Ajker Patrika

পাসপোর্ট ফেরত পেলেন না মডেল মেঘনা আলম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৩
মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত
মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলায় আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছিল। তবে পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে করা আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম নামঞ্জুর করেন।

অবশ্য মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা ম্যাকবুক, দুটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় সেগুলো ফেরতের বিষয়ে আদেশ হয়নি।

গত ২২ জুন মেঘনা আলম তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা ম্যাকবুক, পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জিম্মায় নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২৯ জুলাই ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে মোবাইল ও ল্যাপটপে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি-না তা তদন্তের নির্দেশ দেন।

আজ মেঘনার আইনজীবী মহসিন রেজা ও মহিমা বাঁধন মেঘনার ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদনের শুনানি করেন। আদালত পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং ল্যাপটপ ও মোবাইলের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর আদেশ দেবেন বলে জানান।

মেঘনার আইনজীবী মহসিন রেজা পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

শুনানির সময় মেঘনা আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ২৮ এপ্রিল মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়। আদালত তাঁকে জামিন দেন। ওই দিনই কারামুক্ত হন তিনি। এরপর থেকে তিনি জামিনে আছেন।

গত ৯ এপ্রিল বাসা থেকে আটক হন মেঘনা আলম। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১৭ এপ্রিল কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মেঘনাকে ধানমন্ডি থানার চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়।

মেঘনা আলম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সমির এবং আরও দু-তিনজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন—এমন অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেল করে অর্থ আদায় করতেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তাঁরা।

শুনানি শেষে মেঘনা আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার ম্যাকবুক, পাসপোর্ট, মোবাইল সেট ও ল্যাপটপ ফেরত চেয়েছি। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩১ আগস্ট আবার শুনানি হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বিহার নির্বাচন: লড়বেন না প্রশান্ত কিশোর, ‘নিশ্চিত পরাজয়’ দেখছেন বিজেপি জোটের

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করছে চ্যাটজিপিটি, শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত