নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এবং নিয়োগের মধ্যে যে পার্থক্য, এটা বুঝতে হবে। রাষ্ট্রপতিকে কেউ নিয়োগ দেননি, তিনি নির্বাচিত।’
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘একটি প্রশ্ন উঠেছে যে প্রার্থীর সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে। এটা সত্য যে দুদক আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। এটা আছে। এটার আলোকে বিষয়টি বিবেচ্য। এতে করে অনেকে বলতে চেয়েছেন যে রাষ্ট্রপতির পদটি একটি লাভজনক পদ।’
রায়টি সম্পর্কে অবগত জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচনী কর্তা হিসেবে ওই রায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলাম। কারণ, পরীক্ষা করার সময় যেটাকে বাছাই বলে, সেটা কিন্তু একটা দায়সারা গোছের দায়িত্ব নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে, প্রার্থী যা-ই বলুক, কমিশনারেরও দায়িত্ব আছে বাছাই করে দেখা যে প্রার্থীর কোনো সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে কি না। আমরা দেখলাম, প্রথমত স্পষ্টত কোনো আইনগত অযোগ্যতা নেই। এ কারণে ৯ ধারায় (দুদক আইনের) বলেছে, কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। আমরা কিন্তু এখান থেকে প্রার্থীকে নিয়োগ দান করিনি। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দান করেননি। প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ দান করেননি। কেউ নিয়োগ দান করেননি এবং কেউ নিয়োগ দান করতে পারেন না। উনি নির্বাচিত হয়েছেন। আইন তাঁকে নির্বাচিত করেছে প্রচলিত প্রথা অনুসরণ করে।’
নির্বাচন এবং নিয়োগের মধ্যে যে পার্থক্য, এটা বুঝতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এটাকে আলোচনায় না এনে ওনাকে লাভজনক পদে বসানো হয়েছে বা হতে যাচ্ছে। আমাদের নির্বাচন ও নিয়োগের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। তাঁকে যদি এখান থেকে নিয়োগ দান করা হতো। তাহলে সেটি অবশ্যই অবৈধ হতো। কারণ, নিয়োগদানের কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃত্ব আমাদের নেই, কারোরই নেই।’
সিইসি বলেন, ‘যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত একটি রায় বলে দিয়েছে যে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, ঠিক তেমনি একজন অবসরপ্রাপ্ত দুদকের কমিশনার রাষ্ট্রপতি পদে কোনোভাবেই অবৈধ নন। সেই দিক থেকে এই প্রশ্নে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিটা অনাবশ্যক বা সমীচীন হবে না বলে আমি মনে করি।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘উনি নির্বাচিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে, প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা। যেহেতু একজন মাত্র প্রার্থী ছিলেন এবং তাঁর দুটি মনোনয়নপত্র ছিল। আমি সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছি এবং প্রচলিত যে আইনকানুন, সংবিধান—সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছি। তাঁর (মো. সাহাবুদ্দিন) এই পদে নির্বাচিত হতে কোনো ধরনের অযোগ্যতা নেই।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে যদি এ ধরনের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, সেটা হবে অনাকাঙ্ক্ষিত।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ নির্বাচিত হয়েছিলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত হননি।’
সাংবিধানিক পদে তো আপনারাও, অবসরে যাওয়ার পর আপনাদের কি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে বাধা থাকছে? জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আপনি আমাকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেখেন, তখন আমি দেখব, সেটা গ্রহণ করতে পারব কি পারব না। আমি ওই পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হব না। আমাদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে যে নির্বাচন কমিশনার যাঁরা আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে শুধু একটা অপশন আছে যে ওনারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ লাভ করতে পারবেন। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কর্মাবসানের পর তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে পুনর্নিয়োগ লাভে অযোগ্য হবেন।’
তাহলে কি নির্বাচন করতে পারবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি নির্বাচন করতে পারব। আমার ব্যক্তিগত মত। সেই ক্ষেত্রে ওখানে যদি বলে আমি নিয়োগের অযোগ্য, তো আমি একটি যুক্তি নিতে পারি যে আমি নিয়োগের অযোগ্য কিন্তু নির্বাচনের অযোগ্য নই।’
রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এবং নিয়োগের মধ্যে যে পার্থক্য, এটা বুঝতে হবে। রাষ্ট্রপতিকে কেউ নিয়োগ দেননি, তিনি নির্বাচিত।’
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘একটি প্রশ্ন উঠেছে যে প্রার্থীর সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে। এটা সত্য যে দুদক আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। এটা আছে। এটার আলোকে বিষয়টি বিবেচ্য। এতে করে অনেকে বলতে চেয়েছেন যে রাষ্ট্রপতির পদটি একটি লাভজনক পদ।’
রায়টি সম্পর্কে অবগত জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচনী কর্তা হিসেবে ওই রায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলাম। কারণ, পরীক্ষা করার সময় যেটাকে বাছাই বলে, সেটা কিন্তু একটা দায়সারা গোছের দায়িত্ব নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে, প্রার্থী যা-ই বলুক, কমিশনারেরও দায়িত্ব আছে বাছাই করে দেখা যে প্রার্থীর কোনো সাংবিধানিক বা আইনগত অযোগ্যতা রয়েছে কি না। আমরা দেখলাম, প্রথমত স্পষ্টত কোনো আইনগত অযোগ্যতা নেই। এ কারণে ৯ ধারায় (দুদক আইনের) বলেছে, কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হবেন না। আমরা কিন্তু এখান থেকে প্রার্থীকে নিয়োগ দান করিনি। প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দান করেননি। প্রধান বিচারপতিও নিয়োগ দান করেননি। কেউ নিয়োগ দান করেননি এবং কেউ নিয়োগ দান করতে পারেন না। উনি নির্বাচিত হয়েছেন। আইন তাঁকে নির্বাচিত করেছে প্রচলিত প্রথা অনুসরণ করে।’
নির্বাচন এবং নিয়োগের মধ্যে যে পার্থক্য, এটা বুঝতে হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘এটাকে আলোচনায় না এনে ওনাকে লাভজনক পদে বসানো হয়েছে বা হতে যাচ্ছে। আমাদের নির্বাচন ও নিয়োগের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। তাঁকে যদি এখান থেকে নিয়োগ দান করা হতো। তাহলে সেটি অবশ্যই অবৈধ হতো। কারণ, নিয়োগদানের কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃত্ব আমাদের নেই, কারোরই নেই।’
সিইসি বলেন, ‘যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চূড়ান্ত একটি রায় বলে দিয়েছে যে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, ঠিক তেমনি একজন অবসরপ্রাপ্ত দুদকের কমিশনার রাষ্ট্রপতি পদে কোনোভাবেই অবৈধ নন। সেই দিক থেকে এই প্রশ্নে বিভিন্ন ধরনের মতামত দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিটা অনাবশ্যক বা সমীচীন হবে না বলে আমি মনে করি।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘উনি নির্বাচিত হয়েছেন পরোক্ষভাবে পুরো দেশবাসীর পক্ষে, প্রত্যক্ষভাবে জাতীয় সংসদের সদস্যদের দ্বারা। যেহেতু একজন মাত্র প্রার্থী ছিলেন এবং তাঁর দুটি মনোনয়নপত্র ছিল। আমি সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছি এবং প্রচলিত যে আইনকানুন, সংবিধান—সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছি। তাঁর (মো. সাহাবুদ্দিন) এই পদে নির্বাচিত হতে কোনো ধরনের অযোগ্যতা নেই।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির প্রশ্নে যদি এ ধরনের অবান্তর বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, সেটা হবে অনাকাঙ্ক্ষিত।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ নির্বাচিত হয়েছিলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত হননি।’
সাংবিধানিক পদে তো আপনারাও, অবসরে যাওয়ার পর আপনাদের কি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে বাধা থাকছে? জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আপনি আমাকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দেখেন, তখন আমি দেখব, সেটা গ্রহণ করতে পারব কি পারব না। আমি ওই পদে নিয়োগ লাভে যোগ্য হব না। আমাদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে যে নির্বাচন কমিশনার যাঁরা আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে শুধু একটা অপশন আছে যে ওনারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ লাভ করতে পারবেন। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কর্মাবসানের পর তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোনো লাভজনক পদে পুনর্নিয়োগ লাভে অযোগ্য হবেন।’
তাহলে কি নির্বাচন করতে পারবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি নির্বাচন করতে পারব। আমার ব্যক্তিগত মত। সেই ক্ষেত্রে ওখানে যদি বলে আমি নিয়োগের অযোগ্য, তো আমি একটি যুক্তি নিতে পারি যে আমি নিয়োগের অযোগ্য কিন্তু নির্বাচনের অযোগ্য নই।’
শুধু পাঠদান নয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যেন অনেক কাজের কাজি। ভোট গ্রহণ, ভোটার তালিকা, শুমারি, জরিপ, টিকাদান, কৃমিনাশক ওষুধ ও ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো, টিসিবির চাল বিতরণ, বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ বারোয়ারি অন্তত ২০ ধরনের কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। সরকারি এসব কাজে বছরে ব্যস্ত থাকছেন কমপক্ষে...
৯ ঘণ্টা আগেদেশের সব আসামির মামলা-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত থাকা পুলিশের ক্রিমিনাল ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারে মাদক কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না সরকার। পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নিজস্ব সিডিএমএস তৈরি করবে।
১০ ঘণ্টা আগে২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ হারিয়েছিলেন দুই কলেজশিক্ষার্থী। সেই ঘটনার পর শুরু হয়েছিল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। ধরন ও মাত্রার দিক থেকে তা ছিল দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ঢাকার হাজারো শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে।
১০ ঘণ্টা আগেপুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) আশঙ্কা, ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে। দলটির কিছু নেতা-কর্মী এ সময় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
১০ ঘণ্টা আগে