Ajker Patrika

ঢাকায় কোভিড শয্যার ২৫% পূর্ণ, চাপ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ৩০
Thumbnail image

বর্তমানে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেননি। আর এই টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদেরই কোভিডে মৃত্যু হচ্ছে বেশি। অসচেতনতার কারণে সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। এরই মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোর কোভিড শয্যার এক-চতুর্থাংশ পূরণ হয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার ওমিক্রনের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি নিয়ে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিলে মৃত্যুহার কমবে। তবে সংক্রমণ রোধ করার জন্য মাস্কের কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক পরতে হবে। ঢাকায় যত সরকারি হাসপাতাল আছে, সেগুলোতে কোভিড শয্যা আছে ৪ হাজার। এরই মধ্যে ১ হাজার শয্যা পূরণ হয়ে গেছে। সে হিসাবে ঢাকায় হাসপাতালগুলোর শতকরা ২৫ ভাগ পূর্ণ হয়ে গেছে। তবে সব হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে। সেই সঙ্গে আছে ১০০ অক্সিজেন জেনারেটর। এ ছাড়া ৮৫০টি করোনা পরীক্ষার ল্যাব রয়েছে।’ 

হাসপাতালগুলোতে চাপ ও রোগী বাড়ছে এবং এটা খুবই আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আমরা বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলাম। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘুরতে যাওয়া, বিয়েশাদির মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার লোকের জমায়েত করা। পর্যটন স্পটগুলোতে বেপরোয়াভাবে ঘুরতে যাওয়াসহ বর্তমানে চলা বাণিজ্য মেলায় হাজার হাজার মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ কারণে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আমাদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে দিনে ১৭ জনের মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজারে। এটা খুবই আশঙ্কাজনক।’ 

অনুষ্ঠানে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনের থেকে আমরা করোনা মোকাবিলায় অনেক বেশি প্রস্তুত। সারা দেশের প্রায় ২০ হাজার কোভিড শয্যা আছে। আইসিইউ আছে ১৫ শ, যা শুরুর দিকে কল্পনাও করা যেত না। করোনা টেস্ট করার সুযোগ আগের থেকে অনেক বেশি। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার নিজের হাসপাতাল (এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল) ১২০টি করোনা শয্যা আছে, সেগুলোর মধ্যে ৪০টি আইসিইউ শয্যা। যেহেতু হাসপাতালে ভর্তি বেশির ভাগ রোগীর আইসিইউ দরকার হয়, তবে আমাদের ভালো প্রস্তুতি আছে, তাই ভয় পাওয়ায় কিছু নেই।’ 

মতবিনিময় সভায় সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান। অনেকে আসন্ন সংকট মোকাবিলায় নানা পরামর্শও দেন। 

মতবিনিময় সভায় দেশের বেসরকারি হাসপাতালের মালিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত