
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
গত দুই দিনে অপসারিত এই জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানরা বহাল রয়েছেন। কিন্তু মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণের ফলে স্থানীয় সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ল।
অবশ্য স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। তবে গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এক পরিপত্রে বলেছে, অনেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দিতে পারবেন বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকেরা। প্যানেল মেয়রের অবর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ক্ষমতা অর্পণ করে জনসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় সরকারের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সচল রাখতে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৃথক আদেশে ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে। গতকাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ১৩(ঘ) ধারা প্রয়োগ করে দেশের ৪৯৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ থেকে অপসারণ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে মৃত্যুর কারণে খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। অপসারণ করা চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্য প্রজ্ঞাপনে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়। গত রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। মৃত্যু হওয়ার কারণে নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। ৬১টি জেলা পরিষদেই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভা মেয়রকে অপসারণ করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়রদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকেও অপসারণ করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিটি করপোরেশনগুলো হলো ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ। এই সিটির মেয়রদের স্থলে প্রশাসক বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হলেও কাউন্সিলরদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসক থাকলে কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করবেন কি করবেন না, সেটা এখন তাঁদের ব্যাপার। মূলকথা হচ্ছে, মেয়র এবং চেয়ারম্যানের জায়গায় প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করব। এখানে মারমার, কাটকাটের কোনো বিষয় নেই। এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।’
এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব বণ্টন: গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদারের সই করা পরিপত্রে বলা হয়, কতিপয় ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। উদ্ভূত অসুবিধাগুলো দূর করতে জারি করা আদেশে বলা হয়, অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের কাজ পরিচালনা এবং জনসেবা অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৩, ১০১ এবং ১০২ অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন। প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে অথবা যেকোনো জটিলতা দেখা দিলে আইনের ধারা ১০১ ও ১০২ প্রয়োগ করে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা, যেমন ইউএনও বা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউপিগুলোকে সচল রেখে জনসেবা অব্যাহত রাখবেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
গত দুই দিনে অপসারিত এই জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানরা বহাল রয়েছেন। কিন্তু মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণের ফলে স্থানীয় সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ল।
অবশ্য স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। তবে গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এক পরিপত্রে বলেছে, অনেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দিতে পারবেন বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকেরা। প্যানেল মেয়রের অবর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ক্ষমতা অর্পণ করে জনসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় সরকারের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সচল রাখতে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৃথক আদেশে ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে। গতকাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ১৩(ঘ) ধারা প্রয়োগ করে দেশের ৪৯৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ থেকে অপসারণ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে মৃত্যুর কারণে খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। অপসারণ করা চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্য প্রজ্ঞাপনে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়। গত রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। মৃত্যু হওয়ার কারণে নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। ৬১টি জেলা পরিষদেই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভা মেয়রকে অপসারণ করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়রদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকেও অপসারণ করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিটি করপোরেশনগুলো হলো ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ। এই সিটির মেয়রদের স্থলে প্রশাসক বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হলেও কাউন্সিলরদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসক থাকলে কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করবেন কি করবেন না, সেটা এখন তাঁদের ব্যাপার। মূলকথা হচ্ছে, মেয়র এবং চেয়ারম্যানের জায়গায় প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করব। এখানে মারমার, কাটকাটের কোনো বিষয় নেই। এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।’
এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব বণ্টন: গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদারের সই করা পরিপত্রে বলা হয়, কতিপয় ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। উদ্ভূত অসুবিধাগুলো দূর করতে জারি করা আদেশে বলা হয়, অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের কাজ পরিচালনা এবং জনসেবা অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৩, ১০১ এবং ১০২ অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন। প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে অথবা যেকোনো জটিলতা দেখা দিলে আইনের ধারা ১০১ ও ১০২ প্রয়োগ করে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা, যেমন ইউএনও বা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউপিগুলোকে সচল রেখে জনসেবা অব্যাহত রাখবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
১ ঘণ্টা আগে
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সচিব বলেন, আজ বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড হবে। এরপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমি আবার আপনাদের জানাব।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংলাপ ঢাকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চলবে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অধীনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ ও উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। শেষ দিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চান। এ সময় পদত্যাগ ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সে প্রশ্নে বলেন, সেটি পরে জানাবেন।
আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগেই দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন ছিল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আজ বেলা ৩টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বলে গতকাল প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। উপদেষ্টা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরেক ছাত্র প্রতিনিধি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বা তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অধীনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগ ও উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন আসিফ মাহমুদ। শেষ দিকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন চান। এ সময় পদত্যাগ ও আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ জানান, তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোন দলের মনোনয়ন নেবেন, সে প্রশ্নে বলেন, সেটি পরে জানাবেন।
আজ সন্ধ্যায় বা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগেই দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন ছিল।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আজ বেলা ৩টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বলে গতকাল প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। উপদেষ্টা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরেক ছাত্র প্রতিনিধি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বা তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৪
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সচিব বলেন, আজ বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড হবে। এরপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমি আবার আপনাদের জানাব।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংলাপ ঢাকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চলবে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও চার কমিশনারের সাক্ষাৎ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সচিব বলেন, নির্বাচন প্রস্তুতি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে আমরা হালনাগাদ তথ্য জানাই। রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে—গত জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের অগ্রগতি, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন এবং তাদের সদস্যসংখ্যার অবস্থা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটোই একই দিনে আয়োজনের বিষয়। ব্যালট পেপারের নকশা, রং এবং কীভাবে ভোটারদের হাতে এটি পৌঁছাবে— এসব প্রক্রিয়া। পূর্ববর্তী ভোটগ্রহণে সময় ব্যবহারের অভিজ্ঞতা এবং এবার সময় বৃদ্ধি (সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা) করার যৌক্তিকতা।
সচিব আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি এসব বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রযুক্তিগত দিকগুলো আমাদের নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে— এ তথ্য শুনে তিনি আরও খুশি হন। তিনি নির্বাচন কমিশনের অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সহায়তা তিনি দেবেন।
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সচিব বলেন, আজ বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড হবে। এরপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমি আবার আপনাদের জানাব।

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও চার কমিশনারের সাক্ষাৎ শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সচিব বলেন, নির্বাচন প্রস্তুতি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে আমরা হালনাগাদ তথ্য জানাই। রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে—গত জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের অগ্রগতি, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন এবং তাদের সদস্যসংখ্যার অবস্থা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটোই একই দিনে আয়োজনের বিষয়। ব্যালট পেপারের নকশা, রং এবং কীভাবে ভোটারদের হাতে এটি পৌঁছাবে— এসব প্রক্রিয়া। পূর্ববর্তী ভোটগ্রহণে সময় ব্যবহারের অভিজ্ঞতা এবং এবার সময় বৃদ্ধি (সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা) করার যৌক্তিকতা।
সচিব আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি এসব বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রযুক্তিগত দিকগুলো আমাদের নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে— এ তথ্য শুনে তিনি আরও খুশি হন। তিনি নির্বাচন কমিশনের অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সহায়তা তিনি দেবেন।
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সচিব বলেন, আজ বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড হবে। এরপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমি আবার আপনাদের জানাব।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংলাপ ঢাকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চলবে।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংলাপ রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চলবে।
২০১২ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে এই প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় চলমান বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে।
আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ওই প্রতিরক্ষা সংলাপ দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও এই সংলাপে উভয় দেশের সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে। উল্লিখিত সংলাপ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তি রক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মহড়া, কর্মশালা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।
এই প্রতিরক্ষা সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আলী হায়দার সিদ্দিকী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারাহ রুস। এ ছাড়া সংলাপে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।
দুই দিনের এই প্রতিরক্ষা সংলাপের মাধ্যমে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংলাপ রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চলবে।
২০১২ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে এই প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় চলমান বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে।
আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, ওই প্রতিরক্ষা সংলাপ দুই দেশের পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও এই সংলাপে উভয় দেশের সামরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে। উল্লিখিত সংলাপ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, দুর্যোগ মোকাবিলা, শান্তি রক্ষা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন, যৌথ অনুশীলন ও মহড়া, কর্মশালা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।
এই প্রতিরক্ষা সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, অপারেশনস ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আলী হায়দার সিদ্দিকী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারাহ রুস। এ ছাড়া সংলাপে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।
দুই দিনের এই প্রতিরক্ষা সংলাপের মাধ্যমে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং পারস্পরিক আস্থা ও বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
১ ঘণ্টা আগে
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সচিব বলেন, আজ বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড হবে। এরপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমি আবার আপনাদের জানাব।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আগামী নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে আজ বুধবার সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দেশের সব জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইতিহাস আমাদের নতুন করে একটি সুযোগ দিয়েছে। অন্য জেনারেশন এই সুযোগ পাবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারব। আর যদি না পারি, তাহলে জাতি মুখ থুবড়ে পড়বে। এর আগেও আমরা নির্বাচন দেখেছি। বিগত আমলে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, যেকোনো সুস্থ মানুষ বলবে—এটা নির্বাচন নয়, প্রতারণা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অন্যান্য দায়িত্বের মতো নয়; বরং একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আমরা যদি ভালোভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আগামী নির্বাচনের দিনটি জনগণের জন্যও ঐতিহাসিক হবে।’
ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে সরকার তার দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।’
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোট দুটিই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আর গণভোট শত বছরের জন্য। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশটাকে স্থায়ীভাবে পাল্টে দিতে পারি। যে নতুন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই, তার ভিতটা এর মাধ্যমে গড়তে পারি।’
এ সময় সদ্য যোগদান করা ইউএনওদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর নির্বাচন আয়োজন করা।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউএনওদের নিজ নিজ এলাকার সব পোলিং স্টেশন পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ, এলাকাবাসী ও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গণভোট বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বোঝাতে হবে, আপনারা মন ঠিক করে আসুন—“হ্যাঁ”-তে দেবেন নাকি “না”-তে ভোট দেবেন। মন ঠিক করে আসুন।’
কর্মকর্তাদের ধাত্রীর সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধাত্রী ভালো হলে জন্ম নেওয়া শিশুও ভালো হয়।
তিনি কর্মকর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সৃজনশীল হওয়ার পাশাপাশি অপতথ্য ও গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারীরা যেন ঠিকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিগগির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস ইউএনওদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত কখন, কীভাবে, কোন কাজটি করবেন—তার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন থেকেই নিন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও জনপ্রশাসন সচিব মো. এহছানুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
২০ আগস্ট ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধির মধ্যে একজন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেননি।
১ ঘণ্টা আগে
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সচিব বলেন, আজ বিকেল ৪টায় মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড হবে। এরপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণার সময় নির্ধারণ করা হবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে আমি আবার আপনাদের জানাব।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদারে ১২তম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপ আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই সংলাপ ঢাকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চলবে।
১ ঘণ্টা আগে