Ajker Patrika

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

নারী প্রার্থী ক্রমে ১০০ হবে প্রতি নির্বাচনে বাড়বে ৫%

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৮: ২৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব কেমন হবে, তা নিয়ে অবশেষে একটি সিদ্ধান্তে এসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে রাজনৈতিক মতৈক‍্য হলেও বেশির ভাগ দল ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে। সংলাপে কিছু দল সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে এবং কিছু দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। এই অবস্থায় বিদ্যমান ৫০ সংরক্ষিত নারী আসন রাখার পাশাপাশি জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৩০০ সংসদীয় আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

গতকাল ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে নারী আসন নিয়ে আলোচনার পর এসব সিদ্ধান্ত দেয় কমিশন। পরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে কমিশনের প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, ১২টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া দিতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—অ্যাটর্নি জেনারেল; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ; তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান; আইন কমিশনের চেয়ারম্যান; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর; বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য; সশস্ত্র বাহিনীসমূহের (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) প্রধান, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগ।

নারী আসনে নিয়ে বারবার প্রস্তাব পরিবর্তন: সংসদে নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করার পক্ষে রাজনৈতিক মতৈক‍্য হলেও বেশির ভাগ দল ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে। দলগুলোর অনাগ্রহের কারণে জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশন বেশ কয়েকবার প্রস্তাবে সংশোধনী আনলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রথমেই ১০০ আসনে নারীর সরাসরি ভোটের প্রস্তাব করেছিল। সংলাপে নারী আসনে নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে ১৪ জুলাই নতুন প্রস্তাব হাজির করে কমিশন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, কমপক্ষে ২৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থীর এক-তৃতীয়াংশ নারী হতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারীদের জন‍্য পৃথকভাবে কোনো সংরক্ষিত আসন থাকবে না। কিন্তু বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। পরের এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‍্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিদ‍্যমান ৫০ সংরক্ষিত আসন বহাল রেখে ৫ শতাংশ আসনে সরাসরি নির্বাচনে নারীদের প্রার্থী করার প্রস্তাব দেন।

গতকাল বুধবার দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনের আলোচনায় নতুন প্রস্তাব হাজির করে ঐকমত‍্য কমিশন। পরিবর্তিত প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। পরের নির্বাচন, অর্থাৎ চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ১৫ শতাংশ আসনে সরাসরি নির্বাচনের জন্য নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে। এভাবে প্রতি নির্বাচনে ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে নারী প্রার্থী ১০০-তে উন্নীত করবে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো এতেও রাজি হয়নি।

কমিশনসংশ্লিষ্ট একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা জুলাই আন্দোলনের চেতনা এবং নারীদের সঙ্গে বেইমানি করেছি। পুরুষতন্ত্রের কাছে নারীর সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’

গতকালের সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‍্য সালাহউদ্দিন আহমদ সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদে সংশোধনের প্রস্তাব দেন, যেখানে তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে প্রার্থী তালিকায় নারীদের জন্য ৫-৭ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলেন। তিনি প্রস্তাব করেন, চতুর্দশ সংসদ থেকে ধাপে ধাপে নারী প্রার্থী ১৫ শতাংশে উন্নীত হবে এবং এভাবেই শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো ১০০ জন নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে সক্ষম হবে। নিজের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপির পক্ষেও মোট প্রার্থীর ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া একটি চ্যালেঞ্জ হবে এখন।

জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বিএনপির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন এবং নারীদের অন্তর্ভুক্তির চেতনা সমুন্নত রেখে বিকল্প উপায়ে হলেও ১০০টি সংরক্ষিত আসন রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তাঁর দল সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থেকে ১০০-তে বৃদ্ধির পক্ষে।

অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস‍্যসচিব আখতার হোসেন জাতীয় ঐকমত্য কমিটির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন এবং ১০০টি নারী সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে নিজের দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জুলাই চার্টারের খসড়া বাস্তবায়ন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের তানিয়া রব এবং এনডিএমের মোমিনুল আমিন নারীদের মনোনয়ন-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা কিছুটা শিথিল করার প্রস্তাব দেন, যাতে দলগুলো ৫-৭ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের ‘সুযোগ’ তৈরি করার অঙ্গীকার করে। অন্যদিকে জাসদের মুশতাক হোসেন গভীর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ধারাবাহিকভাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) অনুযায়ী নিজেদের সংগঠনে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স কমিশনের প্রস্তাবে হতাশা জানিয়ে ১০০টি সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফ আলী আকন এই আসনগুলোয় ভোটভিত্তিক আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন। নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেন। খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ১০০টি সংরক্ষিত নারী আসনে ভোটভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে তাঁর দল প্রস্তাবে সই করবে না।

মুশতাক এই পরিমার্জিত প্রস্তাবের বিরোধিতা অব্যাহত রাখেন, আর গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রস্তাবটি সমর্থন করেন, তবে ১৪তম জাতীয় সংসদ থেকে নারীদের ১৫ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ জানান।

বিরতির পর আলী রীয়াজ জানান, সংসদে নারী প্রতিনিধির সংখ্যা ধাপে ধাপে ১০০ আসনে উন্নীত করার বিষয়টি কমিশনের নীতিগত অবস্থান। তিনি বলেন, কেউ পিআর চায়, কেউ চায় সরাসরি নির্বাচন—দুই ধরনের মতামতই সনদে‌ উল্লেখ‌ থাকবে।

আলী রীয়াজ রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনে কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের জন্য উৎসাহিত করার আহ্বান জানান এবং বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন রাখার পক্ষে মত দেন। প্রতি নির্বাচনে নারী প্রতিনিধিত্বে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির মাধ্যমে একসময় ৩০০টি সাধারণ আসনের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন।

আজ শেষ হচ্ছে সংলাপ

জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। এদিনই গ্রহণযোগ্য খসড়া সনদ সব দলের কাছে তুলে দিতে চায় কমিশন। গতকাল পর্যন্ত সনদের খসড়া নিয়ে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল কমিশনে তাদের মতামত জানিয়েছে। তবে জুলাই সনদের খসড়া এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে আপত্তি ও ভিন্নমত থাকায় এখন পর্যন্ত মতামত দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ আরও অনেক দল। এদিকে গতকালের সংলাপে প্রথম পর্বের আলোচনায় ঐকমত্যে উপনীত হওয়া ৬২টি বিষয়ও উপস্থাপন করে কমিশন।

গতকাল আলোচনা শুরুর আগে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, তার একটি তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেব। আশা করছি, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমরা একটি সমন্বিত ও গ্রহণযোগ্য খসড়া সনদ সব দলের কাছে তুলে দিতে পারব।’

রাষ্ট্রের মূলনীতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বসহ অমীমাংসিত বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গতকাল দ্বিতীয় ধাপের ২২তম দিনে বৈঠকে বসে কমিশন। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রাখা বিষয়গুলো ছিল—সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব; সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান-সম্পর্কিত; রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব [অনুচ্ছেদ ৪৮(৩)]; রাষ্ট্রপতি নির্বাচনপদ্ধতি, ইলেকটোরাল কলেজ ইত্যাদি; উচ্চকক্ষের গঠন, সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি, এখতিয়ার ইত্যাদি; নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ-সম্পর্কিত প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রের মূলনীতি।

এখন পর্যন্ত যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান, হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আদালত স্থানান্তর, জরুরি অবস্থা জারি, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ , ইসি গঠনের পদ্ধতি, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান।

এর আগে প্রথম পর্বের আলোচনায় যে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—আইনসভা গঠন, জাতীয় সংসদে নারী আসনের বিধান, ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধী দল থেকে মনোনয়ন, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়া, সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অধীনে ন্যস্ত করা, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন, কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে দুটি প্রশাসনিক বিভাগ গঠন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ধারা ৩২ক বিলুপ্ত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তামিম কি তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হবেন

রাজনৈতিক দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ, হেফাজতে সেনা কর্মকর্তা

পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

নারীর ‘বগলের গন্ধ’ পুরুষের মানসিক চাপ কমায়, তবে কি মানুষেরও আছে ফেরোমোন!

বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের চেয়ে কম শুল্কের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত