Ajker Patrika

নতুন ১০ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পেও আ. লীগের সুবিধাপ্রাপ্তরা এগিয়ে

  • ১০টি কেন্দ্র স্থাপনে গত ডিসেম্বরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে
  • জমি ও অভিজ্ঞতার শর্তের কারণে সুবিধা পাবে আগের প্রতিষ্ঠান
  • সময়ের কারণে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়া কঠিন
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮: ৪১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৯টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এই বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বাতিল করে। এগুলোর মধ্যে ৪০টি কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। ১০টি কেন্দ্রের জন্য গত ডিসেম্বরে দরপত্র আহ্বান করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। কিন্তু দরপত্রের শর্তের কারণে বিগত সময়ে বিদ্যুৎ খাতে সুবিধাপ্রাপ্ত ও এসব কেন্দ্র স্থাপনে অনুমতির শেষ পর্যায়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোই এবারও এগিয়ে।

বিদ্যুৎসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগে গুঞ্জন রয়েছে, বিগত আমলে সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র পাইয়ে দিতে নেপথ্যে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আলোচনা করছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৪৮টি নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে ১০টি উৎপাদনে এসেছে, বাকিগুলো নির্মাণাধীন। এর মধ্যে সরকারি মালিকানার কেন্দ্র ৭টি, বাকিগুলো বেসরকারি মালিকানার। এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুটি বায়ু ও দুটি বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

সূত্র জানায়, প্রতি মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৩ একর জমি প্রয়োজন। এ হিসাবে ৩০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র নির্মাণে প্রয়োজন ৯০ একর বা ২৭০ বিঘা জমি। তবে এই জমির পুরোটাই হতে হবে অকৃষি। এ শর্তের কারণে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের গতি শ্লথ। বিগত সরকার ৫৯টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমতি দেওয়ার শেষ পর্যায়ে ছিল। এসব কেন্দ্র নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান ওই সময় জমি কেনা বা সংগ্রহের কাজ শেষ করেছিল। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার ওই ৫৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করে। এগুলোর মধ্যে ১০টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র আগে নির্ধারিত স্থানে নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম গতকাল শনিবার বিকেলে মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাঁরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবসা করেন বা এই লাইনের লোক, তাঁদের সব ধরনের কাগজপত্রের প্রস্তুতি থাকে। আমরা আশাবাদী যে এই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। যদি না পারেন, তখন বিষয়টি ভেবে দেখা যাবে।’

পিডিবির প্রকৌশলীরা বলছেন, ৫ ডিসেম্বর দেশের ৯টি স্থানে ১০টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, কেন্দ্র করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) উপকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ একর জমি থাকতে হবে এবং কেন্দ্র চালানোর দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু ৯০ দিনের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নির্দিষ্ট এলাকায় ১০০ থেকে ১৫০ একর অকৃষি জমি সংগ্রহ করা কঠিন। দেশে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুই বছর এমন কেন্দ্র চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। তাই বিগত সরকারের সময়ে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে দেশে একটি কোম্পানি গঠন করে সেই কোম্পানির নামে কেন্দ্র নিতে আবেদন করেছিল। কিন্তু এখন এত অল্প সময়ে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠান এমন কোম্পানি করতে পারবে না।

পিডিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বলছেন, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের কোম্পানি খুলতে অনেক সময় লাগবে। ৫০ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে যদি ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়, এর ২০ শতাংশ বৈধ অর্থ উদ্যোক্তাদের থাকতে হবে। বিদেশি বা লিড কোম্পানিকে আবার এই ২০ শতাংশ অর্থের অর্ধেকের বেশি দিতে হবে। এই শেয়ারের মালিকানা পেতে আগ্রহী বিদেশি কোম্পানিকে বিদেশ থেকে বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকে মার্কিন ডলার দিতে হবে। সেই ডলার পাওয়ার সনদ নিয়ে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে জমা দিতে হবে। এরপর যৌথ বিনিয়োগের কোম্পানি গঠন করা যাবে। এরপর ওই বিদেশি কোম্পানির গত পাঁচ বছরের অডিট রিপোর্ট, আর্থিক রিপোর্টসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হবে নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়া করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানবিশেষে এক বছরও লেগে যায়। ফলে এই দরপত্রে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। বরং বিগত সরকারের সময়ে অনুমতি পাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোই অংশ নিতে পারবে।

শর্তপূরণে সক্ষম কেবল পুরোনোরা

যে ১০টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নোয়াখালীর সুধারাম উপকেন্দ্রে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র। বিগত সরকারের আমলে সেখানে ১০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য গ্লোবাল গ্রিনজেন লিমিটেড অনুমতি পাওয়ার শেষ পর্যায়ে ছিল। শর্ত অনুযায়ী জমি থাকায় এবারও গ্লোবাল গ্রিনজেন দরপত্রে অংশ নেবে বলে জানা গেছে। সেখানে আর কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে এই জমি নেই।

চট্টগ্রামের রাউজানে গত সরকারের আমলে ১৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি চূড়ান্ত হয়েছিল, যা ছিল চীনা রিসোর্স পাওয়ার হোল্ডিংস কোম্পানি লিমিটেড ও কর্ণফুলী এনার্জি লিমিটেড বাংলাদেশের। এখন সেখানে ১৮ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এই কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ওই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকায় দরপত্রে অংশ নিলে তারাই অনুমতি পাবে।

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩০ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে সেখানে একই ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতির শেষ পর্যায়ে ছিল, যেটি পেতে যাচ্ছিল প্রগতি কনসোর্টিয়াম ও পিডিএল গ্রিনি সোলার পাওয়ার লিমিটেডের কনসোর্টিয়াম। পিডিবির প্রকৌশলীরা বলছেন, দরপত্রের শর্তের কারণে এবারও ওই কনসোর্টিয়ামের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে বিগত সরকারের আমলে একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি প্রক্রিয়াধীন ছিল। এবারও সেখানে ২৫ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। মৌলভীবাজারে ২৫ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি বিগত সরকারের আমলে প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। কেন্দ্রটি পেতে যাচ্ছিল ভিদুলঙ্কা, উইন্ড ফোর্স ও আইকোন এনার্জি নামের তিনটি কোম্পানির কনসোর্টিয়াম। এবার সেখানে একই ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের দরপত্র ডাকা হয়েছে। এই তিনটি কোম্পানির কনসোর্টিয়ামের কাছে কেন্দ্র করার প্রয়োজনীয় জমি আছে।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠান ডরিন পাওয়ারের মালিক এশিয়ান এনটেক পাওয়ার করপোরেশন এবং জাপানি প্রতিষ্ঠান এক্সিয়া পাওয়ার হোল্ডিং যৌথভাবে একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি পাওয়ার শেষ পর্যায়ে ছিল। সেখানে এবার একটি ৪৫ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র ডাকা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তাহজীব আলম সিদ্দিকী একটি হত্যাসহ তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ১ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

সরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারছে না

দরপত্রে অংশ নিতে দুই বছর কেন্দ্র চালানোর অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর এক থেকে দেড় বছরের অভিজ্ঞতা থাকায় সেগুলো এই দরপত্রে অংশ নিতে পারছে না। অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্র চালানোর অভিজ্ঞতা মূলত বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে কথিত জয়েন্ট ভেঞ্চার দেখিয়ে পূরণ করে। বিগত সরকারের আমলে যে কোম্পানিগুলোকে অনুমতির জন্য প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছিল, সেগুলোও ছিল দেশি ও বিদেশি কোম্পানির জয়েন্ট ভেঞ্চার। অভিযোগ রয়েছে, এই যৌথ মালিকানা মূলত কাগজ-কলমে, বাস্তবে মালিক হয় দেশি কোম্পানি।

প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বে যখন সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমছে, তখন দেশে ব্যয় অনেক বেশি। ভারতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ইউনিটে ব্যয় পড়ছে গড়ে ৫ দশমিক ৩ সেন্ট ও পাকিস্তানে ৩ দশমিক ২ সেন্ট। দেশে সৌরবিদ্যুতের যেসব চুক্তি করা হয়েছে বেসরকারি কেন্দ্রের সঙ্গে, তাদের উৎপাদন ব্যয় ১১ সেন্ট থেকে ১৯ সেন্ট পর্যন্ত। নতুন যে ১০টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হবে সেগুলোর উৎপাদন ব্যয় ৯ থেকে ১০ সেন্টের মধ্যে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিন্ডিকেট মুক্ত করতে না পারলে এই পরিবর্তনের কোনো মূল্য নেই। আর দরপত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই বিশেষ ব্যবস্থায় রাখতে হবে। এসব না করা হলে সবকিছু আগের মতোই চলছে, চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হত্যা বন্ধের কোনো ম্যাজিক নেই, মন্তব্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

হত্যা বন্ধে কোনো ম্যাজিক বা সুইচ অন-অফের মতো কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও দেননি তিনি।

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুরে এক পুলিশ সদস্যের মা-বাবাকে হত্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরে যে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের এক সন্তান পুলিশে, আরেকজন র‍্যাবে কর্মরত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের আগে এসব হত্যার ঘটনা ঘটছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একজন সাংবাদিক। তখন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে না, এ ধরনের ঘটনা তো ঘটছে, আমি তো অস্বীকার করি না। আর নির্বাচনের আগে যে এগুলোর সব বন্ধ হয়ে যাবে, তা-ও আমি বলতে পারি না। যদি আমার কাছে কোনো ম্যাজিক থাকত বা লাইট অন-অফের মতো কোনো সুইচ থাকত, তাহলে আমি করে দিতাম; লাইট অফ, এখন আর কোনো কিলিং-টিলিং কোনো কিছু হবে না। আমার কাছে তো ও রকম কোনো ম্যাজিক নেই।’

নির্বাচনের প্রস্তুতি খুবই ভালো জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সব বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেমন হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা যাব। আশা করছি, জানুয়ারির মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সবকিছুই নিচ্ছি। নির্বাচনের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে বডি ক্যামেরা থাকবে।’

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বেড়েছে। সূর্যের আলোর পরেও ভোট গ্রহণ করতে হবে। যে এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে কী ব্যবস্থা করা যায়; যেখানে বিদ্যুৎ আছে, সেখানে যেন বিদ্যুৎ থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

জাতীয় পার্টিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামতে দিচ্ছে না জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (প্রতিযোগিতার সমান সুযোগ) সবার জন্য নিশ্চিত করা হবে কি না; জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে মাঠে নামতে দিচ্ছে না? সবাই মাঠেই তো। পুরো মাঠ তো তারাই গরম করে রেখেছে। সবাই আছে। কে কী বলে, তা তো না। অনেকে আছে ঘর থেকে বের হতেই চায় না। বলে, আমি বের হতে পারছি না, কিন্তু তার শরীরের অবস্থা এ রকম যে বের হলেই ঠান্ডা লাগবে। সে এ জন্য বের হতে চায় না। তাদের (জাতীয় পার্টি) কার্যালয় নিয়েই তো তাদের ঝামেলা। সেটা তো আপনারাও জানেন।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই জাদুঘর জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার আগে আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলাপ করেছি, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে জাদুঘরে আসা-যাওয়া করতে পারে। লুট হওয়া অস্ত্র প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৭
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ৩১ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত
আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ৩১ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৩১ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩১ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁদের ব্র্যাকের পরিবহন ও জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।

ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশ নোয়াখালীর। এ ছাড়া সিলেট, ফেনী, শরিয়তপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা রয়েছেন।

ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে প্রায় ৬০ ঘণ্টা হাতে হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে দেশে আনা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে এনে তাঁদের শিকলমুক্ত করা হয়। এর আগে চলতি বছরে ২২৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। তাঁদের বেশির ভাগকে একইভাবে হাতকড়া ও শিকল পরানো হয়েছিল।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা এই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এই ৩১ জনের মধ্যে অন্তত সাতজন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নথিপত্রহীন কাউকে ফেরত পাঠানোটা হয়তো স্বাভাবিক, কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার ঘটনা অমানবিক।’

শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, ব্রাজিলে যাঁদের কাজের নামে পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের অধিকাংশ ব্রাজিল থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। এ জন্য একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করছেন, কিন্তু ফিরছেন শূন্য হাতে। যে এজেন্সি তাঁদের পাঠিয়েছিল এবং যাঁরা এই অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় ছিলেন, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হওয়া জরুরি।’

এদিকে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জোরদার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৩৯ জন ও ৮ জুন আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়। তারও আগে চলতি বছরের ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।

মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় নির্বাচনে এমপি প্রার্থীদের খেলাপি তথ্য হালনাগাদের তাগিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলকারী প্রার্থীদের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত সব তথ্য দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনের যাচাইপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সিআইবি ডেটাবেইসে প্রার্থীদের ঋণ, শ্রেণীকরণ অবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদনে পুরোনো পরিচয় তথ্য, অসম্পূর্ণ কেওয়াইসি-ই-কেওয়াইসি, ক্রেডিট কার্ড ফি বকেয়া থেকে ভুল শ্রেণীকরণ এবং অমন্দ ঋণকে মন্দ দেখানোর মতো ঘাটতি রয়েছে, যা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকগুলোকে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী, খেলাপির সংজ্ঞা কঠোরভাবে মানতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য দ্রুত হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সিআইবি-সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের বিচারাধীন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং যেসব মামলার রায় হয়েছে বা মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেগুলোর তথ্য দ্রুত সিআইবিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ শিখতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন সমন্বয়কসহ ১২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত
১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে দুজন কর্মকর্তা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কর্মী পর্যায়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিংস্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১০ জন কর্মী ও সমন্বয়ক হিসেবে আরও দুজন কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। তাঁরা আজ দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদানে পরিচালিত এ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণটি ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে প্রকল্পের অংশ হিসেবে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় ৬০ জন কর্মীকে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে নেওয়া মূল্যায়নের ভিত্তিতেই বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এই কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে রেলওয়ের সক্ষমতা আরও বাড়বে।

রেলসংশ্লিষ্টদের মতে, কর্মী পর্যায়ে বিদেশে প্রশিক্ষণ কর্মীদের কাজে উৎসাহ জোগাবে এবং সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের সেবা ও রক্ষণাবেক্ষণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। তাঁরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক, দারোয়ান পুলিশ হেফাজতে

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লীবলিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি— আসিফের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

খুলনার কমিশনার, ১৩ এসপিসহ পুলিশের ২২ কর্মকর্তাকে বদলি

জাতীয় পার্টিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না, নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত