Ajker Patrika

যাত্রীসেবাসহ অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ‘ধর্মঘটে’ জেল-জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যাত্রীসেবাসহ অত্যাবশ্যক পরিষেবায় ‘ধর্মঘটে’ জেল-জরিমানা

যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় বেআইনি ধর্মঘট ডাকলে বা এতে সমর্থন দিলে জেল–জরিমানার বিধান রেখে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন-২০২২’ প্রণয়ন করছে সরকার। 

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। 

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বেআইনিভাবে অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট ডাকলে বা সমর্থন দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। জনজীবন ব্যাহত হয় এমন কোনো ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলেই আর ধর্মঘট বা হরতাল ডাকা যাবে না। তিনি আরও জানান, ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মন্ত্রিসভা এই আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল। খসড়াটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে সংসদে যাবে। এরপর গেজেট আকারে এটি জারি করবে সরকার। 

আইন অনুযায়ী, স্থল, জল, রেল ও আকাশপথের যাত্রী বা পণ্য সেবাও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বলে পরিচিত হবে। স্থল, সমুদ্র, নদী বা বিমানবন্দরের পণ্য খালাস, সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনায় কোনো প্রতিষ্ঠান বা এ সংক্রান্ত পরিষেবা। এর বাইরেও সরকার মনে করলে যে কোনো সেবাকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করতে পারবে। 

এ ছাড়া ডিজিটাল আর্থিক সেবা যেমন— মোবাইল আর্থিক সেবা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন এবং এর সঙ্গে যোগ করা হয়েছে গ্যাস ও কয়লা। এগুলো অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসেবে গণ্য হবে। এগুলোর বিষয়ে যদি কোনো অচলাবস্থা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেন সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইনটি আগেও ছিল। ১৯৫২ সালে প্রণীত দ্য এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (মেইনটেন্যান্স) অ্যাক্ট ও ১৯৫৮ সালে প্রণীত এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অরডিন্যান্স (ইস্ট পাকিস্তান অরডিন্যান্স) হিসেবে ছিল। ২০১৯ সালের ১৭ জুন মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামরিক সরকারের আমলে জারিকৃত অরডিন্যান্স ও রুলসগুলোকে আইনের আওতায় আনা এবং এসব আইন বাংলায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইনটি আগের দুটি অরডিন্যান্স থেকেই করা হচ্ছে। 

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইনটিতে ১৪টি ধারা আছে। ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে সরকার কোন বিষয়গুলোকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করবে। ৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কিছু চাকরিতে কর্মরতদের নির্দিষ্ট এলাকা ত্যাগ না করার ক্ষমতা, আরেক ধারায় বলা হয়েছে ধর্মঘট, লকডাউন বা লে-অফ নিষিদ্ধ করার কথা। অনেক সময় শিল্প প্রতিষ্ঠানে লে-অফ বা নকআউট করা হয়। সরকার যদি মনে করে এগুলো যৌক্তিক না। তাহলে এগুলো নিষিদ্ধ করতে পারবে।’

অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন প্রণয়ন ও বিভিন্ন জেল-জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়কারী ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, ‘যেকোনো শ্রমিক-কর্মচারীর সংগঠন করার অধিকার রয়েছে। আইনে শ্রমিক-কর্মচারীর মৌলিক অধিকার যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি বেআইনি লে–আউট চালু করে সে ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৬ মাসের কারাদণ্ড ও অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কেউ বেআইনি লে–অফে যদি প্ররোচনা দেয় তাহলে মূল অপরাধে যে শাস্তি সেই শাস্তিই পাবে। বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে যদি সরকারি কোনো অফিস হয়। যেমন কোনো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যদি লে–অফ ঘোষণা করেন তাহলে এর বাইরেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া সরকার যদি মনে করে তাহলে অন্যান্য যেকোনো সেবাকে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার আওতায় আনতে পারবে। বর্তমানে অত্যাবশ্যক পরিষেবার মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ই-কমার্স, ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল সেবা রয়েছে। সরকার মনে করে, এই সেবাগুলো যখন খুশি তখন বন্ধ করে দিতে পারবে না। যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘চাকরিতে কর্মরতদের কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সরকার বিদেশ যেতে নিষেধ করতে পারবে। অর্থাৎ সরকারের অনুমোদন ছাড়া দেশত্যাগ করতে পারবে না। এসব বিষয়ে আইনের বিধিতে বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।’

জনকল্যাণমূলক সেবা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমন সেবা; জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমন সেবাকেও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ঘোষণা করতে পারবে সরকার। জনগণের অসহনীয় কষ্টের কারণ হলে বা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সারা দেশে বা দেশের কোনো অংশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো চাকরি বা সংশ্লিষ্ট পরিষেবাকেও সরকার ছয় মাসের জন্য অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে। প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে পারবে সরকার। আইনে এমনটিও বলা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণকাজ

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির প্রকৌশলীসহ চারজনের নামে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির প্রকৌশলীসহ চারজনের নামে মামলা

রাজধানীর গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ না করে বিল উত্তোলনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ চারজনের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়টির চতুর্থ ও পঞ্চম তলার নির্মাণকাজ না করেই আগাম অর্থ উত্তোলন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ছাবের আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শামস জাভেদ এবং মেসার্স নির্মাণ প্রকৌশলের মালিক আবু সাইদ খান।

মামলার এজাহার বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন না করেই বিল উত্তোলন করেছেন। এভাবে তাঁরা ১ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮০৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বিল্ডিংয়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন না করে অতিরিক্ত বিল পরিশোধের অভিযোগে একটি দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। দুদকের অভিযানে অভিযোগর সত্যতা থাকায় কমিশন মামলা অনুমোদন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইনু-হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২ নভেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাসানুল হক ইনু ও মাহবুব উল আলম হানিফ। ছবি: সংগৃহীত
হাসানুল হক ইনু ও মাহবুব উল আলম হানিফ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দেওয়া হবে একই দিন।

আজ মঙ্গলবার পৃথক শুনানি শেষে এদিন ধার্য করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘ইনুর বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই সত্য নয়। কারণ, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় তিনি কোনো এমপি-মন্ত্রী ছিলেন না। অথচ তাঁকে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটির আওতায় এনেছে প্রসিকিউশন।’ তিনি ইনুর অব্যাহতির আবেদন জানান।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানিতে বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতা ছিলেন হাসানুল হক ইনু। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সব পরিকল্পনায় ছিলেন জোট নেতারা। শেখ হাসিনার সঙ্গে ইনুর কথোপকথনের মাধ্যমেও কমান্ড রেসপনসিবিলিটি প্রমাণ করে।’

এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি চার আসামির অব্যাহতির আবেদন করেন।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। তবে আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট কবে, সুপারিশে যা বলল ঐকমত্য কমিশন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট কবে, সুপারিশে যা বলল ঐকমত্য কমিশন

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।

ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। অবিলম্বে সরকার এই আদেশ গ্যাজেট আকারে জারি করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।

গণভোটের বিষয়ে আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।’

গণভোটের ব্যালটের প্রশ্ন হবে— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’

ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।

গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।

গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সেনাসদরে মঙ্গলবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা। ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
সেনাসদরে মঙ্গলবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা। ছবি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।

আজ মঙ্গলবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত