নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘মুখে না শুধু, আমরা তো প্রমাণ করে দেখিয়েছি যে ৭ তারিখের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।’ আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের বার্তা হবে—যেহেতু নির্বাচনটা আমরা মুখে না শুধু, আমরা তো প্রমাণ করে দেখিয়েছি ৭ তারিখের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এরপরে ৮ তারিখের নির্বাচনটাও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ভোটারদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা ভোটকেন্দ্রে আসুক, তাদের যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকারটা প্রয়োগ করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারণ, আপনার অধিকারটা যদি আপনি প্রয়োগ না করেন। তাহলে উপযুক্ত প্রার্থী যিনি আছেন, তিনি হয়তো ভোটে হেরে যেতে পারেন। ভোটারদের এসে যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দেওয়া উচিত।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে, সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশ, প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।’
গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছেন, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছেন আপনারা? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের কয়েক দিন পর এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নির্বাচনের কারণে না কি, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বা সামাজিক কারণে, সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এ ছাড়া নির্বাচন না থাকলে যে আমাদের দেশে সহিংসতা হয় না, তা কিন্তু নয়। তবে আমরা চাই না—একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটুক।’
নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্রবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি। ওই সময়ের মধ্যে যদি কিছু ঘটত, তাহলে কিন্তু তারা ওই এলাকা ত্যাগ করত না, থেকে যেত।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘যেহেতু শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে। ভোটাররা ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারছেন। আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি হয়নি। সে ক্ষেত্রে ভোটাররাও ভোট দিতে যেতে আগ্রহী হতেই পারে।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘তবে কত ভোট পড়বে, সেটি অগ্রিম বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। নির্বাচনের ওয়ার্ম সিচুয়েশন আছে। যেহেতু সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, সে ক্ষেত্রে ভোটারের সংখ্যা কেমন হবে, সেটি অগ্রিম বলা সম্ভব না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ, বিষয়টা এমন নয়। তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি, এসব কারণে ভোট কম পড়েছে।’
বিএনপি নির্বাচনে ভোট দিতে না যেতে ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করছে। সেই প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করছেন, এটা তারা বলতে পারেন। ভোট বর্জনের কথা বলতে পারবেন। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে সহিংসভাবে যেন না করে, জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা না দেয়।’
এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘ভোট কম পড়ার পেছনে বিএনপি একটি বড় ফ্যাক্টর, তবে একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না। এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর কারোই অনাস্থা নেই, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিএনপি অনাস্থার কারণে নয়। কারণ, তাদের যে রাজনৈতিক দাবি, সেটি মেটানোর ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। সেটি মিটানোর দায়িত্ব পার্লামেন্টের। পার্লামেন্টের বিষয়ে তাদের মান-অভিমান থাকতে পারে। আমাদের সঙ্গে তো মান-অভিমান থাকার কথা নয়।’
হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে, আইনে এ রকম কিছু বলা নেই। এখানে প্রার্থী শপথ করে মিথ্যা তথ্য দিলে, যেকোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারবেন। প্রমাণিত হলে আদালত তখন শাস্তি দিতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের তদন্ত করার ক্ষমতা নেই, জনবলও নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘মুখে না শুধু, আমরা তো প্রমাণ করে দেখিয়েছি যে ৭ তারিখের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।’ আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের বার্তা হবে—যেহেতু নির্বাচনটা আমরা মুখে না শুধু, আমরা তো প্রমাণ করে দেখিয়েছি ৭ তারিখের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এরপরে ৮ তারিখের নির্বাচনটাও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ভোটারদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা ভোটকেন্দ্রে আসুক, তাদের যে অধিকার রয়েছে, সেই অধিকারটা প্রয়োগ করুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারণ, আপনার অধিকারটা যদি আপনি প্রয়োগ না করেন। তাহলে উপযুক্ত প্রার্থী যিনি আছেন, তিনি হয়তো ভোটে হেরে যেতে পারেন। ভোটারদের এসে যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দেওয়া উচিত।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যেসব সমস্যা মাঠে আছে, সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশ, প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।’
গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছেন, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছেন আপনারা? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটের কয়েক দিন পর এ ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নির্বাচনের কারণে না কি, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বা সামাজিক কারণে, সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এ ছাড়া নির্বাচন না থাকলে যে আমাদের দেশে সহিংসতা হয় না, তা কিন্তু নয়। তবে আমরা চাই না—একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটুক।’
নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্রবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি। ওই সময়ের মধ্যে যদি কিছু ঘটত, তাহলে কিন্তু তারা ওই এলাকা ত্যাগ করত না, থেকে যেত।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘যেহেতু শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে। ভোটাররা ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারছেন। আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি হয়নি। সে ক্ষেত্রে ভোটাররাও ভোট দিতে যেতে আগ্রহী হতেই পারে।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘তবে কত ভোট পড়বে, সেটি অগ্রিম বলা কঠিন। সেটা বলা যাবে না। নির্বাচনের ওয়ার্ম সিচুয়েশন আছে। যেহেতু সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, সে ক্ষেত্রে ভোটারের সংখ্যা কেমন হবে, সেটি অগ্রিম বলা সম্ভব না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, ‘ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ, বিষয়টা এমন নয়। তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি, এসব কারণে ভোট কম পড়েছে।’
বিএনপি নির্বাচনে ভোট দিতে না যেতে ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করছে। সেই প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারদের নিষেধ করছেন, এটা তারা বলতে পারেন। ভোট বর্জনের কথা বলতে পারবেন। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে সহিংসভাবে যেন না করে, জোর করে কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা না দেয়।’
এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘ভোট কম পড়ার পেছনে বিএনপি একটি বড় ফ্যাক্টর, তবে একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না। এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর কারোই অনাস্থা নেই, নির্বাচন কমিশনের ওপর বিএনপি অনাস্থার কারণে নয়। কারণ, তাদের যে রাজনৈতিক দাবি, সেটি মেটানোর ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। সেটি মিটানোর দায়িত্ব পার্লামেন্টের। পার্লামেন্টের বিষয়ে তাদের মান-অভিমান থাকতে পারে। আমাদের সঙ্গে তো মান-অভিমান থাকার কথা নয়।’
হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে, আইনে এ রকম কিছু বলা নেই। এখানে প্রার্থী শপথ করে মিথ্যা তথ্য দিলে, যেকোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারবেন। প্রমাণিত হলে আদালত তখন শাস্তি দিতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের তদন্ত করার ক্ষমতা নেই, জনবলও নেই।’
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’
১২ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক রাত সাড়ে ৯টার পর শেষ হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়
১৫ ঘণ্টা আগে