নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংলাপেই সমাধান দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংলাপ।
আ.লীগ সংলাপে রাজি, তবে হতে হবে শর্তহীন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপে রাজি আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে এ সংলাপ হতে হবে শর্তহীন। দলটির নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি থেকে বিএনপি সরে এলেই তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে।
সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের চাপ আছে সরকারের ওপর। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ চাপ বেশ স্পষ্ট। এ নিয়ে গতকাল রোববার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের শর্ত প্রত্যাহার করে নিলে সংলাপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
শর্তমুক্তভাবে বিএনপি সংলাপ করতে চাইলে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন চিন্তা করে দেখা হবে।
চলতি মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ ঢাকা সফর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) একটি যৌথ প্রতিনিধিদল। সফরকালে তাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সুশীল সমাজ, নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। প্রতিনিধিদলটি যুক্তরাষ্ট্র ফিরে পাঁচটি মতামত তুলে ধরেছে, যার একটি হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অর্থবহ সংলাপ করা। পাশাপাশি রাজনীতির ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন, নির্বাচনের সময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সব নাগরিকের ভিন্নমতকে সম্মান জানাতেও বলেছে প্রতিনিধিদলটি।
পশ্চিমাদের এসব পরামর্শের কারণে আওয়ামী লীগ সংলাপের প্রশ্নে আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে দুই দল পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হতে না পারলে কোনো সংলাপই ফলপ্রসূ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য।
জানতে চাইলে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংলাপ হতেই পারে, তবে কোনো শর্ত দিয়ে নয়। শর্তযুক্ত সংলাপে কোনো ফল হবে না। খোলামন নিয়ে আসতে হবে। আমরা খোলা মনে যাব, যাঁরা সংলাপ চান তাঁদেরও খোলা মনে আসতে হবে। আলোচনা তখন করব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য আলোচনা হতেই পারে।’
বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতির ইতিহাসে সংলাপ প্রচলিত শব্দ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারনকোর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল। তাতে কোনো সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে আওয়ামী লীগ। সংলাপের কারণে তফসিল ঘোষণার পরে ভোটের তারিখ ঠিক রেখে মনোনয়ন দাখিলের সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটের পর বিএনপি অভিযোগ করে, আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে দেওয়া কথা রাখেনি।
শর্ত দেওয়ার ক্ষমতা সরকারএখন রাখে না: বিএনপি
অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসার অনীহা রয়েছে বিএনপির। এরপরও বিরাজমান সংকট নিরসনে বৃহত্তর স্বার্থে সংলাপে বসতে আপত্তি নেই তাদের। তবে সেই সংলাপ শর্তযুক্ত না শর্তহীন হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকার এখন রাখে না বলে মনে করছে দলটি।
সংলাপ নিয়ে দুই পক্ষের কথা-চালাচালির মধ্যে গতকাল রোববার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শর্তহীন সংলাপ করতে চাইলে তাতে আওয়ামী লীগ রাজি হতে পারে।’ এর আগে ‘সংলাপের পথ বিএনপি বন্ধ করেছে’ বলে মন্তব্য করেন কাদের।
কাদেরের এসব মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (ওবায়দুল কাদের) কথার কোনো মূল্য আছে নাকি? তিনি সকালে এক কথা বলেন, আবার বিকেলে আরেক কথা বলেন। আগে সংলাপের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করুক, আলোচনার বিষয় ঠিক করুক, পরিবেশ তৈরি হোক। তারপর এ ব্যাপারে ভাবা যাবে।’
তবে সংলাপ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে খানিকটা নমনীয়তা বলেও মনে করছেন বিএনপির নেতাদের অনেকে। তবে এ নমনীয়তা যথেষ্ট নয় মত দিয়ে তাঁরা বলছেন, বিদেশি শক্তি ও আন্দোলনের চাপে সরকার এখন নমনীয় হয়েছে এবং বাধ্য হয়েই সংলাপের কথা বলছে। সেদিক থেকে বিএনপি একটু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় আগ বাড়িয়ে সংলাপের জন্য আপাতত কোনো ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে না বিএনপি।
আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে আত্মহত্যার শামিল বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাই ক্ষমতা ছাড়ার আগে তাদের সঙ্গে সংলাপ করাকে অর্থহীন বলেও মনে করছেন তাঁদের অনেকে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার বাধ্য হয়ে সংলাপের কথা বলছে। কিন্তু সেই সংলাপ শর্তযুক্ত না শর্তহীন হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকার এখন রাখে না।’ তবে তিনি এও বলেছেন, ‘রাজনীতি চলমান এবং আগামীতে আমাদের কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে, সেটাও এখনো নির্ধারিত নয়।’
দলগুলোর মধ্যে খোলামনে সংলাপ দরকার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে খোলামনে অর্থবহ সংলাপের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা ঘুরে যাওয়া মার্কিন প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ তাগিদ দেয়।
নির্বাচনের অংশীজনদের বিবেচনার জন্য এনডিআই-আইআরআই দলটি বিবৃতিতে পাঁচ দফা সুপারিশসহ একটি রূপরেখা প্রস্তাব করে। সংলাপ ছাড়াও এতে অন্তর্ভুক্ত অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সংযমী হতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। নাগরিকদের জন্য খোলামেলা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্নমতকে সম্মান দিতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সব দলের জন্য অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনাব্যবস্থাকে মজবুত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণের সংস্কৃতি তৈরির আগ্রহ জাগাতে হবে।
এনডিআই ও আইআরআইয়ের পাঠানো ছয় সদস্যের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলটি ৭ অক্টোবর থেকে ছয় দিন ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিদেশি কূটনীতিকসহ অনেকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর এ রূপরেখাটি প্রকাশ করে।
মার্কিন মিশনটি বলছে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি আছে। কিন্তু এখানকার রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও দলগুলোর মধ্যে ক্রমহ্রাসমান আস্থা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় রকম প্রতিবন্ধকতা। দলগুলোর আপসহীন মানসিকতা, ভোটে জিতে নিজেরাই সবকিছু গ্রাস করার মনোভাব, আক্রমণাত্মক বক্তৃতা, রাজনৈতিক সহিংসতা, ভয়ের পরিবেশ, নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের সুযোগ সংকুচিত হওয়া, দলগুলোর মধ্যে আস্থার ঘাটতি এমন বিরূপ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, তুলনামূলকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠনকে নিবন্ধন না দিয়ে অচেনা সংগঠনকে নিবন্ধিত করে নির্বাচন কমিশন নিজের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে। কাগজ-কলমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা থাকলেও তা কার্যকরভাবে ভোটের দিন নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বেশ জটিলতা আছে।
এমন বিরূপ পরিবেশ তৈরি হওয়ার পরিণতিতে নাগরিকেরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। তাঁদের রাজনৈতিক পছন্দের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক সংলাপ না হলে উদ্বেগ-উত্তেজনা বাড়তে পারে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও আছে।
মার্কিন সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলে মনে করে না সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল এ মন্তব্য করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা একটি ফরমাশি বিবৃতি দিয়েছে। সুপারিশগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকেই অনেক ধরনের মত দেয়। কিন্তু এগুলো গ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা সরকারের বিষয়।
মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশের অনেক কূটনৈতিক এসে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলাপ করে। নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলে মজা পায়। এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংলাপেই সমাধান দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংলাপ।
আ.লীগ সংলাপে রাজি, তবে হতে হবে শর্তহীন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপে রাজি আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে এ সংলাপ হতে হবে শর্তহীন। দলটির নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি থেকে বিএনপি সরে এলেই তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে।
সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের চাপ আছে সরকারের ওপর। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ চাপ বেশ স্পষ্ট। এ নিয়ে গতকাল রোববার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের শর্ত প্রত্যাহার করে নিলে সংলাপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
শর্তমুক্তভাবে বিএনপি সংলাপ করতে চাইলে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন চিন্তা করে দেখা হবে।
চলতি মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ ঢাকা সফর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) একটি যৌথ প্রতিনিধিদল। সফরকালে তাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সুশীল সমাজ, নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। প্রতিনিধিদলটি যুক্তরাষ্ট্র ফিরে পাঁচটি মতামত তুলে ধরেছে, যার একটি হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অর্থবহ সংলাপ করা। পাশাপাশি রাজনীতির ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন, নির্বাচনের সময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সব নাগরিকের ভিন্নমতকে সম্মান জানাতেও বলেছে প্রতিনিধিদলটি।
পশ্চিমাদের এসব পরামর্শের কারণে আওয়ামী লীগ সংলাপের প্রশ্নে আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে দুই দল পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হতে না পারলে কোনো সংলাপই ফলপ্রসূ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য।
জানতে চাইলে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংলাপ হতেই পারে, তবে কোনো শর্ত দিয়ে নয়। শর্তযুক্ত সংলাপে কোনো ফল হবে না। খোলামন নিয়ে আসতে হবে। আমরা খোলা মনে যাব, যাঁরা সংলাপ চান তাঁদেরও খোলা মনে আসতে হবে। আলোচনা তখন করব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য আলোচনা হতেই পারে।’
বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতির ইতিহাসে সংলাপ প্রচলিত শব্দ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারনকোর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল। তাতে কোনো সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে আওয়ামী লীগ। সংলাপের কারণে তফসিল ঘোষণার পরে ভোটের তারিখ ঠিক রেখে মনোনয়ন দাখিলের সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটের পর বিএনপি অভিযোগ করে, আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে দেওয়া কথা রাখেনি।
শর্ত দেওয়ার ক্ষমতা সরকারএখন রাখে না: বিএনপি
অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসার অনীহা রয়েছে বিএনপির। এরপরও বিরাজমান সংকট নিরসনে বৃহত্তর স্বার্থে সংলাপে বসতে আপত্তি নেই তাদের। তবে সেই সংলাপ শর্তযুক্ত না শর্তহীন হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকার এখন রাখে না বলে মনে করছে দলটি।
সংলাপ নিয়ে দুই পক্ষের কথা-চালাচালির মধ্যে গতকাল রোববার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শর্তহীন সংলাপ করতে চাইলে তাতে আওয়ামী লীগ রাজি হতে পারে।’ এর আগে ‘সংলাপের পথ বিএনপি বন্ধ করেছে’ বলে মন্তব্য করেন কাদের।
কাদেরের এসব মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (ওবায়দুল কাদের) কথার কোনো মূল্য আছে নাকি? তিনি সকালে এক কথা বলেন, আবার বিকেলে আরেক কথা বলেন। আগে সংলাপের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করুক, আলোচনার বিষয় ঠিক করুক, পরিবেশ তৈরি হোক। তারপর এ ব্যাপারে ভাবা যাবে।’
তবে সংলাপ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে খানিকটা নমনীয়তা বলেও মনে করছেন বিএনপির নেতাদের অনেকে। তবে এ নমনীয়তা যথেষ্ট নয় মত দিয়ে তাঁরা বলছেন, বিদেশি শক্তি ও আন্দোলনের চাপে সরকার এখন নমনীয় হয়েছে এবং বাধ্য হয়েই সংলাপের কথা বলছে। সেদিক থেকে বিএনপি একটু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় আগ বাড়িয়ে সংলাপের জন্য আপাতত কোনো ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে না বিএনপি।
আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে আত্মহত্যার শামিল বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাই ক্ষমতা ছাড়ার আগে তাদের সঙ্গে সংলাপ করাকে অর্থহীন বলেও মনে করছেন তাঁদের অনেকে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার বাধ্য হয়ে সংলাপের কথা বলছে। কিন্তু সেই সংলাপ শর্তযুক্ত না শর্তহীন হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকার এখন রাখে না।’ তবে তিনি এও বলেছেন, ‘রাজনীতি চলমান এবং আগামীতে আমাদের কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে, সেটাও এখনো নির্ধারিত নয়।’
দলগুলোর মধ্যে খোলামনে সংলাপ দরকার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে খোলামনে অর্থবহ সংলাপের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা ঘুরে যাওয়া মার্কিন প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ তাগিদ দেয়।
নির্বাচনের অংশীজনদের বিবেচনার জন্য এনডিআই-আইআরআই দলটি বিবৃতিতে পাঁচ দফা সুপারিশসহ একটি রূপরেখা প্রস্তাব করে। সংলাপ ছাড়াও এতে অন্তর্ভুক্ত অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সংযমী হতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। নাগরিকদের জন্য খোলামেলা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্নমতকে সম্মান দিতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সব দলের জন্য অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনাব্যবস্থাকে মজবুত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণের সংস্কৃতি তৈরির আগ্রহ জাগাতে হবে।
এনডিআই ও আইআরআইয়ের পাঠানো ছয় সদস্যের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলটি ৭ অক্টোবর থেকে ছয় দিন ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিদেশি কূটনীতিকসহ অনেকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর এ রূপরেখাটি প্রকাশ করে।
মার্কিন মিশনটি বলছে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি আছে। কিন্তু এখানকার রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও দলগুলোর মধ্যে ক্রমহ্রাসমান আস্থা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় রকম প্রতিবন্ধকতা। দলগুলোর আপসহীন মানসিকতা, ভোটে জিতে নিজেরাই সবকিছু গ্রাস করার মনোভাব, আক্রমণাত্মক বক্তৃতা, রাজনৈতিক সহিংসতা, ভয়ের পরিবেশ, নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের সুযোগ সংকুচিত হওয়া, দলগুলোর মধ্যে আস্থার ঘাটতি এমন বিরূপ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, তুলনামূলকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠনকে নিবন্ধন না দিয়ে অচেনা সংগঠনকে নিবন্ধিত করে নির্বাচন কমিশন নিজের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে। কাগজ-কলমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা থাকলেও তা কার্যকরভাবে ভোটের দিন নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বেশ জটিলতা আছে।
