এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাযজ্ঞ। পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার নারকীয় সেই ঘটনায় পরে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ের পর হাইকোর্ট হয়ে তা এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। চার বছর আগে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলেও এখনো শুরু হয়নি শুনানি। আর বিস্ফোরক মামলা বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাইকোর্টে তিনজন বিচারপতি শুনেছেন। আপিল বিভাগে চারজন লাগবে। আর শুনানি শুরু হলে এটি শেষ হতে ৪০-৫০ কার্যদিবস লাগতে পারে। এই মুহূর্তে আপিল বিভাগে পর্যাপ্ত বিচারপতি নেই। আশা করি, অচিরেই নতুন বিচারপতি নিয়োগ হবে। তখন বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এই মামলার শুনানি হবে।’
পিলখানা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন আদালত। তাতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন। রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। আর সাজার বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরা জেল আপিল ও আপিল করেন। এ ছাড়া ৬৯ জনের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার বাইরেও বিদ্রোহের ঘটনায় বিচার হয়েছে বাহিনীর নিজস্ব আইনে। তাতে ১০ হাজার ৯৭৩ জনের বিভিন্ন ধরনের সাজা হয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ৭৫৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অন্যরা প্রশাসনিক দণ্ড শেষে আবার চাকরিতে যোগ দেন।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় দেন তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। এ ছাড়া ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি।
হাইকোর্টের রায়ের পর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আসামিরা। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া এবং সাজা কমা ৮৩ আসামির বিষয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের করা আবেদন এখন শুনানির অপেক্ষায়। আপিল নিষ্পত্তির পর রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। পুনর্বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন আসামি। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা তিনি আবেদন নাকচ করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে সরকার।
অ্যাটর্নি জেনারেল অবশ্য বলেন, ‘আশা করছি, হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকবে।’ এ ছাড়া যাঁদের সাজা অপর্যাপ্ত, তাঁদেরটা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক আইনের মামলা এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় অপর দুই মামলায় খালাস পাওয়া কিংবা সাজা শেষ হওয়া আসামিরা মুক্ত হতে পারছেন না।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিস্ফোরক মামলায় ১ হাজার ৩৪৪ জন সাক্ষী। তাঁদের মধ্যে ২৭৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘২৭৩ জনের নেওয়া হয়েছে, আরও ১৭৫ জনের মতো নেওয়া হবে। প্রতি মাসে চার কার্যদিবস এই মামলার শুনানি হয়। আশা করছি, এই বছরের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হবে।’
৩৫০ জনের বেশি আসামির পক্ষে হাইকোর্টে আইনজীবী ছিলেন মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ২৪৮ জন আর সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কারাগারে আছেন ২৫৬ জন। বিস্ফোরক মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় তাঁরা বের হতে পারছেন না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে খালাস পাওয়া এবং সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া আসামিদের জামিনে হলেও মুক্তি দেওয়া উচিত।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানা হত্যাযজ্ঞ। পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার নারকীয় সেই ঘটনায় পরে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা মামলা হয়। এর মধ্যে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ের পর হাইকোর্ট হয়ে তা এখন আপিল বিভাগে বিচারাধীন। চার বছর আগে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলেও এখনো শুরু হয়নি শুনানি। আর বিস্ফোরক মামলা বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাইকোর্টে তিনজন বিচারপতি শুনেছেন। আপিল বিভাগে চারজন লাগবে। আর শুনানি শুরু হলে এটি শেষ হতে ৪০-৫০ কার্যদিবস লাগতে পারে। এই মুহূর্তে আপিল বিভাগে পর্যাপ্ত বিচারপতি নেই। আশা করি, অচিরেই নতুন বিচারপতি নিয়োগ হবে। তখন বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এই মামলার শুনানি হবে।’
পিলখানা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন আদালত। তাতে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন। রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। আর সাজার বিরুদ্ধে দণ্ডিত ব্যক্তিরা জেল আপিল ও আপিল করেন। এ ছাড়া ৬৯ জনের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার বাইরেও বিদ্রোহের ঘটনায় বিচার হয়েছে বাহিনীর নিজস্ব আইনে। তাতে ১০ হাজার ৯৭৩ জনের বিভিন্ন ধরনের সাজা হয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ৭৫৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অন্যরা প্রশাসনিক দণ্ড শেষে আবার চাকরিতে যোগ দেন।
ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় দেন তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। এ ছাড়া ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি।
হাইকোর্টের রায়ের পর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আসামিরা। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া এবং সাজা কমা ৮৩ আসামির বিষয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের করা আবেদন এখন শুনানির অপেক্ষায়। আপিল নিষ্পত্তির পর রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। পুনর্বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন আসামি। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন না করলে বা তিনি আবেদন নাকচ করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে সরকার।
অ্যাটর্নি জেনারেল অবশ্য বলেন, ‘আশা করছি, হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকবে।’ এ ছাড়া যাঁদের সাজা অপর্যাপ্ত, তাঁদেরটা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক আইনের মামলা এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় অপর দুই মামলায় খালাস পাওয়া কিংবা সাজা শেষ হওয়া আসামিরা মুক্ত হতে পারছেন না।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিস্ফোরক মামলায় ১ হাজার ৩৪৪ জন সাক্ষী। তাঁদের মধ্যে ২৭৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘২৭৩ জনের নেওয়া হয়েছে, আরও ১৭৫ জনের মতো নেওয়া হবে। প্রতি মাসে চার কার্যদিবস এই মামলার শুনানি হয়। আশা করছি, এই বছরের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হবে।’
৩৫০ জনের বেশি আসামির পক্ষে হাইকোর্টে আইনজীবী ছিলেন মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ২৪৮ জন আর সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কারাগারে আছেন ২৫৬ জন। বিস্ফোরক মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় তাঁরা বের হতে পারছেন না। ন্যায়বিচারের স্বার্থে খালাস পাওয়া এবং সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া আসামিদের জামিনে হলেও মুক্তি দেওয়া উচিত।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলপ্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছে সিপিবি, বাসদ ও বাংলাদেশ জাসদ। আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ১০ মিনিটের প্রতীকী ওয়াকআউট করে দলগুলো।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
১২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগমুহূর্তেও কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর। কন্ট্রোল রুমকে তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান ভাসছে না...মনে হচ্ছে নিচে পড়ছে।’
১৪ ঘণ্টা আগেবিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক রাত সাড়ে ৯টার পর শেষ হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে