্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে গত ২৫ মার্চ গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে ধর্ষণের বিচারের সময়সীমা কমিয়ে ৯০ কার্যদিবসে...
৯ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরে ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তোলে পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের বিবৃতিতে এই ইস্যুর উল্লেখ না থাকলেও ঢাকা একাত্তরের গণহত্যা, ক্ষতিপূরণসহ একাধিক ঐতিহাসিক বিষয় উত্থাপন করে। বৈঠকে সার্ক পুনরুজ্জীবন এবং
১৩ ঘণ্টা আগেবিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকারের জন্য অধ্যাদেশ জারির সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন
১৪ ঘণ্টা আগেনারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেসব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৬ ঘণ্টা আগে