এমন বিরূপ পরিবেশ তৈরি হওয়ার পরিণতিতে নাগরিকেরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। তাঁদের রাজনৈতিক পছন্দের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক সংলাপ না হলে উদ্বেগ-উত্তেজনা বাড়তে পারে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও আছে।
মার্কিন সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলে মনে করে না সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল এ মন্তব্য করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা একটি ফরমাশি বিবৃতি দিয়েছে। সুপারিশগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকেই অনেক ধরনের মত দেয়। কিন্তু এগুলো গ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা সরকারের বিষয়।
মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশের অনেক কূটনৈতিক এসে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলাপ করে। নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলে মজা পায়। এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সেবিকা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৮ সালে জারি করা একটি রিট পিটিশন মামলার ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়, সিভিল রিভিউ পিটিশন মামলার ২০২৫ সালের ১৩ মার্চের রায় এবং অর্থ বিভাগের ২০২৫ সালের ৬ অক্টোবরের মতামতের আলোকে ওই ৪৫ জন রিট পিটিশনকারী প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১১ থেকে দশম গ্রেডে গেজেটেড পদমর্যাদাসহ উন্নীত করা হলো।
চলতি বছরের ৬ অক্টোবর দেওয়া অর্থ বিভাগের মতামত অনুযায়ী রায়ের তারিখ ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডের সুবিধা প্রাপ্য হবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল।
এরপর ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন ঠিক করে দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল।
পরে ১১তম ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই রায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড পদমর্যাদায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। ওই রায় কার্যকর না করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এর কারণ দর্শাতে একই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের এক মাসের সময় দেন। পরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে চলতি বছরের ১৩ মার্চ রায় দেন। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তা বাস্তবায়ন হলো।
এদিকে গত ২৮ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকার দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষক পদের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। এই উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাঁদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রধান শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে প্রধান শিক্ষকদের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন করায় সরকারের সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সেবিকা সুলতানা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৮ সালে জারি করা একটি রিট পিটিশন মামলার ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের রায়, সিভিল রিভিউ পিটিশন মামলার ২০২৫ সালের ১৩ মার্চের রায় এবং অর্থ বিভাগের ২০২৫ সালের ৬ অক্টোবরের মতামতের আলোকে ওই ৪৫ জন রিট পিটিশনকারী প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী ১১ থেকে দশম গ্রেডে গেজেটেড পদমর্যাদাসহ উন্নীত করা হলো।
চলতি বছরের ৬ অক্টোবর দেওয়া অর্থ বিভাগের মতামত অনুযায়ী রায়ের তারিখ ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডের সুবিধা প্রাপ্য হবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তৎকালীন সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছিল।
এরপর ওই দিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও পরে মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১১তম ও অপ্রশিক্ষিত প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডে বেতন ঠিক করে দেয়। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিসহ প্রধান শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন করে আসছিল।
পরে ১১তম ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ৪ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজসহ সংক্ষুব্ধ ৪৫ শিক্ষক।
২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই রায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড পদমর্যাদায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকেরা আদালত অবমাননার মামলা করেন। ওই রায় কার্যকর না করায় কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এর কারণ দর্শাতে একই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিবাদীদের এক মাসের সময় দেন। পরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে চলতি বছরের ১৩ মার্চ রায় দেন। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তা বাস্তবায়ন হলো।
এদিকে গত ২৮ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকার দেশের ৬৫ হাজার ৫০২ প্রধান শিক্ষক পদের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। এই উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাঁদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে। এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রধান শিক্ষকেরা অন্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে প্রধান শিক্ষকদের প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন করায় সরকারের সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংলাপেই সমাধান দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংলাপ।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশন মামলাটি অনুমোদন করে। দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
দুদক সূত্রটি জানায়, আসামিদের কাছে সম্পদের উৎস ও সম্পদের বিবরণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। আত্মগোপনে থাকা এই দম্পতি দুদকের নোটিশের জবাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে বলে দুদক সূত্রটি জানিয়েছে।
সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি সরকারের পক্ষে গণমাধ্যমে অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন।
গত ১৮ মার্চ নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান এবং আদিভা নাঈম খানের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত থেকে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ও তাঁদের তিন মেয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস না করেই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মন্ডলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়, যার ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংলাপেই সমাধান দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংলাপ।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৬ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই আগামী নির্বাচন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিরা, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানেরা, সব পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সব জেলা পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি এ সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন।
পুলিশপ্রধান নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অস্ত্র উদ্ধারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত পুরস্কার সম্পর্কেও প্রচারণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড়ভাবে পরিচালনার জন্য ইউনিটপ্রধানদের নির্দেশনা দেন। কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট যথাসময়ে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি গুম কমিশনে অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে মামলা রুজু করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলাগুলোকে বিশেষ গুরুত্বসহকারে তদন্ত ও নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। তিনি মামলা তদন্তের গুণগত মান বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও অনলাইনে যুক্ত জেলা পুলিশ সুপাররা প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল নানা বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংলাপেই সমাধান দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংলাপ।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন কোনো প্রস্তাব বা তথ্য আমার জানা নেই। কমিশন আগেই বলেছিল, তারা নিজ বিবেচনায় প্রতীক বরাদ্দ করবে।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে দলগুলো নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে, কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’
প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, এটা তফসিলে রাখার দরকার নাই। এটার ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে আইনজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন প্রাথমিকভাবে ২২টি দলকে সম্ভাব্যভাবে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এসব দলের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’
স্থানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন কোনো প্রস্তাব বা তথ্য আমার জানা নেই। কমিশন আগেই বলেছিল, তারা নিজ বিবেচনায় প্রতীক বরাদ্দ করবে।’
শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে দলগুলো নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে, কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’
প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, এটা তফসিলে রাখার দরকার নাই। এটার ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে আইনজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন প্রাথমিকভাবে ২২টি দলকে সম্ভাব্যভাবে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এসব দলের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’
স্থানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংলাপেই সমাধান দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংলাপ।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদাসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ওই ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়।
৬ মিনিট আগে
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে একটি ননসাবমিশন মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। অতীতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসার একটা বড় সুযোগ এই
৩ ঘণ্টা আগে