Ajker Patrika

সংলাপের সম্ভাবনায় রাজনীতিতে আবার নতুন হাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১০: ০৯
সংলাপের সম্ভাবনায় রাজনীতিতে আবার নতুন হাওয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনড় অবস্থানের কারণে সংঘাতের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সংলাপেই সমাধান দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তাগিদে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংলাপ।

আ.লীগ সংলাপে রাজি, তবে হতে হবে শর্তহীন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপে রাজি আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে এ সংলাপ হতে হবে শর্তহীন। দলটির নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি থেকে বিএনপি সরে এলেই তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। 

সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের চাপ আছে সরকারের ওপর। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ চাপ বেশ স্পষ্ট। এ নিয়ে গতকাল রোববার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের শর্ত প্রত্যাহার করে নিলে সংলাপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। 

শর্তমুক্তভাবে বিএনপি সংলাপ করতে চাইলে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন চিন্তা করে দেখা হবে। 

চলতি মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ ঢাকা সফর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের থিংকট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) একটি যৌথ প্রতিনিধিদল। সফরকালে তাঁরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সুশীল সমাজ, নির্বাচন কমিশনসহ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। প্রতিনিধিদলটি যুক্তরাষ্ট্র ফিরে পাঁচটি মতামত তুলে ধরেছে, যার একটি হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অর্থবহ সংলাপ করা। পাশাপাশি রাজনীতির ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন, নির্বাচনের সময় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সব নাগরিকের ভিন্নমতকে সম্মান জানাতেও বলেছে প্রতিনিধিদলটি। 

পশ্চিমাদের এসব পরামর্শের কারণে আওয়ামী লীগ সংলাপের প্রশ্নে আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তবে দুই দল পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হতে না পারলে কোনো সংলাপই ফলপ্রসূ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য। 

জানতে চাইলে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংলাপ হতেই পারে, তবে কোনো শর্ত দিয়ে নয়। শর্তযুক্ত সংলাপে কোনো ফল হবে না। খোলামন নিয়ে আসতে হবে। আমরা খোলা মনে যাব, যাঁরা সংলাপ চান তাঁদেরও খোলা মনে আসতে হবে। আলোচনা তখন করব। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য আলোচনা হতেই পারে।’

বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতির ইতিহাসে সংলাপ প্রচলিত শব্দ। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারনকোর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল। তাতে কোনো সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। অন্যদিকে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে আওয়ামী লীগ। সংলাপের কারণে তফসিল ঘোষণার পরে ভোটের তারিখ ঠিক রেখে মনোনয়ন দাখিলের সময়ও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু ভোটের পর বিএনপি অভিযোগ করে, আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে দেওয়া কথা রাখেনি। 

শর্ত দেওয়ার ক্ষমতা সরকারএখন রাখে না: বিএনপি
অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসার অনীহা রয়েছে বিএনপির। এরপরও বিরাজমান সংকট নিরসনে বৃহত্তর স্বার্থে সংলাপে বসতে আপত্তি নেই তাদের। তবে সেই সংলাপ শর্তযুক্ত না শর্তহীন হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকার এখন রাখে না বলে মনে করছে দলটি।

সংলাপ নিয়ে দুই পক্ষের কথা-চালাচালির মধ্যে গতকাল রোববার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শর্তহীন সংলাপ করতে চাইলে তাতে আওয়ামী লীগ রাজি হতে পারে।’ এর আগে ‘সংলাপের পথ বিএনপি বন্ধ করেছে’ বলে মন্তব্য করেন কাদের। 

কাদেরের এসব মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর (ওবায়দুল কাদের) কথার কোনো মূল্য আছে নাকি? তিনি সকালে এক কথা বলেন, আবার বিকেলে আরেক কথা বলেন। আগে সংলাপের বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করুক, আলোচনার বিষয় ঠিক করুক, পরিবেশ তৈরি হোক। তারপর এ ব্যাপারে ভাবা যাবে।’ 

তবে সংলাপ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে খানিকটা নমনীয়তা বলেও মনে করছেন বিএনপির নেতাদের অনেকে। তবে এ নমনীয়তা যথেষ্ট নয় মত দিয়ে তাঁরা বলছেন, বিদেশি শক্তি ও আন্দোলনের চাপে সরকার এখন নমনীয় হয়েছে এবং বাধ্য হয়েই সংলাপের কথা বলছে। সেদিক থেকে বিএনপি একটু সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় আগ বাড়িয়ে সংলাপের জন্য আপাতত কোনো ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে না বিএনপি। 

আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়াকে আত্মহত্যার শামিল বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাই ক্ষমতা ছাড়ার আগে তাদের সঙ্গে সংলাপ করাকে অর্থহীন বলেও মনে করছেন তাঁদের অনেকে। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার বাধ্য হয়ে সংলাপের কথা বলছে। কিন্তু সেই সংলাপ শর্তযুক্ত না শর্তহীন হবে, তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা সরকার এখন রাখে না।’ তবে তিনি এও বলেছেন, ‘রাজনীতি চলমান এবং আগামীতে আমাদের কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে, সেটাও এখনো নির্ধারিত নয়।’

দলগুলোর মধ্যে খোলামনে সংলাপ দরকার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে খোলামনে অর্থবহ সংলাপের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা ঘুরে যাওয়া মার্কিন প্রাক্‌-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ও ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ তাগিদ দেয়।

নির্বাচনের অংশীজনদের বিবেচনার জন্য এনডিআই-আইআরআই দলটি বিবৃতিতে পাঁচ দফা সুপারিশসহ একটি রূপরেখা প্রস্তাব করে। সংলাপ ছাড়াও এতে অন্তর্ভুক্ত অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সংযমী হতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। নাগরিকদের জন্য খোলামেলা পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ভিন্নমতকে সম্মান দিতে হবে। রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সব দলের জন্য অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনাব্যবস্থাকে মজবুত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণের সংস্কৃতি তৈরির আগ্রহ জাগাতে হবে। 

এনডিআই ও আইআরআইয়ের পাঠানো ছয় সদস্যের প্রাক্‌-নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলটি ৭ অক্টোবর থেকে ছয় দিন ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিদেশি কূটনীতিকসহ অনেকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর এ রূপরেখাটি প্রকাশ করে। 

মার্কিন মিশনটি বলছে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি আছে। কিন্তু এখানকার রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও দলগুলোর মধ্যে ক্রমহ্রাসমান আস্থা ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় রকম প্রতিবন্ধকতা। দলগুলোর আপসহীন মানসিকতা, ভোটে জিতে নিজেরাই সবকিছু গ্রাস করার মনোভাব, আক্রমণাত্মক বক্তৃতা, রাজনৈতিক সহিংসতা, ভয়ের পরিবেশ, নাগরিক সমাজের মতপ্রকাশের সুযোগ সংকুচিত হওয়া, দলগুলোর মধ্যে আস্থার ঘাটতি এমন বিরূপ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, তুলনামূলকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠনকে নিবন্ধন না দিয়ে অচেনা সংগঠনকে নিবন্ধিত করে নির্বাচন কমিশন নিজের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে। কাগজ-কলমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা থাকলেও তা কার্যকরভাবে ভোটের দিন নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বেশ জটিলতা আছে।

এমন বিরূপ পরিবেশ তৈরি হওয়ার পরিণতিতে নাগরিকেরা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। তাঁদের রাজনৈতিক পছন্দের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক সংলাপ না হলে উদ্বেগ-উত্তেজনা বাড়তে পারে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও আছে। 

মার্কিন সুপারিশ গুরুত্বপূর্ণ নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
মার্কিন প্রাক্‌-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলে মনে করে না সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল এ মন্তব্য করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা একটি ফরমাশি বিবৃতি দিয়েছে। সুপারিশগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকেই অনেক ধরনের মত দেয়। কিন্তু এগুলো গ্রহণ করবে কি করবে না, সেটা সরকারের বিষয়। 
মোমেন বলেন, বিভিন্ন দেশের অনেক কূটনৈতিক এসে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলাপ করে। নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলে মজা পায়। এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপিকে ‘শাপলা’ না দেওয়ার ব্যাখ্যা আইনজ্ঞের কাছে জেনে নিতে বললেন ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্ধারিত তালিকা থেকে কোনো প্রতীক না নিলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজ বিবেচনায় দলটিকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করবে। তবে শাপলা না দেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আইন ব্যাখ্যা দিতে চাননি সচিব।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

এনসিপির দাবি করা শাপলা প্রতীকের বিষয়ে সাংবাদিকেরা কমিশনের অবস্থান জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্বের অবস্থান থেকে ভিন্ন কোনো প্রস্তাব বা তথ্য আমার জানা নেই। কমিশন আগেই বলেছিল, তারা নিজ বিবেচনায় প্রতীক বরাদ্দ করবে।’

শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়ার বিষয়ে সচিব বলেন, ‘‎বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই। যে দলগুলো নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে, কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।’

প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার আইনি ব্যাখ্যা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, এটা তফসিলে রাখার দরকার নাই। এটার ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে আইনজ্ঞকে জিজ্ঞেস করতে হবে।’

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশন প্রাথমিকভাবে ২২টি দলকে সম্ভাব্যভাবে যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং এসব দলের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইনশাআল্লাহ, এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।’

স্থানীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশের ভূমিকা সর্বাগ্রে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ‘হল অব প্রাইডে’ বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত বিশেষ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণ, রাজনৈতিক দলসহ সর্বমহলের প্রত্যাশা পূরণের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পুলিশের কাঁধে। সবার প্রত্যাশা—বাংলাদেশ পুলিশ সামনের জাতীয় নির্বাচনে এমন এক মানদণ্ড স্থাপন করবে, যা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ শুধু শক্তি দিয়ে নয়, ন্যায়, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়েও প্রতিষ্ঠিত হয়।’ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে আপনারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী নন; আপনারা জনগণের নিরাপত্তা, আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতীক।’

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক বিকেলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’

কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।

আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।

জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তথ্য উপদেষ্টার মন্তব্যে ‘বিভ্রান্তি দূর করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৬
তথ্য উপদেষ্টার মন্তব্যে ‘বিভ্রান্তি দূর করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।

গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’

এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘মোন্থা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, আঘাত হানবে কোথায়

হঠাৎ পদত্যাগ করলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

গায়ে থুতু পড়া নিয়ে ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের রাতভর সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

নির্বাচনে যেতে চায় জাপার একাংশ, কৌশল তুলে ধরবে জাতির সামনে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত