নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে সরকার বরং সহযোগিতা করেছে। উল্টো তারাই আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নবনির্মিত রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে। পুলিশ এ সময় অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
গত শনিবার খুলনায় বিএনপির সমাবেশের আগের দিন থেকে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি যেভাবে বাসে, লঞ্চে আগুন দিয়েছিল, জীবন্ত শ্রমিকদের পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দিয়ে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছিল, এ জন্য স্বাভাবিকভাবেই বাস এবং লঞ্চের মালিক ও শ্রমিকেরা উদ্বিগ্ন ছিল এবং সেই সব ও অন্যান্য কারণে তারা ধর্মঘট ডেকেছিলেন।’
এ সময় ড. হাছান তাঁর ট্যাবে ২০১৩-১৪-১৫ সালের কিছু সংবাদচিত্র সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন বিএনপির দেওয়া আগুনে বাস, লঞ্চ ও শ্রমিকেরা কীভাবে পুড়ে মৃত্যুবরণ করেছে। বিএনপি’র এই অপরাজনীতির আগুনের কারণেই তারা ধর্মঘট ডেকেছে।’
‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না’, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়া বেশ ক’বার বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের এমন নির্মম পরিহাস, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রথমে ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ ৩০ টির কম। পরবর্তীতে উপনির্বাচনের পর তাদের আসনসংখ্যা বেড়েছিল। আর আওয়ামী লীগ তখন তিন চতুর্থাংশ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছিল।’
২০১৮ সালে বিএনপি ডান-বাম, অতি ডান-অতি বাম সবাইকে নিয়ে, ড. কামাল হোসেনকে ‘হায়ার’ করে ঐক্য করে মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার ৩০ আসনের বক্তব্য যেমন তাদের বেলায় ঘটেছিল, আমার আশঙ্কা, ফখরুল সাহেবের এই ১০ আসনের বক্তব্যও আবার তাদের বেলায় ঘটে কি না!’
‘বিএনপির সমাবেশ দেখে আওয়ামী লীগ শঙ্কিত’, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা অনেক কথাই বলছেন আর আমাদের কর্মীরা বলেছেন যে, তাঁদের সমাবেশ দেখে ভয় লাগা তো দূরের কথা, আমাদের কাতুকুতু লেগেছে!’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বিএনপি তো ২ হাজার মানুষের সমাবেশ করে, এখন যখন ১০-১৫ হাজার মানুষ দেখেছেন তখন বক্তৃতা দিতে গিয়ে একটু খেই হারিয়ে ফেলেছে, এই হচ্ছে ঘটনা।’
বরং বিএনপি যাতে সমাবেশ করতে পারে সে জন্য আমরা সহযোগিতা করছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ খুলনায় প্রচণ্ড ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের ওপর তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে, এরপরও পুলিশ এবং আমাদের নেতা কর্মীরাও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বিএনপি নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সমাবেশ করেছে। আর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা হয়েছে। কিবরিয়া সাহেব, আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাবেশে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দিচ্ছেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আসলে জাতীয় পার্টিকে তো নানা জনে “বি টিম” বলে, তাই ওনারা যে বিরোধী দল এটি দেখানোর জন্য তিনি কিছু কড়া কড়া বক্তব্য রাখছেন, এটি ভালো। আমি আশা করব, জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ যে গন্ডগোলগুলো চলছে এগুলো তারা নিরসন করতে পারবে।’
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে সরকার বরং সহযোগিতা করেছে। উল্টো তারাই আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নবনির্মিত রেলস্টেশন ভাঙচুর করেছে। পুলিশ এ সময় অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
গত শনিবার খুলনায় বিএনপির সমাবেশের আগের দিন থেকে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি যেভাবে বাসে, লঞ্চে আগুন দিয়েছিল, জীবন্ত শ্রমিকদের পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দিয়ে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছিল, এ জন্য স্বাভাবিকভাবেই বাস এবং লঞ্চের মালিক ও শ্রমিকেরা উদ্বিগ্ন ছিল এবং সেই সব ও অন্যান্য কারণে তারা ধর্মঘট ডেকেছিলেন।’
এ সময় ড. হাছান তাঁর ট্যাবে ২০১৩-১৪-১৫ সালের কিছু সংবাদচিত্র সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, ‘দেখুন বিএনপির দেওয়া আগুনে বাস, লঞ্চ ও শ্রমিকেরা কীভাবে পুড়ে মৃত্যুবরণ করেছে। বিএনপি’র এই অপরাজনীতির আগুনের কারণেই তারা ধর্মঘট ডেকেছে।’
‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না’, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়া বেশ ক’বার বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। ভাগ্যের এমন নির্মম পরিহাস, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রথমে ২৯টি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ ৩০ টির কম। পরবর্তীতে উপনির্বাচনের পর তাদের আসনসংখ্যা বেড়েছিল। আর আওয়ামী লীগ তখন তিন চতুর্থাংশ আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছিল।’
২০১৮ সালে বিএনপি ডান-বাম, অতি ডান-অতি বাম সবাইকে নিয়ে, ড. কামাল হোসেনকে ‘হায়ার’ করে ঐক্য করে মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়ার ৩০ আসনের বক্তব্য যেমন তাদের বেলায় ঘটেছিল, আমার আশঙ্কা, ফখরুল সাহেবের এই ১০ আসনের বক্তব্যও আবার তাদের বেলায় ঘটে কি না!’
‘বিএনপির সমাবেশ দেখে আওয়ামী লীগ শঙ্কিত’, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা অনেক কথাই বলছেন আর আমাদের কর্মীরা বলেছেন যে, তাঁদের সমাবেশ দেখে ভয় লাগা তো দূরের কথা, আমাদের কাতুকুতু লেগেছে!’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে বিএনপি তো ২ হাজার মানুষের সমাবেশ করে, এখন যখন ১০-১৫ হাজার মানুষ দেখেছেন তখন বক্তৃতা দিতে গিয়ে একটু খেই হারিয়ে ফেলেছে, এই হচ্ছে ঘটনা।’
বরং বিএনপি যাতে সমাবেশ করতে পারে সে জন্য আমরা সহযোগিতা করছি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ খুলনায় প্রচণ্ড ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশের ওপর তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে, এরপরও পুলিশ এবং আমাদের নেতা কর্মীরাও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। বিএনপি নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সমাবেশ করেছে। আর বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা হয়েছে। কিবরিয়া সাহেব, আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাবেশে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দিচ্ছেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আসলে জাতীয় পার্টিকে তো নানা জনে “বি টিম” বলে, তাই ওনারা যে বিরোধী দল এটি দেখানোর জন্য তিনি কিছু কড়া কড়া বক্তব্য রাখছেন, এটি ভালো। আমি আশা করব, জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ যে গন্ডগোলগুলো চলছে এগুলো তারা নিরসন করতে পারবে।’
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করার কথা তুললেও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে না নির্বাচন কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) আগারগাঁওয়ে
১৮ মিনিট আগেপাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের ২৩তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার এবং বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ২৩তম বৈঠকে এটি অনুমোদন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা-২৪ বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ২৩তম বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে