নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রস্তাবিত শ্রম আইন নিয়ে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত সংশোধিত শ্রম আইনে, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা অনুযায়ী সমর্থনসংক্রান্ত স্বাক্ষরের হার কম-বেশি করে একাধিক ভাগে ভাগ করা ছিল। সেখানে তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন বাধ্যতামূলক ছিল। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এখন সব ধরনের কারখানার ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাঁদের সমর্থন থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশের হার (শ্রমিকের সমর্থন), শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার বেশি শ্রমিক আছে, সেগুলোতে। এখন এটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সব শ্রমিকদের ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ কাজ করবে (সমর্থন লাগবে)।’
‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পাস হলেও তাতে ভুল থাকায় গত বছরের ২০ নভেম্বর সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত বছর ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ বিষয়ে বার্তাসহ বুলেটিন প্রকাশ করে।
আইনমন্ত্রী তখন জানান, ওই বিলটি ভুল থাকায় নতুন সংসদে উপস্থাপন করা হবে ও তা সংশোধন করা হবে। তবে আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী যে কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সেটি চলতি অধিবেশনে নাও উঠতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি সংসদের চলতি অধিবেশনে পাস করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনে সেটা হচ্ছে না। কারণ, আইএলও অনেক পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না- বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে এটার ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। এবং কিছু কিছু বিষয় আছে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। এ জন্য দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে এই মিটিংটা আবারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইএলওর উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসিলিটেশন মিটিং হবে। যেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে।’
আইএলও শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে আনিসুল হক জানান।
তিনি আরও বলেন, আইএলওর প্রতিনিধিরা সংজ্ঞার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু বিষয়ে একমত হননি আইনমন্ত্রী।
আজকে তারা কি পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মূল সাজেশন হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে... তারা বলছেন, ম্যানেজার ও সুপারভাইজার স্টাফদেরকে ওয়ার্কার বলা। একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে ওয়ার্কার বলতে হবে। আমি সেটা নাকচ করে দিয়ে বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে তাঁদেরকে ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে। আমরাও চাই না।’
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আগে কথা ছিল, তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে শ্রমিক যেসব কারখানায় আছে, তাদের শুধু ১৫ জন্য শতাংশ হবে। এখন সেটাও তুলে দেওয়া হচ্ছে, সব কারখানার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ লাগবে।

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রস্তাবিত শ্রম আইন নিয়ে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত সংশোধিত শ্রম আইনে, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা অনুযায়ী সমর্থনসংক্রান্ত স্বাক্ষরের হার কম-বেশি করে একাধিক ভাগে ভাগ করা ছিল। সেখানে তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন বাধ্যতামূলক ছিল। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এখন সব ধরনের কারখানার ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাঁদের সমর্থন থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশের হার (শ্রমিকের সমর্থন), শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার বেশি শ্রমিক আছে, সেগুলোতে। এখন এটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সব শ্রমিকদের ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ কাজ করবে (সমর্থন লাগবে)।’
‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পাস হলেও তাতে ভুল থাকায় গত বছরের ২০ নভেম্বর সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত বছর ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ বিষয়ে বার্তাসহ বুলেটিন প্রকাশ করে।
আইনমন্ত্রী তখন জানান, ওই বিলটি ভুল থাকায় নতুন সংসদে উপস্থাপন করা হবে ও তা সংশোধন করা হবে। তবে আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী যে কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সেটি চলতি অধিবেশনে নাও উঠতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি সংসদের চলতি অধিবেশনে পাস করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনে সেটা হচ্ছে না। কারণ, আইএলও অনেক পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না- বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে এটার ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। এবং কিছু কিছু বিষয় আছে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। এ জন্য দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে এই মিটিংটা আবারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইএলওর উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসিলিটেশন মিটিং হবে। যেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে।’
আইএলও শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে আনিসুল হক জানান।
তিনি আরও বলেন, আইএলওর প্রতিনিধিরা সংজ্ঞার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু বিষয়ে একমত হননি আইনমন্ত্রী।
আজকে তারা কি পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মূল সাজেশন হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে... তারা বলছেন, ম্যানেজার ও সুপারভাইজার স্টাফদেরকে ওয়ার্কার বলা। একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে ওয়ার্কার বলতে হবে। আমি সেটা নাকচ করে দিয়ে বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে তাঁদেরকে ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে। আমরাও চাই না।’
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আগে কথা ছিল, তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে শ্রমিক যেসব কারখানায় আছে, তাদের শুধু ১৫ জন্য শতাংশ হবে। এখন সেটাও তুলে দেওয়া হচ্ছে, সব কারখানার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ লাগবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রস্তাবিত শ্রম আইন নিয়ে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত সংশোধিত শ্রম আইনে, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা অনুযায়ী সমর্থনসংক্রান্ত স্বাক্ষরের হার কম-বেশি করে একাধিক ভাগে ভাগ করা ছিল। সেখানে তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন বাধ্যতামূলক ছিল। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এখন সব ধরনের কারখানার ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাঁদের সমর্থন থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশের হার (শ্রমিকের সমর্থন), শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার বেশি শ্রমিক আছে, সেগুলোতে। এখন এটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সব শ্রমিকদের ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ কাজ করবে (সমর্থন লাগবে)।’
‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পাস হলেও তাতে ভুল থাকায় গত বছরের ২০ নভেম্বর সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত বছর ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ বিষয়ে বার্তাসহ বুলেটিন প্রকাশ করে।
আইনমন্ত্রী তখন জানান, ওই বিলটি ভুল থাকায় নতুন সংসদে উপস্থাপন করা হবে ও তা সংশোধন করা হবে। তবে আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী যে কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সেটি চলতি অধিবেশনে নাও উঠতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি সংসদের চলতি অধিবেশনে পাস করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনে সেটা হচ্ছে না। কারণ, আইএলও অনেক পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না- বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে এটার ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। এবং কিছু কিছু বিষয় আছে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। এ জন্য দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে এই মিটিংটা আবারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইএলওর উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসিলিটেশন মিটিং হবে। যেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে।’
আইএলও শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে আনিসুল হক জানান।
তিনি আরও বলেন, আইএলওর প্রতিনিধিরা সংজ্ঞার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু বিষয়ে একমত হননি আইনমন্ত্রী।
আজকে তারা কি পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মূল সাজেশন হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে... তারা বলছেন, ম্যানেজার ও সুপারভাইজার স্টাফদেরকে ওয়ার্কার বলা। একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে ওয়ার্কার বলতে হবে। আমি সেটা নাকচ করে দিয়ে বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে তাঁদেরকে ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে। আমরাও চাই না।’
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আগে কথা ছিল, তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে শ্রমিক যেসব কারখানায় আছে, তাদের শুধু ১৫ জন্য শতাংশ হবে। এখন সেটাও তুলে দেওয়া হচ্ছে, সব কারখানার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ লাগবে।

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রস্তাবিত শ্রম আইন নিয়ে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত সংশোধিত শ্রম আইনে, ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে কারখানার শ্রমিকের সংখ্যা অনুযায়ী সমর্থনসংক্রান্ত স্বাক্ষরের হার কম-বেশি করে একাধিক ভাগে ভাগ করা ছিল। সেখানে তিন হাজারের বেশি শ্রমিকের কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন বাধ্যতামূলক ছিল। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এখন সব ধরনের কারখানার ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরযুক্ত বা তাঁদের সমর্থন থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে।
এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আগে ছিল ১৫ শতাংশের হার (শ্রমিকের সমর্থন), শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার বেশি শ্রমিক আছে, সেগুলোতে। এখন এটি তুলে দেওয়া হয়েছে। সব শ্রমিকদের ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ কাজ করবে (সমর্থন লাগবে)।’
‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পাস হলেও তাতে ভুল থাকায় গত বছরের ২০ নভেম্বর সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত বছর ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ বিষয়ে বার্তাসহ বুলেটিন প্রকাশ করে।
আইনমন্ত্রী তখন জানান, ওই বিলটি ভুল থাকায় নতুন সংসদে উপস্থাপন করা হবে ও তা সংশোধন করা হবে। তবে আজ মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী যে কথায় ইঙ্গিত মিলেছে, সেটি চলতি অধিবেশনে নাও উঠতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি সংসদের চলতি অধিবেশনে পাস করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনে সেটা হচ্ছে না। কারণ, আইএলও অনেক পরামর্শ দিচ্ছে, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি হবে না- বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আজকে এটার ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। এবং কিছু কিছু বিষয় আছে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলাপ করতে হবে। এ জন্য দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটা হচ্ছে এই মিটিংটা আবারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইএলওর উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসিলিটেশন মিটিং হবে। যেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে।’
আইএলও শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে বলে আনিসুল হক জানান।
তিনি আরও বলেন, আইএলওর প্রতিনিধিরা সংজ্ঞার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কিছু কিছু বিষয়ে একমত হননি আইনমন্ত্রী।
আজকে তারা কি পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মূল সাজেশন হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে... তারা বলছেন, ম্যানেজার ও সুপারভাইজার স্টাফদেরকে ওয়ার্কার বলা। একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে ওয়ার্কার বলতে হবে। আমি সেটা নাকচ করে দিয়ে বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদেরকে আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে তাঁদেরকে ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে। আমরাও চাই না।’
ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আগে কথা ছিল, তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে শ্রমিক যেসব কারখানায় আছে, তাদের শুধু ১৫ জন্য শতাংশ হবে। এখন সেটাও তুলে দেওয়া হচ্ছে, সব কারখানার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ লাগবে।

ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘জনবান্ধব ভূমিসেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান ভূমিসচিব। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ভূমিসচিব বলেন, ‘ভূমিসেবার বিভিন্ন পর্যায়ে দালাল রয়েছে। কিন্তু ভূমির সব কাজ ভূমি মন্ত্রণালয় করে না, আইন মন্ত্রণালয়ও করে। কিন্তু অভিযোগের তীর আমাদের দিকেই আসে। মানুষ ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হয়—এটা স্বীকার করছি। তাই আমরা ভেবেছি, কীভাবে ঘরে বসে সেবা নিশ্চিত করা যায়। তাহলেই অফিসভিত্তিক হয়রানি কমবে।’
সারা দেশে বর্তমানে ৮১৭টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘নাগরিকের চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমরা অনেক কাজ করেছি, তবে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণ সহজে ভূমিসেবা পেতে পারেন।’
ভূমিসচিব জানান, সারা দেশে ভূমিসংক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ মামলা রয়েছে এবং প্রতিদিন কয়েক হাজার মামলা হচ্ছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৮০ শতাংশই জরিপকেন্দ্রিক। সিএস জরিপ করতে ৫২ বছর লেগেছিল। এখন জরিপ করতে এত সময় লাগবে না, জোনিং করা হয়েছে। বালুমহালের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। ফলে বালুমহাল নিয়ে সব অপরাধ বন্ধ না হলেও কমে এসেছে।
সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা অ্যাপ চালু করেছি, যার মাধ্যমে পরচা সংগ্রহ, নকশা পাওয়া, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সবই ঘরে বসে করা যায়। একসময় বালুমহাল নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছিল, এখন একটি শাখার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুরোপুরি শৃঙ্খলা না ফিরলেও অনেকটাই কমেছে।’
সেমিনারে ভূমিসংক্রান্ত ডিজিটাল সেবার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অটোমেটেড ভূমিসেবার সুফল ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেন। ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৭৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৬ কোটি টাকা।’
সেমিনারে জানানো হয়, ১৬১২২ হটলাইনের নম্বরের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ভূমিসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই কল সেন্টার দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কল গ্রহণ করছে। আগের অর্থবছরের থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ২২ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭৩ কেটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল সেমিনার সঞ্চালনা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন।

ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘জনবান্ধব ভূমিসেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান ভূমিসচিব। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ভূমিসচিব বলেন, ‘ভূমিসেবার বিভিন্ন পর্যায়ে দালাল রয়েছে। কিন্তু ভূমির সব কাজ ভূমি মন্ত্রণালয় করে না, আইন মন্ত্রণালয়ও করে। কিন্তু অভিযোগের তীর আমাদের দিকেই আসে। মানুষ ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার হয়—এটা স্বীকার করছি। তাই আমরা ভেবেছি, কীভাবে ঘরে বসে সেবা নিশ্চিত করা যায়। তাহলেই অফিসভিত্তিক হয়রানি কমবে।’
সারা দেশে বর্তমানে ৮১৭টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, ‘নাগরিকের চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। আমরা অনেক কাজ করেছি, তবে এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে জনগণ সহজে ভূমিসেবা পেতে পারেন।’
ভূমিসচিব জানান, সারা দেশে ভূমিসংক্রান্ত প্রায় ১০ লাখ মামলা রয়েছে এবং প্রতিদিন কয়েক হাজার মামলা হচ্ছে। ভূমিসংক্রান্ত মামলার প্রায় ৮০ শতাংশই জরিপকেন্দ্রিক। সিএস জরিপ করতে ৫২ বছর লেগেছিল। এখন জরিপ করতে এত সময় লাগবে না, জোনিং করা হয়েছে। বালুমহালের জন্য আলাদা ইউনিট করা হয়েছে। ফলে বালুমহাল নিয়ে সব অপরাধ বন্ধ না হলেও কমে এসেছে।
সালেহ আহমেদ বলেন, ‘আমরা অ্যাপ চালু করেছি, যার মাধ্যমে পরচা সংগ্রহ, নকশা পাওয়া, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ সবই ঘরে বসে করা যায়। একসময় বালুমহাল নিয়ে বিশৃঙ্খলা ছিল, এখন একটি শাখার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুরোপুরি শৃঙ্খলা না ফিরলেও অনেকটাই কমেছে।’
সেমিনারে ভূমিসংক্রান্ত ডিজিটাল সেবার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অটোমেটেড ভূমিসেবার সুফল ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে। মানুষ এখন ঘরে বসে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছেন। ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৩৭৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৬ কোটি টাকা।’
সেমিনারে জানানো হয়, ১৬১২২ হটলাইনের নম্বরের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ভূমিসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই কল সেন্টার দৈনিক প্রায় আড়াই হাজার কল গ্রহণ করছে। আগের অর্থবছরের থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ২২ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭৩ কেটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে।
বিএসআরএফ সভাপতি মাসউদুল হকের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল সেমিনার সঞ্চালনা করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে উপস্থিতি ছিলেন।

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেটে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সড়ক উপদেষ্টা জানান, মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহত দুজনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ওই হাসপাতালে আছে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির সব দায়দায়িত্ব আমরা নেব। প্রাথমিকভাবে নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য দেওয়া হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাঁকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেলের সাবেক এমডি ও সেতুসচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিতে আরও আছেন বুয়েটের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সহকারী অধ্যাপক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আসফিয়া সুলতানা।
কমিটি দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের ত্রুটির জন্য হয়েছে নাকি নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে, সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সুপারিশ করবে।’
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারী মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০।

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির এই কাঠামো এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা এবং কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এই দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজরভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশির ভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ম-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতাই শুধু নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা-আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল-থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে, তত দিনে পিয়ার-ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ এবং কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির এই কাঠামো এক পথচারীর মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনার পরপরই জননিরাপত্তা এবং কারিগরি দিক বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এই দুর্ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে একই কাঠামোগত উপাদানের পুনরাবৃত্তিমূলক ত্রুটি মেট্রোরেলের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া নিয়ে মারাত্মক প্রশ্ন তুলেছে।
বিয়ারিং প্যাড: কাঠামোর মেরুদণ্ড এবং এর জটিল প্রকৌশল
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড (Metrorail Bearing Pads) হলো উড়ালপথের স্থায়িত্ব ও সুরক্ষার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার বা ইলাস্টোমেরিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি সেতুর কাঠামোগত উপাদানগুলোর মধ্যে একটি কুশন বা কোমল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে।
বিয়ারিং প্যাডের মূল কাজগুলো কেবল ভার বহন করা নয়, বরং জটিল প্রকৌশলগত চাপ সামলানো। যেমন:
উল্লম্ব ভার বহন ও বণ্টন: এটি ট্রেন চলাচলের সময় সৃষ্ট বিপুল উল্লম্ব চাপ (Vertical Load) শোষণ করে এবং চাপটিকে সরাসরি কোনো একটি নির্দিষ্ট পিলারে কেন্দ্রীভূত না করে পুরো পিলারের মাধ্যমে সমানভাবে ভিত্তি বা মাটির দিকে ছড়িয়ে দেয়।
অনুভূমিক ও কৌণিক সরণ নিয়ন্ত্রণ: স্থিতিস্থাপকতার গুণে ভায়াডাক্টের অনুভূমিক সরণ (Horizontal Movement) বা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এটি। তাপমাত্রা পরিবর্তন, ট্রেন চলাচলের গতি বা বাঁকের কারণে ভায়াডাক্টে যে সামান্য প্রসারণ, সংকোচন বা পার্শ্বীয় নড়াচড়া হয়, প্যাড সেই নড়াচড়ার চাপ শোষণ করে।
কম্পন শোষণ (Damping) : বিয়ারিং প্যাড একটি কার্যকর ‘শক অ্যাবজরভার’ হিসেবে কাজ করে। এটি মেট্রোরেল চলাচলের স্বাভাবিক কম্পনের বেশির ভাগ অংশ শোষণ করে, যা শুধু কাঠামোর দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করে না, বরং যাত্রীদের ভ্রমণও মসৃণ ও আরামদায়ক করে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ: নকশা ও মান নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতা
বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক প্রথম দুর্ঘটনার সময়ই বলেছিলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’। তাঁর মতে, একটি অত্যাধুনিক অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বারবার খুলে পড়ার অর্থ হলো নকশাগত ত্রুটি অথবা ব্যবহৃত উপাদানের গুণমানে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
গভীরতর ঝুঁকি: বিয়ারিং প্যাড যদি স্থানচ্যুত হয়, তবে ট্রেন চলাচলের গতিশীল চাপ (Dynamic Stress) সরাসরি পিলারের সঙ্গে ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে গিয়ে পড়ে। এই ঘর্ষণ ও অস্বাভাবিক চাপ পিলারে সূক্ষ্ম-ফাটল (Micro-fractures) তৈরি করতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে গোটা কাঠামোটিকেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। বিশেষত বাঁকযুক্ত স্থানে যেখানে চাপ স্বভাবতই বেশি তৈরি হয়, সেখানে উন্নত প্রযুক্তির অধিক চাপ সহনশীল প্যাড ব্যবহার করা অপরিহার্য।
ফার্মগেটের এই দুর্ঘটনা একটি প্রযুক্তিগত ব্যর্থতাই শুধু নয়, বরং এটি নগরবাসীর মধ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিয়ে গভীর আস্থা সংকট তৈরি করবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
বিয়ারিং প্যাডের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নির্মাণকালেই
২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভায়াডাক্টে ত্রুটির কারণে দীর্ঘ সময় আংশিক বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ভায়াডাক্টের বিয়ারিং প্যাড নিয়ে নির্মাণের সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে এ ব্যাপারে আপত্তিও জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। কিন্তু তখন অদৃশ্য কারণে কেউ তাতে কর্ণপাত করেনি। শেষ পর্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বিয়ারিং প্যাডই বসানো হয়।
বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই। সে সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মেট্রোরেল প্রকল্পে নিম্নমানের বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরা-আগারগাঁও অংশের প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর নির্মাণকাজে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজটি বাস্তবায়ন করছিল ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইতাল-থাই)।
মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার। যখন অভিযোগ ওঠে, তত দিনে পিয়ার-ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বিয়ারিং প্যাড বসিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার উড়ালপথ বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু পরে সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।
বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি উঠে আসার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে। আজ মেট্রোরেলের দুর্ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করল!
বিশেষজ্ঞরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, বিয়ারিং প্যাড কেবল সেতুর কাঠামোর রক্ষাকবচ নয়, এটি বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান গণপরিবহন ব্যবস্থার স্থায়িত্ব ও জননিরাপত্তার প্রতীক। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, গুণমান নিশ্চিতকরণ এবং কঠোর নজরদারিই আধুনিক ব্যবস্থার সফলতার ভিত্তি।

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২ ঘণ্টা আগে
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় তিন ঘণ্টা পর বেলা ৩টা থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আংশিক মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেন, মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হবে খুব দ্রুততম সময়ে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আপাতত চালু হচ্ছে না। আজ চালু করা সম্ভব হবে না এই অংশ।
ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে এক পথচারী মারা যান। এ ঘটনার পর থেকে মেট্রোরেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেল চলাচলের মুহূর্তে ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর মাথায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা একটি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তাতে নাম লেখা আবুল কালাম এবং বাড়ি শরীয়তপুর। জন্মসাল ১৯৯০। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিউটিরত অবস্থায় কাছেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ল।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল সূত্র।

বাংলাদেশের সংশোধিত শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের শর্ত পরিবর্তন করে সাধারণভাবে সব শিল্পকলকারখানার জন্য কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর বা সমর্থনের বিধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভূমি অফিসে গিয়ে মানুষকে এখনো হয়রানি হতে হয় বলে স্বীকার করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। এ জন্য অনলাইনে সব ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া জনগণকে সহজে ভূমিসেবা দিতে সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
১৭ মিনিট আগে
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আজ রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি দেশের আধুনিক এই গণপরিবহন ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াল। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে উড়ালপথের পিলার ও ভায়াডাক্টের সংযোগস্থলে বসানো একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। ১৪০ থেকে ১৫০ কেজির....
৩ ঘণ্টা আগে