ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হলেও নানা কারণে সে ধারাবাহিকতা আর জারি থাকেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মিছিল, সমাবেশ, আলোচনা সভা, আড্ডায় ছাত্র সংসদ নিয়ে আলাপ তুলতে দেখা যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোকে। এখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির এই অঙ্গসংগঠনটির দাবি, আগে তাদেরকে যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিতে হবে। তারপর ডাকসুসহ সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় আওয়ামীপন্থীদের উপস্থিতি রুখে দিতে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে ডাকসু নির্বাচনের এখন কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না নেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রদল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে সেদিন রাতে ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবিতে মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’
৩২ বছর ধরে অকার্যকর দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। ৪ মাস ধরে জাকসুর নির্বাচন দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এমনকি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে এসেছেন জাবির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর জাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুসারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন করা হবে ২৫ জানুয়ারি এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্রসংগঠন স্বাগত জানিয়েছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এ রোডম্যাপের ওপর আস্থা রাখতে চান। তবে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। এখনই জাকসু নির্বাচন চায় না জাবি ছাত্রদল। সংস্কারের পর জাকসু নির্বাচন চান বলে নিশ্চিত করেছেন জাবি ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৎ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক ছাত্রনেতা তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। তবে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে ১৪তম নির্বাচনের পর আর রাকসু নির্বাচন হয়নি। ফলে সিনেটে শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার মতো কোনো প্রতিনিধি নেই দীর্ঘ ৩৪ বছর। রাবিতেও এখন নতুন করে আলোচনায় রাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘ক্যাম্পাসের রাজনীতি কোন পথে চলবে, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, রাকসুর রোডম্যাপও খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নীতিমালা সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। সেটি এবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘২ জানুয়ারি সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা গৃহীত হয়েছে। এখন আমরা দেখব, কোন কোন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে অনুমোদনের জন্য। নীতিমালা অনুমোদন হয়ে এলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা যাবে। তবে আমরা এর আগেও রোডম্যাপ দিয়ে দিতে পারি।’
প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন হয়েছে মাত্র ছয়বার। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিকে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই ৩ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৮০ এবং ১৯৮১ সালে পরপর আবার দুবার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। নির্বাচনের প্রায় ১১ মাস পর ছাত্রনেতা ফারুকুজ্জামান হত্যার শিকার হলে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু বন্ধ করে দেয়। এরপর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেখেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন চাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ করছে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব রয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় চাকসু নির্বাচনের অনুমোদন নিয়ে আবারও ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চাকসু নির্বাচনের নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
ছাত্রলীগের (বর্তমানে) নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ২৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। বন্ধ হওয়া রাজনীতি চালুসহ অধিকার নিশ্চিতে অচিরেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। তবে প্রশাসন বলছে, এ বিষয়ে ভেবেচিন্তে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
১৯৯৮ সালের পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচন হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ছাত্ররাজনীতির যে ইতিহাস, সেটি সাধারণ ছাত্ররা গ্রহণ করেননি। তাই তাঁদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে বাকৃবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্ররাজনীতি চালু হলে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন যদি আমাদের কাছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে আসে, তাহলে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজসহ সারা দেশের প্রাচীন কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্র সংসদ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলার প্ল্যাটফর্ম। ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনে আমূল পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ কার্যকর করার বিকল্প নেই।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত ডাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে। কোনো দলীয় সংগঠন ছাত্র সংসদের বিকল্প হতে পারে না। তবে আগে আমাদেরকে একটা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। ন্যাচারাল জাস্টিস অনুসারেও এ সুযোগ পাওয়া আমাদের ন্যায্য দাবি। তারপর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।’
তবে ঘটা করে সব ক্যাম্পাসে একসঙ্গে নির্বাচন না দিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ছিবগাতুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন দরকার। তবে একসঙ্গে সবগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার চেয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে নির্বাচন দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসগুলোতে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজেও ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা]

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হলেও নানা কারণে সে ধারাবাহিকতা আর জারি থাকেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মিছিল, সমাবেশ, আলোচনা সভা, আড্ডায় ছাত্র সংসদ নিয়ে আলাপ তুলতে দেখা যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোকে। এখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির এই অঙ্গসংগঠনটির দাবি, আগে তাদেরকে যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিতে হবে। তারপর ডাকসুসহ সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় আওয়ামীপন্থীদের উপস্থিতি রুখে দিতে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে ডাকসু নির্বাচনের এখন কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না নেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রদল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে সেদিন রাতে ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবিতে মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’
৩২ বছর ধরে অকার্যকর দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। ৪ মাস ধরে জাকসুর নির্বাচন দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এমনকি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে এসেছেন জাবির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর জাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুসারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন করা হবে ২৫ জানুয়ারি এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্রসংগঠন স্বাগত জানিয়েছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এ রোডম্যাপের ওপর আস্থা রাখতে চান। তবে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। এখনই জাকসু নির্বাচন চায় না জাবি ছাত্রদল। সংস্কারের পর জাকসু নির্বাচন চান বলে নিশ্চিত করেছেন জাবি ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৎ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক ছাত্রনেতা তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। তবে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে ১৪তম নির্বাচনের পর আর রাকসু নির্বাচন হয়নি। ফলে সিনেটে শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার মতো কোনো প্রতিনিধি নেই দীর্ঘ ৩৪ বছর। রাবিতেও এখন নতুন করে আলোচনায় রাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘ক্যাম্পাসের রাজনীতি কোন পথে চলবে, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, রাকসুর রোডম্যাপও খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নীতিমালা সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। সেটি এবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘২ জানুয়ারি সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা গৃহীত হয়েছে। এখন আমরা দেখব, কোন কোন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে অনুমোদনের জন্য। নীতিমালা অনুমোদন হয়ে এলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা যাবে। তবে আমরা এর আগেও রোডম্যাপ দিয়ে দিতে পারি।’
প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন হয়েছে মাত্র ছয়বার। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিকে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই ৩ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৮০ এবং ১৯৮১ সালে পরপর আবার দুবার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। নির্বাচনের প্রায় ১১ মাস পর ছাত্রনেতা ফারুকুজ্জামান হত্যার শিকার হলে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু বন্ধ করে দেয়। এরপর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেখেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন চাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ করছে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব রয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় চাকসু নির্বাচনের অনুমোদন নিয়ে আবারও ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চাকসু নির্বাচনের নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
ছাত্রলীগের (বর্তমানে) নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ২৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। বন্ধ হওয়া রাজনীতি চালুসহ অধিকার নিশ্চিতে অচিরেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। তবে প্রশাসন বলছে, এ বিষয়ে ভেবেচিন্তে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
১৯৯৮ সালের পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচন হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ছাত্ররাজনীতির যে ইতিহাস, সেটি সাধারণ ছাত্ররা গ্রহণ করেননি। তাই তাঁদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে বাকৃবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্ররাজনীতি চালু হলে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন যদি আমাদের কাছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে আসে, তাহলে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজসহ সারা দেশের প্রাচীন কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্র সংসদ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলার প্ল্যাটফর্ম। ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনে আমূল পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ কার্যকর করার বিকল্প নেই।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত ডাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে। কোনো দলীয় সংগঠন ছাত্র সংসদের বিকল্প হতে পারে না। তবে আগে আমাদেরকে একটা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। ন্যাচারাল জাস্টিস অনুসারেও এ সুযোগ পাওয়া আমাদের ন্যায্য দাবি। তারপর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।’
তবে ঘটা করে সব ক্যাম্পাসে একসঙ্গে নির্বাচন না দিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ছিবগাতুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন দরকার। তবে একসঙ্গে সবগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার চেয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে নির্বাচন দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসগুলোতে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজেও ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা]
ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হলেও নানা কারণে সে ধারাবাহিকতা আর জারি থাকেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মিছিল, সমাবেশ, আলোচনা সভা, আড্ডায় ছাত্র সংসদ নিয়ে আলাপ তুলতে দেখা যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোকে। এখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির এই অঙ্গসংগঠনটির দাবি, আগে তাদেরকে যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিতে হবে। তারপর ডাকসুসহ সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় আওয়ামীপন্থীদের উপস্থিতি রুখে দিতে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে ডাকসু নির্বাচনের এখন কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না নেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রদল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে সেদিন রাতে ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবিতে মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’
৩২ বছর ধরে অকার্যকর দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। ৪ মাস ধরে জাকসুর নির্বাচন দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এমনকি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে এসেছেন জাবির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর জাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুসারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন করা হবে ২৫ জানুয়ারি এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্রসংগঠন স্বাগত জানিয়েছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এ রোডম্যাপের ওপর আস্থা রাখতে চান। তবে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। এখনই জাকসু নির্বাচন চায় না জাবি ছাত্রদল। সংস্কারের পর জাকসু নির্বাচন চান বলে নিশ্চিত করেছেন জাবি ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৎ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক ছাত্রনেতা তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। তবে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে ১৪তম নির্বাচনের পর আর রাকসু নির্বাচন হয়নি। ফলে সিনেটে শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার মতো কোনো প্রতিনিধি নেই দীর্ঘ ৩৪ বছর। রাবিতেও এখন নতুন করে আলোচনায় রাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘ক্যাম্পাসের রাজনীতি কোন পথে চলবে, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, রাকসুর রোডম্যাপও খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নীতিমালা সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। সেটি এবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘২ জানুয়ারি সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা গৃহীত হয়েছে। এখন আমরা দেখব, কোন কোন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে অনুমোদনের জন্য। নীতিমালা অনুমোদন হয়ে এলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা যাবে। তবে আমরা এর আগেও রোডম্যাপ দিয়ে দিতে পারি।’
প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন হয়েছে মাত্র ছয়বার। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিকে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই ৩ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৮০ এবং ১৯৮১ সালে পরপর আবার দুবার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। নির্বাচনের প্রায় ১১ মাস পর ছাত্রনেতা ফারুকুজ্জামান হত্যার শিকার হলে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু বন্ধ করে দেয়। এরপর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেখেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন চাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ করছে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব রয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় চাকসু নির্বাচনের অনুমোদন নিয়ে আবারও ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চাকসু নির্বাচনের নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
ছাত্রলীগের (বর্তমানে) নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ২৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। বন্ধ হওয়া রাজনীতি চালুসহ অধিকার নিশ্চিতে অচিরেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। তবে প্রশাসন বলছে, এ বিষয়ে ভেবেচিন্তে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
১৯৯৮ সালের পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচন হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ছাত্ররাজনীতির যে ইতিহাস, সেটি সাধারণ ছাত্ররা গ্রহণ করেননি। তাই তাঁদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে বাকৃবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্ররাজনীতি চালু হলে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন যদি আমাদের কাছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে আসে, তাহলে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজসহ সারা দেশের প্রাচীন কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্র সংসদ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলার প্ল্যাটফর্ম। ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনে আমূল পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ কার্যকর করার বিকল্প নেই।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত ডাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে। কোনো দলীয় সংগঠন ছাত্র সংসদের বিকল্প হতে পারে না। তবে আগে আমাদেরকে একটা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। ন্যাচারাল জাস্টিস অনুসারেও এ সুযোগ পাওয়া আমাদের ন্যায্য দাবি। তারপর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।’
তবে ঘটা করে সব ক্যাম্পাসে একসঙ্গে নির্বাচন না দিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ছিবগাতুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন দরকার। তবে একসঙ্গে সবগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার চেয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে নির্বাচন দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসগুলোতে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজেও ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা]

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হলেও নানা কারণে সে ধারাবাহিকতা আর জারি থাকেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন পরিবেশে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মিছিল, সমাবেশ, আলোচনা সভা, আড্ডায় ছাত্র সংসদ নিয়ে আলাপ তুলতে দেখা যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোকে। এখনই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চায় না জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। বিএনপির এই অঙ্গসংগঠনটির দাবি, আগে তাদেরকে যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিতে হবে। তারপর ডাকসুসহ সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় আওয়ামীপন্থীদের উপস্থিতি রুখে দিতে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে ডাকসু নির্বাচনের এখন কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না নেওয়ার দাবি জানায় ছাত্রদল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এর জেরে সেদিন রাতে ‘ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার দাবিতে মিছিল করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীরা।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’
৩২ বছর ধরে অকার্যকর দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। ৪ মাস ধরে জাকসুর নির্বাচন দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এমনকি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে এসেছেন জাবির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর জাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুসারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জানুয়ারি। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন করা হবে ২৫ জানুয়ারি এবং নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
জাকসুর রোডম্যাপ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ ছাত্রসংগঠন স্বাগত জানিয়েছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা এ রোডম্যাপের ওপর আস্থা রাখতে চান। তবে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে। এখনই জাকসু নির্বাচন চায় না জাবি ছাত্রদল। সংস্কারের পর জাকসু নির্বাচন চান বলে নিশ্চিত করেছেন জাবি ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৎ, মেধাবী এবং দেশপ্রেমিক ছাত্রনেতা তৈরির উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)। তবে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে ১৪তম নির্বাচনের পর আর রাকসু নির্বাচন হয়নি। ফলে সিনেটে শিক্ষার্থীদের হয়ে কথা বলার মতো কোনো প্রতিনিধি নেই দীর্ঘ ৩৪ বছর। রাবিতেও এখন নতুন করে আলোচনায় রাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘ক্যাম্পাসের রাজনীতি কোন পথে চলবে, সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, রাকসুর রোডম্যাপও খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নীতিমালা সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। সেটি এবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘২ জানুয়ারি সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা গৃহীত হয়েছে। এখন আমরা দেখব, কোন কোন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে অনুমোদনের জন্য। নীতিমালা অনুমোদন হয়ে এলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা যাবে। তবে আমরা এর আগেও রোডম্যাপ দিয়ে দিতে পারি।’
প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন হয়েছে মাত্র ছয়বার। ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দিকে ১৯৭০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই ৩ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। এরপর ১৯৮০ এবং ১৯৮১ সালে পরপর আবার দুবার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। নির্বাচনের প্রায় ১১ মাস পর ছাত্রনেতা ফারুকুজ্জামান হত্যার শিকার হলে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু বন্ধ করে দেয়। এরপর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেখেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন চাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ করছে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব রয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় চাকসু নির্বাচনের অনুমোদন নিয়ে আবারও ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চাকসু নির্বাচনের নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
ছাত্রলীগের (বর্তমানে) নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ২৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। বন্ধ হওয়া রাজনীতি চালুসহ অধিকার নিশ্চিতে অচিরেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা। তবে প্রশাসন বলছে, এ বিষয়ে ভেবেচিন্তে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
১৯৯৮ সালের পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচন হয়নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘গত ১৫ বছরে ছাত্ররাজনীতির যে ইতিহাস, সেটি সাধারণ ছাত্ররা গ্রহণ করেননি। তাই তাঁদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে বাকৃবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা হয়। ছাত্ররাজনীতি চালু হলে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন যদি আমাদের কাছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে আসে, তাহলে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজসহ সারা দেশের প্রাচীন কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টিও আলোচনায় রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্র সংসদ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলার প্ল্যাটফর্ম। ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনে আমূল পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ কার্যকর করার বিকল্প নেই।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দ্রুত ডাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে। কোনো দলীয় সংগঠন ছাত্র সংসদের বিকল্প হতে পারে না। তবে আগে আমাদেরকে একটা যৌক্তিক সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। ন্যাচারাল জাস্টিস অনুসারেও এ সুযোগ পাওয়া আমাদের ন্যায্য দাবি। তারপর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।’
তবে ঘটা করে সব ক্যাম্পাসে একসঙ্গে নির্বাচন না দিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেন ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক ছিবগাতুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন দরকার। তবে একসঙ্গে সবগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার চেয়ে প্রাথমিকভাবে প্রধান ক্যাম্পাসগুলোতে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে নির্বাচন দেওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসগুলোতে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না থাকায় শিক্ষার্থীরা তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে ডাকসুসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কলেজেও ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।’
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা]

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্
০৮ জানুয়ারি ২০২৫
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগে