সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্যও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশ কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়া গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইসির সূত্র জানায়, প্রস্তাবের কোনো সংশোধন না থাকলে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন হলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করবেন। এর মাধ্যমে আইনে সংশোধনী যুক্ত হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, এমন বিধান সংশোধনীতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমসাময়িক বাস্তবতায় আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা যৌক্তিক। যদি ভবিষ্যতে দেখা যায় যে এটার অপব্যবহার হচ্ছে, তখন আমাদের আবার রিভিউ করতে হবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ফেরারি আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। সে সময় ইসি এই প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও পরে তা গ্রহণ করে চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করেছে।
সংস্কার কমিশন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান করার প্রস্তাব দিলেও তা ইসির চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়নি।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেউ সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য হিসেবে থাকলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোনো কারণে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত না হয়, বাতিল না হয়, কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর সরকার কোনো স্থগিতাদেশ দেয়, সে ক্ষেত্রে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং ওই দলের প্রতীক স্থগিত থাকবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলের পদধারী নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নটি প্রাসঙ্গিক নয়। যে দল রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না, সেই দলের নামে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন কি না, সেটা সময় বলে দেবে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ বলেন, কোথাও একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এতে ‘না’ ভোট বিজয়ী হলে নতুন তফসিল করে ভোট হবে। তবে দ্বিতীয়বারেও অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। লটারি প্রথা বাতিল করে সমভোট পড়লে পুনরায় ভোটের বিধান চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সেনাবাহিনীও অন্যান্য প্রচলিত বাহিনীর মতো, যেমন পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে তা বাদ দেয়। ফলে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সর্বশেষ বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়ের বিবরণী, দেশ ও বিদেশে সম্ভাব্য আয়ের উৎস, নিজস্ব এবং নির্ভরশীল সদস্যদের দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এবং সংসদ সদস্যের মেয়াদের ৫ বছরের মধ্যে তা প্রমাণিত হলে, সংসদ সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।
চূড়ান্ত খসড়ায় পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা ইসির কাছে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে ক্ষমতায়িত করার পাশাপাশি জবাবদিহির আওতায় আনার বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই) ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়, এমন কিছু করা যাবে না।
চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার সময় ফল কেন্দ্রে থাকতে পারবেন। তবে শর্ত রয়েছে, ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে, মাঝখানে বের হওয়া যাবে না।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, আগে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে যেকোনো রাজনৈতিক দল ১০ লাখ এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারত। খসড়ায় এ দুটিই ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান ব্যাংকিং চ্যানেলে হতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আয়কর রিটার্নেও তা দেখাতে হবে।
খসড়া সংশোধনীতে প্রার্থীর নির্বাচনী জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং জোট সমর্থিত প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে। ইভিএম-সংক্রান্ত সব বিধান বিলুপ্ত করার, পোস্টাল ব্যালট যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্যও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশ কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়া গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইসির সূত্র জানায়, প্রস্তাবের কোনো সংশোধন না থাকলে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন হলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করবেন। এর মাধ্যমে আইনে সংশোধনী যুক্ত হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, এমন বিধান সংশোধনীতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমসাময়িক বাস্তবতায় আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা যৌক্তিক। যদি ভবিষ্যতে দেখা যায় যে এটার অপব্যবহার হচ্ছে, তখন আমাদের আবার রিভিউ করতে হবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ফেরারি আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। সে সময় ইসি এই প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও পরে তা গ্রহণ করে চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করেছে।
সংস্কার কমিশন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান করার প্রস্তাব দিলেও তা ইসির চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়নি।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেউ সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য হিসেবে থাকলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোনো কারণে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত না হয়, বাতিল না হয়, কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর সরকার কোনো স্থগিতাদেশ দেয়, সে ক্ষেত্রে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং ওই দলের প্রতীক স্থগিত থাকবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলের পদধারী নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নটি প্রাসঙ্গিক নয়। যে দল রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না, সেই দলের নামে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন কি না, সেটা সময় বলে দেবে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ বলেন, কোথাও একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এতে ‘না’ ভোট বিজয়ী হলে নতুন তফসিল করে ভোট হবে। তবে দ্বিতীয়বারেও অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। লটারি প্রথা বাতিল করে সমভোট পড়লে পুনরায় ভোটের বিধান চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সেনাবাহিনীও অন্যান্য প্রচলিত বাহিনীর মতো, যেমন পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে তা বাদ দেয়। ফলে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সর্বশেষ বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়ের বিবরণী, দেশ ও বিদেশে সম্ভাব্য আয়ের উৎস, নিজস্ব এবং নির্ভরশীল সদস্যদের দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এবং সংসদ সদস্যের মেয়াদের ৫ বছরের মধ্যে তা প্রমাণিত হলে, সংসদ সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।
চূড়ান্ত খসড়ায় পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা ইসির কাছে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে ক্ষমতায়িত করার পাশাপাশি জবাবদিহির আওতায় আনার বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই) ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়, এমন কিছু করা যাবে না।
চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার সময় ফল কেন্দ্রে থাকতে পারবেন। তবে শর্ত রয়েছে, ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে, মাঝখানে বের হওয়া যাবে না।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, আগে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে যেকোনো রাজনৈতিক দল ১০ লাখ এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারত। খসড়ায় এ দুটিই ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান ব্যাংকিং চ্যানেলে হতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আয়কর রিটার্নেও তা দেখাতে হবে।
খসড়া সংশোধনীতে প্রার্থীর নির্বাচনী জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং জোট সমর্থিত প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে। ইভিএম-সংক্রান্ত সব বিধান বিলুপ্ত করার, পোস্টাল ব্যালট যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্যও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশ কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়া গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইসির সূত্র জানায়, প্রস্তাবের কোনো সংশোধন না থাকলে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন হলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করবেন। এর মাধ্যমে আইনে সংশোধনী যুক্ত হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, এমন বিধান সংশোধনীতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমসাময়িক বাস্তবতায় আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা যৌক্তিক। যদি ভবিষ্যতে দেখা যায় যে এটার অপব্যবহার হচ্ছে, তখন আমাদের আবার রিভিউ করতে হবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ফেরারি আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। সে সময় ইসি এই প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও পরে তা গ্রহণ করে চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করেছে।
সংস্কার কমিশন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান করার প্রস্তাব দিলেও তা ইসির চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়নি।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেউ সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য হিসেবে থাকলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোনো কারণে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত না হয়, বাতিল না হয়, কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর সরকার কোনো স্থগিতাদেশ দেয়, সে ক্ষেত্রে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং ওই দলের প্রতীক স্থগিত থাকবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলের পদধারী নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নটি প্রাসঙ্গিক নয়। যে দল রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না, সেই দলের নামে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন কি না, সেটা সময় বলে দেবে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ বলেন, কোথাও একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এতে ‘না’ ভোট বিজয়ী হলে নতুন তফসিল করে ভোট হবে। তবে দ্বিতীয়বারেও অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। লটারি প্রথা বাতিল করে সমভোট পড়লে পুনরায় ভোটের বিধান চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সেনাবাহিনীও অন্যান্য প্রচলিত বাহিনীর মতো, যেমন পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে তা বাদ দেয়। ফলে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সর্বশেষ বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়ের বিবরণী, দেশ ও বিদেশে সম্ভাব্য আয়ের উৎস, নিজস্ব এবং নির্ভরশীল সদস্যদের দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এবং সংসদ সদস্যের মেয়াদের ৫ বছরের মধ্যে তা প্রমাণিত হলে, সংসদ সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।
চূড়ান্ত খসড়ায় পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা ইসির কাছে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে ক্ষমতায়িত করার পাশাপাশি জবাবদিহির আওতায় আনার বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই) ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়, এমন কিছু করা যাবে না।
চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার সময় ফল কেন্দ্রে থাকতে পারবেন। তবে শর্ত রয়েছে, ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে, মাঝখানে বের হওয়া যাবে না।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, আগে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে যেকোনো রাজনৈতিক দল ১০ লাখ এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারত। খসড়ায় এ দুটিই ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান ব্যাংকিং চ্যানেলে হতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আয়কর রিটার্নেও তা দেখাতে হবে।
খসড়া সংশোধনীতে প্রার্থীর নির্বাচনী জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং জোট সমর্থিত প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে। ইভিএম-সংক্রান্ত সব বিধান বিলুপ্ত করার, পোস্টাল ব্যালট যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্যও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) চূড়ান্ত খসড়ায় এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশ কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়া গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ইসির সূত্র জানায়, প্রস্তাবের কোনো সংশোধন না থাকলে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিং করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন হলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করবেন। এর মাধ্যমে আইনে সংশোধনী যুক্ত হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না, এমন বিধান সংশোধনীতে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমসাময়িক বাস্তবতায় আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা যৌক্তিক। যদি ভবিষ্যতে দেখা যায় যে এটার অপব্যবহার হচ্ছে, তখন আমাদের আবার রিভিউ করতে হবে।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ফেরারি আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। সে সময় ইসি এই প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেও পরে তা গ্রহণ করে চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করেছে।
সংস্কার কমিশন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান করার প্রস্তাব দিলেও তা ইসির চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়নি।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কেউ সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য হিসেবে থাকলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না।
নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোনো কারণে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত না হয়, বাতিল না হয়, কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর সরকার কোনো স্থগিতাদেশ দেয়, সে ক্ষেত্রে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং ওই দলের প্রতীক স্থগিত থাকবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলের পদধারী নেতারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নটি প্রাসঙ্গিক নয়। যে দল রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না, সেই দলের নামে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন কি না, সেটা সময় বলে দেবে।
চূড়ান্ত খসড়ায় ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে মো. সানাউল্লাহ বলেন, কোথাও একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এতে ‘না’ ভোট বিজয়ী হলে নতুন তফসিল করে ভোট হবে। তবে দ্বিতীয়বারেও অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। লটারি প্রথা বাতিল করে সমভোট পড়লে পুনরায় ভোটের বিধান চূড়ান্ত খসড়ায় যুক্ত করা হয়েছে।
সংশোধিত আরপিওর চূড়ান্ত খসড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে সেনাবাহিনীও অন্যান্য প্রচলিত বাহিনীর মতো, যেমন পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে তা বাদ দেয়। ফলে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সর্বশেষ বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আয়ের বিবরণী, দেশ ও বিদেশে সম্ভাব্য আয়ের উৎস, নিজস্ব এবং নির্ভরশীল সদস্যদের দেশি-বিদেশি সম্পত্তির বিবরণ জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এবং সংসদ সদস্যের মেয়াদের ৫ বছরের মধ্যে তা প্রমাণিত হলে, সংসদ সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে কমিশন।
চূড়ান্ত খসড়ায় পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা ইসির কাছে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে সানাউল্লাহ বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে ক্ষমতায়িত করার পাশাপাশি জবাবদিহির আওতায় আনার বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(এআই) ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়, এমন কিছু করা যাবে না।
চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীরা ভোট গণনার সময় ফল কেন্দ্রে থাকতে পারবেন। তবে শর্ত রয়েছে, ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে, মাঝখানে বের হওয়া যাবে না।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, আগে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে যেকোনো রাজনৈতিক দল ১০ লাখ এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারত। খসড়ায় এ দুটিই ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান ব্যাংকিং চ্যানেলে হতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আয়কর রিটার্নেও তা দেখাতে হবে।
খসড়া সংশোধনীতে প্রার্থীর নির্বাচনী জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং জোট সমর্থিত প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে। ইভিএম-সংক্রান্ত সব বিধান বিলুপ্ত করার, পোস্টাল ব্যালট যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা...
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা...
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা...
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

আদালত ঘোষিত ফেরারি (পলাতক) আসামিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমন ব্যক্তিরা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, আইনে এমন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা...
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৮ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
২০ ঘণ্টা আগে